স্মৃতিবেদনাতুর-০২
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:০০:৫৮ সন্ধ্যা
আমি একটু বেশিই নস্টালজিক। দূর্ভাগ্যজনকভাবে আঞ্চলিক ভাষায় হুবহু কথা বলতে পারি না, যদিও আমার শৈশব, কৈশর, যৌবনের প্রারম্ভ অতিবাহিত করেছি গ্রামে। শিকরকে ভুলে যাওয়া অন্যায়, আঞ্চলিক ভাষা চর্চা এবং শাহিদার স্মৃতি রোমন্থনে লিখাটির প্রকাশ।
শাহিদা কিতা মনে কইরব? আঁই হাষাণ? হগগলের হোয়াগ অন আঁর একলার দখলে! আঁর কিত্তা আক্কল, কিছু কয় ন দেইক্কা মনে কইচ্ছি হেতি কিছু মনে করে ন! ওরে বেহুশ কত্তনে অইব হুশ? হুশ আঁর অয় ন। অইলেও হেতির হোয়াগের ভাগ আঁই হেরত দেই ন! কোনোদিন কই ন, শাহিদারে যেন থাইক্কা হারেন, নিয়া আইয়্যেন, নইলে আই সব ভাইঙ্গালাইম! অক্ষন মনডা কয় হেতিরে ডাইক্কা হেতির হোয়াগের অংশ মিডাইয়া দেই, আবার ডরও লাগে, হেতির যে দেমাগ, মনে অয়না আঁর ডাক হুইনব।
শাহিদার চইল্লা যাওনের সুময় হগগলে যন চেষ্টা কইত্তেছে শাহিদারে আটকানের লাইগগা, হেসুময় কেবল আঁই জুত করি আছিলাম! আঁই যদি একবার যাইতে মানা কইত্তাম, মনে অয় থাইক্কা যাইতো। কিন্তুক মানা করি ন। কিল্লাই করি ন, জানি না, এইডা আঁর কারণ ছাড়া অভিমান, আজাইরা হাগলামী। আইচ্ছা, আই নইলে হাগলামী কইচ্ছি, হেতিও কি করে ন? কইচ্ছে, হাগলামীর সব সীমা ছাইড়া গেছে। এল্লাই হেতির আর আঁর রাস্তা আলাদা!
শাহিদা হুনি রাখ, বাপের হোয়াগ তুই বেশি হাইছস, আঁই বেশি হাই ন। বিছনার হাশে আই হুতি, তুই দেয়ালের লগে, নিয়মমত আগে হোয়াগ হাওনের কতা আঁর, কিন্তুক বাপে হগগল সুময় নিয়ম ভাইঙ্গা তোর গাল চুমায় চুমায় ভিজাই দিতো, আঁর কিছমতে মাডি! তুই অইছস এক্কেবারে বাবার লাহান। ধব ধবে সাদা সুন্দর মায়াবী চেহারার। আর আঁই আছিলাম কালা! তোরে যদি বাপে বেশি আদর কইরা থায়ে, আরেও কিন্তুক মা আর আপারা অনেক আদর কইত্ত।
আঁর নাক বোঁচা, তোর চিয়ন! আঁর ঠোঁড হাডাখুডাইন্ননা(এই শব্দের মানে আমিও জানিনা! এই নাম আমার এক বোন দিয়েছে), তোর নরমাল, আঁর হাসি এড়ানি মার্কা, তোর মুচকি মুচকি! এল্লাই মনে অয় বাবা তোরে বেশি আদর কইত্ত। বাবা হোলাইনের তুন মাইয়্যাদের বেশি ভালোবাইসতো, ছয়জন মাইয়্যা অনের হরেও অভিশাপ মনে করে ন। আশীর্বাদ মনে কইচ্ছে, তোদের লাইগগা হডার ভেজালমুক্ত আদর দেইখলে বুইঝদি হারবি।
তুই বাপের হাচ নম্বর মেয়ে, আন্ডা মোট আষ্ট ভাই বইন। কতো বেলা চাউলের টেয়া জোগাইতে না হাইরা হাঁস মুরগীর খাওনের লাইগগা জমা চাউলের খুদ দি নরম জাউ রাইন্ধা আন্ডার দিন কাইটছে। মোডা চাউল আছিল হতিদিনের খাবার, ঢেঁইয়ে গুঁড়া কইরাই খাইতে অইতো। এরোম অভাবেও বাবার আতে ক’ডা টেয়া আইলে গরু/ছাগলের গোশত/বড় মাছ নিয়া আইতো, গোশত খাইলে দাঁতে আটকি যাইতো দেইখখা আঁর লাইগগা গরু বা খাসির কইলজা নিয়া আইতো। অক না ৩মাস, ছয় মাস, এক বছর হর হর, তারহরেও হোলামাইয়ার মুয়ে হাসি হুডাইতো! অভাব আছিল অনেক, কিন্তুক বউ সন্তানের যত্নে উদাসী আছিল না।
আইজকাল সব্বে অনুসরণ করে ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়’ নীতি। কেউ অভাবের ডরে, কম হোলামাইয়া অইলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত কইরা তুইলতে সহজ অইব, কেউ সমাজে মুখ দেখাইতে হাইত্তনা বলে। আলহামদুলিল্লাহ্, গরীব ঘরে জন্ম নিয়াও তোর বড় ভাই কয়দিন আগে উচ্চ শিক্ষা শেষ কইচ্ছে, আঁরও শেষের দিগে। তোর বইনেরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত না অইলেও কেউ বকলম অইয়া জামাইর ঘর কইত্ত যায় ন। বাপ মায়ের মাথার ভিত্তে এক সন্তান নীতির ভূত চাইপলে সুন্দর দুনিয়ার আলো কেন্নে দেইখতাম! এরোম জুলুম বাবা মা কইত্ত হারে ন, আন্ডার বাবা-মা আন্ডার গর্ব, হেতারারে জানাই হাজার সালাম।
এবারে বাইত আইছি মায়েরে কামে সাহায্য কইত্তাম, কিন্তুক অন দেই মাই আর সেবায় লাইগগা রইছে। গত ১৫-২০দিন ধইরা শরীরডা ভালা যায় না, চলাহেরা কইত্তে অনেক কষ্ট অয়, বাইত আইয়নের হরের দিনই কড়া জ্বর উডলে বিছনা লই। ঘণ্টা খানিকের মইধ্যে বাবা ডাক্তার নিয়া হাজির। হরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার বাবারে কয়, “আন্নের হুতের অবস্থা বেশি ভালা না, হেতেরে কঁচি মুরগার বাচ্ছা, ফলের রস, ডিম, ভালা ভালা খাওয়ান, নইলে সহজে সুস্থ অইত ন”!
বাবা চুপ কইরা খাড়ায়ে আছিল, ওগগা কতাও কয় ন! বিছনায় হুতি কয়, “কতো কষ্ট কইরা হড়ালেয়া করাই, হেতে ঠিকমত খায়না, শইল্লের যত্ন নেয় না, অক্ষণ অসুখে মরে”। মা বাবার লগে হোতা, এরোম কতা হুনি জিজ্ঞায়, “আন্নের কিতা অইছে, কোনো সমস্যা”? বাবার মুয়ে কতা নাই! নিথর হইরা রইছেন! আঁর শইল্লের অবনতির কতা হুইন্না বাবা বড় শক খাইছে।
কইত্তাম আইছি মার সেবা, হডি করে আঁর সেবা! বৃদ্ধা মা, কাম কাজ হালাই দি আরে নিয়া ব্যস্ত। একবার কয়, “মাথায় হানি দিলে ভাল্লাগেনি? মাথার ধরা কমে নি”? আই কইলাম, “ভাল্লাগে, কিন্তু আন্নের কষ্ট অয়”! “ঠাস করি গালে একটা ছটকনা দিম, আরেকবার এই কথা কইলে! ছোডকালের কথা ভুইল্লা গেছ? তন তো কও নাই, মা আঁর যত্ন নিয়েন না! হায়খানা হেশাব ধুইতে ধুইতে জান বারি গেছে। তোঁয়ার লগেরটার চইলা গেছে দেইখখা তোয়ারে মাথায় রাই ন উনে খাইব কইরা, মাডিতে রাই ন পিঁপড়া খাইব কইরা। অচল অই গেলে মার কি ভালা লাইগব”? আঁই আর কতা বাড়াই ন, চোখ বন্ধ কইরা চিন্তা কইরতে লাইগলাম, আঁর মা এতো ভালা কিল্লাই!
তুই যদি থাইকতি, হিনারিতে মরি যাইতি, বাবার টান হুদা মাইয়ারার লাইগগা নয়, হোলারার লাইগগাও হডার হমান আদর। তোরার বেলায় দরদ ডা দেখাইতে হারেন, আন্ডা হোলারার বেলায় হারেন না, এইডাই হার্থইক্য!
তাইলে তুই নাই? হে, নাই! গত হশিচ বছর ধরি আছিলি না আন্ডার লগে!
আঁই তুই যমজ ভাই বইন। তুই জন্মাইছস মাগরিবের সুময় আর আঁই এশার সুময়। মানে অইল তুই আঁর আপা!! আপা অইলে কিতা অইব! তোর পিডের লাইগগা আঁর পক্ষ থাইক্কা বরাইদ্দ কিল কনি ওগগাও মাডিতে হইরতে দিতাম না! তুই কি আঁর মাইর খাওনের ডরে হলাইয়া গেছস? গাধী আইজ্জানি! ভাই বইনরে কেবল মারে, আদর করে না? ভাই তোর লাইগগা চকলেট, বিস্কিট, চানাচুর, কাবলী বুট, বাদাম, আরো কতো রমের জিনিস আইনতাম, খাইয়া মাইরের একদম ভুইল্লা যাইতি। তারহর যাইয়া, তুই আঁই খাতায় ক্রিকেট, যদুমধু, লুডু, ‘আঁই যেইডা দেই, তুই হেইডা দেওনি?’ খেলা, মেঘ বাদইল্লা দিনে ছইয়ের গোডা, চাউল ভাজা, তেলে ভাজা মুড়ি খাইতে খাইতে ফাটাফাটি গল্পে মইজা উইঠতাম। গল্পের হাকে হাকে তুই আর যেতারা আসরে বই থাইকত, তোদের শইল্লে চিমটি, মাথায় ঠোকনা, পায়ের হাতায় কুতকুতি দিয়া রাগাইয়া তুইলতাম, মা মা বইল্লা চিল্লাইতি, মা আইয়া আঁরে হলার মোডা দি মাইরা ক’ডা দিনের লাইগগা আতের সুরসুরি বন্ধ কইরত ঠিক, হরে আবার যেই সেই!
হায়খানা হেশাবে ধইল্লে, হেডে বুক লাইগলে এক লগে ওয়া ওয়া কইরা কাইনতাম, মা হাগলের লান ছুডি আইত, হায়খানা হেশাব ধুই দিত আর দুইডারে দুই কোলে লই এক লগে দুধ খাওয়াইতো! আঁই আর তুই মা এবং বইনদের জ্বালাইছি। কিন্তুক কিছু জ্বালতন, বিরক্তেও নির্মল আনন্দ থায়ে! তোর লাইগগা ভাইয়ের কইলজা জ্বলে। দাইমার খামখেয়ালী বা অইন্য কোনো কারণে জন্মের সুময় তোর কোমরের হাড্ডি ভাইঙ্গা যায়, ব্যথার চোডে তু কাইন্তি, মা আর আপারা মিইল্লা তোর কান্না থামানোর চেষ্টা কইরত, আহারে কত কষ্ট হাইছিলিরে বইন! তুই এরম ঢকের আছিলি, মা তোর দিগে তাকাই থাইক্কা আল্লাহরতুন শোকরিয়া আদায় কইত্ত।
“একটি পুরুষ শিশুর চেয়ে একটি নারী শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। একটি নারী শিশু রোগ জীবাণু ও বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির বেশি লড়াই করতে পারে। আর এ জন্যই নারীদের তুলনায় শিশু মৃত্যুর হার পুরুষদের মধ্যে বেশি”।– ডাঃ জাকির নায়েক। না রে বইন, তোর বেলায় এরোম নিয়ম খাডে ন। ডাইরিয়া ব্যারামে ধইরা এক সাপ্তা যুদ্ধ কইরা ডাক্তারদের শত চেষ্টার হরেও জন্মের আড়াই মাসের মাথায় মায়ের কোল খালি কইরা চইল্লা গেলি মালিকের কাছে! আইছিলি নিষ্পাপ অইয়া, চইল্লাও গেলি নিষ্পাপ অইয়া, তুই ভাগ্যবতী! তবুও ভাইয়ের মনডাতো মানে না রে বইন ......
মায়েরে জিজ্ঞাইলাম, “মা, শাহিদার কতা আন্নের মনে হড়ে না”? মা কয় “দিলি তো মায়ের মনে আগুন লাগাইয়া”! সে আগুন থাইক্কাই তুইলা নিয়া আইছি তোরে নিয়া লিখার মাল মশলা। বইন তবে ভালা থাক।
যাদের বুঝতে অসুবিধা হয়েছে, তাদের বুঝার সুবিধার্থেঃ
হাষাণ=পাষাণ, হগগলের হোয়াগ=সকলের আদর, হেতি=সে(শাহিদা), জুত=নীরব, কিল্লাই-কি জন্য?, আন্ডার=আমাদের, হশিচ=পঁচিশ, মাডি=কিছুই না পাওয়া, ওগগা=একটা/একজন, হডার=উনার(বাবার), আতে=হাতে, যন=যখন, হুডাইতো=ফুটাইতো, কেন্নে=কেমন করে, হেতারারে=তাদেরকে, বাইত=বাড়ি, হরীক্ষা=পরীক্ষা, আন্নের=আপনার, হুতের=ছেলের, হুতি=শুয়ে, শইল্লের=শরীরের, হডি=উনি(মা), হানি=পানি, হিনারিতে=হিংসাতে, হুদা=শুধু শুধু, গাধী আইজ্জানি=গাধী একটা, ছইয়ের গোডা=সীমের বিচি, হলার মোডা=শলার মোটা, হেডে=পেটে, ঢকের=রুপের, আল্লাহরতুন=আল্লাহর কাছে, খাডে ন=কাজ দেয় নি। আরো কিছু যদি বুঝতে অসুবিধা হয়, অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
আমি এখনো খুব অসুস্থ, আমার সুস্থতায় সবাই আন্তরিকভাবে দোয়া করবেন, এই অনুরোধ সবার প্রতি।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৩ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, কিন্তু সবসময়তো সহজ করেই লিখি, আজ না হয়য় একটু কঠিন করে লিখলাম! ভাইয়ের জন্য বোন এমন কষ্ট করতেই পারে!
তবে কষ্টের পরিমাণ খুব হওয়ায় সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এবং প্রথম মন্তব্যের শুভেচ্ছা নেবেন।
আশাবাদী যুবকের পোস্টে আমার উদ্দেশ্যে করার মন্তব্যে উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর জবাব এই লিখায় পেয়ে যাবেন আশা করি।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
স্বভাববিরুদ্ধ কাজটিই আমার জন্য করেছেন, আমি খুব খুব কৃতজ্ঞ!
আপনি চমৎকার লিখেন, তাই আপনার মুখে আমার প্রশংসা আমার হাত কে সচল রাখতে নিঃসন্দেহে অনেক সহযোগিতা করবে।
আমার উদ্দেশ্যে আপনার এতোগুলোর দোয়ার পরে বলছি আমিন, এবং উক্ত দোয়াগুলো আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্যও।
ধন্যবাদ দেয়া যথেষ্ট নয়, তবুও আপাতত ধন্যবাদই দিলাম।
হে আল্লাহ আপনি সাকা ভাইয়াকে সুস্থ্যতা দান করুন । আমীন ।
হে আল্লাহ্, পনির দোয়া আপনি কবুল করে নিন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
উপস্থিতি এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেবেন।
সরি! অনেক বড় একটা অন্যায় করে ফেলেছি, যাই হোক, অসুস্থতা 'প্রায়' পর্যন্ত আছে জেনে স্বস্তি পেলাম।
সুন্দর মন্তব্যটি করার আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কি হয়েছে ভাইয়া আপনার? দোয়া করব যেন আল্লাহ সুস্হ করে দেন তাড়াতাড়ি।
শরীর মাথা কেমন ঘুরে, বসে, দাঁড়িয়ে স্বস্তি নেই, হাটতেও খুব কষ্ট হয়, কচ্ছপের মত ধীরলয়ে হাটাচলা করি, অথচ আগে এমনটা ছিল না, এইতো কিছুদিন আগেও খুব ছোটাছুটি করতাম, অথচ আজ...
তারপর লম্বা জ্বরে পুরাই বেদিশা বানিয়ে দিল।
আমার জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ্ যেনো কবুল করেন। আমিন।
আপনি আসলে ভালো লাগে, সময় সুযোগ করে আসবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
লিখার জগতে আমি খুব কাঁচা, তবে ভালো লিখায় কদর করি, কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য এই ব্লগে মানসম্মত লিখা খুব একটা দাম পায় না, যা অনেক আগেই বুঝেছি।
আপনি ভিন্ন আদর্শের হতেই পারেন, আপনার মতামতও প্রকাশ করতে পারেন, তবে কাউকে আঘাত দেয়ার উদ্দেশ্যে নয়, একটা জায়গায় আমরা সবাই একাট্টা, নাস্তিকদের ঘৃণা করা। আরেক টা নিজদের মধ্যে ভুল ত্রুটি নিয়ে পাবলিকলি বেশি নাড়ানাড়ি করলে ইসলাম বিদ্বেষিরা হাসাহসি করে, তাই...
আমি বয়সে আপনার ছোটই হবো, তাই শ্রদ্ধা নয়, স্নেহ করলেই খুশি হবো।।
শিয়া সুন্নী নিয়ে আপনার লিখাগুলো পড়িনি কারণ, ওসব আমার মাথায় ঢুকবে না, এমন কি কমেন্ট করার যোগ্যতাও রাখি না। তাই। ভালো থাকবেন ভাই!
আরে মানুষ মনে অয় না আন্নের? কুত্তা বিলাই গ্রাইম্য ভাষা হাইললেও হেতারা কি ব্লগে লিখত হাইরব? হাইত্ত ন! আশা করি আন্নের সন্দেহ দূর অইছে!
আন্নের ভালা লাইগজে হুনি আঁরও ভালা লাইগছে।
আঁর লাই আন্নের দোয়া আল্লাহ্ কবুল করুন।
দোয়া রইল আন্নের লাইও।
আন্নেরেও ধন্যবাদ মন্তব্যো করার লাইগগা।
শাহিদা হুনি রাখ, বাপের হোয়াগ তুই বেশি হাইছস, আঁই বেশি হাই ন। বিছনার হাশে আই হুতি, তুই দেয়ালের লগে, নিয়মমত আগে হোয়াগ হাওনের কতা আঁর, কিন্তুক বাপে হগগল সুময় নিয়ম ভাইঙ্গা তোর গাল চুমায় চুমায় ভিজাই দিতো, আঁর কিছমতে মাডি! ...........................
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। আঁয় আঁর কি হইতাম? অনেতো ব্যয়গ্গিন হই পলাইয়! বইনর আধর পাদ্ধেইন দেহেয়েনে অনে সইতনপার!! অনত্তুন আধর পাইতে মনেহইইলে বপল্লয় এক্কণা গমগরি আঁসনমাতন পরিবু আঁত্তুন মনঅর অনেএগিন গরিতনপার! য়েত্তল্লায় অনে আধরহোয়াক ন'ফদে বুঝিতপাইগ্গোনা?
গালথ চুয়া পাইতোঐলে আক্কাণাগরি নিজত্তুনো বাপর হাছে দুরি যনপত্তো।
অনেতো এক্কাণা আলসিয়া আসিলা আলসিয়া হোয়ালত্তো মেঠি চারা আঁর কিঅইবো?
ফাজলামোর একটা সীমা থাকা উচিত!!!! চাটগাইয়া ভাষা আর সিলেটের আমার দুচোখের বিষ, কি জঘন্যো ভাষায় কথা বলে, আগা মাথা কিছুই বুঝি না!
যা বলছেন, তা সুন্দর করে তরজমা করে দেন!!!!!!
পরিবু
হেতির গোষ্টি কিলাই!
গালে চুমা পাইতো মনে চাইলে একটু নিজের থেকে আব্বুর কাছে দোড়ে যেতে হতো।
আপনিতো একটু অলস ছিলে অলসওয়ালা ছেলের মাঠি ছাড়া আর কি হবে?
চট্টগ্রামের ভাষা লিখতে যত কষ্ট হয়নি তরজমা করতে তারচেয়ে তিনগুন কষ্ট হয়েছে!!!
অসুস্থ আছেন জেনে খারাপ লাগলো! আল্লাহ আপনাকে শিফা দান করুন!
পরিবার পরিজনদের সাথে সুন্দর সময় কাটান সেই দোআ করি!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনার খারাপ লাগাই যে আমার কাছে দারুণ ভালো লাগার কারণ! আমি কোথাকার কোন এক ছেলে, যার জন্য আপনার খারাপ লাগে, আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া।
আমার জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ্ কবুল করুন। আমিন।
আমি ঢাকায় চলে আসছি বোন, পরিবার পরিজনদের সাথে সুন্দর সময় এখন স্মৃতি।
আপনার উপস্থিত অনেক ভালো লেগেছে, কিছু মানুষ এতোই আপন হয়েছে যে, না দেখতে পেলে সত্যি খারাপ লাগে।
আচ্ছা বোন সন্ধ্যাতারা কোথায়? উধাও হয়ে গেলো?
মন্তব্য করতে লগইন করুন