হাত দিয়ে খায় না, চামচ দিয়ে খায় (প্রসঙ্গঃযৌতুক) পর্বঃ ০১

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১১ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:০৭:২৪ রাত



কেউ এক গামলা ডাল মেরে প্লেটে কবজি পর্যন্ত হাত ঢুকিয়ে ময়দার মত মাখিয়ে মুষ্ঠিবদ্ধ করে পেটে চালান করে, কেউ আঙুলের তিন কড়ার উপরে ঝোল বা ভাত উঠতে না দিয়ে ভদ্রভাবেই খাওয়া শেষ করে, আবার কেউ দুহাতে চামচ টুংটাং ঠোকাঠুকি করে খাওয়ার কাজটি সম্পন্ন করে। যে যার রুচিমত পদ্ধতি অবলম্বন করে, করুক, খাওয়ার কাজ কিন্তু সম্পন্ন হয়েই যায়। ঠিক তেমনি, গরীবেরা চেয়ে নেয় বলে তার নাম যৌতুক, বড় লোকেরা নিলে তার নাম হয় উপটৌকন! যেভাবেই দিক কিংবা নিক, যৌতুক, সেতো যৌতুকই!!!! ব্লগার নূর আয়শা আব্দুর রহিমের অনুরোধে যৌতুক নিয়ে ধারাবাহিক লিখার প্রয়াস চালাচ্ছি, আল্লাহ্‌ সহায় হোন।

গল্প নয়, বাস্তব ঘটনা দিয়েই শুরু করি, যৌতুকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতার উদ্দেশ্যে এবং গীবতের গোনাহ থেকে মুক্ত থাকার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করে গল্পটি বর্ণনা করব, এমন অসংখ্য ঘটনা আপনাদের সামনেও হরহামেশাই ঘটে থাকবে, তারপরেও প্রত্যেকটি ঘটনাতেই থাকে কিছু শিক্ষা, তাই জানা জিনিস নিয়েই লিখতে বসলাম।

‘রেশমা(ছদ্মনাম), গরীব ঘরে জন্ম, বাবা খেটে খাওয়া দিন মজুর। মা আর ছোট বোন, এই নিয়েই তাদের সংসার। বিয়ের সময় অনেক আগেই পার হয়েছে, প্রস্তাব আসে অনেক, কিন্তু দারিদ্রতা আর যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বারবার সম্বন্ধ ভেঙ্গে যায়। গ্রামের লোকেরা বাবাকে তাগাদা দেয়, “মেয়েটা যে আইবুড়ো হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে খেয়াল আছে? যামানা ভালো না, কোন ক্যালেংকারী হওয়ার আগেই ভালো পাত্র দেখে বিদায় করো। তোমারতো এক খান জমি আছে, এইটা বিক্রি করে বা বন্ধক দিয়েই বিয়ের ব্যবস্থা করো, টাকা ছাড়া তোমার মেয়েকে কারও নিকট গছাইতে পারবা না”।

জমি বিক্রি করলে ভিটে ছাড়া বলার মত কিছুই থাকবে না, তাছাড়া আর একটা মেয়ে শেয়ান হচ্ছে, তারও তো একটা উপায় করতে হবে। তাই বিক্রি না করে ফজল মিয়া(ছদ্মনাম) তা কয়েক বছরের জন্য ‘লাকিত’ দিয়ে তা দিয়েই মেয়ের বিয়ের খরচ+যৌতুকের টাকা পরিশোধ করার কথা ভাবে। পাত্র পক্ষ দেখতে আসে, জয়নাল মিয়া(ছদ্মনাম), সে ঘোড়ার ঘাস কাটে আর খায়, ঘুমায়। পকেটে টাকা না থাকলে সিগারেট কেনা আর বন্ধুদের সাথে চা নাস্তা খাওয়ার টাকা জোগার করতে মাঝে মাঝে কাজ কামে যায়। দেহটা ছাড়া বলতে আর কিছুই নেই। রেশমার পড়াশোনা ইন্টারমিডিয়েট পাস হলেও ছেলে বকলম, নাম লিখতে গিয়ে খাতার উপর লাঙ্গল চালায়, তবু কোরবানীর বাজারে ষাঁড়ের মতই চড়া দাম উঠায়। ৫০হাজার নগদ এবং সাথে খাট, তোষক, আলমিরা ইত্যাদিও দিতে হবে! জমি লাকিত রেখে যা টাকা আসে তা দিয়ে বিয়ের খরচ মেটানোর পর যৌতুকের জন্য থাকে ৩৫হাজাড় টাকা। অনেক কষ্টে বাকি ১৫ হাজার টাকা দুই মাস পরে দেবে বলে বর পক্ষকে বিয়েতে রাজি করায়।

বেশ ঘটা করেই বিয়ে হলো। স্বামীর সাথে রেশমার সংসার আর দশটা মেয়ের মতই সুখ সাচ্ছন্দেই চলছে। কিন্তু কুঁড়ের হাতে পড়লে কি আর কপালে এতো সুখ সয়! বসে খেতে পারলে অলসরা কাজ করবে কোন দুঃখে! দুই মাস শেষ হওয়ার আগেই যৌতুকের টাকা শেষ। এখন? শ্বশুর বাড়ি থেকে এখনো ১৫হাজার টাকা পাওনা। বউকে চাপ দেয়, টাকা এনে দেবার দিতে, কিন্তু বাবা অক্ষম এই মুহুর্তে বাকি টাকা পরিশোধ করতে, অনেক চেষ্টা করেও টাকার ব্যবস্থা করতে পারেন নি। লোভী মন কি আর অন্যের সমস্যা বুঝে? বুঝে না, তাদের টাকাটা চাই চাই, যেকোন মূল্যে হোক! এক দুই তিন দিন অপেক্ষা করে, তারপরেও টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা না দেখে জয়নাল এক দিন খুব সামান্য ছুতা পেয়ে হাতের কাছে পড়ে থাকা উঠানের লাকড়ি দিয়ে রেশমাকে এলোপাতারি পেটাতে থাকে। এই শুরু, তারপর প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল সন্ধ্যা মাইর চলতেই থাকে।

রেশমার আর সহ্য হয় না। সদ্যই বিয়ে হলো, এখনোই বিয়ে ভেঙ্গে গেলে অথৈ সাগরে পড়বে, তার চেয়ে ভালো চেষ্টা করে যাক স্বামীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে যায় কিনা। বাবা মা কে চাপ দেয়, “আমার অবস্থা খুব সঙ্গিন, মরা লাশ যদি দেখতে না চাও, তাহলে শীঘ্রই জামাইয়ের হাতে বাকী টাকাটা তুলে দাও। দিতে না পারলে ভিটে মাটি বিক্রি করো, এই ক’টা টাকা দিতে পারো না, জন্ম দিছো কেন? জন্মের পরপরই লবণ খাইয়ে মেরে ফেললে না কেন?” পরে মেয়ের দুরাবস্থা অবসানের আশায় একমাত্র জমিটা বিক্রিই করে দেয়! একদিন সে টাকাও জয়নাল শেষ করে ফেলে। এরপর বউয়ের উপর মারের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়, যেনো সব দোষ বউয়ের! হুমকী দেয় তালাক দেবার, কিন্তু রেশমা যাবে কোথায়?

মার খেয়ে হলেও স্বামীর ঘরেই আশ্রয় খুঁজে নেয়ার জন্য স্বামী কে বলে, “চলো, তুমি বাহিরে কাজ খোঁজ করো, আমিও মানুষের বাড়িতে জিইয়ের কাজ করবো। এইভাবেই যৌতুকের বলি হয়ে চলছে রেশমার স্বাদের সংসার!

যৌতুক দেয়া এবং নেয়ার উদ্দেশ্য কী? দেয়ার উদ্দেশ্য মেয়েকে আইবুড়ো হওয়া থেকে সমাজে মুখ দেখাতে না পারার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি, টাকা পেয়ে খুশি হয়ে তাদের মেয়েকে বর আদর যত্নে রাখবে, সর্বোপরি মেয়ে সুখে থাকবে। নেয়ার উদ্দেশ্য এতোকাল ধরে কাড়ি কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পয়সা খরচ করে ছেলেকে বড় করেছে, বিয়ের বাজারে একটা মূল্যমানতো থাকা চাই, তাই নেয়া, দ্বিতীয় অকর্মাকে কর্মঠ করতে শ্বশুর বাড়ি থেকে পুঁজি নিয়ে ব্যবসা বানিজ্যের একটা উপায় করা ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তব চিত্র তার একেবারেই উল্টো। বসে খেলে রাজার গোলার ধানও যে শেষ হয়ে যায়।

এক রাজা তার ছেলেকে উপদেশ দিচ্ছে, “বাবা, এই যে আমার বিশাল রাজ দরবার, বিশাল সহায় সম্পত্তি, দুনিয়া জোড়া খ্যাতি দেখতে পাচ্ছো,জানো তা কেমন করে হয়েছে, পরিমিত খরচ করে তিলে গড়ে তুলেছি সি বিশাল সম্পদের স্তূপ। আমার জায়গায় যখন তুমি স্থলাভিষিক্ত হবে, আমার মতই পরিমিত খরচ করবে, খাওয়ার সময় বড় বড় মাছের মাথা নয়, ছোট মাছ খাবে, তাহলে সম্পদ ঠিক ঠাক থাকবে”। কিন্তু ছেলে শুনেনি বাবার কথা, দুই হাতে বেহিসাবে খরচ করেছে এবং অল্প কদিনে রাজ দরবার ছেড়ে পথে বসেছে। তেমনি যৌতুকের টাকাও শেষ হয়ে যায়, বিনা পরিশ্রমে এত্তোগুলো টাকা হাতে পেয়ে ভবিষ্যতে ফল দেবে এমন কোন কাজে না লাগিয়ে দু হাতে বেহিসাবে খরচ করে, যখনি শেষ, তারপর হা হুতাশ, বসে থাকতে থাকতে শরীর আর আরাম ছাড়া কিছু বুঝে না, আরামের দিনতো শেষ! খিটখিটে মেজাজ, বউকে যখন ভালো লাগেই না, তখন থুতু ফেললেও দোষ! উঠতে বসতে কাবজাব, চিৎকার চেঁচামেচি, ঘর যেনো তুমুল লড়াইয়ে উপনীত রণক্ষেত্র।

সবাই কি আর নরম শরম আলাবোলা হয়! অগ্নি কন্যাওতো আছে কোন কোন ঘরে। চড়া দাম দিয়ে কেনা ষাঁড় কে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিলে চলে? চলে না, চলতে হয় মনিবের ইচ্ছায়। বউয়ের বাবার টাকায় পায়ের উপর পা রেখে খাবে, বউকে কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবে? ঘাড় ধরে হুকুম তালিমে বাধ্য করবে। উঠতে বসতে খোটা দেবে, “ লজ্জা করে না আমার বাবার টাকায় ভাতের লোকমা মুখে নিতে! দুনিয়ায় এতো লোক থাকতে আমাকে কেন এই অথর্বের ঘর করতে হচ্ছে!”

এইতো গেলো স্বামী স্ত্রী মধ্যকার বৈরি অবস্থার কথা। সে ঘরে যদি থাকে লোভী ননদ, শ্বাশুরী, এবং ‘ঘোরা দেখলে খোঁড়া হয়’( অসুস্থতার ভান করে অন্যকে দিয়ে কাজ করানো) টাইপের দেবর থাকে, তাহলেতো বান্দী দাসী হয়েই থাকতে হয়। শুধু কি তাই, স্বামীর শক্ত হাতে মার খাওয়ার সাথে সাথে আরো অনেকগুলো নিঠুর হাত নেমে আসে হতভাগীর উপর।

যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় অনেক মেয়ের স্বামীর হাতে খুন, অথবা মার খেতে খেতে ভেতরে হাড় ভেঙ্গে অকালেই বিছানা নেয়ার খবর পত্র পত্রিকায় আসে, একটা সংখ্যা জানা যায়, যা আসল চিত্র নয়, তার চেয়ে বহুগুন বেশি ঘটনা আমাদের অজানাই থেকে যায়, তবুও যা দেখি পত্রিকার পাতায়, তা আমাদের ভেতরটা নাড়া দেয় না, সংখ্যার ব্যাপকতায় ঘটনাগুলো আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়, অথচ আমার কাছে তা স্বাভাবিক হলেও ভুক্তভোগীর কাছে মোটেও স্বাভাবিক নয়, যা তার কাছে জীবন মরণ প্রশ্ন!

যৌতুক নিয়ে অনেক আইন আছে, আছে কিছু প্রয়োগও, কিন্তু ব্যাপকতা খুব একটা কমেছে বলে মনে হয় না। হিন্দু সমাজে কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা বিয়ের সময় বর কে মোটা অংকের পণ দিয়ে দায় মুক্ত হয়, অথচ ইসলাম পাত্রকেই বাধ্য করেছে পাত্রী কে উত্তম সম্মানি তথা দেনমোহর দিয়ে ঘরে তুলতে। যা পরের কোন এক পর্বে বিশদভাবে আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ্‌। অতএব বিয়ে শাদীতে ঝেঁকে বসা হিন্দুয়ানা সংস্কৃতির উচ্ছেদ সাধন করে ইসলামী রীতি অনুযায়ী বিয়ের প্রচার প্রসার ঘটাতে পারলেই যৌতুকের ব্যাপকতা রোধ করা যাবে।

আগামী পর্বে যা থাকছেঃ

মধ্যবিত্ত এবং ধনীরাও কিভাবে কন্যার পিতা থেকে যৌতুক নিয়ে থাকে অথচ সুকৌশলে তা উপটৌকন/সম্মানি বলে চালিয়ে দেয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি, সঙ্গেই থাকবেন!

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৬ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

314298
১১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:১৭
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার কোনো বন্ধু সিলেটী থাকলে অবস্যই সে আপনাকে হয়তো অনেক বার বলেছে সিলেটে যৌতুক নেই। কিন্তু আমাদের সিলেটে যে যৌতুক বেশি সে সেটা জানে না জানতে চায় নাই। আপনার শিরোনামের সাথে আমাদের সিলেটের যৌতুকের মিল।
চালিয়ে যান "চামচ দিয়ে খায়" এই বিষয়ে বেশি লিখবেন কারণ এখানেই আমাদের অদৃষ্টি। ধন্যবাদ
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:২০
255308
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : বিশেষ অনুরোধ
গাজী ভাইয়ের ধারাবাহিক যৌতুক বিষয়ে লেখা গুলোতে মন্তব্য হোক, অভিঙ্গতার বিশালতা দিয়ে!!!! পোস্ট যেন পাঠকের শিক্ষার বিষয় হয়ে উঠে!
১২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:৫৯
255315
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জী আমার রুমমেইট সিলেটের। আপনার মন্তব্যের পরেই তাঁকে জিজ্ঞেস করি, "আপনাদের এলাকায় না কি যৌতুক নেই?" প্রথম বলেছে নাই, আমি যখন বলি, ধনীরা এবং মধ্যবিত্তরাও যৌতুক নেয়, বিষয়টি ব্যাখ্যা করলে বলে হা, পরোক্ষ যৌতুক আছে প্রচুর।

প্রথম মন্তব্যে আপনাকে স্বাগতম।

আপনার সহযোগিতা পেলে ইনশা আল্লাহ্‌ লিখা চালিয়ে যাবো।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
314310
১১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
এই ঘুরিয়ে নেয়া উপহার এর নামে যেীতুক এর সমস্যা চট্টগ্রামেও আছে। এমনকি এই রকম যেীতুক দেয়া কে অনেক কনের পরিবার ও জরুরি মনে করেন যে ছেলের নিষেধ কে বেয়াদবি বলে মন্তব্য করেন!!!
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:২০
255309
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : বিশেষ অনুরোধ
গাজী ভাইয়ের ধারাবাহিক যৌতুক বিষয়ে লেখা গুলোতে মন্তব্য হোক, অভিঙ্গতার বিশালতা দিয়ে!!!! পোস্ট যেন পাঠকের শিক্ষার বিষয় হয়ে উঠে!
১২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৬:৩৬
255322
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমি মনে করি, প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের বাবার কাছে এতো সাধু ভদ্র অনুগত সাজার দরকার নেই! ভদ্রতা করবে আর ওদিকে হারাম নিজে খাবে এবং তাঁর বিস্তার ঘটবে, যার জন্য দুনিয়াতে দায়ী থাকবে সে অনুগত যুগক এবং আখেরাতেও অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি!

আল্লাহর আদেশ নিষেধ বাস্তবায়ন করতে গেলে যেই হোক, বাঁধা হয়ে দাঁড়াক, একান্তই নিকট্মীয় হলেও তাদের অগ্রাজ্য করে প্রভূর বিধান কায়েম কেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।

আল্লাহর রাসূল বলেছেন, "তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের স্ত্রী সন্তান, পিতা মাতা থেকে আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূল কে ভালবাসবে'।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আমার জন্য দোয়া করবেন, আপনার জন্যও রইল অনেক দোয়া।
314311
১১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:০৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : অসহায় মানুষদের এইসব পড়লে অন্তর কেপে উঠে। মানুষ নামের কিছু দু'পা বিশিষ্ট জানোয়ার এখনো বাংলার বাঁকে বাঁকে ঝেকে বসে আছে। একজন কর্মঠ মানুষ, বিবেকবান মানুষ যৌতুকের ব্যাপারে কল্পনাও করতে পারে না। অনেক আছে ধনী হলেও মনের দিক থেকে অনেক সংকীর্ণ। তারা মনে করে ছেলের শশুর বাড়ী থেকে কিছু পেলে সমস্যা কি? মেয়ের জামাই থেকেও পেতে চায়, ছেলের শশুরের থেকেও পেতে চায়। এক কথায় বিকৃত মানসিকতা।
সমাজের মানুষগুলোর মানবতার উদয় হোক এই কামনায়।
জাযাকাল্লাহ খাইর
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:১৮
255307
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ঐ.....! গাজী ভাইয়ের ধারাবাহিক যৌতুক বিষয় লেখাতে মন্তব্য হোক, অভিঙ্গতার বিশালতা দিয়ে!!!! পোস্ট যেন পাঠকের শিক্ষার বিষয় হয়ে উটের।
১২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৬:৪০
255323
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সত্যি বলেছে, টাকা পয়সা হয়েছে কিন্তু সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নি! টাকা পয়সা হলে সংকীর্ণতা ধুয়ে মুছে চলে যায় না, ইসলামের পূর্ণ অনুশীলন কেবল পারে এই যাবতীয় সংকীর্ণতা থেকে মুক্তি দিতে।

সত্যি তাই ,এইসব বিকৃত মানুসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কাল মন ভালো ছিল না, তাই অনেক পরে মন্তব্যের জবাব দিলাম। সময়ের কারণে আপনাদের লিখাগুলো ও পড়তে পারছি না, ইন শা আল্লাহ্‌ পড়ে নেবো।
১২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৫১
255348
আবু জান্নাত লিখেছেন : মন্তব্য বাস্তবতার আলোকে করতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। @রহিম ভাই।
জ্বী ভাইয়া মন খারাপের কিছু নেই,
ইমানদারের জান মাল তো আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। যার কিনা (খরিদকৃত) বস্তু সে নিয়েগেছে। আর বিনিময়ে জান্নাতের ওয়াদা। আল্লাহ তায়ালার চেয়ে কে বেশী সত্যবাদী? নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্যবাদী। অতঃএব উনার জন্য দোয়া করুন। জাযাকাল্লাহ খাইর।
314313
১১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৩৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট ভাই। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যৌতূক প্রথা। যা পরিবার জীবন তথা মেয়ের বাবা মা, আত্মীয় স্বজনকে করে তুলছে আতঙ্কিত এবং অনাগত দম্পতির ভালাবাসাকে করছে কুৎসিত, গ্লানিময়। যার অভিশাপ পুরো জাতি বয়ে বেড়াচ্ছে নানারূপী ছদ্মাবরণে।

একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির লিখায় যৌতূকের নামে নির্যাতন এবং মৃত্যুর হারের পরিসংখ্যান দেখে আঁতকে উঠেছিলাম একদিন।

সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উত্তম বিষয় নির্বাচনী লিখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। জাজাকাল্লাহু খাইর।
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:২০
255310
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : বিশেষ অনুরোধ
গাজী ভাইয়ের ধারাবাহিক যৌতুক বিষয়ে লেখা গুলোতে মন্তব্য হোক, অভিঙ্গতার বিশালতা দিয়ে!!!! পোস্ট যেন পাঠকের শিক্ষার বিষয় হয়ে উঠে!
১২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৬:৪৭
255324
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির লিখায় যৌতূকের নামে নির্যাতন এবং মৃত্যুর হারের পরিসংখ্যান দেখে আঁতকে উঠেছিলাম একদিন।

এইভাবে পরিসংখ্যান দেখে সবার মন আঁতকে উঠে না আপনার মত, যদি তাই হতো, তাই যৌতুকের ব্যাপকতা রোধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হতো, একেভারেই যে নেয়া হয়য় না, তা নয়, তবে তা সংখ্যায় খুব নগন্য।

বড় বোন, আমি কিন্তু সালামের জবাব মুখে নিয়ে নেই, তাই উত্তর না লিখলে কষ্ট পাবেন না!

আমার অভিজ্ঞতায় যা বলে, যৌতুকের সংসার কখনো সুখের হয়য় না, সেখানে জড়িয়ে থাকে লোভ লালসা!

আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম, তাহলে ধারাবাহিকটি লিখতে আমার জন্য সহজ হবে। আগামী ক'দিন ব্লগে আমাকে পাবেন না! বাড়িতে মা আর বাবা ছাড়া কেউ নেই, অসুখ বিসুখ হলে রান্না বান্না করার লোকও থাকে না, বাবা থাকেন সারাদিন বাহিরে। তাই ক'টা দিন থেকে মা কে সঙ্গ দিয়ে আসি। খুব মিস করবো আপনাদের।

কাল মন ভালো ছিল না তাই মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি হলো।

জাযাকাল্লাহু খাইর
314367
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:০৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আমরা যৌতুকমুক্ত পরিবার আলাহামদুলিল্লাহ! আমার তিনভাই বিয়ে করেছে সম্পূর্ন ইসলামী শরীয়ার অনুসরনে! বড়ভাইয়ের বিয়েতে গিয়েছি ৬ জন, মেঝ ভাইয়ের বিয়েতে ৭ জন, সেঝ ভাইয়ের বিয়েতে ৫ জন গিয়ে বউ নিয়ে এসে বাড়িতে ওয়ালিমা করেছি! আলহামদুলিল্লাহ আমার ভাইরা বীর পুরুষ!

মুসলিম ছেলেরা যৌতুকের পক্ষপাতী হতে পারেনা, লালসা করতে পারে না! যারা যৌতুক নেয়, এজন্য মেয়েদের নির্যাতন করে, গায়ে হাত তোলে, মেয়ের পরিবারকে শাষায় তাদের ঘৃনা করি! কাপুরুষ সেইসব কথিত মানুষরা!

শুকরিয়া আপনাকে! যৌতুকের বিপরীতে লিখছেন অন্তর থেকে দোআ করি এর বিরোধীতা করে নিজ জীবনেও সোনালী সাক্ষর রাখবেন! শুভকামনা ও শুকরিয়া!

পরীক্ষা শেষ? শরীর সুস্থ? আপনারা সবাই ফ্রী হলেই আবার কুইজ করবো ইনশা আল্লাহ!
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:২১
255311
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : বিশেষ অনুরোধ
গাজী ভাইয়ের ধারাবাহিক যৌতুক বিষয়ে লেখা গুলোতে মন্তব্য হোক, অভিঙ্গতার বিশালতা দিয়ে!!!! পোস্ট যেন পাঠকের শিক্ষার বিষয় হয়ে উঠে!
১২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৬:৫৫
255325
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বাহ, শুনে অনেক খুশি হলাম আপনার পরিবারের স্রোতের বিপরীতে চলা দেখে, সত্যিই তারা বীর। যুদ্ধের ময়দানে লড়াইয়ের চাইতে এই লড়াই অনেক বেশি কঠিন।

সত্যি বলেছেন, মেয়ের বাবার কাছে হাত পাত কাপুরুষরাই পেতে থাকে।

আমার জন্য আপনার পক্ষ থেকে আন্তরিক দোয়া আল্লাহ্‌ যেনো কবুল করেন। আমিন। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

হা বোন, পরীক্ষা শেষ। আলহামদুলিল্লাহ্‌ সুস্থ আছি, তবে বেশি কিছু দিন ধরে মনে হচ্ছে সামথিং ইস রঙ! আমাকে আগের মত পুরোপুরি ফিট পাচ্ছি না! আল্লাহ্‌ ভালো জানেন কি হয়েছে! মাঝে মাঝে কেমন জানি অচলের মত হয়ে যাই।

দোয়া করবেন যেনো শীঘ্রই এই অবস্থা কেটে যায়।

গামী ক'দিন ব্লগে আমাকে পাবেন না! বাড়িতে মা আর বাবা ছাড়া কেউ নেই, অসুখ বিসুখ হলে রান্না বান্না করার লোকও থাকে না, বাবা থাকেন সারাদিন বাহিরে। তাই ক'টা দিন থেকে মা কে সঙ্গ দিয়ে আসি। খুব মিস করবো আপনাদের।

কাল মন ভালো ছিল না তাই মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি হলো।

আমি একজন না থাকলে সমস্যা নেই। এইবার আর ঘোষণা দিতে হবে না। যখন ইচ্ছে নিয়ে নেবেন। কেমন! আমি আর আপত্তি করবো না, যদি থাকি তাহলে অংশগ্রহণ করবো, না থাকলে অন্যদের অংশগ্রহণ উপভোগ করবো।
১২ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:২৫
255393
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনার সময় সুন্দর কাটুক পিতামাতার সেবায়! নিরন্তর দোআ ও শুভকামনা রইলো!ুনাদের জন্য আন্তরিক সালাম রইলো!

আমি একজন না থাকলে সমস্যা নেই। Broken Heart Broken Heart Broken Heart অভিমানের কথা কি?

জাযাকাল্লাহু খাইর!
314383
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:১১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : প্রস্তাব আসে অনেক, কিন্তু দারিদ্রতা আর যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বারবার সম্বন্ধ ভেঙ্গে যায়!!!
..................

উপরের কটি কথাই পুরুষ জাতীর জন্য লজ্জা হবার কথা... কিন্তু লজ্জা হচ্ছে কই? যৌতুকের এই বিবরণ যদিও আজকের জন্য তুচ্ছ!!! কেন তুচ্ছ? তুচ্ছ এই কারনে আজকাল ছেলেরা ভাবতে শুরু করেছে বিয়েতে যৌতুকের টাকা বা আসবাবপত্র কম পাওয়া বা কম নেওয়া মানে নিজের মান সম্মান কমে যাওয়া....!!!

মান সম্মান নাকি যৌতুকের পণ্য বা টাকায় বিবেচনার বিষয়!! আচ্ছা তরুণ পুরুষেরা কবে দাড়াবে এই যৌতুকের বিরুদ্ধে?

আসল মান সম্মান নিয়ে তরুণ পুরুষেরা এগিয়ে আসবে সেইটাই প্রত্যাশা। আপনার ধারাবাহিক যৌতুক নিয়ে লেখা তরুণ পরুষদের ঐক্যবদ্ধ করবে এবং যৌতুকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ব্যাপারে প্রেরণা যোগাবে বলে মনে করি।

আপনি দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যান সমাজের এই ব্যাধি দূর করার প্রত্যয়ে। আমি + আমরা আপনার পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি......। ধন্যবাদ।


১২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:০০
255327
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যার যেমন ভাবনা, উপলব্দি, সেতো তাই করবে। তাদের ভাবনা ভুল, কর্ম ভুল, তারা বুঝলেইতো তাদের লজ্জা হবে।

তরুণেরা আজ দিকভ্রান্ত, সত্যের উপলব্দি করতে পারলেইতো তরুণ সমাজ যাবতীয় অন্যায়, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। তবে আশা করি, একদিন দাঁড়াবেই, একদিন তাদের মাঝে বোধোদয় হবেই।

আমার লিখা যদি তেমন প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলেই লেখকের শ্রম স্বার্থক।

পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কাল মন ভালো ছিল না, তাই অনেক পরে মন্তব্যের জবাব দিলাম। সময়ের কারণে আপনাদের লিখাগুলো ও পড়তে পারছি না, ইন শা আল্লাহ্‌ পড়ে নেবো।


314440
১২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:১৩
কাহাফ লিখেছেন :

যৌতুকের প্রসার চারিদিকে! সবাই এর পিছু ছোটছে উদ্ভ্রান্তের মতই!
মেয়ে বিয়ে দিতে যৌতুকের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করলেও ছেলের বিয়েতে যৌতুক ছাড়া কিছুই বুঝে না! এটাই করুণ বাস্তবতা আজকের সমাজের!

নিজে যৌতুক নিবো না আর কাউকে দিবোও না -এমন পণ ছাড়া এ অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলবে না!!
১৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৩৮
256669
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যৌতুকের প্রসার চারিদিকে! সবাই এর পিছু ছোটছে উদ্ভ্রান্তের মতই!

যথার্থই বলেছেন ভাই কাহাফ।

মেয়ে বিয়ে দিতে যৌতুকের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করলেও ছেলের বিয়েতে যৌতুক ছাড়া কিছুই বুঝে না! এটাই করুণ বাস্তবতা আজকের সমাজের!

ঠিক বলেছেন ভাই আমার।
মন্তব্যের জবাব দানে দেরি হওয়ায় ক্ষমা করবেন।

314462
১২ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:০২
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : মুখ দিয়ে খায়না, নাকের নিচের ছিদ্রটা দিয়ে খায়!! সমাজের বাস্তব চিত্রটাই তুলে ধরেছেন। আমাদের ছোটদের জন্য এগুলো আগাম সতর্কতা। জাজাকাল্লাহ।
১৮ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:২৮
256626
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপ্নিও কি তবে আবিয়াইত্যা????? কেউ ঘাড় ধরে করায়ে দেয় না কেন?

হা হা হা, নাকের ছিদ্র দিয়ে খায়!!!!! ওয়াক থু! হসপিটালে দেখি কেউ খেতে না পারলে নাকে পাইপ ঢুকিয়ে খাওয়ায়, আর ঐ পেত্নীগুলো দেখি পাইপ না লাগিয়েই খায়, ওয়াক থু!!!!

মন্তব্যের জবাব দানে দেরি হওয়ায় ক্ষমা করবেন।
১৯ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:০৬
256705
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : নাকের নিচের ছিদ্র বলছি ভাই, :-) আর বিয়া আরো ৮ বছর পর, সবেতো অনার্স
১৯ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৪৬
256706
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : গাজী সাহেব ফিরোজ সাহেব কিন্তু আপনাদের লোক!


আপনারা এই অপসংস্কৃতি দূর করবেন।



আমি বিয়ে করার সময় যে যুদ্ধ করেছিলাম তা নিয়ে লিখবো ভেবেছিলাম!!! কিন্তু বাবা-মায়ের সম্মানের দিকে চেয়ে লিখতে মন চাইনা!!!

তবুও লিখব কিছু ঘটনা এডিট করে.....
314473
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৬
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : প্রস্তাব আসে অনেক, কিন্তু দারিদ্রতা আর যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বারবার সম্বন্ধ্য ভেঙ্গে যায়!!!
..................

উপরের কটি কথাই পুরুষ জাতীর জন্য লজ্জা হবার কথা... কিন্তু লজ্জা হচ্ছে কই? যৌতুকের এই বিবরণ যদিও আজকের জন্য তুচ্ছ!!! কেন তুচ্ছ? তুচ্ছ এই কারনে আজকাল ছেলেরা ভাবতে শুরু করেছে বিয়েতে যৌতুকের টাকা বা আসবাবপত্র কম পাওয়া বা কম নেওয়া মানে নিজের মান সম্মান কমে যাওয়া....!!!

মান সম্মান নাকি যৌতুকের পণ্য বা টাকায় বিবেচনার বিষয়!! আচ্ছা তরুণ পুরুষেরা কবে দাড়াবে এই যৌতুকের বিরুদ্ধে?

আসল মান সম্মান নিয়ে তরুণ পুরুষেরা এগিয়ে আসবে সেইটাই প্রত্যাশা। আপনার ধারাবাহিক যৌতুক নিয়ে লেখা তরুণ পুরুষদের ঐক্যবদ্ধ করবে এবং যৌতুকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ব্যাপারে প্রেরণা যোগাবে বলে মনে করি।

আপনি দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যান সমাজের এই ব্যাধি দূর করার প্রত্যয়ে! আমি + আমরা আপনার পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি......। সহমত ভাবির সাথে! ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় লেখক ভাইয়াকে!
১৮ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:২২
256624
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ ভাবির সাথে সহমত পোষণের জন্য, কিন্তু মন্তব্যটা যে ভাইয়ার নয়, ভাবির, তা কেমন করে জানলেন?

যাই হোক, শ্রদ্ধেয় বোন, আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

মন্তব্যের জবাব দানে দেরি হওয়ায় ক্ষমা করবেন।
১০
314969
১৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:২৩
সজল আহমেদ লিখেছেন : প্রিয়তে লটকালাম
১৮ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:১৮
256623
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ নেবেন।
০৬ মে ২০১৬ রাত ০৩:০৩
305496
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : সজল আহমেদ কে আর ব্লগে পাওয়া যায়না।
১১
368961
১৪ মে ২০১৬ রাত ১২:০৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। পরের পর্ব কই? আশা করছি খুব শিগগিরই পাব।
১৪ মে ২০১৬ সকাল ০৫:৪০
306258
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মনে করিয়ে দিলেন।
এইবার নিশ্চয়ই পোস্ট হয়ে যাবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File