দুর্বল, রোগাক্রান্ত মেয়েটি

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৪ মার্চ, ২০১৬, ০৭:০৭:১৮ সন্ধ্যা



সাজিদের ব্যাপারটাই কেমন অদ্ভূত। কারো রোগ-ব্যাধিতে সহানুভূতির বদলে মনে জমা হয় বিরক্তি, ঘেন্না ভাব। আশ পাশের কারো মাথা, পেট, বুক ব্যাথা, নাকে সাইনোসেটিস অথবা বারো মাসি সর্দি কাশি আর তেরো মাসি নিম জ্বরের কথা শোনামাত্রই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। সে নিজেও বিস্মিত, কেন রোগের প্রতি তার এই বিদ্বেষ মনোভাব! কিন্তু এই রোগ বিদ্বেষী মানুষটার ঘাড়েই এসে পড়ল রোগাক্রান্ত মেয়ে তাবাচ্ছুম!

তাবাচ্ছুম, সাজিদের অর্ধাঙ্গী। দুই বছর হতে চলল বিবাহিত জীবন। বড্ড ভালো মেয়ে। একেবারে ‘অনন্যা’। বোবার যেমন শত্রু থাকেনা, তারও নেই। মাটির মানুষ। রাগ, অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষের লেশমাত্র নেই। আঘাতের বদলে প্রতিঘাত না করে কেঁদে কেঁদে বালিশ ভেজাবে, তবু কাউকে বুঝতে দেবে না। কিন্তু সমস্যা একটাই। এ বয়সেই নানান রোগে আক্রান্ত সে। সাজিদকে প্রায় বলে, “আপনিতো রোগ সহ্যই করতে পারেন না। রোগও আমার পিছু ছাড়ছেনা। আপনাকে সুখী করতে পারব কি!” দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। মাথা, পেট, বুক ব্যাথা, হঠাৎ নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় যায়, সবই আছে তাবাচ্ছুমের মধ্যে। বেচারা সাজিদ, রোগ ব্যাধির চিরবিদ্রোহী। তার বসবাস পুরোদস্তুর এক রুগ্ন দুর্বল নারীর সঙ্গে!

বিয়ের পর বরকে তাবাচ্ছুম প্রায় বলে, আমি খুব বিচ্ছিরি দেখতে। নাক বোঁচা। বেঁটে। তাছাড়া নেকাব পড়তে পড়তে নাকটা আরো ধেবে গেছে। আপনার মত সুদর্শন ছেলের জন্য মোটেও যোগ্য নই”। সাজিদ বোঁচা নাকটা টিপে দিয়ে বলে, এইসব নিয়ে তোমার যত মাথা ব্যাথা, আমার কিন্তু একটুও নেই। এইসব যোগ্যতার মাপকাঠিও নয়। মিছে মিছি কেন মন খারাপ কর!

কেন এই অতী সাধারণ মেয়েটার জন্য প্রাণ পাগল পাড়া হবেনা। বরের অভাব অনটনে চোখ দুটিকে অশ্রুর ফোয়ারা বানিয়ে রাখে। নিজে কম খেয়ে কম পরে দৈন্যতায় সহযোগিতায়র হাত বাড়িয়ে দেয়। সাধারণ ঘরে জন্ম নিয়ে পরিবার থেকে ইসলামী শিক্ষা না পেয়েও আধুনিকা না হয়ে বিবেকের তাড়নায় তাড়িত হয়ে পর্দা পালনে নিজেকে সচেষ্ট রাখে। ক্লাস-পরীক্ষা আর ভাইভাতে নেকাব খোলা নিয়ে মহা বিব্রতকর ও অপমানজনক পরিস্থিতিতেও বোকা সহজ সরল মেয়েটি নেকাব না খুলে সাহসিকতার পরিচয় দেয়। পূর্নাঙ্গ ইসলামকে বুঝতে অদম্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। যে মেয়ে এতসব মহামূল্যবান গুনে গুনান্বিত, হোক না সে দেখতে কালো, তাকে বিয়ে করে সঠিক কাজটিই করেছে।

তাবাচ্ছুম রোগা ঠিক, কিন্তু বরের আদর যত্নে কখনো ত্রুটি করেনা। বরের মুখটা একটু গম্ভীর দেখালে তার প্রাণ বায়ুটা যেন উড়ে যায়। অনুনয় বিনয় করে জানতে চায়, কোন আচরণে কষ্ট পেয়েছে কি? নিজের স্বাস্থ খারাপ থাকলেও বরের বিশেষ প্রয়োজনে সাড়া দিতে সর্বোচ্ছ চেষ্টা করে। বরের চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখার শিক্ষাটা পায় রাসূলের (সঃ) কিছু হাদিস আর একটি সত্য ঘটনা থেকে।

ঘটনাঃ হজরত তালহার শিশু পুত্র যখন ইন্তেকাল করে, তার স্ত্রী তখন শোকে মুহ্যমান। তবু মনে পাথর বেঁধে নিয়েছেন। চোখের পানি ধামা চাপা দিয়ে স্বামী বাড়ি আসার আগেই মৃত সন্তান কে বিছানায় শুইয়ে উপরে চাদর মুড়ি দিয়ে রাখেন। হজরত তালহা বাড়িতে আসেন। খাওয়া দাওয়া সেরে বিশ্রাম শেষে স্ত্রীর সাথে সহবাসের ইচ্ছে পোষণ করলে তিনি অবলীলায় নিজেকে স্বামীর সন্তুষ্টিতে সমর্পন করেন। সহবাস শেষে স্বামী জিজ্ঞেস করেন, তার ছেলে কোথায়? স্ত্রী উত্তরে জানায় “সে আজ ইন্তেকাল করেছে”। শোনেই হজরত তালহার রাগ চরমে ওঠে। 'আমি কি করলাম। সন্তান মারা গেছে, আর আমরা কিনা সঙ্গমে ব্যস্ত'! বউকে তিরস্কার করে। স্ত্রী বলে, “হে আমার স্বামী, আমি যদি সন্তানের মৃত্যুর কথা আগেই জানাতাম, আমার নিকট থেকে প্রশান্তি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন। আল্লাহর কাছে আমি কি জবাব দিতাম তখন!”

বাবা-মা, ভাই-বোন, বর, শ্বশুর-শ্বাশুরী, ননদ-নন্দাই সবার আদরের মধ্যমণি। কাজে কর্মে খুব আনাড়ী, তবু সবার কাছে আদরণীয়। কেউ বকা দিলে বাচ্চাদের মত ফুঁপিয়ে কাঁদে। তা দেখে সবার রাগ পানি। কথা বলে সীমিত তবে সুচিন্তিত কিন্তু শোনে বেশি।

বিয়ের প্রথম দিকেই বরকে বলে, আমাকে কথা দিন, কখনো আব্বা আম্মাকে কষ্ট দেবেন না। তাদের উপর কখনো আমাকে অগ্রাধিকার দেবেন না। আমার বিশেষ কিছু চাইনা। তাদের সন্তুষ্ট করার পর আমাকে যা কিছু দেবেন তাই স্বানন্দে গ্রহণ করব। আপনার ভাই-বোনেরা বাবা-মায়ের জন্য কি করেছে, তা আমি জানতে চাইনা, বরং আপনি সবার জন্য কতটুকু করেছেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি বাবা-মাকে কষ্ট দেন অথবা আমি, তাহলে আমার বাবার বাড়িতেও আমার ভাই, ভাবী আছে, তারাও নিশ্চয়ই এমন করবে। শোনেছি আব্বা-আম্মা আপনাদের সবাইকে মাদ্রাসায় পড়িয়েছেন ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে। বাস্তব জীবনে তাঁর প্রয়োগ ঘটাবেন এটা শুধু আমার আশা নয় বরং আপনার নিকট প্রত্যাশা।

সহজ-সরল মেয়েটির মুখে এমন পরিণত কথাগুলো শুনে পরম ভালোলাগায় সাজিদ এক ঝটকায় তাবাচ্ছুমকে বুকে টেনে নেয়। “প্রমিজ করছি বউ, কখনো পিতামাতাকে কষ্ট দেব না, এমন কি তোমাকেও না। অগ্রাধিকার তোমাদের উপর নয়, বরং আমার উপর সবাইকে অগ্রাধিকার দেব।

সাজিদ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বউয়ের সাথে আলোচনা করবে, তার আগেই বউ বলে, “এই শুনেন, আজ আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। আপনাকে পরে শুনব, রাগবেন না প্লিজ!” তবু সাজিদ রেগে যায়। বিরক্তি নিয়ে বলে, “তুই মর, তাহলে আমাকে এতো রোগ দেখতে হবেনা! সমস্যার শেষ নেই। এই যুবতী বয়সে কত্তো রোগ! এই বলে হন হন করে বেরিয়ে যায়। এলোমেলো ভাবনাগুলো গন্তব্যহীন। বউয়ের জন্য কেমন মায়া হচ্ছে। ভাবে এত কঠোর ভাষায় শাসানো ঠিক হল? এতক্ষণে হয়ত কান্নার জোয়ার বইয়ে দিয়েছে।

লোহার আঘাত যেমন তেমন ফুলের আঘাত সয়না। তাবাচ্ছুমও ঠিক তাই। সবার দেয়া ব্যাথা সহ্য করে নিলেও বরের ধমকে ভেঙ্গে মুচড়ে পড়ে। কষ্টে দম বন্ধ হয়ে আসে। ভাবতে ভাবতে আবারও সাজিদের মনে রাগ পেয়ে বসে। সবইতো ঠিক, এত রুগ্ন কেন! আবার ভাবে, রোগতো হতেই পারে, বউয়ের অসুখে বরকেইতো পাশে থাকতে হয়। ভাবনায় আবার পরিবর্তন। না দোষ তাবাচ্ছুমেরই। হতভাগী এত রোগ নিয়ে জন্মাল কেন!

রাগ পড়তে শুরু করেছে। সংকোচ কাটিয়ে বউকে কল দেয়। কল রিসিভ হয়। কথা নয়, ওপাশ থেকে ফুফিয়ে কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। সাজিদও কাঁদতে দেয়। কান্নার সময় বউ কথা বলতে পারেনা। কয়েক মিনিট পর কাঁদো কাঁদো গলায়-

তাবাচ্ছুম: রাগ করে থাকেনা না। আমি মরে যাব। আমায় মারেন। কাটেন। বকা দেন। তবু দূরে ঠেলে দেবেন না। আল্লাহ আমায় রোগ দিয়েছেন, আমি কি করব!”

সাজিদ: আচ্ছা বাবা আর কাঁদতে হবেনা। এমন করে কাঁদলে রাগ করে থাকা যায়!

তাবাচ্ছুম: কখনো যদি আমায় মরণঘাতী রোগ পেয়ে বসে, দূরে ঠেলে দেবেন না তো?

সাজিদ: না, কাছেই আগলে রাখব।

তাবাচ্ছুম: এসএসসি পরীক্ষার আগে আমার ব্রেইন স্ট্রোক করে। ডাক্তাররা নিশ্চিত হয়ে ছিলেন আমাকে বাঁচানো যাবে না। আল্লাহ সাক্ষাৎ মৃত্যু থেকে বাঁচিয়েছেন। ভাইয়াদের ডেকে ডাক্তার বললেন, “আপনার বোন খুব নরম প্রকৃতির। মাথায় চাপ নিতে পারে না। সবসময় চাপমুক্ত রাখবেন। ভুল করেও ধমক দেবেন না। সে ভুল করলেও না”। সেই থেকে ভাইয়ারা কখনো ধমক দেন নি। অবশ্য আমিও ধমক খাওয়ার মত কোন কাজ করিনি।

সাজিদ ভাবে বউ বলে কি! এত অল্প বয়সেই স্ট্রোক! ভুল করেনিতো বিয়ে করে? আবার কখন স্ট্রোক করে।

তাবাচ্ছুমের রোগ সাজিদ কে খুব ভাবিয়ে তুলে। হঠাৎ মনে পড়ে হজরত আইউব (আঃ) এর দূরারোগ্য ব্যাধিতে বিবি রহিমার অক্লান্ত সেবা করে যাওয়ার ঘটনা। আবার ফোন করে তাবাচ্ছুমকে। শোন তোমাকে একটা ঘটনা বলছি-

‘হজরত আইয়ুব নবী এক দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। সারা শরীর পঁচে চামড়া খসে পড়ে। গায়ে পোকামাকড় কিলবিল করে। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের সবাই চলে যায়। থাকে নবীর পরিবার। তারাও একে একে চলে যায়। এমন কি তাঁর অন্য স্ত্রীরাও। সবশেষে থেকে যান বিবি রহিমা। নাকে দুর্গন্ধ নিয়েই স্বামীর সেবায় ক্লান্তিহীন নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। ধীরে ধীরে আল্লাহর অশেষ কৃপায় বিবি রহিমার অপরিমেয় সেবা যত্নে আইয়ুব নবী সুস্থ হয়ে ওঠেন’।

”আল্লাহ না করুক, তোমার মারাত্মক কোন অসুখ হলে তোমার সেবায় আমিও নিজেকে সপে দেব ইনশাআল্লাহ।

তাবাচ্ছুম: সোনাবাবু! একটা কথা বলি। আপনার মত ভালো মানুষ হয়না। আপনাকে পেয়ে আমিই যেন সবচাইতে সুখী। নামাজ শেষে সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমার সোনাবাবুটাকে যেন নিরাপদে রাখেন।

সাজিদ: তোমার অসুস্থতায় দূরে সরে গেলে আমিও যখন অসুস্থ হব, তখন আমার সেবায় কেউ এগিয়ে আসবেনা। আজ আমি সুস্থ, কাল অসুস্থ হবনা তার নিশ্চয়তা কি। রোগা বলেই হয়ত তোমার রাগ, অহংকার, যা আল্লাহ আমার জন্য নিয়ামত করেছেন। আজ থেকে আমিও রোগ নিয়ে বকা দিয়ে তোমায় কষ্ট দেব না। তবে কথা দাও, এমন কোন কাজ, বিশেষ করে ইসলামী জীবনাচরণে গাফলতি করবেনা, যা আমার রাগের কারণ হবে।

তাবাচ্ছুম: কথা দিলাম সোনাবাবু। এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকায় আল্লাহর সাহায্য কামনা করছি।

রাগের পর অনুরাগ। মুচকি হাসিতে তাবাচ্ছুম নামের যথার্থতা। দুটি মানুষ যেন হাজার বছরের চেনা। তবু আজ নতুন করে জানা। পরম মমতা আর ভালবাসায় চোখ বুজে আসা। কাছাকাছি থেকে আজ আরো বেশি পাশাপাশি। অনাবিল আনন্দে ভেসে যাওয়া। জীবনে আর কি চাই?

গায়ক যথার্থই গেয়েছেন, ‘পৃথিবীতে ভালবাসা সবচেয়ে দামী, বুঝিনিতো আমি, বুঝিনিতো আমি’।

বিষয়: বিবিধ

১৯৩০ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

361299
০৪ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:০৭
শেখের পোলা লিখেছেন : মমারহাবা! চমৎকার৷ধন্যবাদ৷
০৪ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:২০
299413
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ্‌।

আপনার মূল্যায়নে খুব খুশি হলাম।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
361320
০৪ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৩৮
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : Excellent Excellent Thumbs Up Thumbs Up ভালো লাগতেছে। চালাতে থাকুন
০৫ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:০২
299418
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : তাই নাকি আমার হৃদয় জুড়ে তুমি!
ভাললাগা অব্যাহত রাখবেন জনাব.
আপনাদের যেন সঙ্গে থাকে
361324
০৫ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:২৫
আফরা লিখেছেন : অসুস্থ্য মানুষের সাথে খারাপ ব্যভার করা ঠিক নয় ।সে তো আর ইচ্ছে অসুস্থ্য থাকে না ।আুসুস্থ্য হয়ে সে নিজেই তো কষ্ট পায় ।

সর্বক্ষন অসুস্থ্য থাকলে সবাই একটু বিরক্তবোধ করে এটা ঠিক ।

ধন্যবাদ সাকা ভাইয়া ।
০৫ মার্চ ২০১৬ রাত ০২:২২
299427
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মোটেও ঠিক নয়। এই সময়টায় রোগীরা মনে হয় সে খুব একা তার উপর প্রিয় মানুষটাও যদি বিরক্ত হয়, তাহলেতো বেচেঁ থাকার হাউশ মিটে যায়।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
361353
০৫ মার্চ ২০১৬ রাত ০২:৩৪
যুমার৫৩ লিখেছেন : আরবিতে তাবাসসুম মানে তো শব্দহীন স্মিত হাসি, তাই না ?
০৫ মার্চ ২০১৬ রাত ০২:৩৫
299429
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জি স্মিত বা মুচকি হাসি
361369
০৫ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:০৫
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : মাসাল্লাহ! অন্যরকম ভালো লাগলো। গুনে গুনে একশত লাইক দিলাম Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Applause Applause
০৫ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:১৫
299436
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার ভাললাগা আমার জন্য অনুপ্রেরণা।
একজন একটির বেশি লাইক দিতে পারে কি? বাকি নিরান্নবইটা ফেইক আইডিz! সরকার ধরে ঘাড় মটকাবে মটকাবে
361385
০৫ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : চমৎকার, খুব সুন্দর গল্প, ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে
০৫ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
299447
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সুন্দর মূল্যায়ন করেছেন। জাযাকাল্লাহু খাইর
361388
০৫ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : অভিঙ্গতার অভিযান চলছে চলবেই....! তবে এমন অভিঙ্গতা খুব কম মানুষের জীবনে ধরা পড়ে, এসব পড়লে মানুষ হতে ইচ্ছা করে! বারেবারে মানুষ হতে ইচ্ছে করে।
০৫ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
299451
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি হয়ে যান সেইসব মানুষের একজন।
তবে বিয়েটা আবার না করার অনুরোধ থাকল। যার যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাক তে হবে
০৫ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:৩৯
299510
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ।
361403
০৫ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : খুবই দারুন গল্প এবং কিছু উদাহরন এসেছে সাহাবাদের থেকে যা চিন্তার খোরাক যোগায়
০৫ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:১৬
299517
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ গল্পের মেসেজগুলো উপলব্দিতে আনার জন্য
361413
০৫ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:০৭
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ভাই।
হযরত তালতা রাঃ এর ঘটনার রেফারেন্সটা দিলে উপকৃত হতাম।
আপনার ঘটনার বিবরণ পড়ে তো আমি সাহাবায়ে কেরামের যুগে হারিয়ে গিয়েছিলাম। বিশেষ করে নিছের কথাগুলোর দ্বারা...........
বাবা-মা, ভাই-বোন, বর, শ্বশুর-শ্বাশুরী, ননদ-নন্দাই সবার আদরের মধ্যমণি। কাজে কর্মে খুব আনাড়ী, তবু সবার কাছে আদরণীয়। কেউ বকা দিলে বাচ্চাদের মত ফুঁপিয়ে সে কি কান্না, তাতেই সবার রাগ পানি। কথা বলে সীমিত তবে সুচিন্তিত কিন্তু শোনে বেশি।

বিয়ের প্রথম দিকেই বরকে বলে, আমাকে কথা দিন, কখনো আব্বা আম্মাকে কষ্ট দেবেন না, তাদের উপর কখনো আমাকে অগ্রাধিকার দেবেন না, আমার বিশেষ কিছু চাইনা, তাদের সন্তুষ্ট করার পর আমাকে যা কিছু দেবেন তাই স্বানন্দে গ্রহণ করবো। আপনার ভাই বোনেরা বাবা-মায়ের জন্য কি করেছে, তা আমি জানতে চাইনা, বরং আপনি সবার জন্য কতটুকু করেছেন তা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি বাবা-মাকে কষ্ট দেন অথবা আমি, তাহলে আমার বাবার বাড়িতেও আমার ভাই, ভাবী আছে, তারাও নিশ্চয়ই এমন করবে। শোনেছি আব্বা-আম্মা আপনাদের সবাইকে মাদ্রাসায় পড়িয়েছেন ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে, বাস্তব জীবনে তাঁর প্রয়োগ ঘটাবেন এটা আমার আশা নয় বরং আপনার নিকট প্রত্যাশা।


এমন মেয়েকি এ যুগে পাওয়া যায় ভাইয়া!

জীবন থেকে নেওয়া নয়, এ ব্যাপরে শিউর। তবে কি গল্পটা কল্পনার জগতে সাজিয়েছেন ভাই! নাকি কালেক্ট করেছেন?

স্টিকি হওয়ার মত, অনেক শিক্ষা আছে।

০৫ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:২৬
299518
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।
ইসলামে সামাজিক আচরণ নামক একটা বইয়ে পড়েছিলাম, বইটা বাসায়, আমি এখন বাইরে পরে যদি স্মরণ থাকে তাহলে জানাবো।
ঠিক হুবুহু এমন নাও পাওয়া যেতে পারে, তবে এর কাছে কাছি পাইলেও পাইতে পারে কিন্তু আপনার তো সুযোগ নেই!!!!!

আমার কিন্তু সুযোগ আছে!
হা হা হা, আমি যে এখনো আবিয়াইত্তা, তাইলে কেমতে জীবন থেকে নেয়া হবে, তবে অন্যের জীবন থেকে নিতে ক্ষতি করি। জীবন এমন হোক না হোক, ভাব্লে কিন্তু খুব মজা লাগে।

আমাদের লেখা স্টিকি ব্লগ উলটে যাবে।। আমাদের লেখা স্টিকি হওয়ার কোন যোগ্যতাই রাখেনা। আমরা তো হাই প্রোফাইল নই!
১০
361428
০৫ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:২৪
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।
ইসলামে সামাজিক আচরণ নামক একটা বইয়ে পড়েছিলাম, বইটা বাসায়, আমি এখন বাইরে পরে যদি স্মরণ থাকে তাহলে জানাবো।
ঠিক হুবুহু এমন নাও পাওয়া যেতে পারে, তবে এর কাছে কাছি পাইলেও পাইতে পারে কিন্তু আপনার তো সুযোগ নেই!!!!!

আমার কিন্তু সুযোগ আছে!
হা হা হা, আমি যে এখনো আবিয়াইত্তা, তাইলে কেমতে জীবন থেকে নেয়া হবে, তবে অন্যের জীবন থেকে নিতে ক্ষতি করি। জীবন এমন হোক না হোক, ভাব্লে কিন্তু খুব মজা লাগে।

আমাদের লেখা স্টিকি ব্লগ উলটে যাবে।। আমাদের লেখা স্টিকি হওয়ার কোন যোগ্যতাই রাখেনা। আমরা তো হাই প্রোফাইল নই!


১১
361571
০৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৯:০৬
হতভাগা লিখেছেন :
বিয়ের প্রথম দিকেই বরকে বলে, আমাকে কথা দিন, কখনো আব্বা আম্মাকে কষ্ট দেবেন না, তাদের উপর কখনো আমাকে অগ্রাধিকার দেবেন না, আমার বিশেষ কিছু চাইনা, তাদের সন্তুষ্ট করার পর আমাকে যা কিছু দেবেন তাই স্বানন্দে গ্রহণ করবো।


গল্প বানাতে চাইলে মনের মাধুরী মিশিয়ে তা লিখা যায় , যেখানে বাস্তবতার ছোঁয়া খুব কমই থাকে ।
০৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৯:১৯
299626
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আরে হতচ্ছাড়া, অনুপ্রেরণা দিতেই এমন লেখা। আমি প্রায় সব লেখাতেই কিছু মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করি। এখানে যা বলেছি সব হয়তো একজন মানুষ পাবেনা কিন্তু এমন মেয়ে বা তাদের দ্বারা এমন কাজ যে কখনো হয়নি, এরকম তো নয়। তাই একজন মানুষের চেষ্টা কর তে ক্ষতি কি!
০৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৯:৩৫
299628
হতভাগা লিখেছেন : জ্বি ,এরকম ম্যাসেজ ওয়ালা লিখা লিখতে থাকেন আর অন্যদিকে আপনার বন্ধু(পাত্রীর মামা) আপনাকে ঘোলা খাওয়ানোর আয়োজন করেই যাবে ।
০৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৫৭
299630
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমি আল্লাহর উপর ভরসা করি দোয়া করি তিনি যেন আমাকে এমন সঙ্গিনী দান করে যেমনটা আমি প্রত্যাশা করি এবং নিজেও সর্বদা খাটি মুমিন হিসেবে থাকার চেষ্টা করি করি।এক সময় স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলেও স্রোতের বিপরীতে একজন মানুষ আমি। আল্লাহ্ নিশ্চয়ই আমার জন্য এমন সঙ্গিনী দান কর বেন না যা আমার জন্য আজাবে পরিণত হবে
১২
361671
০৭ মার্চ ২০১৬ রাত ০২:২৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।

অনেক দিন পর চমৎকার লিখা পড়লাম। বিশ্বাস করতে চাই এই ধরণের মানুষেরা আসলেই পৃথিবীতে আছেন, তাঁদের মহত্ত্ব এবং উদারতার পুরুষ্কার পাবেন তাঁদের রবের নিকট ...। ইনশা আল্লাহ!
১১ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:১৪
300134
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।

আপনার মূল্যায়নটাও চমৎকার লেগেছে।
থাকবে না কেন, হুবুহু না হোক, কাছাকাছি তো থাকবে। অনুশীলন করলে যে কেউ এমন হতে পারে, প্রমাণ করতে নিজেকে খাঁটি সোনায়।

আপনিও নিজেকে তাবাচ্ছুমের মত করেই গড়ে নিন। খারাপ হবেনা কিন্তু।

ইনশা আল্লাহ্‌। উত্তম প্রতিদান দিতে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন কার্পণতা করবেন না।
১৩
368053
০৫ মে ২০১৬ দুপুর ০১:৪৬
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : পতি প্রাণা তাবাসসুম
সেবা-যত্মে নির্ঘুম,
এক্কেবারে মানিকজোড়
রোগ বালাই হোক দূর!.........
....................................
আমি আপনার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি!
-জীবনে আশাকরি সুখী হবেন।
-সুন্দরী, বিদুষী, অন্যন্য একজন রাজকন্যা আপনার অপেক্ষায় আছেন।
-রাজমহল সাজিয়েছেন অপরূপ করে
শ্বেত-স্বচ্ছ পাথরে মেঝে, রূপালী পর্দা ভেদ করে যেখান থেকে দেখা যাবে ওই নীল আকাশ।
সূর্য দীঘল বাড়িতে নয়-রাজপ্রসাদে ঝর্ণার পানিতে হংসমিথুনীয় স্টাইলে গা এলিয়ে দেবেন
-বাগান ভরা প্রজাতির পেছনে সে ছুটতে থাকবে-ধরতেই পারবেন না, ফুলের সুবাসে মোহিত হয়ে যেথায় সমর্পণ পর্ব হবে রচিত।
-এককথায় স্বর্গ সুখ!
আমি আর লিখতে পারছি না? বলো কেমন লাগল
(কথোপকথন/পূর্নেন্দুপত্রীয় স্টাইলে)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File