Love Marriage Coupleরা প্রত্যাশার লাগামটা টেনে ধরুন!
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ৩০ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:৩১:২৯ রাত
শুরুতেই জানিয়ে রাখি, ছেলেমেয়েতে বিবাহপূর্ব প্রেম বৈধ নয় তবে যারা ইতোমধ্যে প্রেম পরবর্তী বিয়ের কাজটা সম্পন্ন করেই ফেলেছেন তাদের জন্যই মূলত লিখতে বসা। প্রেম করে বিয়ে করা মানে প্রিয় মানুষটি সম্পর্কে পূর্ব থেকেই শতভাগ জানা। হাজার বোনা স্বপ্ন, পাহাড়সম প্রত্যাশা, কৃত প্রতিশ্রুতির নিখুঁত বাস্তবায়নের ব্যাপারে আশায় বুক বাঁধা। কিন্তু খাটি সোনা হয়ে গেল ইমিটেশন, প্রত্যাশার সবটুকুই রয়ে গেল অপূর্ণ, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন সুদূর পরাহত, তখনি বৈরিতার শুরু, চিরচেনা মানুষটি এখন অচেনা! প্রেমের বিয়ে তবু একজন আরেকজনের চক্ষুশূল, দাম্পত্য কলহ চরমে। দাঁড়ান! প্রত্যাশার লাগামটা একটু টেনে ধরুন, সমস্যা নিশ্চয় মিটে যাবে।
জীবনে বহু দেখেছি, আশ্চর্যও কম হয় নি। প্রেমের বিয়ে, বছর যেতে না যেতেই ভেঙ্গে খান খান। আশায় লাল বাতি, তাই একজন মাথা কুটে মরে, অন্যজন প্রিয়ের আসল রূপ দেখে কপাল ছাপড়ে, হায় খোদা, এ আমি কি ভুল করলাম! একজন অন্যজনের অস্তিত্বই মেনে নিতে পারে না, যেন গোটা মানুষটাই একটা বিষের বড়ি। তৃতীয়জনের আবির্ভাবই তখন স্বস্তিদায়ক।
এটা কিভাবে সম্ভব? দীর্ঘদিন প্রেম করে দুজন দুজনার নাড়ী নক্ষত্র জানে, যাকে ছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকা মূল্যহীন, যার জন্য গার্ডিয়ানদের মত-অমতের তোয়াক্কা না করে আমৃত্যু হাতে হাত ধরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে বিয়ে করে, তারাই আবার পরস্পরের সাথে হঠকারী করে, বেইমানির চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, কিভাবে????
এক সময় এটা ছিল ভাইটাল প্রশ্ন, এখনও গুরুত্বপূর্ণই। বিষয়টা বড়ই আশ্চর্য্যের তবে কিছু কারণও আছে। আমার কাছে মনে হয়, আনুষঙ্গিক কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ প্রত্যাশার বাড়াবাড়ি।
স্বামী বা স্ত্রী, পরস্পরের কাছে আশা আকাংক্ষা থাকবেই, থাকা উচিতও, মানুষটা বিশেষ বলেইতো। তবে প্রত্যাশাগুলো লাভ মেরিজ কাপল এবং এরেঞ্জ মেরিজ কাপলদের মাঝে ভিন্নরকম হয়ে থাকে। তলুনায় লাভ মেরিজ কাপলদের প্রত্যাশা কয়েকগুন বেশি। তাই প্রেম করে বিয়ে করাদের মধ্যে একজন খুব বেশি প্রত্যাশা করে, চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকুক বা নাই থাকুক, অন্যজন প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট হয়ে খেই হারিয়ে ফেলে।
যখন দুজন মানুষ প্রেমে পড়ে, সেখানে থাকে আবেগ ভরপুর, স্বপ্নের ছড়াছড়ি, প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি, চাপহীন ভালবেসে যাওয়া, পিছুটানহীন দুজন দুজনার ধ্যানে মত্ত থাকা। আবেগ বাস্তবতার মুখোমুখী, স্বপ্নগুলোর পরিপূর্ণতা, রোমান্টিসিজম এবং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, সবি বিয়েপরবর্তী সময়ের জন্য তুলে রাখে। শান্তিকালীন সময়ে ক্যালকুলেশন করে বিধায় সতর্ক সংকেতের পরিবর্তে আশার বাণীই শোনায়।
“তোমার কাছে কিছুই চাইনা। একটু মাথা গুজবার জায়গা, লজ্জা নিবারণে দুচারটা মোটা কাপড় আর বেঁচে থাকার জন্য পেটে দুমুঠো ভাত দিবে, তাতেই আমার হয়ে যাবে। আমি রাজপ্রাসাদ চাইনা, কুঁড়ে ঘরে রাখিও, কোলে মাথা রেখে ভেবে নেব এটাই প্রাসাদ। সুখে দুঃখে যদি তোমার পাশে না থাকি, তবে আমার নারী জন্ম বৃথা”।
“তুমি কালো কি ধোলো, আমার কাছে তা বিবেচ্য নয়। আমি রূপ চাইনা, গুন চাই, একটা মন চাই, যে মনে আমার জন্য থাকবে ভালোবাসা, সে ভালোবাসা আমায় দিও, তোমায় আমি রানী করে রাখব। তোমার যা চাওয়া, আবদার অথবা অভিযোগ, নির্দ্বিধায় জানিও, যখন যেখান যেভাবে পারি, সকল চাওয়া পূর্ণ করব, কথা দিলাম প্রিয়া”।
আসলে কি তাই? দুচার দিন অথবা দুচার বছর অভাব মেনে নেয়া যায়, জনমভরতো মেনে নেওয়া যায় না! কেনইবা মেনে নিতে হবে! বিয়ের আগেতো মুখের সামনে মুলা ঝুলিয়েছে, সুখে রাখতে, মুখে হাসি ফোটাতে সাগর সেচে মুক্তা আনবে বলেছে, গায়ের চামড়া বিক্রি করে অট্টালিকা বানাবে, রাখবে রাজকীয় হালতে, আর এখন মোটাচালের ভাত পেটের ভেতর এক একটা বটগাছ হচ্ছে, শুটকী মরিচ খেতে খেতে পেটের আঁত পচে যাচ্ছে, শক্ত পাটিতে শুইতে শুইতে গায়ের চামড়ায় দাগ পড়েছে, গায়ের জামা ছিঁড়ে মাছ ধরা জালে পরিণত হয়েছে! যার বিয়ে করার মুরোদ নাই, বছরে একটা শাড়ি, মাসে এক বেলা গো মাংস কিনে খাওয়ানোর হেডোম নাই, তার এতো বড় বড় কথা কেন!
অন্যদিকে পুরুষ মানুষটি ভেবে কূল পায়না, হায়, হাতে ধরে এমন দূর্ভাগ্য কপালে নিলাম কেন! বিয়ের আগেতো বলেছে অভাব অনটনে পাশেই থাকবে, প্রয়োজনের দিকে পূর্ণ খেয়াল রাখবে, ভালোবেসে পরম মমতায় আপন করে নেবে, এখন দেখি পাড়াপ্রতিবেশির সাথে হাসে-গল্প করে, আমার সামনেই কেবল জ্বলন্ত আগুন, এখন কেন অভাব সহ্য হয় না! সারাক্ষণ কানের কাছে অভাব নিয়ে ঘ্যানর ঘ্যানর করবে, খালি এটা নেই ওটা নেই।
বাজারে যাওয়ার আগে খরচের একটা লিস্ট ধরিয়ে দেবে, সবকিছু আনলেও একটা আদা আনতে ভুলে গেলে “তোমার কাছে জীবনে সুখ পেলাম না, বাজারে গিয়ে কোন বেডির কাছে মন থাকে, কোন কিছুই আনতে খেয়াল থাকে না, আদা ছাড়া কেমনে রান্না করি ,আমার হয়েছে মরণ”। হায়রে আদা ছাড়াওতো রান্না করা যায়, একটা আদার জন্য এমন ধোলাই কি হজম করা যায়! মেয়ে মানুষের শুকরিয়া নাই! বউতো নয়, আগুনের গোল্লা।
এরেঞ্জ মেরিজে ঝগড়াঝাটি অথবা পাওয়া না পাওয়ার হিসেব হয় না তা কিন্তু নয়। প্রত্যেকটা দম্পতির মধ্যেই তা হয়ে থাকে। যারা লাভ মেরিজ করে তারা এই ধারনা বা বিশ্বাসে স্থির থাকে যে, বিয়ের পূর্বে ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে লম্বা সময় ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে নেয়া আবশ্যক, চলতে চলতে নানান স্বপ্ন সাজায়, প্রত্যাশা করে, এবং মনে করে তারাই তাদের এইসব প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম, বাবা মায়ের পছন্দ করা অন্য কেউ তা কষ্মিনকালেও পারবে না। অন্য কারো সাথে বিয়ে বসা মানেই ধ্বংস অনিবার্য। তাই দুজন দুজনাকে বিয়ে করতে বদ্ধপরিকর।
এমন বিয়েতে একজন রাজি হয়তো তিনজন বিরোধী। কখনো কেউ মেনেই নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে কপোত-কপোতী পালিয়ে বিয়ে করে। তাতে অনাকাংক্ষিত হাজারো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলে রোমান্টিকতার বদলে নেমে ধেয়ে আসে হারিকেন, টর্নেডো। আবার কেউ কেউ বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক করে বিধায় খুব অল্প দিনেই ঘরেরটাকে উচ্ছিষ্ট মনে হয়। বউ পায়না শ্বশুর শ্বাশুরীর আদর ভালবাসা, স্বামী পায়না শ্বশুর বাড়িতে যথোচিত সম্মান, একক সিদ্ধান্তে বিয়ে করায় ফ্যামিলির কাছেও পায়না প্রয়োজনমাফিক সাহায্যস হযোগিতা।
প্রথম দিকে থাকে অনেক অভাব অনটন, বাঁচতে হয় চরম স্ট্রাগল করে, তার উপর দুজন দুজনার কাছে একান্তভাবে চাওয়া প্রত্যাশাগুলোও যখন পূরণ হয় না, তখনি ‘যারে দেখতে নাড়ী তার চলন বাঁকা’। যখন অন্যরা ছোটখাটো ভুলগুলোতে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে, তখন তাদের বেলায় একটু নুন চুন হলেই অভিমানে গলা গলা ধরে আসে, হিসেব করতে বসে যায় “বিয়ের আগেতো এমন ছিল না! এখন কেন বদলে গেছে, তবে কি অন্য কাউকে নিয়ে মজেছে”, মেনে নেয়ার প্রবণতা থাকে না।
বিয়ের আগে প্রেম করেছে, একসাথেতো থাকে নি, জানবে কেমন করে বিবি ঘুম থেকে আটটায়, ফ্রেশ হয়ে রান্না বান্না করতে বাজে দশটা, তরকারীতে লবণ দিলে মরিচ দেয় না, খাদ্যকে অখাদ্য বানিয়ে রাখে, আস্ত একটা অলস, সকাল নাই বিকেল নাই, কাম কাজ বাদ দিয়ে খালি ঘুম, অন্যদিকে সাহেবের মোবাইলে মেয়েমানুষের ফোন আসে, বিবিকে কারো সাথে কথা বলতে দেখলে বাজে সন্দেহ করে, ঘুমালে নাকের ডাকে যেন জাহাজ চলে, থাকে গম্ভীর হয়ে, মেজাজ থাকে খিটখিটে, ভালো কথাতেও রেগে যায় এবং আরো নানা বদ অভ্যাস, যা পিঠাপিঠি না থাকলে ধরা পড়ে না। আগে দেখেছে নিবেদিনপ্রাণ, এখন দেখে পুরাই উদাসীন, তাই মেনে নিতে পারাটাও কঠিন।
তবে মেনে নেওয়া উচিত। প্রত্যাশা পূর্ণ না হলেই যে দূরে ঠেলে দিতে হবে, এর মানে নেই। যাকে বেশি ভালোবাসা যায়, তার কিছু ত্রুটি মেনে জন্যও প্রস্তুত থাকা চাই। ভালোবাসা যদি চাওয়া পাওয়ার উপরই নির্ভর করে তাহলে চাওয়ার সাথে পাওয়ার হিসেবে গরমিল হলেই সম্পর্ক টিকবে না। মনের মত হয়েছে ভেবে বিয়ে করে পরে দেখা গেল মনের মত হয়নি, তাহলে দিনে একটা করে বিয়ে অথবা সঙ্গ পরিবর্তন করতে হবে যা সভ্য মানুষের কাজ নয়।
প্রত্যাশা করার আগে ব্যক্তির মধ্যে উক্ত পত্যাশা পূরণের সম্ভাবনা, সামর্থ দেখে নেওয়া জরুরী। যাকে দিয়ে যে কাজ করানো সম্ভব নয় তার কাছে অসম্ভব প্রত্যাশা করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য চাপ প্রয়োগ করা মানে সে মানুষটার স্বাভাবিকতাকে বিপন্ন করে তোলা। গর্হিত কোন কাজ না হলে ছোট খাটো ভুল ত্রুটিতে ক্ষমাশীল হওয়া এবং কম প্রাপ্তিতে ছাড়াছাড়ির সিদ্ধান্ত অথবা অন্যগামী না হয়ে অল্পতে সন্তুষ্ট থাকাইতো মানুষের কাজ, যা তাকে পশু থেকে আলাদা করে।
আজ যে আশা তার দ্বারা পূর্ণ হয়নি, আগামী দিনে ষোলকলায় পূর্ণ হয়ে সামান্য প্রাপ্তির সাথে যোগ হয়ে বিশালতায় রূপ নেবে, হতে পারে, হয়েও থাকে। তবে আর হতাশ কেন? যতোটা ভালবাসে, বাসুন তার চেয়ে অধিক বেশি, হয়তো একদিন চাওয়াগুলো পাওয়ায় পরিণত করার প্রতিযোগিতায় আপনাকে হার মানাবে আপনার প্রিয়টি, যতটুকু পুর্ণ করেছেন, দেখবেন সে করেছে কয়েকগুন বেশি, তখন কি খুশির কিয়দংশ ভাগ আমায় দেবেন?
থাক, তাতে আমার কাজ নেই। প্রতিটি দম্পতি শুধু সুখের সময় নয়, দুঃখের সময়েও কাছাকাছি, নাহ বরং পাশাপাশি থাকবে, দুজন মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে একজনাতে, জীবন ভরে উঠবে সুখ সমৃদ্ধিতে, পৃথিবীতে বজায় থাকবে শান্তি শৃংখলা, এটাই যে আমার পরম চাওয়া এবং পাওয়া।
পুনশ্চঃ আমি কিন্তু আবিয়াইত্যা। অবিবাহিত হয়ে বিবাহিতদের নিয়ে এতো মাতামাতি, বাস্তব অভিজ্ঞতা শূন্য, আমার হাইপথেসিস ভুলও হতে পারে, তেমনটা হলে সঠিকটা কি জানাবেন এবং স্পর্ধাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৮৩৭ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার দোয়া আল্লাহ্র দরবারে কবুল হোক
সহমত জ্ঞাপন করছি।
যখন দুজন মানুষ প্রেমে পড়ে, সেখানে থাকে আবেগ ভরপুর, স্বপ্নের ছড়াছড়ি, প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি, চাপহীন ভালবেসে যাওয়া, পিছুটানহীন দুজন দুজনার ধ্যানে মত্ত থাকা। আবেগ বাস্তবতার মুখোমুখী, স্বপ্নগুলোর পরিপূর্ণতা, রোমান্টিসিজম এবং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, সবি বিয়েপরবর্তী সময়ের জন্য তুলে রাখে। শান্তিকালীন সময়ে ক্যালকুলেশন করে বিধায় সতর্ক সংকেতের পরিবর্তে আশার বাণীই শোনায়।
প্রেম জিনিসটায় আবেগের রসায়ন!! আবেগ কখনো নিজের ভালো মন্ধ নির্নয় করতে পারেনা!!
আমার জানা মতে প্রেমিক বা প্রেমিকা প্রেমের সময়ে শতভাগ সত্য কথা বলেনা।
কিন্তু বিয়ে হয়ে গেল একে অন্যের প্রতি চলে আসে দায়িত্ব ও কর্তব্য । প্রেম করার ফলে এতদিন যে শুধু পেয়েই আসছিল বিয়ের পর তার উপরও এখন দেবার পালা চলে আসায় সে বিগড়ে যায় ।
মূলত এর ফলেই বিয়েটা হয়ে যায় নড়বড়ে ।
ফলে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায় । তালাক হয়ে যায় এবং সেটা মেয়ের পক্ষ থেকেই । কারণ এতদিন সে যে তার প্রেমিক থেকে পেয়ে আসার অভ্যাস রপ্ত করেছে স্বামীর অধিকার সে দিতে চায় না সেই লোককে যে প্রেম করার সময় তাকে শুধু দিয়েই গেছে। এটাকেই সে স্বাভাবিক মনে করে প্রেমের বেলায় এবং বিয়ের বেলাতেও ।
তালাক দিয়ে দিলেও মেয়েরা স্বামীর কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খরচাদি পেয়ে থাকে । তাকে কোন কিছুই ফেরত দিতে হয় না বিয়ের আগে প্রেম করার সময় যা হাতিয়ে নিয়েছিল ছেলেটির কাছ থেকে ।
প্রেমের বিয়ের সুফলই বেশী এরেন্জ ম্যারেজের চেয়ে । কারণ এতে দেন মোহর মেয়ে বা মেয়ে পক্ষ বেশী ধার তেমন একটা চান্স পায় না ।
তবে .... স্বামীকে সবসময়ই তার বউ(সাবেক-প্রেমিকা) এর হুকুম মেনে চলতে হয় , তাকে সবার আগে রাখতে হয় ।
-যা-ই হোক।ভাল লেগেছে..ধন্যবাদ
আপনার ভালোলাগা লেগে জেনে খুশি হলাম।
আপনাকেও ধন্যবাদ জনাব
মন্তব্য করতে লগইন করুন