'বিয়ে ইমানের অর্ধেক', অথচ ইসলামের অনুশীলন এখানেই সবচাইতে কম!
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:০২:০৩ সন্ধ্যা
সাংগঠনিক বা ধর্মীয় শিক্ষার অনুশীলন কি নির্দিষ্ট কিছুদিন দায়িত্ব
পালনকালীন সময়ের জন্য প্রযোজ্য? নাকি সারা জীবনের জন্য?
অথবা এ অনুশীলন জীবনের সব বিষয়ে প্রয়োগ অত্যাবশ্যকীয় নয় কি?
জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই ধর্মীয় অনুশীলনে অত্যন্ত যত্নবান, বিয়ের ক্ষেত্রে, আল্লাহর রাসূল বলেছেন, 'বিয়ে ইমানের অর্ধেক' তাহলে কেন সামাজিক রীতি নীতির কাছে ধর্মকে বিসর্জন দেয়া?
যে প্রচলিত ধর্মবিরোধী সমাজ ব্যবস্থাকে ইসলামীকীকরনের জন্য আপনার আমার চেষ্টার অন্ত নেই, অথচ বিয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নষ্ট ভ্রষ্ট সামাজিকতার কাছে অসহায় আত্মসমপর্ন! কেন?
ইসলামের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কেন আপনার বিয়েটা সম্পূর্ণ ইসলামী পদ্ধতিতে সম্পন্ন করে আরো লক্ষ ধর্মপ্রাণ তরুণের জন্য নিজেকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করছেন না?
আপনার কাছে যখন অনুগামীরা আপনার সমগ্র জীবনে ধর্মের বাস্তব অনুশীলন প্রত্যাশা করে, তখন কেন জাহিলি রীতিতে বিয়ে করে বউকে কোরবানীর হাটের ষাঁড়ের মত সাজিয়ে গায়রে মাহরাম পুরুষদের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া?
কেন অনৈসলামিক পোশাক পরিয়ে পর্দার বিধানে চপেটাঘাত করে 'ইসলামি বিধানমতে সাজ সজ্জা শুধু স্বামীর জন্য প্রযোজ্য হওয়া সত্ত্বেও' ছবি তুলে সে ছবি ইনটারনেটে বিশ্ববাসীকে দেখানো?
এত অত্যাচার, নির্যাতন, নিষ্পেষণ সয়ে যাওয়া কিসের জন্য? ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তব জীবনে অর্থাৎ ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্রীয়পর্যায়ে প্রতিফলন ঘটানোর জন্যইত, নাকি? যদি তাই হয়, তাহলে আবেগে গা ভাসিয়ে গড্ডালিকা প্রবাহে মিশে যাওয়া কি আপনার মানায়?
এর জন্য কি মহা কঠিন দিনে আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে না?
হ্যাঁ, কিছু চরম বাস্তবতাও আছে, স্বীকার করি, বিয়ে শাদীতে ধর্মের অনুশীলন করা পাহাড়সম কঠিন, কেননা বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ধর্মপরায়ন হলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে জাহিলি সমাজ ব্যবস্থারই গোলামি করে থাকে, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা জানে না, জানতেও চায় না, বাপ দাদার কাছ থেকে যা পেয়েছে তাকেই প্রকৃত ইসলাম মনে করে প্রতিনিয়ত সীমালংঘন করে যাচ্ছে, যার চরম ভুক্তভোগী আমি নিজেই!
তবুও চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, আল্লাহ্ আপনার চেষ্টা দেখবেন, সফল নাইবা হলেন।
অতএব ইসলামের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীগণসহ সবার কাছে করজোড়ে নিবেদন, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা সকল বিষয়ে, সব পর্যায়ে অনুশীলন করুন! কিছু পালন করে আর কিছু বাদ দিয়ে নয়!
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৭ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সে অশান্তিগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে ধন্য হতে পারছি না বলেই সকলের প্রতি আমার এই উদাত্ত আহবান।
আমার পাড়ায় এসে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেবেন।
কেমন আছেন?
হারিয়ে গেলেন মনে হয়।
বিয়ের কাজটাকি সেরেছেন?
কবে কোথায়?
নাকি এখনো সুখপাখি ধরতে পারেন নি!
অনেক দিন পর ফিরে আসায় অনেক অনেক শুভেচ্ছ।
সত্যিই বলেছেন, সকলের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, ক্রুটি বিচ্যুতি হলে আল্লাহ মেহেরবান।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
জাযাকাল্লাহ খাইর
আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ ভালো আছি।
হারিয়ে যাই নি, একটু যাত্রাবিরতি। এই নর্মল আড্ডাশালা থেকে দূরে থাকা বেজায় কঠিন। মিস করেছেন জেনে সত্যিই মন খুশিতে ভরে গেল।
না ভাই, এখনো আবিয়াইত্তাদের দলেই আছি!
ব্লগে এসেই আমার প্রিয় ভাইটির সঙ্গ বেশ লাগছে।
সহমত জ্ঞাপনের জন্য শুভেচ্ছা নেবেন।
জাযাক্কাল্লাহু খাইর।
আপনার খালামনি কিভাবে নিষ্ঠুরের মত দূরে বহুদূরে.।.।।।
আপনার সেই পোস্টে আমার কমেন্টের বেশ লম্বা চওড়া কড়া জবাবও দিয়েছিলেন ।
এখন এই পোস্ট কেন যেটা ঐ পোস্টের বিপরীত ?
০ কেন , আপনার সেই পাত্রী কি আপনার মত হয়ে তার লোকজনদের কনভিন্স করাতে পারে নাই ?
বিয়ে ঈমানের অর্ধেক হলেও এটাতে যে ফরমালিটিজ করতে হয় এবং স্ত্রীর মনোরন্জনের জন্য যে পথে যেতে হয় তাতে আর ঈমান ঠিক থাকে না ।
কড়া জবা দিয়েছিলাম, তাতে কি হল? আমিত আমার জায়গা থেকে সরে যাইনি! বাবা মায়ের পছন্দমতে নিজের এতদিনের শিক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে যেন তেন কাউকে বিয়েও করিনি।
আপনি এই পোস্টের সাথে ঐ পোস্টের বৈপরীত্য দেখলেন কোথায়? আমার তাঁর গার্ডিয়ান বাপদাদার কাছে থেকে যেভাবে ইসলাম পেয়েছে সেভাবেই পালন করে, আমি ইসলামী পন্থামতে বিয়ে করতে চেষ্টা করেছি, তাতে তাদের পাশে পাইনি, এই জন্য বলেছি ভুক্তভোগী, কিন্তু তাদের সমাজের কাছে হেরে গেছি এমন ভাবার কারণ নেই ভাই হতভাগা। আল্লাহ্ যদি চান, আমার সময় সুযোগওতো শেষ হয়ে যায় নি।
আমি কনভিন্স করতে পেরেছি এ কথা কখন বললাম? সেও পারেনি। আচ্ছা বলুন তো, আমরা কোন কাজ সবাইকে শতভাগ খুশি করে করতে পারি কি? তাই বলে কাজটা করি না এমন নয়! কিছু মানুষ পক্ষে আসবে, কিছু বিপক্ষে যাবেই তাই না?
সে জন্যোইতো সমাজ, বাবা মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও দীনদার মেয়েকে বিয়ে করা জরুরী, যাতে অভাব অনটন আসলেও অন্তত মনোরঞ্জনের জন্য দৈন্যতা আসে না।
আপনি তার বিপরীতে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন জেনে ভালো লাগলো।
আসলে আমাদের সমাজ আমাদের ইচ্ছে শক্তিকে কবরে শুয়ে দিয়ে আসে... যা আমাদেরকে জাহান্নামের পথে অগ্রসর করে দেয়। সমাজের প্রচলিত প্রথার বিরুদ্ধে কোন কিছু করতে গেলেই যত সব ফতোয়াবাজী...
সঠিক রস্তার জন্য ফতোয়া দেয়ার লোক নেই।
হাওয়ায় ভেসে যাওয়ার আগ্রহে যেন উলঙ্গ মনের নিত্য!!!
আপনার ধন্যবাদ স্বানন্দে গ্রহণ করলাম রহিম ভাই।
আপনি যথার্থই বলেছেন, বলির পাঠাই।
দোয়া করবেন যেন আমৃত্যু চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারি।
ভন্ড ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোতেই রয়েছে সাচ্ছা ইমানের পরিচায়ক।
কিছু ভন্ড ফতোয়াবাজের জন্য প্রকৃত ফতোয়া দানকারীরা কোন অবদান রাখতে পারছে না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
আপনার যথার্থ-সঠিক উপলব্ধিতার সাথে অবশ্যই একমত আমি!
সমাজে ধার্মিক বলে স্বীকৃত ব্যক্তিরাও বিয়ের ক্ষেত্রে কেমন যেন এ বিষয়ে উদাসিন হয়ে যায়!
অনৈসলামিক ব্যাপার গুলোও যেন ছাড় পেয়ে যায়!
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত এবং হেফাজত করুন!আমিন!
দুমুখো সাপদের পরিণতি আখেরে ভালো হবে না, ইবাদত বন্দীগিতে যতই নাম দাম করুক।
আমিন। ছুম্মা আমিন।
আমার লেখা সুন্দর মূল্যায়নের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
জেনে ভালো লাগল, আমার কথাগুলোই আপনাদের কথার প্রতিধ্বনি।
আমিন, ছুম্মা আমিন। মন্তব্যের ধন্যবাদ রইল।
ভাল লাগল, কিন্তু বিয়ে করতে গেলে দেখবেন নানা জনের নানা কথায় কান ঝালা পাল হয়ে যাবে, আর যদি কাছের লোকের সাপোর্ট না পান তাহলে আর অসহায় লাগবে....
বোন, আমি দেখেছি, ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছে, যার দগ দগে ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি।
কিছুদিন তো বড্ড বেশি একা লাগছিল, তবুও ধর্মকে ভন্ড সামাজিকতার উপর অগ্রাধিকার দেবই। ইনশাআল্লাহ।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট, এই সময়ের জন্য। ধন্যবাদ..
সুন্দর মূল্যায়নের শুভেচ্ছা নেবেন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মিনহাজ ভাই।
আপনি ঠিক বলেছেন, চির পরিচিতেরাও এমন অপরিচিত হয়ে যায়।
ঐক্যবদ্ধ হলে অসম্ভব নয় সমাজ থেকে এমন অনাচার দূরীভূত করা।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
আর হ্যাঁ, ব্লগে নিয়মিত হবে
মন্তব্য করতে লগইন করুন