উপহার বিড়ম্বনা
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৪৮:০৭ সন্ধ্যা
“ছি ছি ছি! ধি শত ধিক! “গোষ্ঠীসুদ্ধ ষোলোআনা খেয়ে গেলো, উপহার দিল কম দামের মোটা কাপড়! ভাতের টাকাওতো উসুল হবে না!” “একি! হিউলি(উপহার) মাত্র ২০০টাকা! শ্বশুর বাড়ির জামাই, মান ইজ্জত কি সব ধুয়ে মুছে খেয়ে ফেলেছে? শালীর বিয়েতে ২০০টাকা! ফকীরের ভিক্ষাওতো তার চেয়ে বেশি হয়! ছোট লোক হলে যা হয়!”। পাঠক, দুঃখের কথা কি বলব, ভাল ব্যবহার, সৌহার্দপূর্ণ আচরণ নয়, আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক মধুর হবে কি গরল হবে তা নির্ভর করে অর্থ কড়ি বেশি অথবা কম হওয়ার উপর। দাওয়াত করে আমন্ত্রিত অতিথির মুখের দিকে নয়, চোখ থাকে হাতের দিকে, দুই হাতে কয়টা রসগোল্লা, রসমালাই, দই আর ফল-মূলের প্যাকেট ঝুলছে!
বিয়ে, সুন্নতে খৎনার ভুঁড়িভোজ অনুষ্ঠানেও ব্যবসায়ীক চিন্তা লালন, কৈয়ের তেল দিয়ে কৈ ভাজা অতিশয় ‘জঘন্য চিরায়ত সামাজিক প্রথা’ হলেও তা চলছে আজ অবধি স্বাভাবিকভাবেই। এইসব অসঙ্গতি নিয়ে কিছু বলেছিতো, কতগুলো চোখ আমার দিকে কটমট করে তাকিয়েছে, কেউ শুনেই চোখ ছানাবড়া, যেনো বাপদাদার জন্মে এই প্রথম শুনেছে! আমরা সবাই জানি, বুঝি, বিশেষ কিছু ভাল মানের খাবার আয়োজন করে আত্মীয় স্বজন একে অন্যকে দাওয়াত করে খাওয়ানো, মাঝে মাঝে যার যার সামর্থ অনুযায়ী উপহার বিনিময়ের প্রচলন সম্পর্ককে আরো বেশি মজবুতি দান করে, গড়ে উঠে হৃদ্যতার বন্ধন, তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু পেট ভরে খাইয়ে খরচের টাকা মেহমানের পকেট থেকে তুলে নেওয়ার মন-মানুসিকতা নিশ্চয় অসভ্যতা!!!!! টাকা না থাকলে খাওয়াবে না, কে জোর করেছে, অনুষ্ঠান করতেই হবে? বড়োলোকিপনা দেখাতে গিয়ে মেহমানের গলায় পা রেখে টাকা আদায় করতে হবে কেন????
চাল নেই, চুলো নেই, একাধারে রান্না হয় না বলে চুলার পরে ক্ষুধায় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বিড়ালের নিবিড় ঘুম, টিনের চালের ফুটো দিয়ে রাত্তিরে জ্যোৎস্না আর বর্ষায় বৃষ্টি পড়ে ঘর যেনো নালা ডোবা, এমন পরিবারের বিয়ে শাদির অনুষ্ঠানে লাখ টাকার খরচে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন! কিভাবে সম্ভব? আতশবাজি, নাচ গান, বাদ্য বাজনার তালে তালে মহা ধূমধামে বিয়ে সম্পন্ন, তৃপ্তিসহকারে খেয়ে আগত মেহমানের দল পেটে হাত বুলাতে বুলাতে ভোজশালা থেকে বের হওয়া, সবই এক আচানক কারবার! হোক গরীব, মধ্যবিত্ত অথবা ধনী, ছেলেমেয়ের বিয়ে, সুন্নতে খৎনায় অনুষ্ঠান হওয়া একরকম অঘোষিত সামাজিক বাধ্যবাধকতা, তা না হলে যে ইজ্জত বাঁচে না! গরীব, টাকা নেই, মধ্যবিত্ত, ঘরে খাঁ খাঁ মরুভূমি, বাহিরে খালি পকেটে ঠাট বজায়ে চলা, কিন্তু অনুষ্ঠান করবে, টাকা আসবে কোথা থেকে? এও কি চিন্তার বিষয়?
সুদ কারবারী মহাজনরা আসে কিসের জন্য! টাকার জন্য কারও মেয়ের বিয়ে হয় না, ছেলের অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না, কারও কাছে ধার চাইলেও সহজে মিলে না, সুদ কারবারীরাই তখন একমাত্র ভরসা! আসলের বিপরীতে সুদ যতো টাকাই হোক, চাওয়া মাত্রই পাওয়া! তাই দিয়েই চলে গরিবিয়ানাকে একদিনের জন্য হলেও দূরে বহুদূরে পাঠিয়ে বড়োলোক বনে যাওয়া।
এখন আসল এবং চড়া সুদ অথবা বিশাল অংকের ধারকৃত টাকা শোধ দেবে কেমন করে? চলুন দেখা যাক।
বিয়ে বা সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানস্থলের সামনে টেবিল চেয়ার নিয়ে একজন বসে, টেবিলে থাকে খাতা কলম, একটি খালি প্লেট, অন্য একটি প্লেটে থাকে পান, সুপারি আর টিসু। এই সিস্টেম এলাকা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আমি আমার এলাকার কথা বলছি এবং দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে একই রকম ব্যবস্থা দেখেছি। লোকজন খেয়ে মুখোমুখি হয় টেবিলের, পান চিবুতে চিবুতে বলে, “এই নে, ২০০ টাকা, আমার নামে লিখে দে”। এইভাবে ২০০/৫০০/১০০০ বা তার বেশি, যার যার সামর্থ অনুযায়ী টাকা দিয়ে যায়, আর যারা শাড়ি কাপড় ডিনার সেট অথবা অন্য কিছু যা এনেছে, তারাও খাতায় উপহারের ঘরে নাম লিখিয়ে চলে যায়। এই হল উপহার দেয়ার হালচাল!!!! সমস্ত দিনে মেহমানদের দেয়া টাকা এবং উপহারের পরিমাণ যদি আয়োজকদের মোট খরচের সমান হয় তাহলে ভাগ্য ভালো, যদি বেশি হয়, তাহলে সৌভাগ্য, আর যদি খরচের তুলনায় টাকা অনেক কম আসে, তাহলে ভাগ্য সহায় হয়নি!!! কেমন চিন্তা মানুষের। খানাপিনার আয়োজন নয়, যেনো ব্যবসা করতে নেমেছে!!!
পাঠক হয়ত বলবেন, মানুষ উপহার দিয়েছে, তাতে যদি মেজবানের খরচের টাকা এসে যায়, তাতো ভালো, আমার আপত্তি কেন? জী, এমন হলে আমারও আপত্তি থাকে না, কিন্তু মানুষকে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যই যখন হয় মেহমানদের পকেট থেকে টাকা উসুল করে নেয়া, এই দিয়ে ধার কর্যের বোঝা হালকা করা, সুদের টাকা মেটানো, তাহলে আপত্তি নয় কেন?
যখন বুঝিনি, অসঙ্গতিগুলো উপলব্দিতে আসে নি। তখন বিয়ে, সুন্নতে খৎনাসহ নানা অনুষ্ঠানে আমিও টেবিল চেয়ার নিয়ে বসেছি, মানুষের কলিজা নিংড়িয়ে বের করেছি টাকা, বুঝিনি, বুঝার চেষ্টাও করিনি। এই টাকা আয় করতে কতোটা কষ্ট করতে হয়েছে! টাকা বেশি দিলে খুশি মনে লিখতাম, আর ভাবতাম, আহ, লোকটার মন কত বড়!!! আর কেউ টাকা কম দিলে, কটাক্ষের চোখে তাকাতাম, আর মনে মনে বলতাম, “কমতো খায় নি, পকেট থেকে টাকাটা বের হতে চায় না কেন!”
আয়োজকরা এসে বারবার জিজ্ঞেস করে, “কত লোক খেয়েছে, কত টাকা উঠেছে? কে কে টাকা না দিয়ে চলে যায় খেয়াল রাখবি!” ইস! কি জঘন্য হঠকারী মেহমানের সাথে, আজ মনে হলে ঘেন্না ধরে যায়! অনুষ্ঠানের শেষের দিকে খাতায় পর্যাপ্ত টাকা না উঠলে মেজবানের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। কণ্ঠে আক্ষেপ ঝরে পড়ে, “আফসোস, এতো লোক খাওয়ালাম, গরুর টাকাটা পর্যন্ত উঠে নাই”! কি অদ্ভূত ব্যপার, খাওয়াবে সে, গরুর টাকা দেবে অন্য মানুষ!!!!!! তাইতো!
আপত্তি কি সাধে করি? আমার এলাকায়তো বিয়ে শাদীতে উপহারের পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছে, ‘গরীব হলে উপহার হিসেবে প্রত্যেকে ২০০টাকা করে দেবে, আর মধ্যবিত্ত এবং ধনীরা কমপক্ষে ৩০০, বেশির হিসেব নেই’। একটা কাজ ভালো করেছে ‘রেয়াই সমাজ’, ধনী গরীব সবাই সবাইকে দাওয়াত দিবে, আগের মত মুখ দেখে দেখে শুধু ধনী আর মধ্যবিত্তদের দাওয়াত দিবে না, যাতে গরীবরা বঞ্চিত হয়। এখন সবাই দাওয়াতের আওতাভূক্ত হবে। কিন্তু সমস্যা হল, গরীবদের জন্য উপহারের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া। তাদের যুক্তিঃ ভাত কাপড়, খানাপিনা সংসার যদি চলতে পারে, তাহলে বিয়ে শাদীতে ২০০টাকা দেয়া কোন ব্যপার না! হা, আমিও বলি ব্যপার না, যদি তা মাসে দু একদিন হয়, হতদরিদ্র একজন মানুষের যদি মাসে দশ দিন দাওয়াত থাকে, এবং প্রকৃত পক্ষে থাকেও কারও না কারও অনুষ্ঠানে, তাহলে টাকার অংক তখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?
আমি দেখেছি, যে যতো বেশি সামাজিক, সে ততো বেশি মানুষের দাওয়াত পায়। এখন কথা হল, ঐ লোকটার যদি মাসে দশ দিন দাওয়াত থাকে, এবং প্রত্যেক জায়গায় ৫০০টাকা বা তার অধিকহারে গিপ্ট দিতে হয়, অথচ আয় খুব সামান্য, তাহলে প্রতি মাসে পাওয়া দাওয়াতের বাজেট বাস্তবায়ন করতে করতে অবস্থা কেরোসিন হয়ে যাবে। আমি দেখেছি, এখন দাওয়াতের নাম শুনলেই মানুষের গায়ে জ্বর আসে, আগে দাওয়াত না দিলে প্রশ্ন তুলত, কেন দাওয়াত দেয়া হল না! তাতে করে সম্পর্কও নষ্ট হতো। এখন পালিয়ে বাঁচতে পারলেই যেনো মুক্তি! দাওয়াত খেতে যাওয়া মানেই কত্তোগুলো খরচ! পকেটে কম টাকা থাকলে লজ্জার সীমা থাকে না। পাঠক, এই জ্বর সবার আসে না। যাদের আছে অঢেল, তাদের আসবে কেন! যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, কিন্তু ভাবসাব বজায়ে সামাজিক হয়ে চলে, এই জ্বর তাদের আসে। মানুষের মাথায় এই প্রবণতা ঢুকে গেছে যে, বেশি দামের গিপট নিতে না পারলে মান সম্মান থাকবে না!
কেন আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গেলে সামর্থ না থাকা সত্ত্বেও হাত ভর্তি খরচ সাথে নিয়ে যেতে হবে? কেন একটু পেট ভরে শান্তিমত খেতে যেয়ে টাকার সমস্যায় বুক ধড়পড় করবে? কেন মেহমান দাওয়াত দিয়ে টাকা আদায় করেই ছাড়তে হবে? কোন কারণে, সামর্থ না থাকা সত্ত্বেও বিশাল অনুষ্ঠান করে বড়োলোকিপনা দেখাতে গিয়ে ধার কর্য, সুদের জালে নিজেকে আবদ্ধ করতে হবে? এইসব প্রশ্নের কোন উত্তর আছে? অবশ্যই আছে, খোঁড়া কতগুলো যুক্তি এর পক্ষে দাঁড় করাবে। ‘অনুষ্ঠান করার স্বাদ আহ্লাদ সবার আছে, তা পূর্ণ হবে, সবার বাড়িতে সবার খাওয়ার ব্যবস্থা হবে, পরস্পরের মাঝে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে, বিয়ে শাদীর অন্যান্য উপহারের পরিবর্তে টাকা দানে মৃদু চাপ প্রদানে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আসেব!
খাই খাই জাতির যুক্তির কাছে আমার কথা কি আর পাত্তা পায়! কিন্তু সামাজিক অসঙ্গতি, অসুস্থ কিছু চিরায়ত কলুষিত প্রথা, আজ যেমন আমার কাছে ঘৃণিত, তেমনই করে সারাজীবন ঘৃণ্যই হয়ে থাকবে! রাজা রামমোহন রায় যেমন তার ছেলেকে দিয়েই বিধবা বিবাহের প্রচল শুরু করেছিলেন, আমিও ঘরে বলে দিয়েছি, আমার মালিক, স্রষ্টা চাহেতো, খুশি মনে কেউ উপহার দিলে তা গ্রহণ করব কিন্তু আমন্ত্রিত অতিথিদের ঘাড়ে পা রেখে উপহারের নাম করে টাকা আদায় করার ঘৃণ্য প্রথার অবসান আমাকে দিয়েই শুরু করব, আমার ভাইও তাতে সহমত ব্যক্ত করেছেন।
ক’টা টাকার জন্য মেহমান ডেকে এনে গলার ভেতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে যদি বলে, খাইছিসতো অনেক, এইবার বের কর টাকা, তাহলে বলব, তার চাইতে ভিক্ষাবৃত্তিই ভালো। খাওয়ানোর ঝামেলায় যেতে হবে না!
বিষয়: বিবিধ
২৭৭৫ বার পঠিত, ৫৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ ভাই
হা, প্রতিবাদ, বিরত থাকার অনুশীলনতো অবশ্যই করা চাই। আজ সমাজের শিরায় শিরায় এইসব অপসংস্কৃতি বিরাজমান, আগামী দিনে তাঁর ব্যাপকতা আরো বেশি হবে, যদি না এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়য়।
সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সাহিন ভাই।
ভালো থাকুন সবসময় এই কামনা।
আলহামদুলিল্লাহ,
আল্লাহতায়ালা এমন ফিতনা থেকে আমাকে রক্ষা করেছেন
জাযাকাল্লাহ...
সত্যি আমাদের শোকরিয়া আদায় করার জায়গা আছে, এই বহমান নষ্ট সময়ে গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে আমরা কিছু মানুষ স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে, হচ্ছে তাতে কষ্ট, সয়ে যাচ্ছি, কত শত যাতনা, তবুও সান্ত্বনার বাণী, আখেরে আমরাই ভালো থাকব, ইন শা আল্লাহ্।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আবু সাইফ। আপনার ভাললাগা প্রকাশ করে যাবার জন্য।
ভাইয়া ঠিক কথাই লিখেছেন! সবাই যদি আপনার মত করে ভাবতো তবে সমাজের নতুন রুপ অবলোকন করতে পারতাম! আল্লাহ এই সমাজের লোকদের শুভ-বুদ্ধি দান করুন। আমিন
আমার সাথে সহমত জ্ঞাপনের জন্য শোকরিয়া।
হয়তো অনেকেই ভাবে, তবুও তাদের ভাবনার মাঝে গতি আনতেই আমার পক্ষ থেকে আজকের লিখাটি পরিবেশন করলাম। আমরা সবসময়ই আশাবাদী, দেখতে পারি নি বলে পারব না, এটা আমরা কখনই মনে করি না, আমরা ইন শা আল্লাহ্ দেখতে পাবো সমাজের নতুন রুপ।
আমিন। আল্লাহ্ এই সমাজের লোকদের শুভ বুদ্ধি দান করুন।
অনেক ধন্যবাদ বোন আমার, সুন্দর মন্তব্যটি করে যাবার জন্য।
আপনার কথা শুনে আমিও অনেক বেশি খুশি হয়েছে, অন্তত একজন মানুষ কে পেলাম, যিনি বাস্তবিক পক্ষেই তাঁর অনুশীলন করে থাকেন। আপনার এই মহৎ কর্মের শুধুই শ্রদ্ধা এবং দোয়া! অবশ্য অন্য অনেকে আপনার মত করে চর্চা করে থাকবেন, যা ধীরে ধীরে জানতে পারব।
আমি জানি আপনি কথাগুলো বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য বলেন নি, মানুষ কে উৎসাহ দানের জন্য, আপ্নারা হবেন অধস্থনদের জন্য অনুকরণীয় উত্তম আদর্শ, যার উৎস আল্লাহর রাসূল, সাহাবায়ে কিরামগণ।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ, সর্বসাধারণের জন্য উৎসাহমূলক মন্তব্যটি করার জন্য।
আশাকরি হৃদয় ছোঁয়া লিখাটি আমার মত অন্য পাঠককেও উদ্ভুদ্ধ করবে এই নিকৃষ্ট পন্থায় উপহার বৃত্তি পরিহার করার জন্য।
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
আমি কি পারি পাঠকের নিকট উপভোগ্য করতে? যদি তাই হয়য়, তাহলে আল্লাহর দরবারে হাজার শোকরিয়া। জেনে অত্যন্ত খুশি হলাম আপনার কাছে তা উপভোগ্য হয়েছে।
আপনার ভাললাগা জেনেও অনেক খুশি হয়েছি।
আপনার আশা যেনো সত্যিতে পরিণত হয়, লিখার উদ্দেশ্যই নিকৃষ্ট পন্থায় উপহার বিনিময়ে মানুষের উদাসীনতায় চৈতন্যোদয় আনয়ন করা।
আপনার দোয়া, শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা আনন্দচিত্তে গ্রহণ করলাম।
আপনি অনুরোধ করেছিলেন, আপনার জন্য খুব করে দোয়া করতে, দোয়া কি সবার কাছে চেয়ে নিতে হয়য়? হয়য় না, আপনাদের জন্য দোয়া মন থেকে আপনা আপনিই এসে যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
এই রকম সামাজিক কুপ্রথাগুলির মূলোচ্ছেদ প্রয়োজন।
যথার্থই বলেছেন, বন্ধ নয়, করতে হবে মূলোৎপাটন।
ভাই রিদোয়ান, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর, সংক্ষিপ্ত অথচ অতি মূলব্যান মন্তব্যটি করার জন্য।
আমাদের এলাকায় উপহার হিসেবে টাকা দেওয়ার প্রচলন নেই। আর কোনো অনুষ্ঠানে মানুষ উপহার না দিলে কিছু মনে করা হয়না। আর জীবনেও শুনিনি যে হিসেব করছে তার উৎসবের খরচ মেহমানদের পকেট থেকে উঠল কিনা। তবে এটা ঠিক,কেউ বড় গিফট করলে তারা খুশী হয়। আমি আমার বিয়ে ইসলামসম্মতভাবে করব। বেশীরভাগ গরিবদের দাওয়াত করব আর বলে দিব উপহার দেওয়ার দরকার নেই,শুধু উত্তম দোয়াই হবে উপহার। আর ভোজ হবে মাত্র একটি। অনাড়াম্বড় অনুষ্ঠান হবে। আল্লাহ আমাদেরকে উত্তম বিসয়ের মধ্যে রাখুন
আল্লাহ্ আপনার সৎ ইচ্ছেকে পুরোপরু বাস্তবায়নের তাওফীক দান করুন, আমিন।
আমিও গরীব, আমাকে দাওয়াত করবেন তো? সত্যি বলছি, উপহার নেব না, প্রাণ খুলে দোয়া করব, দাওয়াত দেবেন তো?
আল্লাহ্ আমাদের উত্তম বিষয়ের মধ্যে রাখুন। আমিন।
সত্যি বলতে কি! আমাদের এলাকাও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়, কাওকে কিছু দেওয়ার অর্থ হল আমার আয়োজনের সময় কালেক্ট করে নেব। আমার এক চাচী সবার বিয়েতে স্বর্ণের চেইন উপহার দিয়ে এসেছে, উদ্দেশ্য একটাই উনার মেয়ের বিয়েতে সবাই চেইন উপনার দেবে। এরপর হল কি! বড় মেয়ের বিয়েতে সবাই চেইন দিতে লাগলো। চাচী তখন বলে কি! এখন সবাইতো দেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমার দ্বিতীয় মেয়ের বিয়েতে দিবেন, এভাবে দু'তিন জনকে নিভৃত করলেন। বড় মেয়ের জামাই পেল ৫টি, ছোট মেয়ের জামাইয়ের জন্য ৩টি এখনো বাজেটে আছে (আপনাকে আবার ছোট মেয়ে বিয়ে করার দাওয়াত দিচ্ছি না)। এভাবে আমাদের সমাজটা অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে। যেখানে হাদিয়া দেয়া নেয়া সুন্নাত, সেখানে হাদিয়াকে কর্জ হিসাবে গ্রহন করছে।
সামাজিক ব্যাধিগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি আমার এলাকার মানুষের অমঙ্গল চাই না, মঙ্গলই চাই, কিন্তু তারা আমার কথাগুলাও অমঙ্গলই ভেবে নেবে কেননা তাদের ধ্যান ধারণা বিশ্বাস যগ যুগ ধরে এমন ভাবেই মনে গেথে গেছে। হোক তাদের মনে কষ্ট কিংবা আমার প্রতি ক্ষোভ, তবুও আমাকে বলতেই হবে, অপসংস্কৃতি কে না বলাইতো আমার ইমানী দায়িত্ব।
আপনার এলাকাতেও এমন আমার জানা ছিল, জেনে নিলাম। আমার লিখাটি যেনো আপনাদের সবার মনের কথাই ছিল, ভেবে ভালো লাগছে, আপনাদের না বলা কথাগুলো কলমের আগায় নিয়ে প্রকাশ করে দিলাম।
'কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়' আপনার চাচী এই নীতি অবল্মবন করেছেন, এই নীতি অবলম্বন দোষণীয় কিছু নয়, কিন্তু উপহার গ্রহণ এবং দেয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয় তা অসুস্থ মানুসিকতা!
আল্লাহ্ সবাইকে হেদায়েত করুন।
যেখানে হাদিয়া দেয়া নেয়া সুন্নাত, সেখানে হাদিয়াকে কর্জ হিসাবে গ্রহন করছে।
আপনি সত্য বলেছেন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, ভালোবাসা অব্যাহত রেখে আমার পাশে থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা যুগানোর জন্য।
মন্দ সংস্কৃতি ত্যাগ করা সময়ের দাবী.....।
তরুণ প্রজন্মকে সচেতনতার হাত ধরে সমাজের এই অপসংস্কৃতি রোধ করতে হবে।
সমাজের কিছু কর্তাব্যক্তি এসব অপসংস্কৃতি প্রচার ও প্রসেরের কাজে উৎসাহিত করেই যাচ্ছে.....!!
কর্তাব্যক্তির স্বম্মুখে দাড়িয়ে কথা বলা কঠিন! তরুণ কেউ সাহসের সাথে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাড়ালে তাকে বেয়াদব হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য কর্তাব্যক্তিরা এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করে....!
এই যুদ্ধের সাথে মোকাবলা করে জয়ী হতে হলে সর্বপ্রথম পরিবারের প্রধান ব্যক্তির সহযোগিতা জরুরী!
তাই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাড়ানোর আগে পরিবারের প্রধানের সাথে আলোচনা করে নেওয়া উত্তম।
অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাড়াতে গেলে যা মোকাবলা করতে হবে তার একটি জানলাম, জেনে ভয় পেয়ে পালালে চলবেনা! ভালো কিছু অর্জন করতে হলে বাধা আসবেই!!! বাধা অতিক্রম করে জয়ী হবার নামই জীবন।
সত্যই বলেছেন, মন্দ সংস্কৃতি দূরীকরণ সময়ের দাবী, তা করতেই হবে।
তরুণ প্রজন্ম এইসব রোধ করার পরিবর্তে তাতে আরো বেশি জড়িয়ে যাচ্ছে, তারা বুড়োদের মত করে করে না, বরং একই কাজ আধুনিক রূপ পরিগ্রহ করে।
কিছু কর্তা এইসবে উৎসাহ দেয়, এরাতো তারাই যারা মহাজনী কারবার করে।
ঠিক বলেছেন, বয়সে বড় হলেই সব কিছুর তফাৎ সবাই বুঝতে পারে না, এমন অনেক কিছু আছে যা তরুণরা ভালো বুঝে, কিন্তু বৃদ্ধরা বুঝে না, নাই বুঝতে পারে, হা এটা সত্য যে, বয়স এবং অভিজ্ঞতার প্রাবল্যের কারণে বৃদ্ধরাই বেশি বুঝবে, কিন্তু তারাই সর্বেসর্বা নয়, তরুণরাও অনেক বেশি বুঝে, এই কথাটা তাদের বুঝানো যায় না, বুঝাতে গেলে হতে হয়য় বেয়াদব!
ঠিক বলেছেন, বাহিরে বেয়াদব উপাধী নিয়ে এসে ঘরেও যদি বেয়াদব তকম্যা পেতে হয় তাহলে সত্যী মন খুব ভারাক্রান্ত হপয়ে পড়ে।
আপনার শেষের কথাগুলো আমিসহ লক্ষ কোটি তরুণের জন্য চিরায়ত অসুস্থ সমাজ ব্যবস্থা কে ভাঙ্গতে খুব প্রেরণা জুগাবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, দীর্ঘ মন্তব্যটি করে হতাশাগ্রস্ত মানুষদের আশার আলো দেখাতে প্রয়াস চালানোর জন্য।
শয়তানের ধোঁকা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, আমিন।
আমার আপুরা তবু ছোট খাট একটা কিছু দিয়েছে । বিয়ের পর সেই বন্ধু বলেছে আমরা ধরে রাখছি তোরা একটা স্বর্নের কিছু গিফ্ট করবি ।বুঝেছেন এখন অবস্থা সাকা ভাইয়া ।
আসলে গিফ্ট এটা হচ্ছে বিনিময় । আপনি দিবেন আপনাকে দিবে এবং আপনি যে মানের গিফ্ট দিবেন আপনি সেই মানের টাই পাবেন । আপনি দিবেন না আপনাকেও দিবে না ।
কেউ আপনার কাছে জোর করবে না ।
ধন্যবাদ সাকা ভাইয়া ।
বুঝেছি পাজি 'পনি'।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত, উপহার হল বিনিময়, আমি দেব, আমাকেও দেবে, আমি দেব না, পাবোও না। কিন্তু আমি কেন কিছু গিপ্ট করে হা করে চেয়ে থাকব সমান প্রতিদানের আশায়? এটা অসুস্থতা!!!!
নিঃস্বার্থভাবে কোন কিছু দেয়ার মাধ্যমেই প্রকৃত শান্তি, আপনি দিয়ে আশা করতে পারেন না! হা, তাঁর যদি আক্কলে থাকে, স্তো দিবেই! না দিলেও মনে কষ্ট পোষে রাখা যাবে না! দান অথবা কিছু উপহার প্রদান সবসময় নিঃস্বার্থ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
জোর কখনই কেউ করে না সরাসরি! আমিও লিখার কোথাও বলি নি, জোর করেছে। হেন্ডেলের সামনে যখন টেইল নিয়ে বসা হয়, টাকা না দিয়ে কেউ চলে গেলে মেজবান কলারে ধরে মাইর দেবে না টাকা আদায় করার জন্য, কন্তু খাওয়ার পর যখন মেহমান টেবিল সাম্নে দেখবে, তাহলে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কিছু টাকা দিয়ে যাবে। এটাই পরোক্ষ জোর! এইসব ক্ষেত্রে জোর পরোক্ষভাবেই হয়ে থাকে।
কিছুই বলে না, আবার সুযোগ পেলে বলতেই ছাড়ে না! ঐ যে সেই বন্ধু বলেছে, "আমি ধরে রাখছি তোরা স্বর্ণের কিছু একটা গিপট করবি"।
আপনাকেও ধনো্যবাদ পাজি মেয়ে 'পনি'।
.......................
এখানেই সব রহস্যময় যন্ত্রণার পাহাড়! আপনার আছে দিলেন খুশী মত, অপর পক্ষের নেই তখনই তার রহস্য উম্মুক্ত হয়! সে যখন আপনার চেয়ে কমদামি দিলো তখন আপনি ধরে নিলেন আপনাকে অপমান করা হয়েছে!! পরিস্থিতি সমাল দেয়া বড্ড মুশকিল, আপনি হয়তো বুঝে সহ্য করলেন কিন্তু আপনার পরিবারের মুখ সামলাবেন কি করে? কেউ না কেউ হুটকরে আলোচনা করলো.... দূর্বল পক্ষ শুনে নিলো..... তখন সৌজন্যতা থাকবে? না থাকবে না..... ভাবতে হবে নতুন কিছু, খুঁজতে হবে পরিবর্তনের পথ, @আফরা
আপনাকে বুকে একটু সাহস নিয়ে দাড়াতে হবে, যেন সমাজের কুসংস্কার দুর হয়ে যায়! আগামীর দিনগুলো আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি আমরা! আপনার দায়িত্ব সুন্দর পথে এগিয়ে যাওয়া।
কোন সতর্কতার প্রয়োজন নেই, যতদিন বিয়ে হবে না, ততদিন চিল্লানী অব্যাহত থাকবে, এই কথাই থাকল!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর, আবার হুঁশিয়ারি করে মন্তব্যটি করার জন্য। @ নূর আল আমিন
যে কথাগুলো আমি বলতাম, তা আপ্নিই বলে দিলেন! আমাদের ভাবনাগুলো একই বলেইতো! @ আব্দুর রহিম
অবশ্যই সচেতন করা প্রয়োজন এবং সময়ের দাবীও।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যো আমার কাছে ভারী মূল্যবান, এক শব্দ লিখলেও। আসবেন মন্তব্য করবেন, ভুল হলে শোধরে দেবেন, আর গঠনমূলক পরামর্শতো অবশ্যই দেবেন এই কামনা।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যটি করার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে গলার কাটা যেন আজ! গিলাও যায় না আবার উগড়ে দেয়াো মুশকিল! বিশেষ করে খাবার অনুষ্ঠান তো গলার ফাঁস!
সামগ্রিক সচেতনতাই পারে এ সব অপসংস্কৃতি দূর করতে!
আপনার চমৎকার উপস্হানায় ধন্যবাদ,সহমত ও আপনাকে জাযাকাল্লাহু খাইরান জানাচ্ছি!!
হা সামগ্রিক সচেতন্তাই পারে এ সব অপসংস্কৃতি দূর করাতে। সামগ্রিক প্রচেষ্টাতো কেদিনে তৈরি হবে না, তাই সে পর্যায়ে যাবার আগে ব্যক্তি পর্যায়, পারিবারিক পর্যায় থেকে চর্চাতা শুরু করতে হবে, কেননা এইসব পরিবার সমাজেই হয়ে থাকে।
আপনার প্রশংসা সবসময় লিখায় অনুপ্রেরনা জুগায়, আজও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। ধন্যবাদ নিলাম খুশি মনে, সহমত জ্ঞাপনের জপ্ন্য ধন্যবাদ আমিও দিলাম।
কিন্তু এখন বলেন, এতোদিন কোথায় ছিলেন???? যা পারবেন না তা করতে যান কেন??? জানেন তো আমাদের ছেড়ে থাকা এতো সহজ নয়, পেরেছেন থাকতে? পারেন নি।
আসলেই ভাই আপনাদের কে ছেড়ে থাকা সম্ভব হবে না! ইনশা আল্লাহ আপনাদের পিছু পিছুই চলতে চাই!
অকল্পনীয় অভাবিত বিপর্যস্থতা সামলে উঠতে সময় লাগছে! দূর্বল বান্দা আমি!
আল্লাহ আপনাদের সবার আন্তরিকতার যথার্থ প্রতিদান দিবেন ইনশা আল্লাহ!
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সুন্দরভাবে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
একদিকে মান ইজ্জত রক্ষা, আত্মীয়দের দাওয়াত রক্ষা করা, অন্য দিকে হাতে পয়সা না থাকা সত্ত্বেও বেশি টাকা দামের গিপট করতে না পারার যাতনা, বেজার না হয়ে উপায় আছে?
আপনি সম্ভবত আমার লিখায় এই প্রথম মন্তব্য করেছেন, তাই আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পরেও আসবেন নিশ্চয় এই কামনা।
আপনাকে অ অনেক ধ্যনবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
কি অভিনব উপহারের মূলা ঝুলাচ্ছেন!!!! পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি, আহ, কবে আসবে কাঙ্ক্ষিত সেই দিন!
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য। আবার আসবেন কিন্তু!
অতি চমৎকার ভাবে সমাজিক একটি ব্যাধির মুখোশ উন্মোচ করা হয়েছে পোস্টটির মাধ্যমে! এই ব্যাধি এখন মহামারি আকার ধরনে করেছে বলা যায়! দুনিয়াটা কেমন জানি গিভ এন্ড টেক এই নীতিতে অস্থির গতিবেগে ধাবমান!
হাদিয়া দেয়া ও নেয়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত একটি উত্তম সুন্নাহ! হাদিয়ার ফলে পারষ্পরিক ভ্রাতৃত্ব বন্ধন অটুট ও মজবুত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা এই সুকোমল সুন্নাহকে নোংরা সংষ্কৃতিতে রুপান্তরিত করেছি!
হাদিয়ার সুন্নাহকে পুনর্বাস্তবায়নের জন্য ইসলামী মন-মানষিকতা সম্পন্ন ভাইবোনদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে! নোংরা সংষ্কৃতির বিলুপ্তি ঘটিয়ে সুন্নাহকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে!
দেরিতে আসার জন্য দুঃখিত ভাই! জাযাকাল্লাহু খাইর!
ওয়ালাইকুম আসসালাম।
টেবিলের নিচে হাত বাড়িয়ে টাকার বান্ডেল পকেটে ভরে নেয়ার জন্য এই গিভ এন্ড টেইক কিন্তু অনেকাংশে দায়ী! সামর্থের বাহিরে গিয়ে সামাজিক স্ট্যাটাস প্রতিযোগিতায় জেতার নেশায় স্বল্প বেতনে জেতা সম্ভব নয় দেখে অবৈধ উপায়ে বিশাল ইমারত গড়ে তোলাও কিন্তু....
সরি!!!! ঘুমে আমি পড়ে যাচ্ছি! বিদায়, বাকী মন্তব্য পারছি না!!!!!
দাওয়াত খেতে যাবে আর গিফট নিয়ে যাবে না এটা খুবই ছোট মনের কাজ । আর যদি গিফট নিয়ে না যেতে পারে তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভাল ।
এসব দাওয়াত ব্যাপারটা একটা হেনস্তা ছাড়া আর কিছু না । যে দাওয়াত দেয় তাকে সেরকম ভাবে অ্যারান্জ করতে হয় । আর যারা আসবে তাদেরকে অনেক ক্যালকুলেশন করে আসতে হয় । ছুটির দিনে হয় বলে সময় বের করা যায় তবে দূরত্ব অনেক সময় বিরক্তির উদ্রেক করে । তার উপর সাজগোজ এবং গিফট কেনা , সেটা আবার পছন্দ করবে কি না সেটা নিয়ে অস্থিরতা --- পুরাই মাথা নষ্ট কাজ কারবার।
আপনার অসহায়ত্বে কেউ এগিয়ে আসবে না আবার আপনি আপনার দারিদ্রতা নিয়েও থাকতে পারবেন না, আপনাকে দাওয়াত দিয়ে এক বিপর্যস্ত অবস্থায় ফেলে দেবে। কেউ বুঝবে না, বুঝতেও চাইবে না, আপনার হাত খালি!
আপনি ঠিক বলেছেন, দাওয়াত খেতে আসা যেমন ঝামেলা, আবার দাওয়াতের অ্যাারেঞ্জ করাও ঝামে লা। পকেটে টাকা না থাকুক, তরকারীর ১৫-২০ আইটেম না করলে ইজ্জত বাঁচে না।
পুরাই মাথা নষ্ট করা ব্যপার। অনেক পরে হলেও মন্তব্য করেছেন, আপনার মন্তব্য প্রত্যেকটি ব্লগারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, আমার জন্যতো বটেই।
ধন্যবাদ ভাই হতভাগা।
ধন্যবাদ ভাই ইজিপ্ট সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য। কিন্তু ইজিপ্ট১২কেন? আগেও জিজ্ঞেস করেছিলাম সম্ভবত উত্তর পাই নি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন