লোকাল বাস, আমি এবং........
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ০২:১৯:৫৪ রাত
লোকাল বাসে মূলার মত ঝুলে থাকা অথবা জ্যামে পড়ে ৯০ মিনিটের ঘণ্টায় দম বন্ধ হয়ে থাকা, সর্বোপরি বাসে চড়ার ধকল সামলাতে পারবনা বলেই ক্যাম্পাসের কাছাকাছি থাকতাম, যাতে হেঁটেই ক্লাসে আসা যাওয়া করতে পারি। কিন্তু এখন খুব পারছি।
২৪ ঘণ্টার ৫ ঘণ্টাই চলে যায় কর্মস্থলে আসতে যেতে। প্রথম কয়েকদিন সিটিং বাসে আসা যাওয়া করে পকেটে হাহাকার তো শুরু হয়েছেই, রাজার গোলার ধানও যদি পেতাম, তবুও তা নি:শেষ হয়ে যেতো। তাই লোকাল বাসেই ভরসা খুঁজে নিলাম।
তাতে করে প্রতিদিন আমার অর্ধেক ভাড়া বেঁচে যাচ্ছে। কস্ট মিনিমাইজ করতে পারার আনন্দে ঝুলে থাকা কিংবা গাদাগাদি করে যাওয়া আসা খুব উপভোগ করছি। আমি ধরেই নেই, লোকাল বাস ধীরে চল নীতিতে চলবে, কিন্তু মাঝে মাঝে অবাক করে দিয়ে যখন খুব দ্রুত গন্তব্যে পৌছাতে পারি, তখন কি যে আনন্দ লাগে বলে বুঝাবো যাবেনা।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধৈর্যের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। আর লোকাল বাসে চড়লে রয়ে সয়ে যাওয়ার অনুশীলনটা পাকাপোক্তভাবেই হয়ে থাকে। এইসব বাসের ড্রাইভার এবং হেলপার তো এক একটা ধৈর্যের ড্রাম!
চলে কচ্ছপ গতিতে, খানিক পর পর লম্বা সময় দাঁড়িয়ে ধানের বস্তার ন্যায় হিলায়ে হিলায়ে যাত্রী তুলে, গাড়ি ছাড়েন, গাড়ী ছাড়েন, বারবার বলা সত্ত্বেও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলে ত্যাক্ত বিরক্ত যাত্রীরা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করলেও নীরবে সব গিলে ফেলে।
যখন দেখি আমার লেইট হয়ে যাচ্ছে, অথচ গাড়ি ছাড়ছেনা, যাত্রীরা ড্রাইভারের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করছে, তখন আমি চুপচাপ। যেদিন থেকে লোকাল বাসকে ভালবেসেছি, সেদিন থেকে ছেদবেদহীন। কি লাভ চিল্লা পাল্লা করে। কই এতো গালি শুনেও তো ড্রাইভারকে কখনো দেখলাম না যাত্রীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সময় জ্ঞান সম্পর্কে সচেতন থাকতে।
আগে মনে করতাম, ৭ নম্বর আর ৮ নম্বর বাসই জাত লোকাল, এখন দেখি ঐ দুইটা ৬ নম্বরের (মতিঝিল বনানী টড়ান্সপোর্ট) দ্বারে কাছেও না। প্রত্যহ শাহবাগ থেকে গুলশান যেতে এ বাসটাই এখন আমার অন্যতম ভরসা। আই রিয়েলি লাইক ইট।
এ সার্বিসের বৈশিষ্ট্য হল, বিশাল আকৃতির, যাত্রী সংখ্যা ধরে প্রচুর, ভাড়া সম্ভবত অন্য সব পরিবহনের চেয়ে কম, বাস থামার পর মনে হয় যেন ট্রেন থেকে যাত্রীরা নামছে , এতো বেশি যাত্রী। ভাড়া কম বলে খেটে খাওয়া মানুষরাই বেশি এ বাসটিতে।
শুধু এ বাসটাই নয়, অন্যান্য বাসেও যাতায়াত করতে হয় মাঝে মাঝে। তেমনি গতকাল উঠি অন্য এক গাড়িতে। সাইন্সল্যাবের কাছে দুইটা মেয়ে বাসে উঠে। সীট খালি না থাকায় তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, কিছু পর একটা ছেলে তাদের ক্রস করে পেছনে আসতে চাইলে মেয়ে দুটো রাস্তা সংকীর্ণ করে রাখায় তাদের গায়ের সাথে জ্যাম লাগে। যেখানে বিব্রত হওয়ার কথা, তা না হয়ে তিনজনেই হেসে দিল। হয়তো ভাল লেগেছে, লাগে এইভাবে লাগালাগিতে।
আমার নামার সময় হলে মেয়েদুটো তখনও দাঁড়িয়ে, কিন্তু তাদের কাছে গিয়ে নামতে পারলাম না, দাঁড়িয়ে মাথা চুলকাচ্ছি, তারপর সীট খালি হল, তারা বসল, আমিও নামলাম, কিন্তু অনেক দূর গিয়ে। হয়তো ভাবছেন, এটা আমার বাড়াবাড়ি হয়েছে। বাসে মেয়েদের শরীরে শরীর লাগতেই পারে, এতে দোষের কি আছে। যাই হোক, এই বাড়াবাড়িটা সব সময়ই করি আরকি।
প্রায় প্রতিদিনই বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকি, আসা মাত্রই হুড়োহুড়ি শুরু হয় কার আগে কে উঠবে। আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি, লাফালাফি দফাদফি শেষ হলে যদি ভেতরে জায়গা থাকে তাহলেই উঠি নয়ত পরের বাসের অপেক্ষায় থাকি। ভাববেন না আমি একাই বেকুব, অনেক মেয়েও যুদ্ধ করে উঠার প্রতিযোগিতায় অভ্যস্ত নয় বলে অবাক দৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে বাসটির চলে যাওয়া দেখে আমার মতই।
ভাগ্য অধিকাংশ সময় তাদের সহায় হয়। মহিলাদের জন্য ৯/৬টা সীট আলাদা থাকায় পরে উঠেও জায়গা পায়। তবে বাকিরা হয় উঠে জাতা খাবে নয়ত ভদ্র মেয়ের মত থাকবে পরের বাসের অপেক্ষায়।
পুরুষরা সব জায়গায় বলে, লেডিস ফার্স্ট কিন্তু বাসে উঠার বেলায় নয়। তাই বলে নারীদের প্রতি আমার সহানুভূতি উথলে উঠছে? ও হুক, একটুও না। পুরুষ নারী নির্বিশেষে সবারই দ্রুত যাওয়ার দরকার হয়, সো, যে যেভাবে যেতে পারে। আর এখন যেভাবে নারীরা বাহিরমুখী হচ্ছে, তাতে করে ৬/৯টা সীট যথেষ্ট নয়।
অর্ধেক সীট তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় বাসগুলোতে সুন্দর সিস্টেম, অর্ধেক মেয়েদের আর অর্ধেক ছেলেদের জন্য। প্রয়োজনের তুলনায় খুব সামান্য কর্মচারী নারীদের জন্য ঢাকায় আলাদা কিছু বাস চোখে পড়ে, যাত্রী সাধারণের জন্য বাসগুলোতে এমন হলে কতইনা ভাল হত। কিন্তু করবেটা কে?
যখন দেখি নারীরা বাসে লোক ঠেলে ঠেলে ভেতরে ঢোকছে বাহির হচ্ছে অথবা যাত্রীরা তাদের ঠেলে ঠুলে আসা যাওয়া করছে, তখন একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। এমন লাঞ্ছনার দৃশ্য কেন আমাকে দেখতে হবে?
আগেও নারী প্রয়োজনে বের হয়েছে, পুরুষরাও তাদের সম্মান দিয়েছে, সরে দাঁড়িয়ে বলেছে 'আপা আসেন, বসেন, আমি হেঁটেই যেতে পারব'। অপ্রয়োজনগুলো অথবা ঠুনকো প্রয়োজন এখন খুব প্রয়োজন জ্ঞান করে সবাই বের হচ্ছে, তিল ধারনের জায়গা থাকছেনা, কিভাবে পুরুষ মানুষটা সম্মান করে জায়গা ছেড়ে দেবে। দশা এমন হয়েছে, 'নিজে খাইতে টান টান, ভাশুরের জন্য খাট্টা রান'।
আরও বেশি বের হোক, আরও বেশি...... আমার তাতে কি। আমি আমার জায়গা থেকে সম্মান করি, করে যাব, কিন্তু আমার একলার জন্য তো লাঞ্ছনা থেমে যাবেনা।
অনেকেই বলেন, পুরুষের মন মানুসিকতা বদলাতে, নারীদের সম্মান দেওয়া শেখতে, তাদের মা বোনের মত দেখতে, এইসব কমন নীতিকথা আমার ভাল লাগেনা, বলবও না।
কেন ভাল লাগেনা, এর উত্তর খোঁজা জরুরী নয়। বরং নারীদের গাদাগাদিমুক্ত যাতায়াতে কার্যকরি পদক্ষেপ কি হতে পারে, সেসব নিয়ে কথা বলুন, যদি আপনার মর্জি হয়।
আমার দীর্ঘশ্বাসের কারণ অনেক, ঠোঁটের আগায় এসেও ফিরে গেছে, থাক নাইবা বললাম!
বিষয়: বিবিধ
২৪০৩ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক অভিজ্ঞতার সাথে আপনি অনেক কিছু বুঝিয়েছেন আমাদের। ধন্যবাদ প্রিয় ভাই
'মুমিনরা প্রতিটি বিষয় থেকে শিক্ষা গ্রহন করে' লোকাল বাসের যাত্রা থেকে আপনি তা শিখে আমাদের সাথেও শেয়ার করলেন!
জাযাকুমুল্লাহু খাইর! সুন্দর আপনার অনুভূতিগুলো ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের সবার মাঝে-এই প্রত্যাশা!
আপনার মন্তব্য সবসময়ই খুব ভাল লাগে, এই মন্তব্যেও ভাললাগা অব্যাহত রাখলাম।
ভাললাগা অব্যাহত রাখুন।
তবে বর্তমানে ৮নং বাস আমার প্রতিদিনের সঙ্গী!! মু হা হা হা।
সত্যই বলেছেন, একটু দেরি হলেও অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার এড়ানো যায়। তার জন্য হাতে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ থাকল।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাবীর জামাই!
ঢাকা শহরে গত ২০/২৫ বছরে অনেক পরিবহনের নাম, রুট চেন্জ হলেও ৬ নং বাসের হয় নি কারণ , এটা পুলিশের বাস ।
কর্মস্থলে যেতে হলে সকাল সকাল বের হবেন ।
লোকাল বাস গুলো রাস্তা ফাঁকা হলেও গাড়ি টানে না ।
আপনারা তো দাবী করে মহিলারা এখন অনেক এগিয়ে গেছে , তারা এখন পুরুষদের তালে তালে এগিয়ে চলছে । তাহলে বাসে এখন তাদের জন্য আলাদা সিট কেন ? এটা কি তাদের এগিয়ে যাওয়ার দাবীটাকে পানসে করে দেয় না ?
একজন মহিলা যাত্রী যদি একজন পুরুষ যাত্রীর কাছে মা-বোনের সিমপ্যাথী নিতে পারে তাহলে একজন পুরুষ কেন পারবে না একজন মহিলার কাছ থেকে বাবা-ভাইয়ের ফেভার নিতে ?
কখনও কি দেখেছেন যে একজন সমবয়সী মেয়ে আরেকজন সমবয়সী ছেলের জন্য নিজের আসন ছেড়ে দেয় ? তারা তো স্বগোত্রীয় অন্য মহিলাদের জন্যও তা করে না !
আমার নিজের চোখে দেখা - দুই মহিলা তাদের ছোট বাচ্চা নিয়ে বাসে উঠেছে - একটা বাচ্চা দুধের শিশু , আরেকজন পঙ্গু । ৯ সিটে বসা কোন মহিলাও এগিয়ে এল না তাদের জন্য সিট ছাড়তে । উপায়ন্তর না দেখে যখন বাচ্চাসহ মহিলাটি বাসের মেঝে বসে গেল তখন তাদেরকে বসার সিট ছেড়ে দিল পুরুষেরাই ।
নাচতে যখন নেমেছে তখন কি আর ঘোমটা দেওয়া সাজে ?
এতই যখন নিজেদের অষ্পৃশ্য মনে করে তাহলে তো মহিলারা তাদের জন্য আলাদা বাস ও ট্রেনের দাবী করতেই পারে । গত দুই যুগ ধরে তো তাদেরই স্বজাতী দেশ শাসন করছে । মহিলাদের জন্য আলাদা স্কুল আছে , কলেজ আছে , ইউনিভার্সিটি আছে , মেডিকেল কলেজ আছে । তাহলে আলাদা বাস-ট্রেন সার্ভিসও করা যেতে পারে । বাস সার্ভিস তো ছিলও । কিন্তু মহিলারা তো পুরুষদের সাথেই ঢলাঢলি করে যেতে পছন্দ করে । পুরুষদের সাথে হালকা টাচ লাগিয়ে তাকে যেমন ফাঁপড় দিতে পারে সাধারণ বাসে , মহিলা বাসে তো সেরকম সুযোগ নেই । তাই মেয়েরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মহিলা বাসে না গিয়ে সাধারণ বাসে যায় ।
একজন মহিলার চাকরির চেয়ে একজন পুরুষের চাকরি পরিবার ও সমাজের জন্য বেশী প্রয়োজনীয় । কারণ সংসারের ভরণ পোষন করতে হয় বিধায় একজন পুরুষের টাকায় মিনিমাম আরও ৩-৪ জন চলে । একজন মহিলার আয় শুধুই প্রসাধনী ও রুপচর্চার কাজে ব্যয় হয় । এ টাকা সমাজের কোন ভাল পজিটিভ কাজে লাগে না । খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া মহিলাদের চাকরি করার কথা আমাদের শরিয়তে বলে না । কারণ ঘরের ভেতরটা সামলানো তার উপরই বর্তায় , বাইরেরটা স্বামীর উপর। দেখা যায় যে স্বামী আয় করলেও বউও চাকরি করে যেটার আসলে দরকারই ছিল না । আয় করলেও সে তো সংসারে তা ব্যয় করে না উপরন্তু সে তার টাকা নিজের কাছেই রাখে এবং স্বামীর কাছ থেকেও তার খরচের টাকা নয়ে । কিন্তু সাংসারিক কাজের বেলায় লবডন্কা ।
তাই মেয়েরা যখন ঘরের বাইরে বের হয়েছে তখন তাদের সব আদিখ্যাতা পরিহার করেই বের হওয়া উচিত । কারণ ধাক্কাধাক্কিতে ছেলেরাও পড়ে।
আপনারা তো দাবী করে মহিলারা এখন অনেক এগিয়ে গেছে , তারা এখন পুরুষদের তালে তালে এগিয়ে চলছে ।
ঐ এই দাবী আমার নয়!!!!!!! এটাকে এগিয়ে যাওয়া বলেনা, বরং লক্ষ কোটি হাত পিছিয়ে যাওয়া। হাঁদারাম মাইয়াগুলো বুঝেনা!
ভাইয়ের ফেভার নিলেও বাবার ফেভারতো নেইরে হতচ্ছাড়া।
ছেলেদের জন্য তো সীট ছেড়ে দেয় না বরং নিজেরা নিজেরা চুলাচুলি করে সীটে বসা নিয়ে
কিন্তু মহিলারা তো পুরুষদের সাথেই ঢলাঢলি করে যেতে পছন্দ করে ।
এই কথাটা আমারও!
একজন মহিলার চাকরির চেয়ে একজন পুরুষের চাকরি পরিবার ও সমাজের জন্য বেশী প্রয়োজনীয় । কারণ সংসারের ভরণ পোষন করতে হয় বিধায় একজন পুরুষের টাকায় মিনিমাম আরও ৩-৪ জন চলে । একজন মহিলার আয় শুধুই প্রসাধনী ও রুপচর্চার কাজে ব্যয় হয় । এ টাকা সমাজের কোন ভাল পজিটিভ কাজে লাগে না । খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া মহিলাদের চাকরি করার কথা আমাদের শরিয়তে বলে না । কারণ ঘরের ভেতরটা সামলানো তার উপরই বর্তায় , বাইরেরটা স্বামীর উপর। দেখা যায় যে স্বামী আয় করলেও বউও চাকরি করে যেটার আসলে দরকারই ছিল না । আয় করলেও সে তো সংসারে তা ব্যয় করে না উপরন্তু সে তার টাকা নিজের কাছেই রাখে এবং স্বামীর কাছ থেকেও তার খরচের টাকা নয়ে । কিন্তু সাংসারিক কাজের বেলায় লবডন্কা ।
উচিৎ কথাই বলেছেন রে হতচ্ছাড়া।
আপনারা তো দাবী করে মহিলারা এখন অনেক এগিয়ে গেছে , তারা এখন পুরুষদের তালে তালে এগিয়ে চলছে ।
ঐ এই দাবী আমার নয়!!!!!!! এটাকে এগিয়ে যাওয়া বলেনা, বরং লক্ষ কোটি হাত পিছিয়ে যাওয়া। হাঁদারাম মাইয়াগুলো বুঝেনা!
ভাইয়ের ফেভার নিলেও বাবার ফেভারতো নেইরে হতচ্ছাড়া।
ছেলেদের জন্য তো সীট ছেড়ে দেয় না বরং নিজেরা নিজেরা চুলাচুলি করে সীটে বসা নিয়ে
কিন্তু মহিলারা তো পুরুষদের সাথেই ঢলাঢলি করে যেতে পছন্দ করে ।
এই কথাটা আমারও!
একজন মহিলার চাকরির চেয়ে একজন পুরুষের চাকরি পরিবার ও সমাজের জন্য বেশী প্রয়োজনীয় । কারণ সংসারের ভরণ পোষন করতে হয় বিধায় একজন পুরুষের টাকায় মিনিমাম আরও ৩-৪ জন চলে । একজন মহিলার আয় শুধুই প্রসাধনী ও রুপচর্চার কাজে ব্যয় হয় । এ টাকা সমাজের কোন ভাল পজিটিভ কাজে লাগে না । খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া মহিলাদের চাকরি করার কথা আমাদের শরিয়তে বলে না । কারণ ঘরের ভেতরটা সামলানো তার উপরই বর্তায় , বাইরেরটা স্বামীর উপর। দেখা যায় যে স্বামী আয় করলেও বউও চাকরি করে যেটার আসলে দরকারই ছিল না । আয় করলেও সে তো সংসারে তা ব্যয় করে না উপরন্তু সে তার টাকা নিজের কাছেই রাখে এবং স্বামীর কাছ থেকেও তার খরচের টাকা নয়ে । কিন্তু সাংসারিক কাজের বেলায় লবডন্কা ।
উচিৎ কথাই বলেছেন রে হতচ্ছাড়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন