পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়ার লোভ দেখিয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি! আমার কিছু তিতা কথন

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১০ মে, ২০১৫, ০৭:৫৭:০৭ সকাল



না,আমি চুপ করে থাকতে পারবো না,কিছু বলতেই হবে! ভেবেছিলাম দু চার লাইন লিখেই ফেবুতে পোস্ট করবো, কিন্তু বড় হয়ে যাওয়াতে ব্লগে দিলাম। লেখাটি আপনাদের কাছে মানসম্মত না হলে ক্ষমা করবেন প্লিজ!!!

‘ওই শিক্ষক এবং ছাত্রীর রোমাঞ্চকর মুহূর্তের কিছু আপত্তিকর ছবি এখন শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ঘুরপাক খাচ্ছে।'

রোমাঞ্চকর মুহুর্তের কিছু আপত্তিকর ছবি, জোর পূর্বক কিছু করে থাকলে সেখানে রোমান্স আসার কথা নয়! এরপরেও কিভাবে তা যৌন হয়রানী হয়?

‘তদন্ত কমিটির হাতে শিক্ষক ও ছাত্রীর বেশকিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এবং কথোপকথনের অডিও এবং হট এসএমএস।'

জোর পূর্বক কিছু করে থাকলে সেখানে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত আসার কথা নয়, এর পরেও কিভাবে তা যৌন হয়রানী হয়?

কথিত ভুক্তভোগী শ্রীমতি অদিতি বিশ্বাস মৌ’র ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগঃ অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আল হাসান বিয়ের প্রলোভন ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়া এবং থিসিসসহ সকল বিষয়ে পাস করিয়ে দেয়ার কথা বলে দীর্ঘ দুই বছর ওই ছাত্রীকে স্ত্রীর ন্যায় ব্যবহার করেছেন।'

থিসিস আমরাও করেছি, কই কোন স্যারতো কোন ছাত্রীকে নিয়ে ফীল্ড ওয়ার্ক করতে যান নি! প্রলোভনে হোক, আর লোভে হোক কিংবা চাপাচাপিতে হোক, স্বামীর মর্যাদা দিয়েই শরীর উপভোগ করতে দিয়েছেন, এরপরেও কিভাবে তা যৌন হয়রানী হয়?

‘কারণে-অকারণে তাকে তার অফিস কক্ষে ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত করেন।'

ঘন্টার পর ঘণ্টা উভয়ে মাস্তি করেছেন, এরপরেও কেমন করে তা যৌন হয়রানী হয়?

‘এক পর্যায়ে মৌ ধর্মীয় বিধিনিষেধ তুলে ধরে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে হাসান স্যার ওসব ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।‘ বিবাহপূর্ব শারীরিক সম্পর্ক করার সময় ধর্মীয় বিধি নিষেধ মনে থাকে, মনে থাকে বিয়ের কথা বললে!

২০১৩ সালের জুন মাসে। থিসিসের অংশ হিসেবে তার গ্রুপের ৪ ছাত্র ও ১ ছাত্রী মৌকে অধ্যাপক হাসান সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জে একটি পুষ্টিবিষয়ক প্রকল্প পরিদর্শনে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থানকালে এক রাতে ঘটে সেই দুর্ঘটনা। মৌ আর ৪ ছাত্রসহ স্যার ছিলেন নিচতলায়। রাত ১০টার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি আমার কক্ষে চলে যাই। বেশ কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে ঘুমাতে যাবো এমন সময় দরজায় নক করার শব্দ পাই। প্রশ্ন করে জানতে পারি দরজায় হাসান স্যার দাঁড়িয়ে। সাত পাঁচ ভেবে শেষ পর্যন্ত দরজা খুলে দিই। হাসান স্যার ভেতরে ঢুকে নিজ থেকে দরজা লক করে দেন। তারপর অনেকটা জোর করে আমার সর্বস্ব লুট করেন।'

থিসিসের গোষ্ঠি কিলাই! স্যারের লাম্পট্য জেনেও স্যারসহ চারজন পুরুষের সাথে একাকী অন্য একটা জেলায় যাওয়া এবং হোটেলে থাকতে হবে? স্যার অভিভাবক, বাবার মত, কিন্তু বাবা নয়! সেও রক্তে মাংসে গড়া! তারও শরীর উত্তেজিত হবে, তেতুল জিব্বার কাছে ৎাকবে, আর তা মুখে নেবে না, এ কি হয়!

‘আমি বাধা দিলে তিনি আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর থেকে স্যার বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে ব্যবহার করেছে।'

প্রতিশ্রুতি দিলেই বিয়ের আগে সর্বস্ব উজার করে দিতে হবে?লম্পট কি স্যার একাই? বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক, শুধু তাই নয়, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা অবৈধ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও অদিতির তা জানা ছিল না?

‘যশোর ও খুলনা শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে স্যার আমাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করেছেন।'

সব জায়গা কি স্যার টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেছে? ছাত্রীর কোন ইচ্ছে ছিল না? স্রেফ ভন্ডামী!

এক প্রশ্নের জবাবে অদিতি জানান,“প্রথমে স্যার নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেন। এক পর্যায়ে জানতে পারি তিনি বিবাহিত।'

বউ না থাকলে দেহ ভোগ করতে দেয়াতে সমস্যা নেই, বউ থাকলে এবং বউকে রেখে প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক শেষ করতে চাইলে হয়ে যায় ধর্ষণ?

‘সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। আসলে সে একজন লম্পট চরিত্রের লোক। তার কাজই হচ্ছে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বা প্রেমের অভিনয় করে ছাত্রী পটানো। তারপর সময় আর সুযোগ বুঝে ওই ছাত্রীর সর্বস্ব লুটে নেয়া।” -অদিতি

এই কথাগুলো দেহ উজার করে দেয়ার আগে বুঝলে ভালো হতো না? আল্লাহর দুনিয়ায় সব বুঝে, স্যারের লাম্পট্যপনাটাই শুধু বুঝে আসল না!

‘অদিতি জানান,“তার বাইরেও বিভাগের একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে ওই লম্পট নানা অজুহাতে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। লোক লজ্জার ভয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।'

নিজের ইজ্জত আব্রু রক্ষা করার চাইতে লোক লজ্জার ভয় বেশি হয়ে গেলো? তবেতো গলায় ফাঁস দেয়া উচিত সব ক’টার!

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অদিতি বলেন, দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসান আমার সঙ্গে স্বামীর অভিনয় করেছে। সে একজন পাকা অভিনেতা।সে আমাকে ওয়েটিংয়ে রেখে অপর মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতো। প্রায়ই সে আমাকে না জানিয়ে অন্য মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যেত। তার ফোন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়েটিংয়ে থাকতো। এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে রেগে যেত। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো।'

দুই বছরেও অভিনয়টা একবারের জন্যও চোখে পড়েনি? তাহলে তো শ্রেষ্ঠ গর্দভ বলতে হয়!

এক প্রশ্নের জবাবে অদিতি বলেন, “আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমার কাছে জীবন আর মরণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এসব ঘটনা জানার পর আমার সমাজ বা ধর্ম আমাকে হয়তো গ্রহণ করবে না। আমার জীবন সম্পর্কে এখন আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আমি স্থির করেছি ওই লম্পটের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমার লড়াই চলবে।”

অদিতির সব শেষ হয়ে গেছে? কথিত নারীবাদী আন্দোলনে যোগ দিলেই জীবন সাইন! লম্পট স্যারের আর বাকী রইল কি? পরিমলের মত পচে মরতে হবে! অদিতির মত মেয়েদের ঘেন্না করার লোক যেমন আছে, বিয়ের জন্য পাত্রও অনেক আছে! নো চিন্তা ডু ফূর্তি, সর্বনাশ হওয়ার জন্য আরো অসংখ্য ছেলে মুখিয়ে আছে, বের হও সেরামভাবে, মাতাল হবে যুবকের দল কাতারে কাতারে।

‘আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষক হাসানের সঙ্গে তার বিভিন্ন রোমাঞ্চকর মুহূর্তের তোলা কিছু ছবি, মোবাইল ফোনে কথাবার্তার অডিও এবং বেশ কিছু যৌন উত্তেজনাপূর্ণ এসএমএস ডকুমেন্ট হিসেবে জমা দিয়েছেন।'

দুঃখজনক হলেও সত্যো, এইসব ডকুমেন্টে তদন্তকারীরা শুধু স্যারের লাম্পটনাকেই খুঁজবে, অদিতি সেখানে দুধে ধোয়া তুলসী পাতা! অথবা স্যারের কিছুই খুঁজে পাবে না, সব দোষ গিয়ে পড়বে ছাত্রীর উপর।

'এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গত ২ মাসের মধ্যে এ কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি।'

তাহলে আর কি, ভগবানের কাছে ধর্না দিতে হবে, তিনি যদি কিছু করেন!

‘একাধিক সাংবাদিককে যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা অবস্থায় কোন ছাত্রী তার বিভাগীয় স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে পারে না।'

প্রথম দিকে যখন স্যার যৌনহয়রানীর চেষ্টা করে, তখন এই সত্যের ধ্বজাধারী সাহসী সত্য কণ্ঠটি কেন সত্যটা প্রকাশ করে নি? তার মানে কি এই নয়,তখন ভন্ডামিতে নিজের শতভাগ সায় ছিল?

‘এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজ আল হাসান জানান, “দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে এই ঘটনা তারই অংশ।'

হলেও হতে পারে! অবিশ্যাস্য নয়! আমার ঢা বি ক্যাম্পাসে স্যার সাইফুল ইসলামের ডাকে নাকি এক ছাত্রী রাতের বেলা উনার বাসায় যান, সাথে টেপ রেকর্ডার নিয়ে! আবার কিছু ছাত্রী এবং একই আদর্শের বাম কিছু শিক্ষিকাকেও যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে রাখেন! বুঝলেন কিছু? যদি ইজ্জত হেফাজত করার চিন্তা মাথায় থাকতো, তাহলে স্যার হয়রানী করবেন জানা সত্ত্বেও রাতে উনার বাসায় যেতেন না! উনার চরিত্রে কালিমা লেপন করার উদ্দেশ্যেই টেপ রেকর্ডার সাথে নিয়ে যাওয়া!

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল কবীর জাহিদের সাথে সাংবাদিকেরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তদন্ত মাঝপথে আছে। কমিটির এক সদস্য ভারতে আছেন। অপর সদস্যের বাবা সম্প্রতি মারা গেছেন। তিনি ছুটিতে আছেন। ফলে একা তদন্ত করা যায় না।

সব ক’টা মরলেই তদন্ত শেষ হবে!

উল্লেখ্য যে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষকের (একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আল হাসান) বিরুদ্ধে ছাত্রীকে বিয়ে ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ঘটনা তদন্তে গঠিত হয়েছে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসে চলছে ছাত্র আন্দোলন।

সূত্রঃ দৈনিক পত্রিকা

গ্রামে গঞ্জের সহজ সরল মেয়েরা যখন বিয়ের প্রলোভনে পড়ে ইজ্জত আব্রু খুইয়ে ফেলে, তখন না হয় বিশ্বাস করা যায়, ঘটনা সত্যি, যৌক্তিকতাও আছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া মেয়েরা যখন বলে, বিয়ের প্রলোভনে পড়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে, তখন প্রচন্ড রাগ, কখনো খুব হাসি পায়! স্বেচ্ছায় বছরের পর বছর লুইচ্ছামি করবে, এক পর্যায়ে ঝগড়া ঝাটি, প্রতিশ্রুত ওয়াদা ভঙ্গ হলেই মেয়েটি হঠাৎ আচমকা অভিযোগ দিয়ে বসে, বিয়ের প্রলোভনে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ, যৌন হয়রানী করেছে!!!!!

বুঝে শুনে মেয়েদের শরীর বিকিয়ে দিয়ে অহেতুক মিথ্যা ধর্ষণ, যৌন হয়রানীর অভিযোগ বন্ধ হোক, লম্পট শিক্ষকদের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত এবং তদন্ত শেষে অপরাধী যেই হোক, ছাত্রী অথবা শিক্ষক, দৃষ্টান্তমূলক হবে এই কামনা করছি।

বিষয়: বিবিধ

১৫৭১ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

319175
১০ মে ২০১৫ সকাল ১০:১৬
এনাম বিন আব্দুল হাই লিখেছেন : বুঝে শুনে মেয়েদের শরীর বিকিয়ে দিয়ে অহেতুক মিথ্যা ধর্ষণ, যৌন হয়রানীর অভিযোগ বন্ধ হোক, লম্পট শিক্ষকদের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত এবং তদন্ত শেষে অপরাধী যেই হোক, ছাত্রী অথবা শিক্ষক, দৃষ্টান্তমূলক হবে এই কামনা করছি।
কথাগুলো খুবই ভালো লাগলো, তবে অদুর ভবিষ্যতে দৃষ্টান্তমূলক কিছুই আশা করতে পারছি না। কারণ এই ক্যানসারের আগ্রাসনে পুরো সমাজ সয়লাব, বিশেষ ভাবে শিক্ষাঙ্গন।
১০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:০৬
260356
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার খুব ভালো লাগছে! পাঠকের নিকট কোন লেখাকে ভালো লাগানো খুব কঠিন কাজ, আল্লাহর নিকট শোকরিয়া।
আশা করতে পারছেন না, আমিও পারছি না, ভুক্তভোগীরাও পারছে না, তাই সান্ত্বনা পেতে আমার নিচের লেখাটিতে একবার চোখ বুলিয়ে আসুন, আশা করি উপকৃত হবেন।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/9039/GaziSalauddin1/62908
যথার্থই বলেছেন, এই ক্যান্সারের আগ্রাসনে পুরো সমাজ সয়লাব, বিশেষভাবে শিক্ষাঙ্গন! আমার মাঝে মাঝে মনে হয়য়, ক্যাম্পাস নয় যেনো আগুনের গোল্লার মধ্যে পড়ে আছি!

প্রথম মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নেবেন।
319176
১০ মে ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
egypt12 লিখেছেন : ওরা অবুঝ ওরা নাদান তাই উচ্চ শিক্ষা নিতে এসে উচ্চ! শিক্ষাই নিচ্ছে...স্যারদেরও তো উচিত সর্বমূখী শিক্ষা প্রদান করা- যাতে ছাত্রীরা মাল্টি ট্যালেন্ট হয়।
১০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:০৯
260357
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : হা হা হা! সত্যই বলেছেন, সত্য বললে গায়ে লাগে!
নাদান নয়তো কি! বিয়ের পরে পাবে জেনেও বিয়েরটাও পাওয়া চাই! তা যেকোন উপায়ে হোক।

তাইতো ছাত্রীরা এখন শুধু পড়াশোনাতেই এগিয়ে যাচ্ছে না, যাচ্ছে অন্য সব ক্ষেত্রে বিশেষ করে লিউচ্চামির ক্ষেত্রে।

মাল্টি ট্যালেন্ট!

ধন্যবাদ নিয়েন মন্তব্যের জন্য।
319190
১০ মে ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
হতভাগা লিখেছেন : মিউচ্যুয়াল কেসে মেয়েরা যখন বুঝে যায় তে তারা হেরে যেতে বসেছে তখনই একে ধর্ষনের কালার দেয় ।

সামনে এমন দিন আসবে যে স্ত্রীও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ আনবে যদি তার মর্জিমত উঠ বস না করে।

তবে , যতই সময় যাবে মানুষ বুঝতে শুরু করবে যে এসব জিনিসে কখনই এক হাতে তালি বাজে না ।

সূরা ইউসূফে কে কাকে প্ররোচিত করেছিল সেটা কি আমরা ভুলে যাব ?

'' নারীর ছলনা ভয়ংকর '' - সূরা ইউসূফ
১০ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৯
260352
আবু জান্নাত লিখেছেন : উফ! চমৎকর মন্তব্য।
১০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:১৬
260360
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অথচ কি অদ্ভূত ব্যাপার, কিছু হাদারাম এটাকে বিশ্বাসও করে নেয়, আবার কিছু সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করে, নারী তুমি লক্ষবার ধর্ষিত হয়েছ সমস্যা নাই, তবুও সামনে এগিয়ে যাও তোমার মত সাহস বুকে নিয়ে!
স্ত্রী অভিযোগ করবে, এ দিন এসেই গেছে, তসলিমা তার 'তুই নিষিদ্ধ তুই কথা কইস না' বইয়ে মেয়েদের শিখিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে স্বামীর বিরুদ্ধে কোন রাখ ঢাক না রেখে অভিযোগ করতে হবে! সে দিন নাসাই কল্যানকর, নয়ত বউ নয়, এক একটা দারোগার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। এখনো বিয়ে করি না, জানিনা কপালে কী দূর্দশা অপেক্ষা করতেছে!

অধিকাংশ মানুষ বুঝে এক হাতে তালি বাজে না, কিন্তু এই কথাটা বলতে গেলেও যে নারী অবমাননা হবে! তারপর জেল জুলুম!

সূরা ইউসুফের কাহিনী ভুলে গেছে, অথবা ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেইতো দোষটা এক পেশে হয়ে যাচ্ছে।

অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যটি করার জন্য।
১৩ মে ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
260824
আহসান সাদী লিখেছেন : আপনার মন্তব্যটা বেশ লেগেছে।

'বিয়ের প্রলোভনে পড়ে...' এই কথাটা খুব ভাবায়। মামুলি প্রলোভনে পড়েই কি তবে সব ছেড়েছুঁড়ে দিতে হবে! মূল্যবোধের দেয়ালটা কি তবে এতোই ঠুনকো!

গাজী সাহেবকে ধন্যবাদ, ভালো পোস্ট ছিলো।
১৪ মে ২০১৫ সকাল ০৮:৪২
261019
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমার পাড়ায় আপনাকে স্বাগতম @ আহসান সাদী
319232
১০ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫০
আবু জান্নাত লিখেছেন :
গ্রামে গঞ্জের সহজ সরল মেয়েরা যখন বিয়ের প্রলোভনে পড়ে ইজ্জত আব্রু খুইয়ে ফেলে, তখন না হয় বিশ্বাস করা যায়, ঘটনা সত্যি, যৌক্তিকতাও আছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া মেয়েরা যখন বলে, বিয়ের প্রলোভনে পড়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে, তখন প্রচন্ড রাগ, কখনো খুব হাসি পায়! স্বেচ্ছায় বছরের পর বছর লুইচ্ছামি করবে, এক পর্যায়ে ঝগড়া ঝাটি, প্রতিশ্রুত ওয়াদা ভঙ্গ হলেই মেয়েটি হঠাৎ আচমকা অভিযোগ দিয়ে বসে, বিয়ের প্রলোভনে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ, যৌন হয়রানী করেছে

আমার কাছে এই কথাগুলো চুম্বক অ‍ংশ মনে হয়েছে, তাই রিভিউ করলাম। লিখাটির জন্য ধন্যবাদ।
১০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:১৮
260361
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পাঠকের ভাললাগাতেই লেখকের অনেকাংশে স্বার্থকতা! আপনি আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব, আপনার ভাললাগাতে অন্য রকম অনুভূতি আসে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়েছেন, সঙ্গেই থাকবেন।
দোয়া রইল ভালো থাকুন।
319233
১০ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : দৃষ্টান্তমূলক হবে এই কামনা করছি।
কার কাছে করব বলূন - প্রধানমন্ত্রী বা আদালত সবাইতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের মৌলিক অধিকারের ধর্ষণ করেছেন। তারা কি বিচার করতে পারবেন।
১০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:২৪
260363
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যথার্থই বলেছেন, বিচার চাওয়ার জায়গা নেই!!!!
কার কাছে বিচার চাইবেন, তাঁর দিক নির্ধেশনা পেতে আমার নিচের লেখাটি পড়তে পারেন।
319245
১০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:২৫
319251
১০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কে কাকে এক্সপ্লয়েট করল???
নম্বর এর সময় মনে থাকেনা!!
১০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৮
260380
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যথার্থই বলেছেন। মনে রাখা উচিতও না, তাহলে যে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রইল ব্রাদার!
319283
১০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪২
শেখের পোলা লিখেছেন : "আজ্জানিয়াতো ওয়াজ্জানী ফাজলেদু কুল্লো ওয়াহেদিমমিন্হুমা মিয়াতো জালদাহ" তবেই হবে উচিৎ শিক্ষা, আর তা হতে হবে প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায়৷
১২ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:০২
260679
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার সাথে শতভাগ সহমত। এই বিধান কার্যকরা হয়য় না বলেই এমন অনাচারে সয়লাব হয়ে গেছে দেশ।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
319403
১১ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:২৫
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ' নিশ্চয় দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; মুমীন নারী মুমীন
পুরুষের জন্য, মুমীন পুরুষ মুমীন নারীর জন্য'।
--- সূরা আন নূর- 26
ভালো লাগলো
১২ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:০৩
260680
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আল্লাহর আয়াত কখনো মিথ্যা হতে পারে না!

ভালো লেগেছে খুশি হলাম।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০
319538
১২ মে ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : ভাই, ঠিক বলেছেন । মেয়েরা টিচারদের ব্লাকমেইল করার চেস্টা করে । তবে আমাদের টিচারদের নৈতিক অবস্থাটাও একেবারে তলানিতে । আসলে বিষয়টা এমন যে সর্বাংগে ব্যাথা ঔষধ দেব কোথা । এই পচনশীল সমাজে একটু পজেটিভ আশা করাটাও যেন কিছুটা বোকামি । তারপরও আশা নিয়েই আমাদের বাচতে হবে । ভাল লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
১২ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:০৭
260682
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ফুটন্ত গোলাপ, আমার পাড়ায় এসে প্রথম মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা নেবেন।
যথার্থই বলেছেন, এখন আর শিক্ষক কে অভিভাবক ভেবে তাঁর কাছে নিজের মেয়েকে একা পাঠানোর ভরসা করা যায় না।
ঠিক বলেছেন, ঔষধ দেয়ার জায়গা নেই, তবুও জায়গা করে নিতে হয়য়।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখাকে ভালো বলে মূল্যায়ন করার জন্য।
১১
319774
১৩ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৩৩
মোনায়েম মন্ডল লিখেছেন : ধরে নিলাম শিক্ষক ঐ ছাত্রীটি বিয়ে করলেন, তার মানে কী তাদের ইতিপূর্বের অবৈধ সম্পর্ক বৈধতা পেয়ে গেল?
কখনই না। বিয়ের প্রলোভন দেখালেই কেন সব কিছু উজার করে দিতে হবে? যেখানে মুহরিম পুরুষ ব্যতিত হজ্ব করার অনুমতি নেই উনাকে কে এতদূত যাওয়াত অনুমতি দিল?
১৩ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:১৭
260878
ফুটন্ত গোলাপ লিখেছেন : হুম ভাই ঠিক বলেছেন । আমাদের পচনশীল সমাজের এটা একটা নমুনা । চারিদিকে তাকান সবখানে একই অবস্থা ।
১৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৮
260913
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কোনোভাবেই তা বৈধতা পেতে পারে না, বরং বিয়ে পূর্ব সম্পর্ককে বৈধ বলে ভুল বুঝিয়ে ভোগ করাই উদ্দেশ্য। বলে, আমিতো ক'দিন পর তোমাকেই বিয়ে করছি, আমাদের মধ্যেতো মিলন হবেই, সো আগে আর পরে হলেই হলো!

নিজেদের যে ইচ্ছে আছে সেটা মুখে বলতে পারে না বলেই বিয়ের কথা শুনে অস্থির হয়ে পড়ে উজার করে দিতে।

যথার্থই বলেছেন, মাখামাখি সম্পর্ক না থাকলে এতোদূর যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

মন্তব্যদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১২
319961
১৪ মে ২০১৫ সকাল ০৬:৪৫
কুশপুতুল লিখেছেন : লেখাটি পড়লাম।
১৪ মে ২০১৫ সকাল ০৮:৪১
261018
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমার পাড়ায় আপনাকে স্বাগতম।
১৩
320330
১৬ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : লেখাটা সম্পূর্ণ পড়লাম কি জবাব দিব বুঝতে পারছিনা। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যদি কোন নারীর সাথে বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক করা হয় এবং পরবর্তীতে পুরুষ সঙ্গীটি বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে, তখন সেটি ধর্ষণ বলে বিবেচিত হয়। তাই কোন নারী যিনি এমন অবস্হার শিকার তিনি সেই পুরুষের নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে এসব মামলাই আমরা দেখছি কিন্তু সাধারণ চোখে বুঝে আসছেনা দুজনের সম্মতিতে সব কিছু হলে ধর্ষণ হয় কিভাবে?দূর্বলতা আইনে।
১৮ মে ২০১৫ সকাল ০৫:২২
261773
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বুঝতে পারছেন না তবুও অনেক বড় কমেন্ট করে ফেললেন!

বিয়ের কথা বলে হলেও বিয়ে পূর্ব সম্পর্ক অনুমোদন দেয়া মানেই অবাধ যৌনতাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া।

আপনার যা বুঝে আসে না আমারও তা বুঝে আসে না।

অনেক পরে হলেও লেখাটি পড়েছেন এবং সুন্দর কমেন্ট করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File