জয়নব আল গাজালী সত্যের ধ্বজাধারীদের জন্য একটি প্রেরণা একটি সাহসের নাম
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ৩০ মে, ২০১৫, ০৫:০২:৩৮ বিকাল
আমার প্রিয় বই- 'কারাগারের রাতদিন'।
ইসলামের প্রথম শহীদ পুরুষ নয়, বরং একজন নারী। তিনি আর কেউ নন, আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দী হজরত সুমাইয়া (রাঃ)। নবী মুহাম্মদ (স আনীত ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে একজন নারী হয়েও প্রথম শাহাদাতের নজির স্থাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। সুমাইয়া প্রথম, সুমাইয়াই শেষ শহীদ নয়। তাঁর পরেও অসংখ্য নারী জাগতিক ভালোবাসাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে আল্লাহর ভালবাসায় মত্ত হয়ে দ্বীনের পথে শাহাদাত বরণ করেন এবং আরো অনেকে জালিমদের শত জুলুম নির্যাতন সয়েও তেজদ্দীপ্ত সাহস বুকে নিয়ে আমৃত্যু লড়ে গেছেন তাগুতী শক্তির বিরুদ্ধে। সে ধারাবাহিকতার অংশ মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের মহিলা শাখার নেত্রী জয়নব আল গাজালী।
জয়নব আলা গাজালী ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য, বর্বর, ভয়াবহ, লোমহর্ষক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েও মিথ্যার পক্ষে এতোটুকু পর্যন্ত টলে যান নি, মিথ্যার ধারক ও বাহকদের চোখ রাঙ্গানী, মানুসিক পীড়ন, শারীরিক নির্যাতন সত্ত্বেও ক্ষণিকের জন্য সাড়া না দিয়ে সত্যের পথে শেষ পর্যন্ত ছিলেন অটল অবিচল। তাঁর রচিত ‘কারাগারের রাতদিন’ বইটির প্রতি পাতায় পাতায় যার সবিস্তারে বর্ণনা প্রতিটি পাঠকের হৃদয় দারুণভাবে আন্দোলিত করবে।
সত্যের পথে আন্দোলনরত প্রতিটি কর্মীর জন্যও জয়নব আল গাজালী হতাশায় আশার নাম, জালেমের ভয়ংকর মূর্তির সামনে ভয়ে কম্পমান মুহুর্তে সাহসের নাম, বিশ্বাসের দৃঢ়তা যখন সংশয়ে কবলে, তখন গাজালী প্রেরণার নাম। মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের পক্ষে অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে থাকতে, সীমাহীন জুলুম নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার বুকের উপর চাপিয়ে দেয়া সত্ত্বেও সত্যের পক্ষে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের জন্য জয়নব আল গাজালী রচিত ‘কারাগারের রাতদিন’ বইটি পড়া অতীব জরুরী।
এই বইটি আমি প্রথম পড়েছি আজ থেকে দশ বারো বছর আগে। যতই পড়তাম, চোখের জলে কপোল ভিজে যেতো, কান্নায় গলা ধরে আসতো, মনে বাসনা জাগতো, আমিও হবো এই পথের পথিক, দুদিনের দুনিয়ায় টিকে থাকা কষ্টকর হলেও আখেরে কামিয়াবী হবো আমরাই। সত্যের পথে সক্রিয় অংশগ্রহণে এই বইটি যে অনেক ভূমিকা রেখেছে তা অনস্বীকার্য। এটা এমন এক বই যা বারবার পড়লেও কখনো বিরক্তি আসবে না, বরং প্রতিবার পড়ার পর সত্যের পক্ষে আন্দোলনের পথে নিজের বর্তমান অবস্থান পরিষ্কার হয়ে উঠবে।
জয়নব আল গাজালী অথবা বইয়ে বর্ণিত ব্রাদারহুড কর্মীদের অবর্ণীয় জুলুম নির্যাতন সয়ে যাবার পরেও সামান্য সময়ের জন্য মিথ্যার কাছে মাথা না নোয়ানো আত্মবিশ্লেষণে সহায়ক হবে। তারা কতটুকু ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করেছেন, আর আমরা কতটুকু করছি। শ্রীঘরে দীর্ঘদিন থাকালে চরম হতাশার সময়ে এই বইটি সান্ত্বনা হিসেবে কাজ করেছে। খুব ভেঙ্গে পড়লে ভাবতাম জয়নব আল গাজালীদের উপর অত্যাচারের তুলনায় আমাদের উপর টর্চার কিছুই না, এই সামান্যতে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি! তখন মনে স্বস্তি বিরাজ করতো। কারাভোগকে পান্তাভাতই মনে হতো।
বইটি পড়তে পড়তে বাষট্টি পৃষ্ঠার তেইশতম লাইনে গেলে শুরু অবাক বিস্ময়ে হতবাক হওয়ার পালা। কোমল হৃদয়ের পাঠকদের চোখের পানি ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে। সত্যের পথে নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরাও ধেয়ে আসা বানের পানির মত অপ্রতিরোধ্য চোখের পানি রধ করতে পারবে না। একজন নারী বন্দীর প্রতি এমন জঘন্য আচরণ ভাবাই যায় না। চলুন শুনে আসি জয়নব আল গাজালীর অত্যাচার সয়ে বিশেষ কয়েকটি মুহুর্ত তাঁরই মুখে-
চব্বিশ নম্বর কক্ষের পথেঃ আমার দুহাত পিছমোড়া বেঁধে কারাগারে নিয়ে চলল। আমি দেখলাম, ইখওয়ানের কর্মীদের বিবস্র করে থামের সাথে কষে বেঁধে চাবুক মারা হচ্ছিল, তাতে তাদের চামড়া ফেটে শতধারায় রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল, কাউকে মেরে তাদের উপর ক্ষুধার্ত কুকুর ছেড়ে দেয়া হচ্ছিল। এইসব দেখে যখনি আল্লাহর নাম মুখে নেই, জল্লাদ শুনে আমার কান পট্টির উপর মুষ্ঠাঘাত হানে, আঘাতের তিব্রতায় আমাই বধির হয়ে পড়ি বেশ কিছুক্ষণ সময়ের জন্য। আমার উপর চাবুক এবং হান্টারের আঘাত শপাং শপাং বৃদ্ধি পেয়ে চলছিল। জালিমদের মুষ্ঠাঘাত পিঠের উপর বর্ষিত হচ্ছে বৃষ্টির মত । তারপর এক অন্ধকার ঘরেঢ় দরজা খুলে তাতে রেখে দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দিল।
চব্বিশ নম্বর কক্ষেঃ বিসমিল্লাহ বলে অন্ধকার কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই তীব্র বৈদ্যুতিক আলোকে চোখ ধাঁধিয়ে উঠে। পুরো কক্ষটি কুকুরে ভরা। সারা শরীর জুড়ে অসংখ্য কুকুরের অসহ্য দংশন চলছিল। কুকুরের দংশনের কথা ভুলে গিয়ে আল্লাহর জিকিরে মশগুল হয়ে পড়ি। হঠাৎ কক্ষের দরজা খুলে যায় এবং আশ্চর্যজনকভাবে পরনে পরিহিত সাদা পরিচ্ছদ রক্তে লাল হয়ে যাবার পরিবর্তে সাদাই থেকে যায়। আল্লাহর সে কি গায়েবি রহমত।
তিন নম্বর কক্ষেঃ তিন নম্বর কক্ষের দরজা খুলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঠেলে দেয়া হলো। তীব্র আলোক সম্পন্ন বৈদ্যুতিক বাতির আলোকে চোখ খোলা রাখা মুশকিল। নামাজের জন্য ওজুর পানি চাইলে কারারক্ষী শূন্যে হান্টার ঘুরিয়ে বলে খবরদার! পানি চাওয়া নিষিদ্ধ, ওযু করা ও পানি খাওয়া নিষিদ্ধ। অনন্যোপায় হয়ে তায়াম্মুম করে চাদর বিছিয়ে এশার নামায করি। কক্ষের ভ্যান্টিলেটরের সামনেই একটি গুলি কাষ্ঠে সত্যের পথে আন্দোলনের কর্মীদের চড়িয়ে নির্যাতনের নিত্য নতুন কৌশল অনুশীলন শুরু করে। চাবুকের প্রতিটি আঘাতের সাথে তাদের মুখ থেকে বের হতো শুধু ইয়া আল্লাহ্, শব্দ, ব্যাস।
শামস বাদ্রানের কবলেঃ কে পাচঁশো চাবুক লাগাও। নির্দেশমত আমাকে লটকিয়ে এক দুই করে চাবুকের মার পূর্ণ করতে শুরু করে। আমি অসহ্য যন্ত্রণায় আল্লাহকে ডাকছিলাম। শামস বাদরান ভেংচি কেটে বলছিলো, কোথায় তোর আল্লাহ্, ডাক তোর আল্লাহ্কে। পাঁচশো চাবুক শেষে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে অচেতন হয়ে পড়ি। পরে দেখি পাশে ডাক্তার। কমলার রস খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হলেও আমাকে তা দেয়া হয় নি।
শামস বাদরান সামরিক কারাগারে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া সবচেয়ে হিংস্র দুটি কুকুর আমার উপর ছেড়ে দিলো। তারা বিষদাঁত ও থাবা দিয়ে আমাকে আক্রমণ করলো। আমি অনন্যোপায় হয়ে আল্লাহর সাহায্য চেয়ে প্রার্থণা করলাম- ‘হে আল্লাহ্, আমাকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করো’। পরে ডাক্তার এলো, সে বলল, সেদিনের মত আমাকে যেনো আর চাবুক মারা না হয়, কেননা আর আঘাত সইবার ক্ষমতা তার নেই।
নতুন সে’লে ঢুকে আঁতকে উঠি। সে’লের ঠিক মাঝখানে একটি আগুন জ্বলছিল। এক জল্লাদ আমাকে চাবুকের আঘাত করে আগুনের কাছাকাছি প্রবেশ করতে বলে। কাছে গেলে অন্য এক জল্লাদ চাবুক মেরে দূরে সরিয়ে দেয়। পুরো দু ঘণ্টা ধরে আমি আগুনের সে’লে জ্বলতে পুড়তে ও চাবুক খেতে থাকি।
শামস বাদরান আমাকে ইখওয়ান সম্পর্কে মিথ্যে লিখতে বলে, কেন জামাল নাসেরকে খুন করতে চেয়েছি? আমি লিখতে শুরু করি, আমরা লোকদের জানাতে চেয়েছিলাম অত্যাচারী মানুষের অনুসরণ না করে আল্লাহর দ্বীনের অনুসরণ করা উচিত এবং কিভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, কেমন করে ইএ পৃথিবীতে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করবে...।। হঠাৎ আমার হান্টার চালনো শুরু হলে আমি চিৎকার দিয়ে বলি, আমি মিথ্যে লিখবো না, আমাকে মেরে ফেললেও লিখব না, আমার কাছে পৃথিবীর কোন মূল্য নেই।
আমাকে লটকিয়ে রাখার ব্যবস্থাদি পূর্ণ হলে আমি তাদের কাছে পরার জন্য একটি ফুলপ্যান্ট চাইলাম। পাশের রুম থেকে ফুলপ্যান্ট পরে ফিরে এলে শামস বাদরানের নির্দেশে আমাকে শূন্যে লটকিয়ে দেয়া হয় এবং সাথে সাথে শুরু সে তাণ্ডবলীলা। তারা কে কার চাইতে বেশি পেটাতে পারে তারই যেনো প্রতিযোগিতা চলছিল। ব্যথা বেদনা যখন সহ্যের সীমা অতিক্রম করলো, ইয়া আল্লাহ্ ইয়া আল্লাহ্ ধ্বনি তুলছিলাম......
পাঠক, জয়নব আল গাজালীর উপর নির্মম অত্যাচারের খুব সামান্য কিছু অংশ এখানে তুলে ধরেছি। আরো অসংখ্যভাবে নতুন নতুন কায়দা কৌশলে উনাকে শাস্তি দিয়েছেন, যেমন ঘন্টার পর ঘণ্টা পানির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন, বসার চেষ্টা করলেই চাবুক মেরেছেন, হাঁটার শক্তি না থাকা সত্ত্বেও দৌড়াতে বাধ্য করতো, উনার সামনে অন্য বন্দীদের এনে ব্যাপক নির্যাতন করতো মনে ভয় সৃষ্টি করার জন্য, যার বর্ণনা আপনারা বইটি পড়ে থাকলে পেয়ে থাকবেন, আর যারা এখনো পড়েন নি, তারাও পড়ে নেবেন।
আমি বিস্মিত না হয়ে পারি না, একজন নারীর পক্ষে এতো জঘন্য, ভারী শাস্তির মুখোমুখী হয়েও সত্যের পথে সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য দৃরস্থির থাকা কিভাবে সম্ভব? অসংখ্যবার গলায় বন্দুক ঠেকিয়ে, নানানভাবে মানুসিক পীড়া দিয়ে জোরপূর্বক উনার কাছ থেকে মিথ্যা সাক্ষ্য নিতে চাইলেও উনাকে টলাতে পারেন নি। কিভাবে সম্ভব? ইমানী শক্তিতে কতোটা বলীয়ান হলে, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের ভালোবাসা তাঁর হৃদয়ে কতোটা গ্রথিত হলে, সত্যের প্রচার ও প্রসারকে সত্যকার অর্থে জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য করে নিলে হাজারবার যমের মুখে পড়েও অবিচল চিত্তে সত্যের গুনগান গেয়ে যেতে পারেন!
যখনি অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন, আল্লাহকে একমাত্র ভরসা জেনে তখনি আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন। পৃথিবীর শক্তিধর কোন রাজা বাদশার কাছে চান নি। তাঁকে অসংখ্যবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, “এতো অত্যাচার করলাম, তবুও তোর আল্লাহ্ আসে নি, কখনো তোকে সাহায্য করতে আসবেও না, শুধু একবার প্রেসিডেন্ট জামাল নাসেরের কাছে সাহায্য কামনা কর, রাতারাতি মুক্তি পেয়ে যাবি”।
কিন্তু না, এক সেকেন্ডের জন্য আল্লাহকে স্মরণ করতে ভুলে যান নি। জালিম শক্তির হাতে ধৃত প্রতিটি সত্যের ধ্বজাধারীর জন্য জয়নব আল গাজালীর কারাগারের রাতদিন গ্রন্থ থেকে চরম শিক্ষা রয়েছে। অত্যাচারের কঠিন মুহুর্তেও সত্যের পতাকাবাহী প্রতিটি কর্মী যদি জয়নব আল গাজালীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে, তাহলে সত্যের বিজয় সুনিশ্চিত, অপরদিকে মিথ্যার সব দম্ভ অহংকার ভেঙ্গে হবে চূর্ণ বিচূর্ণ। প্রভূ সহায় হোন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৬৯ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বইটি আমারও অত্যন্ত প্রিয় বই। ইসলাম কায়েমে কত ধৈর্যের প্রয়োজন সেটা শিখা যায়।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অত্যন্ত খুশি হলাম। ভাললাগা অব্যাহত রাখবেন।
আরো জেনে ভালো লাগলো, আমার প্রিয় জিনিসটি আপনারও প্রিয়। যথার্থই বলেছেন, তিনি যেনো ছিলেন ধৈর্যের পাহাড় হয়ে। আল্লাহ্ আন্দোলনের সব কর্মীকে এমনি হওয়ার তাওফীক দিন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেবেন।
চমৎকার একটি বইকে প্রিয় বইতে স্থান দিয়েছে। যারা এই বইটি পড়েননি, সত্ত্বর পড়–ন এবং চরম নির্যাতনকে কিভাবে ধৈর্য্যের সাথে মোকাবিলা করতে হয়, জানা প্রয়োজন। ধন্যবাদ।
আপনার ভেতরে পরিপূর্ণ ইমান আছে বলেই নির্যাতনের কাহিনী চোখে ভাসছে, নতুবা ভাসার কথা নয়।
আমরা এখন চরমভাবে জালেমের জুলুমের শিকার, এই জন্যই এই বইটি বেশি বেশি পড়া দরকার, তাতে ঝিমিয়ে পড়া ইমান বারবার জেগে উঠবে, জালেমদের চোখ রাঙ্গানী, অত্যাচার আমাদের দূর্বল করতে পারবে না। আমাদের মনে হবে, সত্যের পথ কখনো কণ্টকমুক্ত ছিলনা, অত্যাচার নির্যাতন আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য পরীক্ষা, তাহলে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সহজ হবে।
আমার পছন্দকে মূল্যায়ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
হাঁ, যথার্থই বলছেন, কিভাবে ধৈর্যের সাথে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়, তা জানতে বইটি পড়া খুব জরুরী।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
আমিন।
আমিন।
ছুম্মা আমিন।
শেখ ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রার্থণা করে মন্তব্যটি করার জন্য। আপনার প্রার্থণা যা, আমারও তা। আল্লাহ্ আমাদের প্রার্থণা কবুল করুন।
ধন্যবাদ সাকা ভাইয়া ।
আমারও একি দোয়া, ইমান যা দূর্বল, এমন কঠিন পরীক্ষায় আল্লাহর নাফরমানী না জানি করি বসি!!!!! আল্লাহ্ যেনো আমাকে এমন পরীক্ষায় না ফেলেন, যাতে উত্তীর্ণ হতে পারবো না।
পনি, বোন আমার, এতো ধৈর্য নেই বলে বেশি ধৈর্যশীল হওয়ার অনুশীলন কিন্তু থামিয়ে রাখা যাবে না।
মিস পনি, পাজি, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। নেবেন কিন্তু!
আলহামদুল্লিলাহ।সামনে যদি সুযোগ হয় তবে পড়ে নিবো ইংশাল্লাহ।
এইবার কিন্তু খুব করে খুঁজে নেবেন, ঘরে না পেলে বাহির থেকে, অথবা কোনো বন্ধু থেকে নিয়ে এসে অবশ্যই পড়বেন, এটা আমার আবদার আপনার প্রতি।
সুন্র মন্তব্যটি করার জন্যও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই ওসমান।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ কুয়েতের মাটিতে বসে আমার লেখাটি পড়ে ভাললাগার জানান দেয়ার জন্য।
অসীম দয়াময় আপনার এই মহতী প্রচেষ্টাকে কবুল করুণ। সেইসাথে সকল পাঠক ও সংশ্লিষ্ট সকলকেই। ভালো থাকুন খুব ভালো। অনিঃশেষ দোয়া রইলো আপনার জন্য।
আমার অবস্থাও অনেকটা আপনার মত হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি, উনাকে নিয়ে লিখবো, কিন্তু আমার মত ক্ষুদ্র লেখকের পক্ষে উনাকে কতটুকু তুলে ধরতে পারবো, আদৌ পারবো কিনা এই শংকা থেকেই লেখা হয় নি, আজ সাহস নিয়ে লিখেই ফেললাম, আমি জানি ভালভাবে তুলে ধরতে পারি নি, তবুও লিখেছি, কেননা আল্লাহ্ আমাদের চেষ্টা দেখেন, সফলতা নয়।
আপনি পাকাপোক্ত ইমানের অধিকারী বলেই উনার উপর বর্বর অত্যাচারের কাহিনী পড়ে অস্থিরতায়, উনার ব্যাথায় ব্যথিত হয়ে ঠিকমত ঘুমাতে পারেন নি, এই জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করুন, আপনার ইমান বৃদ্ধি করে দিয়েছেন বলে।
নিঃসন্দেহে আপনি আমার চাইতে হাজারগুন বেশি সুন্দরভাবে উপস্থান, যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্লিজ লিখে ফেলুন, তাহলে আমার লেখায় পূর্ণতা আসবে।
একটা সত্য কথা বলি! অনেক দিন পর আপনার পক্ষ থেকে আমার হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া মন্তব্য পেলাম, খুব খুব ভালো লাগছে, আমার বোনটির মন্তব্য পেয়ে।
আমিন আমিন।
আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকুন, আপনার জন্য অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা।
আপনি ঠিক বলেছেন, সত্যের পতাকাবাহীদের এইভাবেই হাজারো দুঃখ লাঞ্ছনা, যাতনা সহ্য করতে হয়েছে, হচ্ছে, এবং যতোদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন করতেই হবে।
আল্লাহ্ আমাদের বিপদে মুছিবতে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তাওফীক দিন এবং সুখের সময়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার তাওফীক দিন। আমিন।
আমার লেখাটিকে সুন্দর বলে মূল্যায়নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জান্নাতের বাবা।
জাযাকাল্লহু খাইর।
ধন্যবাদ
বইটার লিংক জানা থাকলে দিলে উপকার হবে
আমিন, ছুম্মা আমিন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
http://www.somewhereinblog.net/blog/golapblog/29633168
বেশ কিছু বছর আগে আমি পড়েছিলাম! ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে পথ চলা যে কারো জন্য সবরের পরাকষ্ঠা দেখাতে এই বইটি অতুলনীয়!
চমৎকার বইটিকে নিয়ে লিখার জন্য জাযাকাল্লাহু খাইর! আপনার সফলতা একান্ত কাম্য!
আমার সত্যি খুব ভালো লাগছে, আমার প্রিয় বইটি অধিকাংশ ব্লগারই পড়েছে। আমার ভালয়ালাগা এবং খারাপ লাগা যে একই সূত্রে গাঁথা, তা আবারো প্রমাণিত হলো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আন্দোলনের পথে প্রেরণাদানের অপরিহার্য বইগুলোর অন্যতম একটি বই পড়ার জন্য।
ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে পথ চলা যে কারো জন্য সবরের পরাকষ্ঠা দেখাতে এই বইটি অতুলনীয়! আপনি যথার্থই বলেছেন।
জাযাকাল্লহু খাইর। আপনার কামনা যেনো আমাকে দিয়ে বাস্তবায়িত হয়।
আমিও আপনার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।
ভালো থাকুন সব সময় এই দোয়া বোনটি আমার।
অনেক দিন আগে আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ে পড়েছিলাম বইটি!
'দুনিয়া যে মুমিনের জন্যে জাহান্নাম সদৃশ' বইটির প্রতিটা পাতায় এর জ্বলন্ত উদাহরণ বিদ্যমান! ইসলামের জন্যে,মহান প্রভুর ভালবাসা যে জগতের সব কিছুর উর্ধ্বে তাই প্রতিয়মান হয় বইটি পড়লে!
আল্লাহ দ্বীনের মুজাহিদদের কবুল করুন!আমিন!
সত্যি বলেছেন, দুনিয়া মুমিনের জন্য কয়েদখানা, এই বইটি তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ। এই ভালরুপে পড়ে অনুধাবন করতে পারলে মুমিনের মাঝে কখনো হতাশা আসবে না।
ইসলামের জন্যে,মহান প্রভুর ভালবাসা যে জগতের সব কিছুর উর্ধ্বে তাই প্রতিয়মান হয় বইটি পড়লে!
আপনার এই কথার সাথে পুরোপুরি সহমত পোষণ করছি।
আমিন ছুম্মা আমিন।
অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
গাজী ভাইয়ের প্রিয় বইয়ের বিবরণ ও ঘটনা প্রবাহ উপস্থাপনা আমার অল্প অভিঙ্গতাকে হার মানিয়েছে...!
ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে ব্লগকে প্রাণচঞ্চল করে তুলার জন্য।
এখানে হার জিতের কিছু নেই। ঐ মহীয়সী নারীকে লেখার যোগ্যতা আমার নেই, তবুও উনাকে লেখার দুঃসাহস করেছি, আমি জানি, ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি নি।
জয়ী হওয়ার দুঃসাহস কখনোই করি না, তবুও অংশগ্রহণ করাটা উচিত মনে করেই সবে মোট দুইটা লেখা দিয়েছি।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য। ভালো থাকুন এই কামনা।
আমার প্রতিয়োগিতায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে ছিলোনা!!! প্রতিযোগিতায় যাবার মত যোগ্যতা আছে বলে মনে হয়নি।
তার পরও দিল মোহাম্মদ..... ভাইয়ের অনুরোধে একটি লেখা পোস্ট করেছি। আপনার কাছে আরো পোস্ট আশা করছি প্রতিযোগিতায়।
বিশেষ অনুরোধ লেখাটি এডিট অপসনে গিয়ে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করে দিন। ধন্যবাদ।
আবার পড়ে নিন সময় করে, আমার বিশ্বাস খুব আত্মোপলব্দি হবে।
আমার লেখা পড়ে উপলব্দি নিশ্চয় প্রখর হয়েছে। শোকরিয়া।
আল্লাহ্ আমার বোনটিকেও উত্তম প্রতিদানে ধন্য করুন।
আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলছি, 'বিশেষ কিছু বই হোক আগামি প্রজম্নের পাথেয়'।
ভাললাগায় ভরা মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ নেবেন।
আসসালামুআলাইকুম।
সোবহানাল্লাহ্ - আল্লাহর পথের একজন সৈনিক লিটারেলী সত্য ও মিথ্যার মুখোশ উন্মোচনে কিভাবে উদাহরন সৃষ্টি করেন - আপনার লিখায় তা বিমূর্ত হল। কমেন্টগুলো পড়ে মনে হল - অনুপ্রেরনার একটা ভান্ডার যেন।
আল্লাহ আমাদের সকলকে আমাদের সামর্থ্যানুযায়ী টেস্ট দিন এবং সেই টেস্ট এ উত্তীর্ন হবার তৌফিক দিন এবং কাল কেয়ামতের কঠিন সময়ে বিনা বিচারে বেহস্ত পাবার তৌফিক দিন।
আমিন।
ওয়ালাইকুম সালাম।
আমার লেখাটি সুন্দরভাবে মূল্যায়ন করার জন্যও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি জানি না, আপনি আমার পাড়ায় নতুন কিনা, যাই হোক, আমার পাড়ায় আপনাকে স্বাগতম।
এই ব্লগের কমেন্টগুলো সত্যি মনকে নাড়া দেয়ার মত। আসলে এখানে আল্লাহর প্রিয় বান্দা বান্দীরা অনেক বেশি। এই জন্যই এতো ভাললাগা।
আপনার প্রার্থণার সাথে সুর মিলিয়ে বলছি, আল্লাহ্ আমাদের তাওফীক দিন। আমিন । ছুম্মা আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন