ব্লগীয় হালচাল : অনিয়মিত এবং হারিয়ে যাওয়া ব্লগারদের খোঁজে.... (পর্ব-০১)
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৭:৪২:২৪ সন্ধ্যা
ব্লগের এখন যা থুত্থুড়ে অবস্থা, তাতে খুব বেশি সন্তুষ্ট হতে না পারলেও একেবারে অসুন্তুষ্ট নই। কেননা, কষ্ট করে যা কিছু হয়, তাতে তৃপ্তি থাকে বেশি। ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই, কিন্তু একটা চরম ও পরম সত্য কথা এই যে, ব্লগটা ছেড়েও যেতে পারছি কই। যেন একটা অপ্রতিরোধ্য টান রাগ, ক্ষোভ, অভিমানকে পানি করে দেয়। তবে যারা একেবারেই চলে গেছেন অথবা ধীরে ধীরে হারিয়েছে যাচ্ছেন, তাদের নিয়ে আমার ধারাবাহিক পরিবেশনা ‘ব্লগীয় হালচাল অনিয়মিত বা হারিয়ে যাওয়া ব্লগারদের খুঁজে ফিরি’ তে প্রতি পর্বে থাকবে ১০ জন ব্লগারকে নিয়ে একটু খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা। সঙ্গেই থাকুন।
লেখায় পাঠক সংখ্যা কম, মন্তব্য প্রতি মন্তব্যের গরিবি অবস্থা, ভালো মেসেজ নিয়ে পোস্টের হাহাকার, আকর্ষণীয় আয়োজনে চরম দৈন্যদশা থাকা সত্ত্বেও বার বার ফিরে আসি, কখনো লিখা নিয়ে, কখনো শুধুই পাঠক হয়ে, কখনো মন্তব্যে, আবার কখনো শুধু চুপি চুপি দেখে যাওয়া কারা কি করছে ব্লগটাতে, আমার অনুপস্থিতি কারো জন্য একাকীত্বের কারণ হয়েছে কিনা।
আজ এমন সব ব্লগারদের কথা বলতে চাইবো, যাদের লেখা আমার মত পাঠককের মনে এতো বেশি আন্দোলিত করে, নাড়িয়ে দেয় ভেতরের সব কিছু, খুলে দেয় জ্ঞানের চোখ, বিকশিত করে সীমিত বিদ্যা-বুদ্ধি, উপলব্দি করতে শেখায় ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য, সুযোগ করে দেয় অজানাকে জানার। তাদের দক্ষ হাতের লেখাগুলো যতই পড়েছি, হয়েছি কেবলি অভিভূত।
সেইসব ব্লগারদের লেখা আজ খুব খুব মিস করছি, মিস করছে নতুন পুরনো প্রতিটা ব্লগার। তখনকার লেখকদের বস্তুনিষ্ঠ লেখা, লেখায় প্রতিবাদের ঝাঁজ, পাঠক সংখ্যার রমরমা অবস্থা, প্রভাবশালী ব্লগারদের সরব বিচরণ সত্যিই ইর্ষণীয়।
চলুন তাহলে তাদের খোঁজ খবর করি, আমার এই লেখায় উদ্দিষ্ট একজন ব্লগারও যদি ফিরে আসেন, তাহলেই আমি স্বার্থক। আর উল্লেখিত ব্লগারদের আপনারা যদি কেউ খুব কাছ থেকে চিনে থাকেন, তাহলে এই মেসেজটি নিশ্চয় পৌছে দেবেন!
ফেরারী মন পালিয়ে গিয়ে প্রমাণ করল উনার নামের প্রতি সুবিচার করতে হলে উনাকে ফেরারীই থাকতে হবে, তাই আড়ালে থাকাকেই বেঁচে নিলেন! লোকটা অনেক মজার ছিল। খুব মজা করে মন্তব্য করতো, কি যে হলো! আজ আর নেই আমাদের মাঝে, কবে আসবে, আদৌ আসবে কিনা জানিনা জানিনা। উনার সর্বশেষ পোস্ট, যদি আর একটু সময় পেতাম
লিখেছেন ফেরারী মন ২৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:১৫:৫২ রাত। যেখানে তিনি লিখেছেন, যদি আর একটু সময় পেতাম ''
কথা রাখবার,পাশে থাকবার ''
কারণে বা অকারণে নাম ধরে কাছে ডাকবার
আর একটু রঙে যদি হৃদয়কে রাঙিয়ে যেতাম
যদি আর একটু সময় পেতাম '
কবির আক্ষেপ যদি আরেকটু সময় পেত, তাহলে কাছে থাকতো, পাশে রাখতো। আজ কবিকে বলতে ইচ্ছে করছে, হে কবি নীরব কেন, ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া লবে নাকি তব বন্দনায়!
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কেন যে এই মানুষটা গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্লগে নাই! উনার কিছু লেখা পড়ে বুঝলাম, লেখার হাত খুব ভালো। উনার সর্বশেষ পোস্ট, সীরাতের গহীনে – নবুয়ত থেকে হিজরত। লিখেছেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:০৭:০৩ বিকাল।
‘বিলাসিতার নোংরা প্রতিযোগিতা’ উনার দারুণ একটা কবিতা। কি চমৎকারভাবে ছন্দবদ্ধ করে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরেছেন।
“নতুন টাইলস লাগাচ্ছি ভাবি, বুঝলেন!
আমার পছন্দের রং লাইট গোল্ডেন...
কিন্তু আপনার ভাই বলে-
এখন নাকি ডীপ ব্লু বেশি চলে”।
“তাই নাকি! ভালোই তো,
আমি অবশ্য...... সিমেন্টের ফ্লোরেই কিন্তু খুঁজে পাই মাটির স্পর্শ।
ইদানিং খরচ হচ্ছে বেশ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে গিয়ে, মোটা টাকা করেছি শেষ
ভালো একটা অফার পেয়ে”।
“ওমা, তা-ই বুঝি! আমার কিন্তু খটকা লাগে ডায়মন্ডই পড়ে তো ভাগ্যে
নাকি নিরেট কাঁচের কারসাজি?!”।
সন্ধ্যায়-
দক্ষিণের বাসায়-“শুনছো, ওরা নাকি টাইলস লাগাচ্ছে।
আমার কি আর সে কপালটা আছে?!”।
রাতে-
উত্তরের বাসাতে-
“ওদের ঘরে সপ্তা সপ্তা ডায়মন্ডের হার আসে।
এমন পতি কজন নারীই বা পায় নিজের পাশে?!”
বুড়া মিয়ার মত জাদরেল ব্লগারকে চেনে না, এমন পাঠক খুব কম পাওয়া যাবে। অনেকটাই স্পষ্টবাদী, কারো ভালো লাগুক অথবা না লাগুক, লিখে যাবে উনার মত করে। উনি বেশি লিখতেন নারী, অর্থনীতি, আর সামাজিক নানা অসঙ্গতি নিয়ে। শেষের দিকে কয়েকটা লেখা থেকে বুঝা গেল উনার স্ত্রীর সাথে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিলনা। এর কিছু দিন পর থেকেই উনাকে আর ব্লগে দেখছিনা। কারণ কি সাংসারিক দ্বন্দ্ব না অন্য কিছু, আল্লাহই ভালো জানেন। উনার সর্বশেষ পোস্ট, ইসলামিক ক্রয়-বিক্রয় ও আমার দৃষ্টিভঙ্গী – ৩
লিখেছেন বুড়া মিয়া ২৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৫০:০০ দুপুর।
পাঠক সাধারণ উনার মত ব্লগারকে খুব মিস করবে, এটা অনুমিতই। আমরা খুব করে আশা করছি, উনি ফিরে আসবেন, আবার আগের মত ব্লগে খই ফোটাবেন।
ব্লগার তারকা, বেশ ভালই লিখেন। তিনি সর্বশেষ পোস্ট দিয়েছেন নিমোক্ত শিরোনামে। ডঃ পিয়াস করিমঃ শহীদ মিনার থেকে জাতীয় মসজিদে। লিখেছেন তারকা ১৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৩২:১৯ রাত।
কি কারণ, ব্লগে না আসার? তা জানতে পারিনি, তবে এতোটুকু জেনেছি, উনি বোধ হয় কোন সমস্যা ফেইস করতেছেন। উনার মুখেই শুনুন, “অনেকদিন ব্লগিং থেকে দূরে ছিলাম। কিছুটা রাগ আর কিছুটা অভিমান নিয়েই এ সিদ্ধান্ত ছিল। কেন সে রাগ আর কেনই বা অভিমান সেটা আর না-ই বলি.।.।। মানে এখনও পুরোপুরি কাটেনি সেগুলো।“ তবে ব্লগারদের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঠিকই করেছেন এইভাবে, “যারা নিয়মিত ব্লগে লিখেন, আসলেই একটা দুসাঃসাধ্য কাজ। তাদের নতুন করে ধন্যবাদ দিচ্ছি; আসলেই অনেক কষ্ট করেন আপনারা।“ আমরা আশা করবো, শিগগিরই সকল সমস্যা কাটিয়ে আমাদের তারকা ব্লগার ফিরে আসবেন। তারকার ছোঁয়ায় ব্লগটাও হয়ে উঠবে তারকাময়।
মু নূরনবী। এই ব্লগার ভাইটিও গত ছয় মাস ধরে উধাও। কেন তারা বুঝে না, তাদের লেখাগুলো পড়ার জন্য প্রতিদিন নানান ব্যস্ততার মাঝেও পাঠকরা ব্লগে ঢু মারে, কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরে যায় যখন দেখে প্রিয় ব্লগাররা আর আগের মত লিখে না। উনার সর্বশেষ পোস্ট- সামিউলের আগেও মুজাহিদ-বিশ্বজিত-জনিদের এভাবে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে...আপনার এত আহ্বলাদ কোথায় ছিল??? লিখেছেন মু নূরনবী ১৩ জুলাই, ২০১৫, ১২:০০:০৩ দুপুর।
মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে সুন্দর কিছু উপলব্দির প্রকাশ করেছে ব্লগার মু নূরনবী এইভাবে, “সব সম্পর্কই ভাইস ভার্সা। অর্থাত প্রত্যেকটি সম্পর্কই দুই দিক থেকেই আসতে হয়। আপনিই শুধু চাইলেন একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য প্রান্ত থেকে কোন রেসপন্স নাই। তাহলে সে সম্পর্ক বেশিদূর গড়াবে না। কারণ, অন্য জন আপনাকে নিয়ে কনসার্ন না। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কোন ব্যক্তিই তা মেনে নিতে পারে না। বরং তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে অনেক!”
লজিক্যাল ভাইয়ার লজিকের ঝোলা মনে হয় শূণ্য, তাই এখন আর লজিক নিয়ে হাজির হন না। পাঁচ মাস ধরে তিনি ব্লগে নাই, কোন বদ দমকা ধরেছে কে জানে। উনার সর্বশেষ পোস্ট ছিল আফরার উপস্থাপনায় কিছু ধাধার আয়োজন, তারপর থেকে নিজেই নিজেকে নিয়ে মহা ধাঁধায় পড়ে তার ঝট থেকে বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন হয়তো। আমরা দোয়া করছি, শিগগিরই ধাধামুক্ত হয়ে লজিক্যাল ভাই তার লজিক নিয়ে ফিরে আসবেন।
উনার সর্বশেষ পোস্ট, টুডে ব্লগের # ঈদ আনন্দ আসর # প্রেজেন্টেড বাই আফরা । $$অনুষ্ঠানে পরিবেশিত ধাঁধার উত্তর$$। লিখেছেন লজিকাল ভাইছা ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৪৬:৫৬ রাত
আপনারা বোধ হয় ব্লগার ‘হুদাই প্যাচাল বাক্স’ এর জন্য দোয়া করেন নি। তিনি ব্লগিংটাকে নিয়মিত করতে আপনাদের কাছে দোয়া চেয়ে ছিল। উনার সর্বশেষ পোস্ট, টুডে ব্লগে দির্ঘ এক বছর.....লিখেছেন হুদাই প্যাচাল বাক্স ০৪ মার্চ, ২০১৪, ১২:২২:৫৫ দুপুর। লোকটা এক বছর পূর্ণ করেই আড়াল হয়ে গেল!টুডে ব্লগে উনার বর্ষপূর্তিতে উনার অনুভূতি, “টুডে ব্লগ থেকে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছি তা মনেহয় এর আগে ১০ বছরেও পাইনি।...... ব্লগ কর্তৃপক্ষের নিকট অবেদন টুডে ব্লগ এর মোবাইল ভার্শন চালু করার পদক্ষেপ দেওয়া দরকার । দোয়া করবেন ব্লগিং যেন করে যেতে পারি।“
ব্লগার এক্টিভিষ্টের লেখাগুলো পড়ে মনে হল, উনি খুব অনুসন্ধানী মানুষ। ব্লগে উনার সর্বশেষ পোস্ট ছিল, বিএনপি আইএসআই টাকা নিয়েছে, প্রচারকারী কে এই দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী?
লিখেছেন এক্টিভিষ্ট ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:৪৮:৫৩ দুপুর
উনার মাধ্যমেই জানতে পারি, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার কিছুই বুঝে না তবুও তারা দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদক। যেমন, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সালমা ইসলাম, যিনি কোনদিন সাংবাদিকতা করে যুগান্তরের মত দেশের সেরা একটি পত্রিকার সম্পাদক হয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই। জনকন্ঠ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ, তিনি কোন দিন সাংবাদিকতা করেছেন বলে জানা নেই। দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি সাঈদ হোসেন চৌধুরী, এইচআরসি গ্রুপের মালিক সাঈদ হোসেন চৌধুরীর কোন দিন সাংবাদিকতা করেছেন বলে জানা যায় নই। বর্তমানে দৈনিক সংবাদ এর সম্পাদক আহমেদুল কবীরের ছেলে বিশিষ্ট চা ব্যাবসায়ী আলতামাশ কবীর, কোন দিন সাংবাদিকতা তো দুরের থাকুক লেখা লেখিও করেছেন এমন নজীর নেই। দৈনিক ডেসটিনি সম্পাদক রফিকুল আমিন, ডেসটিনি গ্রুপের এমডি হওয়ার আগে তিনি কোথাও সাংবাদিকতা করেছেন বলে ঢাকার কোন সাংবাদিক তথ্য দিতে পারেননি।
ফেসবুকের আহমদ মুসার লেখা প্রায়ই পড়া হয়। জানিনা, ব্লগের আহমদ মুসাই সে আহমদ কিনা। উনার লেখা সম্পর্কে আমি আর কি বলব, উনার মত জনপ্রিয় ব্লগার সম্পর্কে আপনারা সবাই বোধ করি ভালই জানেন। কেন ব্লগে আসেন না, তা আমি বলতে না পারলেও রিদোয়ান কবির সবুজ ভাই হয়তো কোন খোঁজ দিলেও দিতে পারেন। উনার সর্বশেষ পোস্ট, মরার উপর খাড়ার ঘা! এটা কি মগের মুল্লুক? নাকি রামরাজ্য?
লিখেছেন আহমদ মুসা ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:১০:৪৩ সন্ধ্যা
যাই হোক, ব্লগে উনার বর্ষপূর্তিতে ব্লগ নিয়ে উনার অনুভূতিগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। শুনুন তাহলে উনার মুখ থেকেই, ‘কাজিনের ল্যাপটপে ফেইসবুকে এক বন্ধুর সাথে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে বিডিটুডে ব্লগ সাইটের একটি সুন্দর লেখা পড়ার আমন্ত্রণ পেলাম। লেখাটি পড়ে আমার মনেও আগ্রহ জাগলো বিডিটুডে ব্লগে একটি একাউন্ট খুলে অন্যন্যাদের লেখা পড়ে নিত্য নতুন কিছু জানার পাশাপাশি নিজের অনুভুতিও শেয়ার করবো অন্যদের সাথে। সে রাতের পরদিন অফিসে এসেই আহমদ মুসা নামের এ আইডি তৈরী করেছিলাম। তখন থেকেই এই ব্লগ সাইটের সাথে জড়িত হয়ে গেছি।
আমি যেমন ছোট্ট মানুষ তেমনি ভাল কিছু লিখতে না পারার কারণে পাঠকের মন জয় করতে পারি না। এ জন্য আমি পাঠকদের সারিতেই থাকি বেশীর ভাগ সময়। এ কারণে আমি ব্লগার হিসেবে পরিচিত না হলেও অনেকের কাছে মন্তব্যকারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। এতেই আমার আনন্দ। সম্ভবত আমার লিখিত পোস্টের চেয়েও মন্তব্যের পরিমাণ বেশী হবে।
যাহোক আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমিও আপনাদের সবার জন্য দোয়া করছি’।
রেহনুমা বিনতে আনিস, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্লগে অনুপস্থিত। উনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে, শুধু আমি কেন, আমার তো মনে হয় এইসব ব্লগারেরা পোস্ট করা মাত্রই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ভালো লিখলে পাঠক পড়বে, যার প্রমাণ রেহনুমা আনিসের মত লেখিকারা। তিনি তাঁর সাত বছরের পুত্রের মনোজগৎকে ডাইনোসর, সরোপড, থেরোপড, ট্রায়াসিক, জুরাসিক, ক্রিটেশাস, প্লাইস্টোসিন, ইওসিন, ওলিগাসিন, ডেভোনিয়ান ইত্যাদি থেকে সরিয়ে সৃষ্টিকর্তার দিকে আকর্ষন করতে গিয়ে একটা চমৎকার বিষয় উপলব্দি করেছেন, আর তা হল, ইসলামের আচার অনুষ্ঠানকে অন্ধের মত অনুসরণ না করে বুঝে শুনে, সত্যের খুঁজে অনুসন্ধানের মন মানুসিকতা নিয়েই পালন করার করা উচিৎ। উনার সর্বশেষ পোস্ট, পরিণতি - পর্ব ৫। লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ১১ জানুয়ারি, ২০১৫, ১০:৩৭:০৭ সকাল
উনার উপলব্দি, আজকালকার অতি জ্ঞানী বাচ্চাগুলো এমন এমন সব পন্ডিতমার্কা বক্তব্য ছাড়ে যে হাসি চেপে রাখা কঠিন, আবার এমন সব প্রশ্ন করে যা আমরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারতাম না। তবে ওদের এই অনুসন্ধিৎসা আমার ভাল লাগে। ওরা ইসলামকে আমাদের পূর্ববর্তীদের মত অন্ধভাবে কিংবা না বুঝে একটি সামাজিক আচার হিসেবে নেয়না, বরং ওদের কাছে ইসলামের মূল ধারণাগুলো স্পষ্ট এবং সে অনুযায়ী আচরন করাই জীবনের লক্ষ্য। আমাদের সবার ইসলামকে এভাবেই স্পষ্ট করে বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
আমার লেখাটা কিন্তু ধারাবাহিক, এ কথা ভুলে যাবেন না! আবারো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, প্রতি পর্বে এমন ১০ জন ব্লগারদের সম্পর্কে জানব, যারা এক সময় ব্লগে খুব সরব ছিল, এখন কোন অজানা কারণে উনাদের আমরা পাচ্ছিনা। আমি চাই, তারা আবার ফিরে আসুক, খুব বেশি না হলেও অন্তত কিছু সময় এখানে ব্যয় করুক।
ধন্যবাদ সবাইকে। সঙ্গেই থাকার প্রত্যাশায় আজ তাহলে আসি!
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৩ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনিও হারিয়া যাওয়া লিস্টে থাকতেন, যদি সময় মত ফিরে না আসতেন!
আপনার জন্যও শুভকামনা
এই কথাগুলোর সাথে লক্ষ কোটিবার দ্বিমত পোষণ করছি। আপনার আন্তরিকতাই আপনাকে আটকে রেখেছে। অযোগ্যতা, অথর্ব, অকেজো হওয়ার জন্য নয়। অবশ্য আপনি ননও।
তবে বড় নীরালা মনে হয়৷
আপনার এই কথার সাথে একমত বলেইতো ব্লগারদের নিয়ে লিখতে শুরু করলাম।
নতুনদের অগ্রজরা উৎসাহ উদ্দীপনা না জুগালে স্বভাবতই তারা হতাশ হয়ে পড়ে।
আপনার আমার সকলের অনুরোধ যেন হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কর্ণ কুহরে পৌছায়।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
যথার্থই বলেছেন। পরিশ্রম হচ্ছেই, তবুতো ব্লগারদের লিখাগুলো নাড়াচাড়া করে কিছু শিখতে জানতে পারছি।
আপনাকে ধন্যবাদ জনাব।
যাই হোক, চেষ্টা আগ্বের ছবিটি আবার প্রোফাইল হিসেবে দেয়া যায় কিনা। ছবিটি বোধ হয় আমার সংগ্রহে নাই।
আমিন আমিন। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।
থুক্কু------- আমি তো আছি ইনশা আল্লাহ থাকব ।
আশা করি সবাই ফিরে আসবে তবে কেউ ফিরে আসবে না ।
ধন্যবাদ সাকা ভাইয়া ।
আল্লাহ তাব্বুল আলামিন মাইন্ডকে একবার শরীরের সাথে জুড়ে দিয়েছেন্ তার মধ্যে নতুন করে আবার কি মাইন্ড করবেন!
আমি দিন কানা রাত কানা বলেইতো যেখানে সেখানে থুতু ফেলেন, মনে করেছেন আমিতো দেখিইনা!
আমরাও চাই আপনি থাকুন।
আপনার আমার আশাই যেন সত্যিই হয়। কিন্তু কেউ কেউ আসবেনা কেন!!!!
আপনাকেও ধন্যবাদ।
যারা স্মরণ, পারলে পাশে থাকে কাছে রাখে, তারাইতো উত্তম জাত। এর বিপরীত হলেই হবে ছোট জাত।
০ ব্যস্ততায় ডুবে গেছেন, বা
০ লেখাগুলোকে বই আকারে প্রকাশের চেষ্টায় আছেন , বা
০ পোস্টে স্তুতিমূলক কমেন্ট কমে যাওয়ায় হতাশ
ব্যস্ততার মাঝে এমন একটি দিনও কি অবসর পাওয়া যায় না যে, দু চার লাইন লিখতে পারে!
বই আকারে প্রকাশ করার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।
তবে সত্য কথা হলো অনেকবার ব্লগ আহত হওয়ার পরে অনেকে দুএকবার চেষ্টা করে হয়তে ধরেই নিয়েছে এটা আর কন্টিনিউউ হবে না
ধন্যবাদ
হয়তো তাই, সমস্যা থাকবেই, তবুও আসতে হবে। কলম সৈনিক ভয় করলে কেমনে হবে! আপনাকেও ধন্যবাদ।
সুন্দর অনুভূতি দিয়ে মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ মাছুম ভাই।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সত্যিই আপনি অনেক প্রতিভাধন ব্যক্তি, কত কিছুর যে খোজ খবর রাখেন, কিন্তু নিজের ঘরনীর খবর এখনো করতে পারলেন না।
প্রতিভাবান কিনা আমি জানিনা, তবে আল্লাহর কাছে কামনা করি তিনি আমাকে প্রতিভা দান।
করবো রে করবো। সবরে মেওয়া ফলে। অপেক্ষার জিনিসে সুখ বেশি থাকে।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।
আপনার বিশ্লেষন এবং লিখার স্টাইলটি অনেক ভালো লেগেছে। কিছুদিন যাবৎ সাদাচোখে ভাই কেও দেখা যাচ্ছে না, এছাড়া শ্রদ্ধেয় সালাম আজাদী ভাই, আজহারী ভাই ও অনুপস্থিত দীর্ঘ দিন ধরে ।
শুকরিয়া!
যখন সাদা হয়েই গেছে, তখন ডাক্তারের কাছে হয়তো। কেন সালাম লিখছে তো! কয়েক দিন আগেওতো পোস্ট দিয়েছিল। তবে হে, আজহারী সাহেব, এতা ঠিক।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের।
পরের পর্ব এসে গেছে।
http://www.first-bd.net/blog/blogdetail/detail/9039/GaziSalauddin1/74697
মন্তব্য করতে লগইন করুন