মুসলিম পরিবারের জন্য ৪০ টি পরামর্শ (পর্ব-০১)
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১০ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৩৭:৩৩ বিকাল
পরিবার, বিয়ে, দাম্পত্য সম্পর্ক, সন্তান প্রতিপালন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার, অন্তত আমার মতো আবিয়াইত্তার জন্য। কিন্তু মানুষের কাছ থেকে ভালো ভালো পরামর্শগুলো সংগ্রহ করে সবার মাঝে বিলিয়ে তো দিতে পারি। তাই আজ মুসলিম পরিবারের জন্য ৪০ টি পরামর্শ নিয়ে হাজির হলাম। পরামর্শগুলো দিয়েছেন শেখ মুহাম্মদ আল মুনাজি। আমি এর বঙ্গানুবাদ করেছি মাত্র। তাহলে চলুন দেখে আসি সে পরামর্শগুলো কী।
ঘর হচ্ছে আশীর্বাদ:‘এবং আল্লাহ্ তোমার ঘরের মধ্যে তোমার জন্য আবাসস্থল করেছেন’। (আল কুরআন ১৬:৮০)
ঘর কি এমন জায়গা নয়, যেখানে একজন ব্যক্তি খায়, স্ত্রীর সাথে মধুর সম্পর্ক উপভোগ করে, ঘুমায় এবং বিশ্রাম নেয়?
ঘর কি এমন স্থান নয়, যেখানে সে একাকী থাকে এবং স্ত্রী সন্তানের সাথে একান্তে সময় কাটাতে পারে?
ঘর কি এমন স্থান নয় যেখানে নারী নিরাপদ থাকে?
যদি তুমি ঐসব লোকদের কথা ভাবো যারা বাস্তুহারা, বসবাস করে আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা রাস্তায় অথবা শরণার্থী শিবিরে, তাহলে বুঝতে পারবে তোমার ঘর তোমার জন্য কতোটা আশীর্বাদ।
ঘর বা পরিবারকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে আপনাদের জন্য কিছু মোটিভেশন, যেমন:
প্রথমত, নিজে এবং পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা। “ওহে বিশ্বাসীগণ, তুমি নিজে এবং তোমার পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও, যার জ্বালানী হবে মানুষ এবং পাথর। (কুরআন ৬৬:৬)
দ্বিতীয়ত, পরিবার প্রধান তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ প্রত্যেক দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে তাঁর অধীনস্থ ব্যক্তিদের প্রতি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে নাকি অবহেলা করেছে, এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে।
তৃতীয়ত, ঘর হচ্ছে নিরাপদ স্থান, শয়তান থেকে দূরে থাকার নিরাপদ জায়গা। ফিৎনার সময় আশ্রয় লাভের স্থান।
রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আশীর্বাদ এমন লোকের জন্য, যে জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করে, তার জন্য ঘরই যথেষ্ঠ এবং সে নিজ ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়”।
রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ফিৎনার সময় একজন মানুষের ঘরে থাকাই নিরাপদ”।
চতুর্থত, মানুষ সাধারণত অধিকাংশ সময় ঘরেই ব্যয় করে, বিশেষ করে খুব গরম অথবা ঠাণ্ডার সময়। কাজের ব্যস্ততা শেষে বাকি সময় ইবাদত বন্দেগীতেই কাটানো উচিৎ।
পঞ্চমত, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোটিভেশন হলো ঘর বা পরিবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া যা মুসলিম সমাজ গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ সংসার এবং পরিবার নিয়েই সমাজ গঠিত, যাকে বলা যায় বিল্ডিং ব্লক।
বিল্ডিং ব্লক অটুট-অক্ষত হবে যদি তা প্রতিষ্ঠিত হয় আল্লাহ্র আইনের উপর ভিত্তি করে, দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে শত্রুর সামনে এবং অনুপ্রবেশ করতে পারবেনা শয়তান। মুসলিম পরিবারগুলো তৈরি করবে সমাজের স্তম্ভ এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করবে দায়ী ইলাল্লাহ, জ্ঞান অন্বেষণকারী, মুজাহিদ, ন্যায়নিষ্ঠ স্ত্রীগণ, যত্নবান মা, এবং আরো নানান ধরণের সংস্কারকের মাধ্যমে।
পরিবার গঠন:
১। উত্তম স্ত্রী নির্বাচন:পরিবার প্রধান অবশ্যই একজন নেককার স্ত্রী নির্বাচন করবেন নিম্মোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে যা রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
“চারটি জিনিস দেখে একজন নারীকে বিয়ে করবে: তার সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য, এবং ধার্মিকতা। তবে তুমি দ্বীনদারী পেয়ে কৃতকার্য হও। তোমার হস্ত ধূলয় ধূসরিত হোক”।
“তোমরা শুকুর গুজারী হও এবং জিহ্বাকে আল্লাহ্র স্মরণে ব্যস্ত রাখো। আর এমন মুমিন নারীকে বিয়ে করা উচিৎ যে তোমার আখেরাতের কাজে সহযোগী হবে”। (আহমদ ৫/২৮২)
“এমন নারীকে বিয়ে করো যে অধিক প্রেমময়ী এবং অধিক সন্তান ধাত্রী রমণী। পুনরুত্থান দিবসে অন্যান্য পয়গম্বরের সামনে আমার উম্মতের আধিক্য নিয়ে গর্বো করবো”। (আহমদ, সহিহ আল ইরআ ৬/১৯৫)
সুখী জীবন যাপনের চারটি উপায় বা মাধ্যমের একটি হলো পুণ্যবান স্ত্রী। অন্যদিকে দু:খী হওয়ার চারটি উপাদানের একটি বদ স্ত্রী। যেমন রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সুখী জীবন যাপনের অন্যতম কারণ ধার্মিক স্ত্রী। যার দিকে তাকালে তুমি প্রশান্তি অনুভব করো এবং তোমার অনুপস্থিতিতে সে হয় অনুগতা এবং তোমার সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী। অপরদিকে, দু:খের অন্যতম কারণ বদ স্ত্রী যার দিকে তাকালে তোমার বিতৃষ্ণা জাগে। তোমার সাথে খারাপ আচরণ করে, দূরে থাকলে তার নিজেকে হেফাজত এবং তোমার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারোনা”।
আর এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, বিয়ের জন্য নিয়ে আসা পাত্রের প্রস্তাবকে রাসূলের হাদীসের আলোকেই গ্রহণ করবে। রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যদি তোমাদের নিকট কেউ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, যার ধার্মিকতা এবং চরিত্র নিয়ে তোমরা সন্তুষ্ট, তাহলে তার কাছে তোমাদের বোন বা কন্যাকে বিয়ে দাও। নতুবা পৃথিবীতে ফিৎনা ফাসাদ সৃষ্টি হবে”।
উপরে বর্ণিত কাজগুলো অবশ্যই সঠিক তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে করতে হবে।
২। স্ত্রীকে গাইড করা
কারো স্ত্রী যদি ধার্মিক হয়, প্রকৃতপক্ষে এটা তার জন্য আশীর্বাদ এবং আল্লাহ্র অশেষ কৃপা।
আর যদি সে ধার্মিক না হয় তাহলে ঘরের প্রধান বা স্বামীর দায়িত্ব তাকে গাইড করার চেষ্টা করা।
একজন ব্যক্তি ধার্মিক নয় এমন নারীকে বিয়ে করতে পারে, কারণ প্রথমত সে নিজেও ধার্মিক নয়, অথবা সে এই আশায় বিয়ে করেছে যে, তাকে গাইড করবে অথবা আত্মীয় স্বজনের চাপে বিয়ে করেছে। এসব ক্ষেত্রে সে অবশ্যই তার স্ত্রীকে গাইড করবে।
স্ত্রীকে গাইড করার নানা উপায় রয়েছে, যেমন:
আল্লাহ্র প্রতি ইবাদতে তাকে মনোযোগী করা।
-রাত্রিকালীন নামাজে উদ্বুদ্ধ করা কুরআন অধ্যয়নে উৎসাহ প্রদান করা।
-দান খয়রাত করতে উৎসাহ দেয়া
-ইসলামী বই পড়তে প্রেরণা দেয়া
-ইসলামী ক্যাসেট, ডকুমেন্টারি ইত্যাদি শুনতে ও দেখতে উদ্বুদ্ধ করা এবং তাকে এসব সরবরাহ করা।
-তাকে ধার্মিক, পর্দানশীন সাথীদের (নারী) যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করে দেয়া।
-শয়তান থেকে তাকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা এবং শয়তান যাতে তার কাছে কোনোভাবে ঘেঁষতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।
-অসৎ সঙ্গের সাথে মিশতে না দেওয়া
-ঘরের মধ্যে বিশ্বাসের আবহ তৈরি করা।
৩। ঘরকে আল্লাহ্র স্মরণের স্থান করে নেওয়া।
রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ঘরে আল্লাহ্র স্মরণ হয়, সে ঘর জীবিত। আর যে ঘরে আল্লাহ্র স্মরণ হয়না সে ঘর মৃত”।
আমরা অবশ্যই আমাদের সকল কাজে কর্মে আমাদের ঘরে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করবো। কুরআন অধ্যয়ন, ইসলামী সাহিত্য পাঠ, ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করবো।
অধিকাংশ মুসলিম পরিবারে আজ আল্লাহ্কে স্মরণ হয়না বরং তার পরিবর্তে শয়তানের গান, বাদ্য বাজনা, গীবত, অপবাদ, পরচর্চা ইত্যাদি হয়ে থাকে।
হালাল হারামের নেই তোয়াক্কা, গায়রে মাহরাম আত্মীয় স্বজনের সাথে অবাধ মেলামেশা ইত্যাদি চলছেই।
এ জাতীয় ঘরে কিভাবে ফেরেশতা আসবে? আপনারা আপনাদের ঘরকে পূর্বের ন্যায় আল্লাহ্র স্মরণের জায়গায় ফিরিয়ে আনুন।আল্লাহ্ আমাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমিন।
চলবে-
বিষয়: বিবিধ
২৭২০ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি আপনার কথটা ঠিক বুঝিনি। আল্লাহ্ বলছেন লিখিনাই, কিন্তু কুরআন লিখা আছে, আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, কুরআন না লিখে আল্লাহ্ বলছেন এবং রাসূল না লিখে নবীজী (সা লিখলে ভালো হবে?
ভিন্ন স্বাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তুলে আনার জন্য শুকরিয়া! আশাকরি পরের পর্ব শীঘ্র আসছে!
সুন্দরভাবে মূল্যায়নের জন্য আমিও শুকরিয়া আদায় করছি।
খুব শিগগিরই না দিয়ে উপায় আছে! পরামর্শতো একটা দুইটানা, ৪০টা! ইনশা আল্লাহ্ চেষ্টা করবো খুব শিগগিরই দিতে।
চলার পথের সাথী হিসেবে আপনাকেও যেনো পাশে পাই।
আপনার আরো একটি ধারাবাহিক আছে....
আজকের লেখা জীবন চলার পথে খুবই প্রয়োজনীয়! লেখাটি অব্যাহত থাকুক এটাই কামনা।
আপনিও লিখুন না, এখন তো দুইজন মিলে ব্লগটাকে কাঁপিয়ে দিতে পারেন।
জী, একটা নয়, বেশ কয়েকটা আছে। চলবে, আল্লাহ্ যদি সব কিছু আমার জন্য সহজ করে দেন।
সুন্দর মূল্যায়নের জন্য ধন্যবাদ জনাব। আপনার কামনা বাস্তব রূপদান করতে নিশ্চয় চেষ্টা করবো।
আমিন আমিন আমিন
সুন্দর মূল্যায়নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
আশির্বাদ দ্বারা উদ্দেশ্য কি ক্লিয়ার জানতে আগ্রহী।
আমার জানামতে 'দোয়া' বা 'শুভ কামনা'।
কিন্তু ঘর হচ্ছে আশির্বাদ এটা কোন অর্থে নিবো? আশা করি জানাবেন। ধন্যবাদ
'দোয়া' বা 'শুভ কামনা'
যদিও আশীর্বাদ অর্থ দোয়া কামনা তখন যখন আমরা কাউকে কল্যাণ কামনায় দোয়া করার উদ্দেশ্যে বলি। তবে এখানে আশীর্বাদ মানে দোয়া বা শুভ কামনা নয়, এখানে এর অর্থ হলো আল্লাহ্ মানুষের জন্য ঘরকে মঙ্গলজনক, স্বস্তিদায়ক করেছেন বাইরের তুলনায়। যেমন আমরা বলি, বিজ্ঞান আমাদের জন্য অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জনাব।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। চলুক >>>>>
সুন্দর বলে মূল্যায়নের জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন।
সঙ্গেই থাকুন এবং ব্লগে নিয়মিত হোন।
০ পুণ্যবান স্ত্রী পেতে গেলে - ''ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়'' হবার সম্ভাবনা দেখা দেবে ।
আল্লাহ তায়ালা নারীকে পুরুষের শান্তির জন্য তৈরি করেছেন । যাতে স্বামীরা স্ত্রীদের কাছে গিয়ে শান্তি পায় ।
ঘরে শান্তি যার নেই তার বাহিরের কাজেও মন সংযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যায় ।
পবিত্র ক্বুরআনে নবী-রাসূলদের যে বর্ণনা আল্লাহ দিয়েছেন তাতে কিছুটা হলেও আঁচ করা যায় যে উনারা ঘরের ঝামেলা থেকে মুক্তই ছিলেন ।
আল্লাহ তায়ালা তার পয়গম্বরদের দিয়ে তার বাণী প্রচার করাবেন - এতে সেই বান্দার অন্তত ঘরে যাতে কোন সমস্যা না থাকে সেটা তো আল্লাহরই দেখার বিষয় ।
আর নবী - রাসূলের পত্নি হয়ে ঠিকঠাক মত চললেই উনাদের সাথে তাদেরও বেহেশত নিশ্চিত - এরকম বুঝলে কোন মহিলা নিজের পায়ে কোপ মারবে ? (একমাত্র লুত (আঃ) স্ত্রী ছাড়া)
আমরা যারা আল্লাহর সাধারণ বান্দা আছি তাদের তো জান্নাত সেরকমভাবে কনফার্ম না যে রকম নবী-রাসূলদের ছিল ।
তাই বর্তমানে স্ত্রীরাও আর পূণ্যবতী হতে চায় না । তাদের চাওয়া হল - নগদ যা পাওয়া যায় তাই হাতিয়ে নাও ।
(আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন , আল্লাহই সর্বজ্ঞানী)
আল্লাহ্ কোন কাজ করলে পুরুস্কার দেবেন, আর কোন কাজে শাস্তি দেবেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু কোন ব্যক্তিকে এ কথা বলেন নি যে তুমি এটা করলেই জান্নাত পেয়ে গেছ। কারণ মানুষ ভুল করে করবেই, আল্লাহ্ এটা ভালো করেই জানেন, একজন ব্যক্তি সারা জীবন পূন্য করলেও শেষ নিশ্বাসের আগ মুহুর্তে যদি কোন পাপ করে বসেন, এটাই তার জন্য জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হয়ে যেতে পারে।
আশাই মানুষকে বাঁচতে শেখায়। আর আমরা এটাও জানি, আল্লাহ্ সবচাইতে বড় ন্যায়বিচারক, তাই আমরা আশা করি, যদি উনার নির্দেশিত পথে ঠিক ঠিক চলি, তাহলে তিনি আমাদের জান্নাত দানে ধন্য করবেন।
তাই বর্তমানে স্ত্রীরাও আর পূণ্যবতী হতে চায় না । তাদের চাওয়া হল - নগদ যা পাওয়া যায় তাই হাতিয়ে নাও ।
যদি তারা পার্থিব নগদ কিছু পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চায়, তাহলে পরকাল তার জন্য শুধুই শূন্যতা। তার যথোচিত প্রাপ্তির ব্যবস্থা সে নিজেই করছে।
আর আপনার সাথে একমত, ঘরে শান্তি না থাকলে সবই অশান্তি। এখানে প্রবল ধোইর্যই কেবল একজন পুরুষকে সঠিক পথে অবিচল রাখতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন