শিক্ষিত পাইনি, পেয়েছি নৈতিকতাসম্পন্ন মা

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২২ মে, ২০১৫, ১১:১৫:৩১ সকাল



প্রিয় ব্যক্তিত্বঃ

নেপলিয়ন বলেছিল, “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দেবো”। শিক্ষিত মায়ের অতীব গুরুত্ব উপলব্দি করেই তিনি এই আকুতি ব্যক্ত করেছেন। আমার মা শিক্ষিত নয়, আমার খারাপ লাগার কথা, কিন্তু লাগছে না বরং আমি অনেক বেশি গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ক্লাস ওয়ানও শেষ করতে পারেননি। কিন্তু তিনি ছিলেন নৈতিক গুনে গুণান্বিত!

বাবা বি এ ডিগ্রীধারী, অথচ মা এক ক্লাস পাসও নয়! আমাদের পড়াশোনা দেখভাল করার ভার স্বাভাবিকভাবে বাবার উপরই বর্তায় কিন্তু কাজের চাপ আর বিদেশ বিভূঁইয়ে অনেক বছর থাকার কারণে উনার উচ্চ শিক্ষার সুবিধা আমি পাইনি। অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মা ই সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। মা নিজে পারেননি হাতে কলমে আমাদের পড়াশোনা করাতে কিন্তু পড়াশোনার সব ব্যবস্থাই করেন। দরিদ্র মেধাবী মাদ্রাসার ছাত্রদের বছরের পর বছর আমাদের ঘরে লজিং রেখে জাগতিক প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়াও নীতি নৈতিকতা, সদালালাপ, সৎ সংসর্গ, শালীনতা, সর্বোপরি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চেষ্টার সামান্যতম ত্রুটি করেননি। আমরা যদি না শিখে থাকি, দোষ আমাদের, মায়ের নয়!

নামায রোজা শেখাঃ

ভোররাতে চোখ মেলেই দেখি মা বিছানায় নেই! ছোটবেলার অভ্যাস মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো। গা থেকে কখন হাত সরিয়ে রেখেছে, একটুও টের পাইনি। বয়স আনুমানিক চার পাঁচ হবে। বিছানা থেকে নেমে চুপি চুপি জায়নামাজে মায়ের পাশে দাঁড়াতাম, আর বারবার মায়ের মুখের দিকে তাকাতাম, মা কি পড়ছে? উনার দেখাদেখি বুকে হাত বাঁধতাম, টুক টুক করে রুকু সিজদা করতাম। নামায শেষে মা এতো খুশি হতেন, বুকে চেপে ধরে পাগলের মত চুমু খেতেন। আদুরে গলায় জিজ্ঞেস করতেন, “আমার কালু বাবা, তুমি কি ভোররাতে মায়ের সাথে নামায পড়বে?” হাঁ সূচক জবাব দিলে প্রতি ভোররাতে ডাকতেন, শিখিয়ে দিতেন কিভাবে ওযু করতে হয়, নামায পড়তে হয়, আমিও স্বানন্দে মাকে অনুসরণ করতাম।

খুব অল্প বয়স থেকে আমার রোজা রাখার অভ্যাস। মায়ের দেখাদেখি আমিও রোজা রাখতাম। মা শিখিয়ে দিতেন কখন থেকে কখন পর্যন্ত উপবাস থাকতে হয়, ইফতার, সেহরি, রোজায় যাবতীয় আমল ইত্যাদি। ছোটবেলায় খুব খন্নাস হলেও নামায রোজার বেলায় মায়ের একান্ত বাধ্য ছেলেটিই ছিলাম। এতো ছোট বয়সে রোজা রাখতে দেখে প্রবীণেরা মাকে বকা দিতেন, কেন আমাকে এতো কচি বয়সে রোজা রাখতে দেয়া হয়! আমাকে রোজা রাখতে দেখে এক গৃহ শিক্ষক মাকে বলেন, “খালাম্মা, আপনি কেমন নিষ্ঠুর মা, এতোটুকুন ছেলে রোজা রাখে, আপনার কষ্ট লাগে না?” মা হেসে বলতেন, “যা নাছোরবান্দা হয়েছে, আমার কথা শুনলেইতো”।

কোরআন শেখাঃ

মা দ্রুত এবং খুব একটা শুদ্ধ করে কোরআন মাজিদ পড়তে পারতেন না কিন্তু এমন একটি দিনও দেখি নি সকাল বিকেল মায়ের হাতে কোরআন মাজিদ ছিল না! না পারলেও পারার জন্য উনার চেষ্টা ছিল অনবদ্য। ধীরে ধীরে, প্রয়োজনে একই দুই তিনবার তেলাওয়াত করতেন, হাত দিয়ে ধরতে চাইলে বলতেন, ওযু করে আসো, আমি আসতাম, হাতে কায়দা ছিরপা ধরিয়ে দিতেন। জিজ্ঞেস করতাম, মা, এটা কি ওটা কি? মা বলে দিতেন, যতটুকু পারতেন। আমার প্রবল আগ্রহ দেখে দ্রুতই মক্তবে ভর্তি করিয়ে দেন।

মক্তবের পড়া শেষ হলে আলিয়া মাদ্রাসার কোরআন শেখানো যথেষ্ঠ মনে না করে ক্বারিয়ানা মাদ্রাসায় রমজাম মাসে কোরআন শিখে আসতে বললে আমিও তাই করি। শুধু তাই নয়, ঘরে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করি কিনা তার খোঁজ খবর নিতেন। বয়স যখন কম, নামায কোরআন তেলাওয়াত নিয়মিত না করলে রাসূলের হাদিস অনুযায়ী মৃদু প্রহার করতেন, আর বড় হয়ে গেলে তিরস্কার করতেন। এখনো বাড়িতে গেলে কোরআন নিয়মিত না পড়লে প্রচুর তিরস্কার করেন। এমন মা পেয়ে গর্বিত না হয়ে পারা যায়!

পড়াশোনা শেখাঃ

হাতে খড়ি অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মায়ের কাছেই! শেখার জন্য উনার অদম্য প্রচেষ্টা আজো আমাকে অভিভূত করে। খাতা নিয়ে বই থেকে বানান করে করে পড়তেন আর লিখতেন। অক্ষরগুলো বাচ্চাদের কাঁচা হাতে লেখা অক্ষরের মত বড় বড় হয়ে যেতো। মজার ব্যাপার হলো, বাবা যখন বিদেশে, মা বাবার প্রতিটি চিঠির উত্তর নিজেই বড় বড় অক্ষরে আঁকাবাঁকা লাইনে লেখতেন অথচ মা চাইলে অন্য কাউকে দিয়েও ভালো করে লেখিয়ে বাবার চিঠির উত্তর দিতে পারতেন। তিনি তা করেন নি কারণ অন্যের দ্বারা লেখালে নাকি মনের ভাব উত্তমরূপে প্রকাশ করা যায় না। বাবা না জানি কত খুশি হতেন মায়ের নিজ হাতে চিঠি লেখার চেষ্টা দেখে!

মা যখন লেখতেন, আমিও খড়িমাটি আর স্লেট নিয়ে মায়ের পাশে বসে যেতাম, মা হাতে ধরে ধরে লেখাতেন, অ আ ই ঈ ......। মায়ের ইচ্ছে ছিল ইসলামী জ্ঞানে দীক্ষিত করিয়ে আল্লাহর খালেছ নেক্কার বান্দায় পরিণত করবেন। নামাজে সবসময় দোয়া করতেন, “হে আল্লাহ্‌, আমার ছেলে দুটাকে হক্কানি আলেমে দ্বীন বানাও, সদা সরল সঠিক পথে চলার তাওফীক দাও, আমিন”। আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলেন। এক মেইল দূরে মাদ্রাসা, পাঞ্জাবী পায়জামা পড়ে ছোট ছোট পায়ে টুকটুক করে রোদ বৃষ্টি মাড়িয়ে আসা যাওয়া করতাম।

কোনো দিন আসতে দেরি হলে ঘর আর রাস্তার পানে বারবার আসা যাওয়া করতেন, আসার পর প্রশ্নের পর প্রশ্ন, কেন দেরি হল, কোথায় ছিলা? রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়েছে কি? মা তোমার জন্য টেনশন করতে করতে পাগলের মত হয়েছি। ফ্যানের নিচে কিছুক্ষণ বসিয়ে অথবা বিদ্যুৎ না থাকলে হাত পাখা দিয়ে বা দিয়ে তারপর আগে থেকে তৈরি করা গুড়ের শরবত খেতে দিতেন শরীর ঠান্ডা হওয়ার জন্য। খেয়ে কলিজা ঠান্ডা হয়ে যেতো!

আমাদের আর্থিক অবস্থা ছিল খুবই সঙ্গিন। দুরবস্থা দেখে পরীক্ষার সময় হলে বলতাম, “মা, আমরাতো গরীব, ঘরেও টাকা নেই, কেমন করে পরীক্ষার ফী দেবো”? মা বলতেন, “তুমি তোমার মত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকো, টাকার চিন্তা তোমাকে করতে হবে না, আমরা আছি না! নিজে না খেয়ে না পরে যখন পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্ন দেখেছি, তখন আল্লাহই টাকা পয়সার ব্যবস্থা করে দেবেন”। মায়ের কষ্ট স্বার্থক। মাদ্রাসায় পড়েছি আলিম পর্যন্ত, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। অজপাড়া গাঁ থেকে এসে মা বাবার পরিশ্রম, দোয়া আর আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের কৃপায় যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চান্স পেয়ে এখন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে অধ্যয়ন প্রায় শেষের দিকে। এই পর্যন্ত আসার জন্য মায়ের অনন্য অবদান অনস্বীকার্য।

আদব কায়দা বা নৈতিকতাঃ ছোট বেলায় মা সবসময় বলতেন, “কেউ যদি তোমায় শালা বলে গালি দেয় অথবা থাপ্পড় দেয়, চুপ করে সালাম দিয়ে চলে আসবে। কেননা কেউ কাওকে অন্যায়ভাবে গালি দিলে উক্ত গালি গালিদানকারীর দিকেই ফিরে যায়। কারও সাথে ঝগড়া করবে না, এমন কি ঝগড়া করতে চাইলেও না! সৎ সঙ্গে চলবে, অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ এবং বেশি সালাম দেবে। বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ মমতা দেবে। মহিলাদের ঘাটে যাবে না, পাড়াপড়শীর খাটে বেশি বসবে না। মাঝে মাঝে তোমার দাদা দাদী, নানা নানী এবং অন্যান্য মুরুব্বিদের কবর জেয়ারত করবে ইত্যাদি।

কোনো বিষয়ে মায়ের সাথে কেউ ঝগড়া করতে আসলে যৌক্তিক দু একটা কথা বলে চুপ হয়ে যেতেন, গালিগালাজ বেশি করলে জবাব না দিয়ে কাঁদতেন, কখনো ঝগড়া করতে যেতেন না, আমাদের কেও অনুরূপ করার পরামর্শ দিতেন। বলতেন, কেউ গালি দিলেই গায়ের মাংস খসে পড়ে যায় না! আমি যদি কারও সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়তাম, অন্যদের মায়েরা এসে আমার মায়ের কাছে আমার বিরুদ্ধে নালিশ করতো, কিন্তু আমি কখনো দেখিনি, কারও কাছে গিয়ে আমার পক্ষ হয়ে মা কারও বিরুদ্ধে নালিশ করেছে বরং আমাকেই শাসন করতেন!

এভাবেই ছোটবেলা থেকে আজ অবধি মায়ের দেয়া আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, নৈতিক শিক্ষা, আদব কায়দার অনুশীলন করে চলেছি। আমি মানুষ, ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নই, অনেক সময় মায়ের উপদেশ পালন করিনি, অবাধ্য হয়েছি, তবে মায়ের উপদেশ পাশে আছে বলেই বারবার অন্যায় করেও সঠিক পথে ফিরে আসতে পারছি। আল্লাহর দরবারে লাখো শোকরিয়া, শিক্ষিত নয় অথচ এমন নৈইতিকতাসম্পন্ন মায়ের ঘরে জন্ম দিয়ে ধন্য করেছেন।

বর্তমানে বাবা মায়েরা সন্তান জন্ম নেয়ার আগেই নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করে যেমনঃ পরিবার পরিকল্পনা, ব্যাংক ডিপোজিট, মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, নিরাপদ আবাসস্থল, ইত্যাদি সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলার প্রয়াসে। মানুষের মত মানুষটা কি ধরণের বৈশিষ্টের হবে, যদি জানতে চাওয়া হয়, তাহলে উত্তর আসবে, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, পরিবার, সমাজ, দেশে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করা, স্ট্যান্ডার্ড বেতনে চাকুরী, সামাজিক স্ট্যাটাস বজায়ে চলার সামর্থ রাখে এইতো! মানুষের মত মানুষ হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় যে বৈশিষ্ট্য, সেটাই বাদ রয়ে যায়!

নৈতিকতা কারও মাঝে না থাকলে উচ্চ শিক্ষার সবক'টা ধাপ কৃতিত্বের সাথে পার করে আসলেও মানুষের মত মানুষ কখনোই হয়ে উঠতে পারবে না।তার জন্য প্রয়োজন সমাজের প্রথম ইউনিট পরিবারে নৈতিকতাসম্পন্ন একজন মা, মা ই পারে সন্তানকে সবচাইতে বেশি নৈতিকমানে উন্নত করে তুলতে। অথচ জাগতিক চিন্তার ভীড়ে এই মুখ্য বিষয়টাই বাদ থেকে যায়। অতএব প্রতিটা পরিবার হোক নৈতিকতার বাতিঘর, থাকুক একজন করে নৈতিকতাসম্পন্ন মা, তবেইতো মানুষ মানুষের মতই হবে!

বিষয়: বিবিধ

৩১৬৪ বার পঠিত, ৬৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

321770
২২ মে ২০১৫ সকাল ১১:১৯
মোঃ মাকছুদুর রহমান লিখেছেন : অনেক ভালো লিখছেন! ধন্যবাদ!!!
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১০
262845
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ভাললাগায় আপনাকে ধন্যবাদ।
321771
২২ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৬
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : আপনি মূর্খ মায়ের মূর্খ সন্তান।
২২ মে ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
262840
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : নিজের মুর্খতাকেই প্রকাশ করলেন
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১১
262846
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেবেন। @ নীলাঞ্জনা
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
262852
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এটা কেমন কথা?!!
২৪ মে ২০১৫ রাত ১২:৩০
263201
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : আপনি নিজের পরিচয়টাই ফুটিয়ে তুলেছেন ।
321773
২২ মে ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কয়েকদিন আগে এক মায়ের কথা পড়লাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে সন্তান কেও বাইরে থেকে পড়াশোনা করিয়ে যার স্থান এখন বৃদ্ধাশ্রমে!
নেপোলিয়ন শিক্ষিত মা বলতে নৈতিকতাসম্বৃদ্ধ মা এর কথাই বলেছিলেন। আপনার মা প্রকৃত শিক্ষিত। সার্টিফিকেট ধারি সেই মা নন যিনি সন্তান কে নৈতিকতা শিক্ষা দিতে ভুলে গেছেন।
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
262847
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : হাঁ, আমিও আজ দেখেছি। শুধু কি তাই, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স কয়রে এক বৃদ্ধকালীন ছাত্রছাত্রীদের কাছে হেঁটে হেঁটে কলম বিক্রি করতেন, উনি সামনে পড়লেই উনার কাছ থেকে ছাত্রছাত্রীরাও দয়াপরশ হয়ে কলম কিনে। অনেক দিন ধরে উনাকে দেখি না, একদিন শুনলাম উনি আর নেই!

ঐ মা সন্তান, কালসাপ পেটে ধরেছেন, তাই আজ এমন করুন পরিণতি।

আমার মা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দিচ্ছে। শোকরিয়া।

আপনার শেষের কথাটুকু খুবই অর্থবহ এবং ভালোও লেগেছে।

আপনার এবং আপনার মায়ের প্রতি অনেক অনেক দোয়া রইল।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সবুজ ভাই।
321784
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
নাছির বিন ইব্রাহীম লিখেছেন : এমন মায়ের চেয়ে মূল্যবান সম্পদ একজন সন্তানের জন্য কিছু হতে পারেনা,এমন মায়ের জম্ম হোক আজ বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে।মাকে সালাম।
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
262848
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এই জন্য আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জানাই।

আমার মা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন আমাকে দারুণ আনন্দ দিচ্ছে, শোকরিয়া।

আপনার সুরেই বলি, মন মায়ের জম্ম হোক আজ বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে।মাকে সালাম।

আমার পাড়ায় এসে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
321787
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : মা তো মা ই। মার সাথে কারু তুলনা চলে না। আর যে মানুষের মাঝে নৈতিক শিক্ষা নায়, সে মানুষ হাজার শিক্ষিত হয়েও কোন লাভ নায়। আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো।
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
262853
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জী ঠিক বলেছেন, মা মা ই। মায়ের সাথে কারোর তুলনা চলে না।

আপনি যথার্থই বলেছেন, যে মানুষের মাঝে নৈতিক শিক্ষা নেই, সে মানুষ হাজার শিক্ষিত হয়েও কোন লাভ নাই।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগল।
ভাললাগা অব্যাহত রাখুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেবেন।
321790
২২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার লেখাটি পড়লাম। এ্যাকাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও যে সুশিক্ষিত হওয়া সম্ভব তা আপনার মা প্রমাণ করেছেন। উনার প্রতি সালাম রইল।
২২ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৫৮
262873
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : লেখা এবং আমার মা সম্পর্কে আপনার মূল্যয়ায়ন আমার অত্যাধিক ভালো লেগেছে, এমন কি অনেক দিন পর আমার পাড়ায় আপনার উপস্থিতিও।

আপ্নিসহ আপ্নার বাবা মায়ের প্রতিও রইল সালাম।

সংক্ষিপ্ত অথচ সুন্দর হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
321823
২২ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:০৪
পললব লিখেছেন : আমরা এমন মায়ের সন্তান হতে চাই।
২২ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৮
262886
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : তাহলে আজ থেকে আপনিও আমার ভাই। আমার মা আপনারই মা। কি খুশিতো?

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য ভাইসাব।
321826
২২ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:১০
হতভাগা লিখেছেন : মায়ের কাছ থেকেই ছেলে মেয়েদের বেসিক গড়ে ওঠে । মা যেমন হবে ছেলে মেয়েরাও তেমনি হবে - এটা একটা বেসিক থিম।

বাবারা সবসমসয়ই সংসারের ভরণ পোষণের জন্য বাইরে কাজে থাকেন । তার মানে এই নয় যে সব কিছু সন্তানদের মায়ের উপরই চাপিয়ে দেবেন ।

পরিবারের কর্তা হিসেবে তার সময় সময় সন্তানদের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখতে হবে মায়ের মাধ্যমে এবং কখনও কখনও নিজেও । সন্তান ও পরিবারের ন্যায্য চাহিদা পূরণে সব সময় উনাকে তটস্থ থাকতে হবে।

আগেরকার দিনের বেশীর ভাগ মায়েরাই এরকম ছিলেন , ফলে সন্তানেরা রত্ন হয়ে উঠেছিল এবং মা হয়েছিলেন রত্ন গর্ভা ।

এখনকার মায়েরা আগেরকার মায়েদের চেয়ে বেশী শিক্ষিত হলেও আত্মকেন্দ্রিক বিধায় সন্তানেরা বখাটে হয়ে পরিবার ও সমাজের জন্য অশান্তি বয়ে আনে।

মাশা আল্লাহ! সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন ।
২২ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৬
262877
আফরা লিখেছেন : আপনি ও অনেক সুন্দর কথা বলেছেন হতভাগা ভাইয়া ।সন্তানদের সত্যিকার মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে বাবা,মা দুজনকেই সচেতন থাকতে হবে ।
২২ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:০৬
262887
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার বেসিক থিমের সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি। যথার্থই বলেছেন, বাপ ভালতো বেটা ভালো, মা ভালো মেয়ে ভালো, যেমন গাই ভালতো বাছুর ভালো।

আমার বাবা সাথে বসিয়ে আমাদের দেখভাল করতে না পারলেও মাকে সবসময় আমাদের ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিতেন, বাবার ভূমিকা ছিল আড়াল থেকে। আমার অভাব অনটন থাকা সত্ত্বেও কোনদিন আমাদের অভাব বুঝতে দিতে চাইতেন না।

আপনার তৃতীয় প্যারার সাথে আমি একমত, এবং আমার বাবার তাই করতেন, একজন একজন আদর্শ বাবা যাকে বলে তিনি তাই।

আমার মা সত্যিকার অর্থেই একজন রত্ন গর্ভা।

এখনকার মায়েরা যতোটা সন্তানকে নিয়ে ভাবেন, তাঁর চাইতে বেশি ভাবেন, নিজের গ্ল্যামার ঠিক রাখা নিয়ে। আর এই ফাঁকে সন্তান সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পেয়ে শুধুমাত্র নৈতিক শিক্ষার অভাবে, যা মায়ের আধুনিকা মায়ের কাছ থেকে পেতে পারতো, বিপথে গিয়ে নষ্ট হয়ে অশান্তি বয়ে আনতে উল্লেখযোগ্যো ভূমিকা রাখে।


আমার পোস্ট নিয়ে আপনার কাছ থেকে ইতিবাচক মূল্যায়ন পাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জানাই।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল।

২২ মে ২০১৫ রাত ১০:০০
262956
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে ম্যাকগাইভার ভাই
321831
২২ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৬
আফরা লিখেছেন : আপনি ও অনেক সুন্দর কথা বলেছেন হতভাগা ভাইয়া ।সন্তানদের সত্যিকার মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে বাবা,মা দুজনকেই সচেতন থাকতে হবে ।
২২ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
262888
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সহমত জ্ঞাপন করছি।
১০
321833
২২ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫০
আফরা লিখেছেন : আসলে শিক্ষিত বলতে কি শুধু এ্যাকাডেমিক শিক্ষা নাকি সাকা ভাইয়া !মুসলিমের ইলম অর্জন করা ফরজ সেটা কি কোন এ্যাকাডেমিক শিক্ষা সাকা ভাইয়া !

যে ইলম অর্জন করা আল্লাহ মুসলমানদের জন্য ফরজ করেছেন সেটা আপনার মায়ের আছে ,উনিই আসল শিক্ষিত এ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট নাইবা থাকল ।

অনেক ভাল লাগল আপনার মায়ের কথা শুনে ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২২ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:১৫
262889
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : নাহ! পনি! সঠিকভাবে বললে এমনটা নয়, কিন্তু প্রচলিত অর্থে তাই বুঝায়, আমি সেটারই উল্লেখ করেছি মিস পনি!

মুসলিমের ইলম অর্জন করা ফরজ, সেটা একাডেমিক শিক্ষা নয়, তবে একাডেমিক শিক্ষায় ফরজ ইলম অনেক বেশি ভালো করে শেখা যায় পনি। একাডেমিক শিক্ষার সুযোগ পাওয়া নিঃসনেদেহে অনেক বড় নেয়ামত।

আপনি যথার্থই বলেছেন, আল্লাহ্‌ কর্তিক ফরজ ইলম মায়ের মধ্যে আছে, যদিও একাডেমিক সার্টিফিকেইট নেই, এই জন্যই তো আমার মাকে নিয়ে আমি গর্বিত।

পনি অনেক বড় মাপের ব্লগার! তাকে ভালো লাগাতে পারা চাট্টিখানি কথা নয়। আপনার ভালো লেগেছে, শুধু ভালো নয় অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম, আল্লাহর নিকট শোকরিয়া।

আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক সালাম ও দোয়া। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ নেবেন মিস পনি! পাজি!!!!!!
২২ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৩
262904
আফরা লিখেছেন : আমি কিন্তু আপনাকে ঝগড়াটে সাকা ভাইয়া বলি নাই !!!
২২ মে ২০১৫ রাত ০৮:০৬
262931
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : সাকা ভাইয়া! Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২২ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫৬
262940
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বুঝে আসছে নাতো? বোন আফরা আমায় আদর করে এই নামে ডেকে থাকে @ অবাক মুসাফীর
১১
321843
২২ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪১
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রতিটি মা শিশুর জন্য এক একটি ভার্সিটির সমতুল্য। আপনার মায়ের প্রতি রইল স্বশ্রদ্ধ সালাম।
২২ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫০
262937
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আপনি যথার্থই বলেছেন জান্নাতের বাবা, মাই হল সবচেয়ে বড় শিক্ষক, সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান।

আপনার মায়ের প্রতিও রইল সশ্রদ্ধ সালাম এবং নেক হায়াতের দারাজের জন্য দোয়া।

আপনার উপস্থিতি অনেক ভালো লেগেছে, তবে কেমন জানি মরা মরা মনে হচ্ছে ইদানীং আপনাকে! কোনো প্রব্লেম?
২২ মে ২০১৫ রাত ১১:২৬
262987
আবু জান্নাত লিখেছেন : জীবনের গতি সবসময় সমান তালে যায় না। মাঝে মাঝে অজানা ভয়ে কাজ করে। তাই একটু মানসিক টেনশনে আছি। দোয়া চাই।
২২ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৭
262997
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : চাকা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবার জন্য দোয়া রইল।
১২
321850
২২ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
শেখের পোলা লিখেছেন : "অতএব প্রতিটা পরিবার হোক নৈতিকতার বাতিঘর, থাকুক একজন করে নৈতিকতাসম্পন্ন মা, তবেইতো মানুষ মানুষের মতই হবে!"

আপনার এই কথাটায় হাজার বার আমিন ও সহমত৷আর আপনার মায়ের মত সকল মায়েদের জন্য জানই স্বশ্রদ্ধ সালাম৷ শিিক্ষীত মা যেমন শিক্ষীত সমাজ দিতে পারে,নীতিবান মাও পারে তেমন নীতিবান সমাজ উপহার দিতে৷ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷
২২ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫৪
262938
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার কথায় হাজারবার আমিন বলা এবং সহমত পোষণ করার জন্য। আপনার ভাললাগায় আমি দারুণভাবে আনন্দিত।

আপনার মায়ের প্রতিও অনেক অনেক সালাম এবং দোয়া, জানিনা উনি এখনো বেঁচে আছেন কিনা, তবুও সালাম।

আপনার মন্তব্যের শেষের কথাটুকু ধ্রুব তারা ন্যায় সত্য।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমার লেখাটি কষ্ট কয়রে পড়ার পর চমৎকার ভাললাগায় পরিপূর্ণ মন্তব্যটি করার জন্য।
১৩
321864
২২ মে ২০১৫ রাত ০৮:০৮
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : বেসম্ভব স্বশিক্ষিত একজন মানুষ... সালাম রইলো আপনার মায়ের প্রতি...
২২ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫৫
262939
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বেসম্ভব শব্দটি অন্তত এই ক্ষেত্রে বাজে শোনায়, কষ্ট নেবেন না, যা সত্য তাই বললাম। এই শব্দে মায়ের প্রতি সম্মান আসে না।

সালাম রইল আপনার মায়ের প্রতিও।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ নেবেন। আর হাঁ, আমার পাড়ায় আপনাকে স্বাগতম।
১৪
321870
২২ মে ২০১৫ রাত ০৯:২৯
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হৃদয় স্পর্শ করা লেখা। আপনার মায়ের জন্যই হয়ত আপনি আজ এত বড় হতে পেরেছেন। এমন মা প্রতিটি ঘরে থাকলে এই ভূখন্ডের দৃশ্যটাই পাল্টে যেত। সেকুলার শিক্ষাব্যাবস্হা মানুষকে করে কলুষিত, স্বার্থপর, দয়ামায়াহীন তাই সে শিক্ষা থেকে আল্লাহ যদি আপনার মাকে মুক্ত রাখেন তাতে ক্ষতি কি?
২২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৩৮
262944
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার পোস্ট দেখে বুঝে নিয়েছি, আমার শুভাকাঙ্ক্ষীটি আমার লেখা পড়বেই, তাই হল! আমার সত্য খুব ভালো লাগছে আপনার উপস্থিতি দেখে।

আমার লেখাকে মূল্যায়ন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আমি বড় হতে পারি নি, আল্লাহ্‌ চাহেতো একদিন হলেও হতে পারবো, আমি ক্ষুদ্র নগন্য একজন মানুষ আমি।

আপনি ঠিক বলেছেন,এমন মা প্রতিটি ঘরে থাকলে এই ভূখন্ডের দৃশ্যটাই পাল্টে যেত।

আপনি ঠিক বলেছেন, সেকুলার শিক্ষাব্যাবস্হা মানুষকে করে কলুষিত, স্বার্থপর, দয়ামায়াহীন।

আমার মা বার্ধক্যজনিত কারণে নানান রোগে ভুগছেন, উনার জন্য দিল খুলে একটু দোয়া করবেন প্লিজ!

সবশেষে আবারো ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৫৩
262952
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : অবশ্যই ভাইয়া দোয়া করব।Good Luck
১৫
321880
২২ মে ২০১৫ রাত ০৯:৫৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আপনি সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে লিখেছেন। বাবা মাকে যে সন্তানেরা অসম্মান করে তারা কখনো মানুষ হতে পারেনা। সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের চেয়ে প্রিয় অন্য কেউ নয়। মা কে সালাম Praying

আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন চলছে?
২২ মে ২০১৫ রাত ১০:১৫
262962
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জী বোন, সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে নিয়েই লিখেছি, মায়ের অনন্য অবদানের প্রতিদানে কৃতজ্ঞতা কিঞ্চিৎ অংশ এই লেখা। বাড়ি গেলে মাকে এই লেখা পড়ে শুনালে মা অনেক খুশি হবেন।

বাবা মাকে যে সন্তানেরা অসম্মান করে তারা কখনো মানুষ হতে পারেনা।
আপনার সাথে শতভাগ একমত, এগুলো দুপায়ের মানুষরুপী জন্তু!

আপনার উপস্থিতি খুব খুব ভালো লাগছে বোন! আমি লেখা দিয়ে কিছু মানুষের জন্যও অপেক্ষায় থাকি, তারা কখন আসবে, আদৌ আসবে কি? তাদের মধ্য থেকে আপনি অন্যতম।

তবুও সে সন্তানের বৃদ্ধকালে মা হয়ে যায় গলগ্রহ! কাল একটা খবর দেখলাম, ঢা বি অনার্স মাস্টার্স করে এক বৃদ্ধা এখন বৃদ্ধাশ্রমে!!!! এমন কুলাঙ্গার সন্তান জন্ম দেয়ার সময় লবণ খাইয়ে মেরে ফেলাই উচিত ছিল! কিন্তু মাতো তা পারেন না!

আপনার মাকেও অনেক অনেক ও দোয়া, আল্লাহ্‌ উনাকে নেক হায়াত দারাজ করুন।

পরীক্ষা পিছিয়ে, আগামী ০৪তারিখ! তাই একটু ঢিলামি শুরু হয়েছে।
১৬
321883
২২ মে ২০১৫ রাত ১০:০২
আবু জারীর লিখেছেন : মায়ের গল্প কার না ভালো লাগে। আমারও ভালো লেগেছে। তবে মাকে হারিয়েছি ২০ বছর আগে তাই মায়ের কথা যখনই আসে খুব খারপ লাগে। মায়ের জন্য দুয়া করা ছাড়া আমার যে আর কিছুই করার নাই।
২২ মে ২০১৫ রাত ১০:১৮
262963
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম, আবার মনটা খারাপও হয়ে গেলো, আপনার মা নেই!!!! যাক যিনি চলে গেছেন, তিনি আর কখনো আসবেন না, কষ্ট হলেও এটাও চরম পরম সত্য, আপনার মায়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা, সাথে সাথে দোয়া করছি আল্লাহ্‌ যেনো তাঁকে উত্তম পুরুষ্কারে ধন্য করেন।

মন খারাপ করে দেয়ার জন্যও দুঃখিত।

আপনার উপস্থিতি কাম্য ছিল, তাই ভালো লেগেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেবেন।
১৭
321895
২২ মে ২০১৫ রাত ১১:১২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : মা.... মা..... মা....... যতই ড়াকিনা কেন মা শোনেনা..... কারন আমি প্রবাসে পড়ে আছি...

মাকে ভালোবাসি অনেক বেশি কিন্তু সিমাবদ্ধতার কারনে প্রকাশ করতে পারিনা!!

যদিও টেলিফোনে প্রতিদিন কথা বলি স্বাদ মিটেনা কথা বলে যত বলি বলতে ইচ্ছে করে.....

আপনার মায়ের অনেক গুলো গুণ আমার মায়ের মাঝে আছে যা মনে পড়লে মায়া মমতার স্রোতদ্বারা বেড়ে যায়।

লাখাটি প্রতিযোগিতায় যেমনই হোক জয় অথবা পরাজয় আমি আপনার লেখাটিকে আমার মন থেকে জয়ী ঘোষণা করছি....।

আপনার মায়ের কাজ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিখার অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে, আশা করি মেয়ে ব্লগারেরা শিক্ষা গ্রহণ করবে আপনার মায়ের কাজ থেকে।

আমি আমার স্ত্রীকে এই লেখাটি উপহার দেব তিনি যেন আমাদের সন্তানকে সুশিক্ষিত করে তুলতে পারে।।

আমার স্ত্রী দুইদিন ধরে অসুস্থ দোয়া চাই। মূল্যবান লেখাটি উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ।
২২ মে ২০১৫ রাত ১১:৩২
262996
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার উপস্থিতি এতো দেরি করে হবে, এটা ছিল অপ্রত্যাশিত! ঘুমুতে যাচ্ছিলাম, আপনার মন্তব্য পেয়ে ঘুমের সময় কিছুটা পিছাতে হলো।

কান দিয়ে শুনে না আপনার ডাক, কিন্তু মনের কান দিয়ে ঠিকই শুনে! সন্তান যত দূরেই থাকুক, তবুও মায়ের থেকে দূরে নয়, কেননা মায়ের সাথে সন্তানের নাড়ীর টান রয়েছে যা অবিচ্ছেদ্য।

মন্তব্যের শেষে আপনার স্ত্রী অর্থাৎ আমার ভাবী অসুস্থ জেনে মনঃক্ষুন্ন হলাম , আমিও কদিন আগে অসুস্থতা থেকে অনেক্তা মুক্তি পেয়েছি, অসুস্থতা অনেক কষ্টের, দোয়া করি আল্লাহ্‌ উনার কষ্ট দ্রুতই লাঘব করে দিন। এই সময় আপনার পাশে থাকাটা খুব দরকার ছিল, কিন্তু.।.।।। দূরে থেকে কথা বলে সান্ত্বনা দিয়ে যতটুকু করা যায় তা নিশ্চয় করছেন।

বিয়ের পরেও মায়ের প্রতি আপনার অকৃত্তিম ভালোবাসা টান দেখে কিছুটা আশ্চর্য হয়েছি, আজকাল এমনটা খুব কমই দেখা যায়, এমন সন্তানই মায়েরা কামনা করে। আপনাকে পেটে ধরে আপনার মা নিইশ্চয় ধন্য।

আমার মায়ের কথা পড়তে গিয়ে আপনার মায়ের জন্য আপনার মনে যে আকুলতা সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আল্লাহ্‌ আপনাকে জাযা দান করবেন।

আমার কপাল কুপা, এই কুপা কপাল নিয়ে জয়ী হওয়ার আশা করা মানায় না, তবুও অংশগ্রহণ করা উচিত মনে করেই লেখতে বসি। আপনি যখন ঘোষণা করেই দিয়েছেন, দ্বিতীয়বার ঘোষিত না হলেও আমি কষ্ট পাবো না।

আপনার মায়ের কাজ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিখার অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে, আশা করি মেয়ে ব্লগারেরা শিক্ষা গ্রহণ করবে আপনার মায়ের কাজ থেকে।
তাই যেনো হয়য়।

আমার লেখা কাউকে উপহার দেয়া যায়, জেনে অত্যন্ত খুশি হলাম। আমার লেখা পড়ে উনার মধ্যে যদি বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসে, আম্মার লেখা কৃতার্থ হবে।

আম্মার লেখাটিকে ম্যুল্যবান বলে মূল্যায়ন করার জন্যও শোকরিয়া।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ে নাতিদীর্ঘ মন্তব্যটি করার জন্য।
২২ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৯
262998
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : দেরিতে মন্তব্য করার কারন হলো আজ জুমাবার হলেও ডিউটি ছিলো....! ডিউটি অবস্থায় লেখাটি পড়েছি ডিউটি অবস্থায় লিখা প্রায় অসম্ভব ব্যপার!!

ঘুম নষ্ট করে জবাব দিতে হলোঃ ওহ্
১৮
321917
২৩ মে ২০১৫ রাত ১২:৫৭
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক ভাল লেগেছে । ভাল একটি পোস্ট। আপনার মায়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা, সাথে সাথে দোয়া করছি ।ধন্যবাদ ।
২৩ মে ২০১৫ রাত ০১:৩৮
263013
আবু জান্নাত লিখেছেন : জীবিত মানুষটিকে মৃত বানিয়ে ছাড়লেন? Crying Crying Crying
২৩ মে ২০১৫ রাত ০১:৪৪
263014
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : পড়ে মন্তব্য না করলে এমনটি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে!!!
২৩ মে ২০১৫ রাত ০২:২৬
263023
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : দু:খিত। অনাকাঙ্খিত ভাবে হয়েছে।
২৩ মে ২০১৫ রাত ০৪:১২
263043
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাদের ভাললাগায় এই ক্ষুদ্র ব্লগারের লেখার, পরিশ্রমের স্বার্থকতা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

আমার লেখাকে মূল্যায়ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

একটা লেখা লিখতে অনেক সময় শ্রম খরচ করতে হয়, আপনি ব্লগার, আপনার নিশ্চয় তা সম্পর্কে যথেষ্ঠ জ্ঞান আছে, তাই বলছি, অনুরোধও বটে, কারও লেখা পড়া জরুরী না, আর যদি পড়তেই হয়, তাহলে প্লিজ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, লেখকের আত্মা পরিতৃপ্তি পাবে।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। @ মিনহাজুল ইসলাম মাছুম
২৩ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
263114
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : মাশাআল্লাহ! গাজী সালাহউদ্দিনের লেখা যেমন প্রতিমন্তব্যও তেমন। সালাম বস! তিনি গাজী সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর মতই বিনয়ী, সাহসী, বলিষ্ঠ এবং সাবলীল। এমন বিনয়ীই তো চাই। রহমানের বান্দা তো তারাই।
ভুলটা ফাইন্ড আউট করার জন্য আবু জান্নাত ভাইকেও অ-ন-ক ধন্যবাদ।
১৯
321930
২৩ মে ২০১৫ রাত ০২:০৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam my beloved little brother. It is really a heart trembling writing. I always make dua for you. I read your previous writing but could not comment due to my running workload. I do apologies for that. Take care of you and your family members those who are seeking shelter and love from you. Jajakallahu khair. I am saddened to know your problems. I am very busy at present even though trying to comment quickly.
২৩ মে ২০১৫ রাত ০৪:২৭
263044
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এইবার শান্তি পেলাম! টেনশন মুক্ত হলাম! কাজ কাজ কাজ করে.।.।.।। নাহ! থাক, কাজতো করতেই হবে।

ওয়ালাইকুম সালাম শ্রদ্ধেয় ফাঁকিবাজ বড় বোন(কাজের চাপে)!

আপনার সুন্দর মূল্যায়ন আমার লেখাটির গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে নিঃসন্দেহে তা বলা যায়।

আপনিসহ আপনার পরিবারের সকল সদস্যের জন্য আমার তরফ থেকে অনেক অনেক দোয়া ও সালাম রইল।

আমি কমেন্টের জন্য চাতক পাখি হয়ে থাকি না, কিন্তু যখন জানতে পারি কেউ আমার লেখা পড়েছে কিন্তু মন্তব্য করে নি বিভিন্ন কারণ বশত, তখন মনে অনেক খুশি জাগে! ফেবুতে অনেকে বলে, ভাই আমি আপনার লেখা নিয়মিত পড়ি, কিন্তু কোন দিন দেখি না একটা লাইক দিতে! ঘুম ভাঙ্গাতে চাই ব্লগারও বলে আমার লেখা নিয়মিত পড়ে, মন্তব্য সবসময় করে না। নাহ! আমার মন্তব্যের দরকার নাই, লিখি মানুষের পড়ার জন্য, এই প্রধান কাজটা হলেই হলো। আপনি আমার পূর্বের লেখাগুলো পড়েছেন, জেনে খুব বেশি আনন্দিত হয়েছি!

আমি আপনাকে বুঝি, আপনার হঠাৎ হঠাৎ কাজের চাপ বেড়ে যায় তাও জানি, তবু অজানা শঙ্কায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেই, অতএব ক্ষমা চেয়ে লজ্জা দেবেন না!

আমি আমার সাধ্যমত আল্লাহ্‌ চাহেত অবশ্যই চেষ্টা করবো নিজের এবং তাদের জন্য কিছু করার, যা আমাদের সবার জন্যই ফলদায়ক হবে। আপনার পরামর্শ সম্মানের সাথে গ্রান্টেড।

জাযাকাল্লহু খাইর।

দুঃখ পাওয়াই স্বাভাবিক, মুমিনের দু;খে অন্য মুমিন দুঃখিত হবেই।

আপনার উপস্থিতি অনেক বেশি কাম্য ছিল, অনেক পরে হলেও পেয়েছি, শোকরিয়া।

কাজের চাপেও শরীর স্বাস্থের যত্ন নিশ্চয় নেবেন, এতা অনুরোধ নয়!!!!!! অনুরোধের চেয়ে বেশি কিছু।
২০
322008
২৩ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৫০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। আপনি অনেক দরদ দিয়ে লিখতে পারেন। দোয়া রইলো আপনার মা সহ পরিবারের জন্যে
২৪ মে ২০১৫ রাত ০১:১৭
263204
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যগুলো আমার লেখায় খুব খুব প্রেরণা জুগায়। আমার সম্পর্কে প্রেরণাদায়ক মূল্যায়ন আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দিয়েছে এবং সাথে সাথে দায়িত্বটাও বাড়িয়ে দিলেন, এখন যে সব লেখাতেই দরদ দিতেই হবে।

আমার বোনটা মানুসিক রোগে আক্রান্ত, অবস্থা দিন দিন খুব খারাপ হচ্ছে, কাল রাতে কাউকে ঘুমাতে দেয় নি, বারবার বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল, তালা মেরে রাখলে তালার কড়া খুলে বের হয়ে যাবার চেষ্টা, উনাকে নিয়ে সবার ঘুম হারাম, প্লিজ খুব করে দোয়া করবেন, আপন মনে করে কথাগুলো বললাম।

আপনার বাবা মায়ের জন্যও অনেক অনেক সালাম ও দোয়া রইল।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ নেবেন।
২৪ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩২
263249
দ্য স্লেভ লিখেছেন : যেটা বললেন তা সত্যিই কষ্টকর। এরকম পরিস্থিতি না সামলানো যায়,না প্রকাশ করা যায়,এমনই অবস্থা। এরকম মানুষ নিয়ন্ত্রন করা খুবই কষ্টকর। সম্ভব হলে মানুষিক হাসপাতালে নিতে পারেন। তার জন্যে আপনারা যে কষ্টটা পাচ্ছেন এবং সবর করছেন আল্লাহর ওয়াস্তে, আল্লাহ সেটা দেখছেন এবং প্রতিটি মুহুর্ত কোটি কোটি নেকীতে হয়ত তিনি আমলনামা ভরে দিচ্ছেন। মানুষ তা জানেনা বলে অধৈর্য হয়ে পড়ে। আল্লাহ আপনাদের সমস্যার সমাধান করে দিক।
২১
322094
২৪ মে ২০১৫ রাত ১২:৩৮
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : গাজী সালাউদ্দীন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য । একজন আদর্শ মা এবং তাঁর যোগ্য সন্তান উভয়ের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ সালাম ।
২৪ মে ২০১৫ রাত ০১:২১
263205
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমার নাম ধরে আপনার দরদ মাখা ডাক শুনতে না পেলেও হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছি, অনেক ভালো লেগেছে।

আমার লেখাটিকে চমৎকার বলে মূল্যায়ন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধনো্যবাদ জানাই।

আপনার মা, বাবা, এবং আপনার জন্যও আমার তরফ থেকে অনেক দোয়া ও সালাম।

সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

একটা প্রশ্নঃ ফুটন্ত গোলাপটি শুকিয়ে যায় না? কিভাবে সদা এতো তরতাজা থাকে?
২২
322259
২৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : এমন মা যার আছে তার জন্য কোন চিন্তা নেই। তবে ভাই এমন মা'দের সংখ্যা এখন খুবই কমে আসছে।
আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ। চমতকার লেখা। তাগুত পন্থী সবাই এমন মা' যেন না হয় তার জন্য সকল আয়োজন।
বিপরীতে আমরা কি করছি? আমাদের পরিবারগুলো কি এমন করে গড়ছি?
৩১ মে ২০১৫ সকাল ১১:২৭
264975
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনি ঠিক বলেছেন, এমন মায়ের সংখ্যা এখন খুব কম আছে, এবং যার এমন মা আছে তাঁর আর কিছুর দরকার নেই।

আপনাকেও মোবারকবাদ। আমার লেখাটিকে সুন্দরভাবে মূল্যায়নের জন্য খুব করে ধন্যবাদ জানাই।

আমরা বসে বসে মুড়ি খাচ্ছি, আর আহ আহ আহ করছি। মোটেও না। আমার লেখার শেষে তা বলা আছে, এখন কার বাবা মায়েরা সন্তানকে নিয়ে কি ভাবে।
০২ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:২১
265711
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, ইবেন আহমাদ ভাই আপনার লেখা পাইতেছিনা।
২৩
322514
২৫ মে ২০১৫ রাত ১১:২০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মায়ের গল্প তো সকলেরই ভালো লাগে। আমারও অনেক ভালো লেগেছে। তবে আমার মাকে হারিয়েছি আজ তিন মাস হয়ে গেল তাই মায়ের কথা যখনই আসে খুব খারপ লাগে। মায়ের জন্য দুয়া করা ছাড়া আমার যে আর কিছুই করার নাই। মাযে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য
৩১ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১২
264980
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার ভাললেগেছে জেনে মনে আনন্দ পেলাম। আপনাদের পাঠকের ভাললাগা আমার কাছে অনেক কিছু।

মাকে হারিয়েছেন জেনে খুব খারাপ লাগলো। আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে আপনার কষ্টকর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
২৪
323026
২৮ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আদব কায়দা বা নৈতিকতাঃ ছোট বেলায় মা সবসময় বলতেন, “কেউ যদি তোমায় শালা বলে গালি দেয় অথবা থাপ্পড় দেয়, চুপ করে সালাম দিয়ে চলে আসবে। কেননা কেউ কাওকে অন্যায়ভাবে গালি দিলে উক্ত গালি গালিদানকারীর দিকেই ফিরে যায়। কারও সাথে ঝগড়া করবে না, এমন কি ঝগড়া করতে চাইলেও না! সৎ সঙ্গে চলবে, অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ এবং বেশি সালাম দেবে। বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ মমতা দেবে। মহিলাদের ঘাটে যাবে না, পাড়াপড়শীর খাটে বেশি বসবে না। মাঝে মাঝে তোমার দাদা দাদী, নানা নানী এবং অন্যান্য মুরুব্বিদের কবর জেয়ারত করবে ইত্যাদি......
মনযোগ দিয়ে আপনার লিখাটা পড়লাম, আপনার সাথে কিছু আমার ও মিল আছে....আমার মা ও মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ক্লাস ৬ শেষ করতে পেরেছেন, বাবা এইচ,এস,সি পাশ। তবুও আমার মা ই সব কিছু শিখিয়েছেন। বলতে পারেন, মায়ের কারনেই আজ এতদুর আসতে পেরেছি।
আপনার মায়ের জনয দোয়া রইলো।
০৪ জুন ২০১৫ রাত ০৯:১৩
266496
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সত্যি আমাদের সবকিছুই যেনো একি সূত্রে গাঁথা। নয়তো আমাদের পরস্পরের মাঝে এতো মিল থাকবে কেন!

জিনে খুব ভালো লাগল, এই নগন্য ব্লগারের লেখাটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন।

সত্যি আপনার দুজনার বাবা মায়ের মাঝে বশ মিল দেখতে পাচ্ছি। আপনার মায়ের প্রতিশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।

সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২৫
324109
০২ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:১৯
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, লেখাটা পড়ে সেই ছোট বেলায় ফিরে গেলাম। আল্লাহ আপনার মাকে নেক হায়াত দান করুক, আমীন।

এমন মা"ই পারে একটা পরিবার, একটা সমাজ এবং সর্বপরি একটা জাতি গঠন করতে।
০৪ জুন ২০১৫ রাত ০৯:১৫
266499
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।

তবে আর ফিরে আসবার দরকার নেই, যেখানে গেছেন সেখানেই থাকুন, এমন জায়গা আসতে কার মনে চায়!

আপনার মাকেও আল্লাহ্‌ নেক হায়াত দারাজ করুন। আমিন। ছুম্মা আমিন।

যথার্থই বলেছেন, এমন মা'ই পারে একটা পরিবার, একটা সমাজ এবং সর্বপরি একটা জাতি গঠন করতে।

সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File