প্রিয় খাবার: মরিচ পোড়া আলুভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৫ জুন, ২০১৫, ০৭:৫২:৩৯ সন্ধ্যা
আপনারা প্রিয় খাবারের তালিকায় হয়ত হাজার রকমের দামী সব খাবারের নাম দেবেন। আমার বাবা দামী খাবারের প্রতি সামান্যও আকর্ষণ নেই। সময়মত যেমন তেমন একটা খাবার পেলেই হল, বিসমিল্লাহ বলে সোজা পেটে চালন করে দেই। আর সোজা চালান করার জন্য পান্তাই সবচাইতে সহজ খাবার। শুধু কি সহজ? স্বাদেও অতুলনীয়, সাথে যদি থাকে পোড়া মরিচ দিয়ে আলুর ভর্তা। বলছি আমার প্রিয় খাবার পান্তা ভাতের কথা। লোক মুখে শুনেছি পান্তা খেলে নাকি শরীর মোটা হয় অথচ আমি বাল্যকাল থেকে চিকনাই রয়ে গেলাম।
চোরে চুরি করে স্বর্ণ, গয়না, হীরা, জহরত, মণি, মুক্তার মালা ও টাকা-পয়সা ইত্যাদি। কিছু পাতি চোর আছে, যারা ঘরের জামা কাপড়, হাঁড়ি পাতিলও চুরি করে থাকে। ঘরের খাবার চুরি করে, এমন চোরের সংখ্যাও কম নয়। পান্তাখোর চোর এবং পান্তা বুড়ির সর্বজনশ্রুত গল্পটি নিশ্চয় সবার মনে আছে? চলুন একবার স্মরণ করি-
‘বুড়ির পান্তা ভাত রোজ চুরি করে খেয়ে যায় চোর। তারপর একদিন অতিষ্ঠ হয়ে বুড়ি এক জবর ফন্দি আঁটে। ঘরের দরজার পাশে গোবর লেপে দেয়। বেড়ার দরজা ভেঙে ঢুকার মুখে জমিয়ে রাখে বিষাক্ত কাঁটার লতা। পান্তা ভাতের থালা রাখে চুলোর উপর। ব্যস, রাতে চোর দাওয়ায় পা দিয়েই পিছলে যায়। দরজা ঠেলে ঢুকতে গিয়ে কাঁটার ঘা খায়। তবু এগিয়ে যায় পান্তার থালার দিকে। যেই মাত্র থালায় হাত দেয়, অমনি কাঁসার থালার গরমে হাতে ফোস্কা পড়ে। জ্বালা কমাতে হাত ডুবিয়ে দেয় মটকার ভেতরে রাখা পানিতে। অমনি মটকার ভেতরের শিংমাছ গালা দিয়ে তার হাতের বারোটা বাজিয়ে দেয়। চোর ‘মারে-বাবারে’ বলে উর্ধ্বশ্বাসে পালায়'।
পাঠক, আমি চোর নই, তবে পান্তা খাই বেশি! পান্তা চুরি করিনি, কিন্তু প্রতিযোগিতায় মেতেছিলাম ভাই বোনদের সাথে। আজ যখন পান্তা নিয়ে লিখছি, সেই সকালগুলো স্মৃতির পাতায় জ্বল জ্বল করছে। ফজর নামায পড়েই দৌড় বাড়ির দিকে, লক্ষ্য পান্তা ভাত। কার আগে কে পাতিলে হাত দেবে। রাতে খাওয়ার পর যে সামান্য কিছু বাসি তরকারী, ঝোল থাকত, তা নিয়েই হামলে পড়তাম। পান্তাভাত দিয়ে কত আয়েশ করে খেতাম, আহ! মনে করতেই জিবে জল এসে গেলো! তরকারী না থাকলে পাতিলে পান্তাভাত ঢেলে ঝোলের সাথে মিশিয়ে পাতিল মোছা ভাত ভাগ করে আরামচে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতাম।
আমার খুব মনে পড়ে এবং এখনো বাড়ি গেলে তাই করি। হরেক রকমের নাস্তা বানালেও আমার অনুসন্ধানী চোখ আজো পান্তার দিকেই। মা বলে, “জুনা বুড়া আইছে, তারে আগে পান্তা ভাত দাও, তারপর পিঠা চিড়া”। জুনা ছিলেন সম্পর্কে আমার দাদা। উনারা খুব গরীব ছিলেন। আমাদের বাড়িতে প্রায় আসতেন। গল্প করতেন। মা পেট ভরে খাইয়ে দিতেন। উনি সবসময় মায়ের কাছে পান্তা ভাত চাইতেন গরম ভাত থাকা সত্ত্বেও। আমাকে বলেন, আমিও নাকি জুনার বৈশিষ্ট্য পেয়েছি। তিনি ছিলেন রাতকানা রোগে আক্রান্ত। এক রাতে বের হয়ে লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার পাশে মুখ থুবরে পড়ে মারা যায়। আল্লাহ্ উনাকে জান্নাত নসীব করুন।
ফজর নামায পড়েই ঘরে এসে পাতিল দেখে খেতে বসতাম। আমি কখনো ক্ষুধা লাগলে মা বোনদের বলতাম না, আমায় খাবার বেড়ে দেন বরং নিজে নিজেই নিয়ে খেতাম, আর মা বোনেরা তাদের কাজে ব্যস্ত থাকতো। বউয়ের জন্য আমার এই সেলফ সার্ভিসটি স্বস্তিদায়ক হবে আশা করি। আমি পান্তার পাগল বিধায় মা রাতে সেভাবেই ভাত রান্না করতেন, যাতে করে কিছু ভাত অতিরিক্ত থাকে। অনেক সময় খুব সকাল উঠে আলু সিদ্ধ করে রাখতেন। আমি এসে পোড়া মরিচ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খুব মজা করে খেতাম। যদি কোনদিন পাতিলে পান্তা না পেতাম, রেগে মেগে কান্নাই করে দিতাম। “হডি জানে, আই হত্যেক দিন হানি ভাত খাই, এর হরেও আঁর লাই ভাত রায় ন! আঁর হেডে বুক লাগে ন?”
মা কতো করে বলত, আচ্ছা বাপ, একদিন পান্তা না খেলে কি হয়? মা তোরে হিডা বানায়ে দেই, তবুও নায়ে কান্দা বন্ধ কর বাপ! শীতের সময় শীতের পিঠা, গরমে আম কাঠাল, চিড়া মুড়ির দাওয়াত করে বাড়ি নিয়ে যায়, আর আমি করি সেই চিরায়ত কাজ! এতোসব নাস্তা বাদ দিয়ে পান্তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তবে এইসব যে খাইনা তা কিন্তু নয়। মায়ের মন খুশি রাখার জন্য সবকিছুই খাই, কিন্তু সবি খাওয়া হয় পান্তা ভাত খাওয়ার পর। কেন খাবো না? শহরে কি পান্তা খেতে পাই? দীর্ঘদিন পান্তার জন্য লালায়িত থেকে বাড়ি গেলে পান্তা এড়িয়ে যাওয়া কি সম্ভব? সম্ভব নয়।
প্রতি সকালে আমার পান্তা খাওয়ার অভ্যাস। এখন খুব একটা খেতে পারি না, মানে খাওয়ার সুযোগ হয় না, ঐ যে বলে না, জামাই পায় না দেখে খায় না, আমারও হয়েছে তাই। প্রতি সকালে পান্তা খেলেও খাইনা শুধু পহেলা বৈশাখের সকালে। একদিনের জন্য বাঙালি হতে আমার ঘোর আপত্তি। সারাবছর গরীব কৃষকের পান্তা খাওয়া দেখে ঘেন্নায় নাক ছিটকায়, আর একদিন সে ঘেন্নার বস্তুটি খেয়েই খাঁটি বাঙালি বনে যায়। হুজুগে বাঙালি!
হলে থাকতে ক্যান্টিনে সকালে পরোটা, টুন্ডুল রুটি, রাতে খাওয়ার পর অতিরিক্ত থেকে যাওয়া কড়কড়ে ভাত পরিবেশন করতো। রুটি পরোটা বাদ দিয়ে ভাতের সাথে ডাল আর আলুভর্তা মেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতাম। পান্তা ভাতের কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ে যায় শ্রীঘরের কথা। এই পান্তাখোর সেখানেও মোটা আটার রুটির পরিবর্তে পান্তা ভাত আর আলুর ভর্তার প্রচলন করে এসেছি। মেট/পাহারাদারকে বলে মরিচ কিনে পুড়িয়ে আনাতাম, আর আগের রাতের কিছু ভাত রেখে দিয়ে সকালে ভর্তা দিয়ে অনেক স্বাদ করে খেতাম। আলুর ভর্তার পান্তার ফ্লেভার এখনো যেনো মুখে লেগে আছে! দুখের কথা কি বলব, এখনত বাসায় খালা খুব সকালে এসেই গরম ভাত পাকায়ে যায়, পান্তা আর খাওয়া হয় না, অবশ্য পান্তা থাকলেও আরশোলার উপদ্রবের কারণে খেতে ভরসা পাই না।
পান্তা যখন এত প্রিয়, তখন আবার এই পান্তাই আমার চোখের পানি ঝরিয়েছে। এই পানি ঝরা মরিচের ঝাঁঝে নয়, কষ্টের তীব্রতার কারণে। ছেলেপেলে লজিং থেকে কত কষ্ট করে পড়াশোনা করে। আমারও ইচ্ছে হল লজিং থেকে তাদের কষ্ট উপলব্দি করতে। যদিও মাদ্রাসা থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব এক মাইল। লজিং থাকার মত এত বেশি অভাবও ছিল না। নবম শ্রেণী থাকাকালে এক বাড়িতে লজিং ছিলাম। খাওয়া দাওয়া ঘুম আর তাদের বাচ্ছাদের পড়াতাম, এই ছিল কাজ। পান্তা আমার খুব পছন্দ জেনে বাড়ির গিন্নী নাস্তা বানানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পেল। প্রতি সকালে পান্তা ভাত ছিল আমার নাস্তা। আমার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীও পান্তাভাত খাওয়া শুরু করল।
এক পরীক্ষার দিন সকালে আমার সামনে পান্তা ভাত আর শূটকী ছালুন পরিবেশন করে। কি খাব ভাত, দুঃখে কষ্টে চোখের পানি টপ টপ করে প্লেটে পড়তে লাগল। লুঙ্গী দিয়ে বারবার নাকের পানি মুছে নিচ্ছিলাম। অবুঝ ভাবনাগুলো মাথাটাকে কুঁড়ে খাচ্ছিল। মনে মনে বললাম “কেন পরীক্ষার দিন শুঁটকী আর পান্তা খাওয়াতে হবে? আমি পরের ছেলে বলেই কি? তারাতো জানে আমার পরীক্ষা, একটু ভালো মন্দ কি খাওয়ানো যেতো না? আমার মায়েতো কখনো পরীক্ষার দিন পান্তা ভাত অথবা যেমন তেমন তরকারী দিয়ে খাওয়ান নি, চেষ্টা করেছেন পরীক্ষার দিন অন্তত ভালো খাবার মুখে তুলে দিতে”। গলা ধরে আসে, কান্না করতে করতে দুঃখ হালকা করি। এই পান্তা আমার মুখরোচক খাবার, আবার পান্তাই আমায় খুব করে কাঁদালো।
এখন আমার পান্তা খাওয়া দেখে অনেক পাঠক হয়তো বলবেন, ভাই, পান্তা খাওয়া বন্ধ করুন!!! পান্তা খাওয়াতে কোন উপকার নেই, শুধুই অপকারিতা! আবার অনেক পাঠক হয়তো বলবেন, না ভাই, আপনি পান্তা খাওয়া চালিয়ে যান, পান্তায় রয়েছে হাজার রকমের উপকার, পান্তা এই প্রচন্ড গরমে স্বাস্থের জন্য খুব ভালো। আসলেও তাই। পান্তার উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে দুই রকম মতামত আছে। মতামত যাই থাকুক, পান্তাখোরের কাছে ‘পান্তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর’ বলে চিল্লালে কোন লাভ হবে না, যেমন লাভ হয় না সিগারেট খোরদের কাছে ‘সিগারেট ক্যানচারের ঝুঁকি বাড়ায়’ ওয়াজ করে।
আজ আমাদের বাসায় খালা আসেনি, সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যেতে হবে, তাই রান্নাঘরে হানা দেই, একি ভাত রান্না হয় নি! খালাকে বোধ হয় আজও দমকা ব্যারামে ধরেছে! মেজাজ খানিকটা খারাপ হয়ে গেলো। কিন্তু হাঁড়িতে কিছু ভাত, কড়াইতে রাতের তরকারী দেখতে পেয়ে আমার মেজাজটা বরফের মত ঠান্ডা শীতল হয়ে গেলো। বিস্কুট চানাচুর আর মুড়ি সংরক্ষণে থাকা সত্ত্বেও ভাত ধুয়ে পান্তা করে খেলাম। আহা আহা আহা! কি যে ভালো লেগেছে! ভাবতেই জিব্বায় জল এসে যায়! এমন বাড়িতে বিয়ে করবো, যেখানে পান্তা খাওয়ার সুব্যবস্থা আছে, নয়তো জামাই পান্তার পাগল বলে মান ইজ্জত সব লাটে উঠবে!
বিষয়: বিবিধ
৪৬০২ বার পঠিত, ৪৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটিকে সুন্দর বলে মূল্যায়ন করার জন্য।
মন্তব্যের জন্যও ধন্যবাদ নেবেন।
অনবদ্য উপস্থাপনা অনেক ভালো লাগলো। লিখাটির জন্য শুভ কামনা। জাজাকাল্লাহূ খাইর।
হেই বড় বোনটি! আপনার উপস্থিতি দারুণ লাগছে। কেমন আছেন, ব্যস্ততা সেরেছে? অনেক দিন লেখা পোস্ট করলেন, দেখেছি, এখনো পড়িনি, তবে ইনশা আল্লাহ্ পড়বো।
জেনে খুব খুব খুশি হলাম চুরির গল্পটি ভালো লেগেছে। হুম, আমি হবো বউয়ের সহযোগী হবো, সহধর্মী, সহমর্মী, শরীয়তসম্মতভাবে প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে আদেশ নিষেধ করবো, কিন্তু হাঁটতে বসতে হুকুমদাতা হবো না।
আপনি যখন বলেছেন উপস্থাপনা ভালো হয়েছে, তখন খুশিটা একটু বেশিই লাগে। আপনার প্রতিও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
মানে আমাদেরকে না জানিয়ে বিয়েটা সেরে ফেললেন!, খুব হয়ে মাইরি, আমি সংবাদটা আগে পেলে প্রবাস থেকে চলে আসতাম। আপনি পান্তাখোর হলেও আমি বিয়ে খোর হওয়ার চেষ্টা করতাম। অনেক শুভেচ্ছা রইল পান্তাখোন সাকা ভাই।
বলেন কি, আপনারও প্রিয়!!! খুব ভালো লাগল জেনে। আমার শীত গরম নেই, সব কালেই পান্তা আমার প্রিয়।
ওহ ওহ!!! আমার অবশ্য অভিজ্ঞতাটা হয় নি। আমাদের সব ক্ষেত ভালো করে চিনে না, আর মাচার উপর খাওয়াতো দূরে থাক।
মানে আমাদেরকে না জানিয়ে বিয়েটা সেরে ফেললেন! ঐ কথাটুকু মাকে উদ্দেশ্য করে বলেছি, বউকে নয়!!!!! পাজি পাজি পাজি!!!! বুড়া হলেও স্বভাব কি আর যায় পুরুষ মাইনসের! শরীয়তসম্মতভাবে জান্নাতের আয়ের অনুমতি নিয়ে আরো তিনটা
করতে পারবেন, কোনো সমস্যা নেই। হয়ে যান বিয়ে খোর।
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল জান্নাতের বাবা পাজি!
পাজি মন্তব্যটির পাজি ধন্যবাদ দিলাম।
ঐ ঐ ঐ দেখাযায় তালগাছ,
ঐ ঐ ঐ আমাদের গা,
ঐ ঐ ঐ খানেতে বাস করে,
কানা বগির ছা,
ও বগি তুই খাসকি,
পানতা ভাত চাসকি,
পানতা আমি খাইনা,
পুটি মাছ পাইনা,
একটি জদি পাই,
অমনি ধরে ঘপস ঘুপুস খাই।
পুটি মাছ পাইনা,
একটি জদি পাই,
অমনি ধরে ঘপস ঘুপুস খাই।
ও হুক! পাই না দেইখ্যা খাই না! আমারে কেউ দেয় না! যেভাবে লিবিস্টিক মার্কা ঠোঁট চাটতেছেন, তাতে করে পেটের নাড়ি ভুঁড়ি শুদ্ধা লাল হয়ে যাবে!
ছড়াটি পড়েনি এমন কে আছে
পান্তা কাহিনী ভাল লাগল ধন্যবাদ সাকা ভাইয়া ।
আমিওতো অবাক হলুম! জান্নাতের বাবা পাজিটা, আর মিনহাজ ভাইও দেখি পান্তা পছন্দ করে! আমি ভাবলাম, আমিই শুধু জঙ্গল থেকে উঠে আসলাম।
পনি, আপনার ভাললেগেছে জেনে খুব খুব আনন্দিত হলাম।
আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
যথার্থই বলেছেন, ওরা একদিন এটা সেটা করে ওদের বাঙ্গালীপনা দেখাতে চায়, আর আমরা সারাবছর বাঙালির মত থেকেও হতে পারি না আসল বাঙালি।
তবে তৃপ্তি সাময়ীকের জন্য, আর আমাদের তৃপ্তি সারাবছরের জন্য। ওরা পরোক্ষভাবেই এইরকম করেই নিজেদের ঠকায়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন।
এটা আমারও প্রিয় খাবার সেই ৩০ বছর আগে থেকে........
আচ্ছা আচ্ছা, আমাদের রাজপুত্তুরের বয়স তাহলে ত্রিশে পৌঁছেছে! মাশাল্লাহ বেঁচে থাক বাপ!
এই খাবারটা এতোজনের প্রিয়, ভাবতেও পারি নি!
আপনার কথায় ইনশাআল্লাহ্ সাড়া দেবো। "আসুন বন্ধুরা, প্রতিদিন মৃত্যুর কথা একবার হলেও স্মরণ করি'।
সুন্দর মন্তব্যটির ধন্যবাদ নেবেন।
মানুষ যে পান্তাখোর হয় সেটা আপনার এ লেখা না পড়লে বোঝবে না।
যায় হোক আপনি যেমন পান্তাখোর ঠিক আমিও ভাতের সাথে ডাল আর আলুভর্তা খেতে অনেক পছন্দ করি।
মানুষও যে পান্তাখোর হতে পারে, তা আপনাকে আমার লেখা দিয়ে বুঝাতে পেরেছি, তার জন্য আমার আত্মতৃপ্তির ঢেকুর আসতেছে।
ঐ আপনার আমার খাওয়া একই, যাহা বাহান্ন তাহাই তেপ্পান্ন, পার্থক্য শুধু আপনি গরম খান, আর আমি পানি দিয়ে ঠান্ডা করে খাই।
আমার আর আপনার পছন্দ এক, জেনে খুব খুব ভালো লাগছে।
সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
বোন আমার, শীতের দেশে যাবার অভিজ্ঞতা নেই, এই নাতিশীতোষ্ণ দেশেই পড়ে আছি, তাই অন্য দেশের কথা কি করে বলি! প্রিয় দেশ নিয়ে একটা লেখা লিখে ফেলুন না! এই অপশনটায় আমার লেখা হয়ে উঠবে না।
ওখানে যখন ভালো লাগে না, দেশে আসলে আমার বাড়িতে পান্তা খাওয়ার দাওয়াত রইল, আসবেন কিন্তু, গরীবের বাড়িতে ধূলা দিয়ে যাবেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বোন, অভিজ্ঞতাসমেত মন্তব্যটি করার জন্য।
সার্বজনীন কিনা জানিনা, তবে গ্রামের মানুষের খুব প্রিয় একটা খাবার এই পান্তা।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
বেশি অভিজ্ঞতা নিলেই হয়!
এক নম্বরটা কি তাতো বললেন না! যাক আমার প্রিয় খাবার আপনিও পছন্দ করেন জেনে খুব ভালো লাগল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের সাথে সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
সর্বশেষ কবে পান্তা খেয়েছি মনে করতে পারছি না! প্রবাসে আসার পর আর খাওয়া হয়নি তা লম্বা সময় পার হয়ে গেছে!
ভর্তা আমার বরাবর প্রিয়! আজকেও একবাসায় আমরা সবাই মিলে ভর্তার দাওয়াত খেলাম!
আপনার ভালোলাগার প্রিয় খাবারটির কথা জেন এভালো লাগলো! শুভকামনা রইলো!
আমার প্রিয় খাবার বর্ণনার সাথে আপনার খাবারের বর্ণনাও পেলাম, খুবই ভালো লাগল।
আপনার জন্যও শুভকামনা
রুটি আই পাইনা
একটা যদি পাই
হালুয়া দিয়ে খাই।
এতো সুন্দর কবিতাগুলো, এখন মিস করি
মন্তব্য করতে লগইন করুন