কৃতজ্ঞতার কদর্য রুপ
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২৫ মার্চ, ২০১৫, ০৮:৪৪:৪১ রাত
উপকারীর উপকার স্বীকার, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হল সৌজন্যতা, শিষ্টাচার, তাই বলে উপকারীর গলায় চড়ে বসা, ডাউক্কা ভাইকে হাই(স্বামী) বানিয়ে নেওয়া, অপরিচিত থেকে ধর্মের ভাই, অতঃপর প্রেমিক বনে যাওয়া নিশ্চয় সীমালঙ্ঘন। এই লিখা লিখতে বসে ভয় পাই, পাঠক না জানি ভাববে, আমি নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছি! হা, ঘটনা পড়লে মনে হবে নিজেকে জাহির করছি , কেননা লিখার মূল চরিত্র হিসেবে আমাকেই টেনে এনেছি। তবে আমাকে দিয়ে বিচার করে পাঠক নিশ্চয় কিছু একটা বার্তা নিতে পারবেন আশা করি।
লিজাঃ (ছদ্মনাম) ভাইয়া, আপনি অসম্ভব ভাল মানুষ। কি মিষ্টি করে কথা বলেন। মহৎ দিল আপনার। আজ থেকে আপনি আমার ভাইয়া,এখন থেকে ভাইয়া বলেই ডাকব!
আমিঃ বেশতো, যদি তাতে সুখ পাও, ডাকবে ভাইয়া। আপত্তি কিসে!
প্রায়ই বোন ভাইয়ের খোঁজ খবর নেয়, করে সুখ দুঃখের গল্প, যেনো একই মায়ের পেটের সন্তান। সম্পর্কটা এইভাবেই চলতে পারতো, কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম অগ্রাহ্য করাও যে সহজ কথা নয়। কিছুদিন পর এক সন্ধায় দুজনের কথোপকথন-
লিজাঃ ভাইয়া, আজ গান শুনব, খুব ভাল একটা গান গেয়ে শোনান।
আমিঃ ওকে। শোন তাহলে। ‘এই পৃথিবীর পান্থশালায়, গাইতে গেলে গান, কান্না হয়ে বাজে, কেন বাজে আমার মন। কেও চলে যায়, কেউ বা আসে, দুদিনের এই পরবাসে, কেউ বুঝে না কারো হাসি অভিমান’।
লিজাঃ ভাইয়া, এক কথায় লা জবাব! এতো সুমিষ্ট কণ্ঠ! প্রতিদিন একটা করে গান শুনিয়ে বোনের মনটাকে আনন্দে ভরিয়ে তুলবেন। ভাইয়া, একটা প্রশ্ন করব যদি কিছু মনে না করেন। আপনার জি এফ আছে?
আমিঃ এক সময় ছিল, বাল্যকালের অবুঝ প্রেম, এখন শুধুই স্মৃতি।
লিজাঃ জেনে খুশি হলাম। করতে চান কারো সাথে? কাউকে পছন্দ করেন?
আমিঃ না, বিয়ের আগে আর কোন প্রেম নয়। প্রেম হবে বউয়ের সাথে।
লিজাঃ সে তখন দেখা যাবে। ভাইয়া, সাহস দিলে একটা কথা বলব।
আমিঃ নির্ভয়ে বলে ফেল
লিজাঃ আমাদের সম্পর্কটা আর ভাই বোনের সম্পর্কে সীমাবদ্ধ রাখা যাচ্ছে না। আমি লাইনচ্যুত হয়ে গেছি। আজ থেকে আপনাকে ভাইয়া বলে ভাবতে পারছি না। ভণিতা না করে সরাসরি বলছি, আমার স্বপ্নের পুরুষ আপনি, আমি আপনাকেই চাই! উত্তর এখনই দেয়ার প্রয়োজন নেই, আপনি ভাবুন, কাল জানালেই হবে।
পরের দিন-
আমিঃ তোমাকে এইভাবে দেখিনি, বোন বলেই জেনেছি। ভাইয়া ডাকটাই আমার খুব প্রিয় ছিল। অন্য কিছু নয়, তুমি বোন হয়েই থাকবে।
সুনসান নীরবতা। অপমান, অযাচিত কষ্ট, অপ্রত্যাশিত প্রথম ধাক্কার রেশ কাটিয়ে বেশি কিছুক্ষণ পর কান্না সংবরণ করে- “পারব না, ভাইয়া জ্ঞান করতে, আমি দিক হারিয়েছি। চেয়েছি অন্য কিছু, ফিরিয়ে দিলেন! আপনিই যদি আমার না হলেন, কথা বললে শুধুই জ্বালা বাড়বে, অতএব, গুড বাই ফর এভার”!
মুমূর্ষু রোগীদের ব্লাড দেয়া আমার খুব পছন্দের কাজ। অসংখ্যবার ডোনেইট করেছি। তারই অংশ হিসেবে একদিন ডাক আসে, পিজিতে এক রোগীর ব্লাড লাগবে, শুনে জলদি সেখানে হাজির হই। রোগী এক বৃদ্ধা। দুই মেয়ে দেখাশোনা করছে। বড়টা ফ্যামিলি নিয়ে ঢাকায় থাকে, আর ছোট অনার্স করছে। এই ছোটটাই তাঁর মায়ের জন্য আমার রক্তদানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে রাতারাতি হয়ে যায় আমার বোন!
গুড বাই ফর এভার শব্দ ক’টি শুনে খারাপ লাগে নি। জানি, এই ভাললাগা আবেগ, দুদিন পরেই যার অবসান ঘটবে। এতো সহজে পার পেয়ে যাবো, ভাবিনি। কিন্তু না, আমার ভাবনা কে মিথ্যা প্রমাণ করে দুই দিন পর আবার হাজির। আমাকে ছাড়া নাকি তার চলবে না! অনুরোধের পর অনুরোধ, একবার হা বললেই, নিজেকে আমাতে বিলীন করে দেবে!
ইতিবাচক সারা মেলে না। তবু দমে যাবার পাত্র সে নয়। প্রতিদিন সকাল বিকাল ফোন করে জানতে চায়, খাওয়া, গোসল, ঘুম, পড়াশোনা, স্বাস্থের প্রতি যত্ন নেয়া হচ্ছে কি না। কলসী ভরে সোহাগ ঢালে, যদি বা তাতে একটু মন গলে। কিন্তু গলে না!
লিজাঃ আমি কি আপনার এতোই অযোগ্য? আমাকে গ্রহণ করলে আপনার লাভ বৈ ক্ষতি হবে না। আর অবহেলা করবেন না। আমাকে মানুষ মনে হয় না না কি! প্লিজ গ্রহণ করে নিন!
আমিঃ অসম্ভব। এইসব চিন্তা বাদ দাও এবং আমায় ভুলে গিয়ে মুক্তি দাও!
লিজাঃ আমি আপনার মুক্তির পথে কাটা হয়ে আছি! শেষবারের মত অনুরোধ করব, প্লিজ, আমায় আপনার করে নিন!
আমিঃ অসম্ভব!
লিজাঃ আমি এক কথার মানুষ। অত্যাধিক ভালবেসেছি বলেই এতো অনুরোধ করছি, শুধু পায়ে পড়া বাকী ছিল, তবু আপনার পাষাণ মন গলাতে পারি নি। আজও ফিরিয়ে দিলেন! বাকী জীবনে আর কখনো আপনার সাথে যোগাযোগ রাখব না।
আমিঃ বেশ, তাই যেনো হয়!
ভেবেছিলাম। যবনিকা সেদিনই। কিন্তু না, ফোন না করলেও ঈদ, ভালবাসা দিবস, ফ্রেন্ডশিপ দিবস সহ বিশেষ দিবসগুলোতে ঠিকি মেসেজ করে শুভেচ্ছা পাঠাতো। রিপ্লাই দিলে দূর্বলতা ভাবতে পারে, তাই রিপ্লাই দেয়া থেকে বিরত থাকি।
দীর্ঘ আড়াই বছর পর তার বড় বোন আমায় ফোন করলেন। তার বাবা ভীষণ অসুস্থ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ভর্তি আছে। রক্তের গ্রুপ কাকতলীয়ভাবে আমার সাথে ম্যাচ করেছে। মানবিক ডাকে ছুটে যাই।সিদ্ধান্ত স্থির করে নেই, লিজা সামনে পড়লে কথা বলব না, তাকাবোও না। ভয়েও ছিলাম, আমিতো মানুষ, মানুবিক দোষ থেকে মুক্ত নই, দেখার পর যদি আবেগে পেয়ে বসে! জরুরী বিভাগের সামনে অপেক্ষা করছি, বড় আসলেন ছোট কে সাথে নিয়ে। একবার চোখ পড়াতেই চোখ নামিয়ে নেই। কেমন আছি, জিজ্ঞেস করলে জবাবে নিচের তাকিয়ে বলি, “ভাল আছি”। পালটা জিজ্ঞেসও করি নি, সে কেমন আছে। প্রথম যাত্রায় সফল!
দুই ঘণ্টা অবস্থানকালে কাছাকাছি থাকার পরেও একবারের জন্যও চোখ তুলে তাঁর দিকে তাকাই নি। তাঁর বোন বারবার তাগাদা দিচ্ছে, সে কেন আমার পাশে বসে না, কখনো চোখে ইশারা করছে যেন পাশে বসে। কিন্তু আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ না দেখে সাহসে কুলায় নি পাশে বসার, কিংবা অন্তরঙ্গ হয়ে কথা বলার। যদিও বড় বোন অনেকবার কাজের চুতায় “তোমরা বসে গল্প করো, আমি একটু আসি” বলে মেশার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে যা আমার দৃঢ়তায় সম্ভব হয়ে উঠে নি।
পাঠক ভাবতে পারেন, ছোটকে এড়িয়ে বড়র সাথে নিশ্চয় খোলামেলা মিশেছি। না, আজ দুজনের ক্ষেত্রেই একই আচরণ করেছি, প্রয়োজনে কথা বলেছি, কিছু জিজ্ঞেস করলে আন্তরিকভাবেই উত্তর দিয়েছি সামনে বা নিচের দিকে তাকিয়ে। হেঁটেছি, বসেছি দূরত্ব বজায়ে রেখে। সাধনা, আমি অনেকটাই সফল!
পাঠক, এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে। নিজের কথা অন্যের নামে চালিয়ে দেয়া পছন্দ ছিল না বলেই নিজেকেই উপস্থাপন করেছি, উদ্দেশ্যঃ নিজেকে জাহির করা নয়, বরং উপকারীর উপকারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সীমারেখা অতিক্রম করা, ভাই-বোন সম্পর্ক পাতানো, ভাই থেকে প্রেমিকে রূপ নেওয়া, একে অপরের নিকট অবাধে যাতায়াত করা ইত্যাদি বিষয়গুলো যে পরিহার করা অবশ্য কর্তব্য, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া ছিল আমার উদ্দেশ্য। পাঠক মাত্রই আশা করি বিষয়টি বুঝবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫১০ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসুন না!
:D/ :D/ :D/
শিবিরের পোলাপানদের সততায় মুগ্ধ হয়ে মেয়েরাই উল্টো তাদের প্রপোজ করে ।
লিজা নিজে এবং তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দ্বীনি শিক্ষার অভাব, লজ্জাহীনতা এবং বেহায়াপনা উপস্থিত।
তা না হলে একজন বড় বোন হয়ে কোনভাবেই অন্য একটি ছেলের সাথে মেশার বা কথা বলার সুযোগ দিতে পারে না। যা রীতিমত গর্হিত এবং অরুচিকর।
আর হ্যাঁ ইসলাম মেনে চলা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য জরুরী। কারণ প্রত্যেকটি কর্মের হিসাব স্ব স্ব ব্যক্তিকেই দিতে হবে।
সুন্দর লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনি কেন এটা আশা করেন, সব পরিবারে ইসলাম চর্চা হয়! অধিকাংশ পরিবারেই বেয়াপনা উপস্থিত, কিছু ছাড়া, যারা নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাহে জীবন কে রাঙ্গিয়ে নিয়েছে।
তার বোন আড়াই বছর আগে আমাকে যেমন জেনেছে, আজও হয়ত তেমন মনে করেছে, হয়ত ভেবেছে আমাকে তার ছোট বোনের সঙ্গে বেশ মানাবে, হয়ত তাদের মধ্যে এইভাবেই ছেলে পছন্দ করার রীতি রয়েছে, হয়ত তারা ছেলেমেয়েদের এইভাবে উঠাবসা কে স্বাভাবিক করে নিয়েছে, তাই বড় বোন হয়েও আমার সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া গর্হিত এবং অরুচিকর হওয়া সত্ত্বেও কাজটি করেছে।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত, ইসলাম মেনে চলা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য জরুরী। কারণ প্রত্যেকটি কর্মের হিসাব স্ব স্ব ব্যক্তিকেই দিতে হবে।
আরাই বছর যখন ঠিক একই পরিবারের মুখোমুখি হয়েছি, তখন আগের মত আচরণ না করে নিজস্বতায় পুরোপুরি ঠিক ছিলাম। জানি তাতে তারা মন ক্ষুন্ন হয়েছে, তাতে আমার কিছু করার ছিল না। আমাকে বারবার বলছিল, কেন তাদের বাসায় যাই না, কেন ফোন করি না, কেন এতো চুপচাপ আছি, কেনো এতো পর পর ভেবে কথা বলছি? কিন্তু তাতেও আমি আমার নিজস্বতা হারায় নি! আমার মন মানুসিকতা আমি জানি, একটু আবেগে পেলেই আমার সর্বনাশ! চরিত্র নিয়ে টানাটানি পড়বে! পূর্বের কৃতকর্মগুলো সবসময় আমার জন্য প্রচন্ড পিছুটান হিসেবে কাজ করে, সংযত থাকার জন্য প্রতিনিয়ত অসৎ প্রবৃত্তির সাথে আমাকে যুদ্ধ করতে হয়!!!! আমি যে কি কষ্ট করে নিজেকে সংযত করি, তা আমি ছাড়া অন্য কারো পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়!! রাস্তায় যখন বের হই,হাজার হাজার মেয়ে, যেখানে আমার চোখ পূর্বে তাদের বিশেষ অঙ্গগুলো খুঁজে বেড়াতো, আর এখন খোঁজাতো দূরের কথা, একবার চোখ পড়ার ভুল করেও দ্বিতীয়বার তাকাই না! আমার কথা হয়ত অভিনব মনে হতে পারে, তাহলে কেমন করে রাস্তায় চলি! কোন মেয়ের পিছনে থাকলে ভয় হয়য়, আমার চোখ যদি পড়ে যায়, দ্রুত পাশ কেটে যাই। না পারলে নিচের দিকে, সামনে তাকালে ঘাড় উঁচু করে হাঁটি যেন চোখ নিচে না যায়, নয়ত ডানে বামে তাকিয়ে হাঁটি। এইতো গেলো হাঁটার কথা। কথা? ফেসবুকের ইনবক্সে কোন মেয়ে চিল্লায়ে মরে গেলেও রিপ্লাই দেই না, ফোনে কল দিলে ভুল করেও রিসিভ করি না, ক্লাসমেইট মেয়েদের সাথে পর্যন্ত মিশি না, যদিও আগে প্রচুর মিশতাম, চ্যাটিং করতাম রাত দিন, ফোনালাপ ছিল নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যপার! আর সাধনা করছি, কতদিন পারব জানি না, কিন্তু আমাকে পারতেই হবে।
নিজের সম্পর্কে এতো কিছু বলতাম না, বললাম এই জন্য যে, আপনি সম্ভবত কমেন্ট করেছেন কিছুটা রাগক্ষোভ নিয়ে, যদি আমি ভুল না ভেবে থাকি। সাথে সাথে কমেন্টের দিতাম, কিন্তু পারি নি, পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সরকার বাংলাদেশে গতকাল সন্ধায় বিডি টুডে ম্যাগাজিন +ব্লগ সাইট ব্লক করে দেয়, তাই দিতে পারি নি, এখন ব্যবহার করছি প্রক্সি সার্ভার দিয়ে।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক অনেক খুশি হয়েছি বোন! আমি পাপী বান্দা, তবুও যখন আপনাদের ভালবাসা পাই, সুখ শান্তিতে মন ভরে উঠে, সত্যি বলছি!
আল্লাহ্ আপনাকেও উত্তম জাযা দিন।
ধন্যবাদ মন্তব্যটি করার জন্য।
হয়ত করতে পারতাম, কিন্তু আমার পরিবার তাকে মেনে নেয়ার সম্ভাবনা ছিল শূন্য পার্সেন্ট। তাই......
আপনাকেও অনেক ধন্যোবাদ ভাই আবু জান্নাত, সব সময় সংগ দিয়ে ভালবাসা অব্যাহত রাখার জন্য।
লিজাঃ আমাদের সম্পর্কটা আর ভাই বোনের সম্পর্কে সীমাবদ্ধ রাখা যাচ্ছে না। আমি লাইনচ্যুত হয়ে গেছি। আজ থেকে আপনাকে ভাইয়া বলে ভাবতে পারছি না। ভণিতা না করে সরাসরি বলছি, আমার স্বপ্নের পুরুষ আপনি, আমি আপনাকেই চাই! উত্তর এখনই দেয়ার প্রয়োজন নেই, আপনি ভাবুন, কাল জানালেই হবে......!!!!!!
যাই হোক আপনি দোকা দেয়া থেকে বেঁচে গেছেন! এ ক্ষেত্রে কাপুরুষেরা দুর্বলতার সুযোগ নেয়!
ধন্যবাদ, শিক্ষা মুলক পোস্টির জন্য, আশা করি যারা শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারা শিক্ষা গ্রহণ করে নেবেন।
আর যারা শিক্ষতে চাইনা তারা এ রকম হাজার গল্প শুনলেও কুশিক্ষিতই রয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের অনেক ধন্যবাদ ভাই/
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যটি করার জন্য।
আপনাদের আগমন সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আশা করি পাশে থেকে ভালবাসা অব্যাহত রাখবেন। মন্তব্যের জন্যো অশেষ ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ..
জাযাকাল্লাহু খাইর। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে আমার লিখা পড়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। আশা করি সবসময় আপনিসহ আর সবার অনুপ্রেরণা পাবো।
আশা করছি ভবিষ্যতে আর কারও সাথে এরকম ভাইবোন সম্পর্ক পাতাবেন না। আসলে শয়তান যখন কারও মাঝে ঢুকে তখন এরকম নির্দোষ একটা সম্পর্ক তৈরী করেই ঢুকে।
আল্লাহ আপনার ধৈর্য্য ও বিচক্ষণতা আরও বাড়িয়ে দিন। ামাদের সবার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য কামণা করছি। আমীন।
আপনার আগমন কালে ভদ্রে হয়ে থাকে, নিয়মিত করার চেষ্টা করলে এই ভাইটির খুব ভাল লাগলে। আশা করি ভাইয়ের ভাললাগার বিষয়টি মাথায় রাখবেন।
আশা করার যায় আমাকে নিয়ে আপনার আশা বিফলে যাবে না, আমি আমার সাধ্যমত অনন্তর চেষ্টা করেই যাবো ইন শা আল্লাহ্। সত্যি বলেছেন, শয়তানের দেখানো পথ সবস সময় মসৃণ দেখায়, তাতে থাকে এক অপ্রতিরোধ্য টান, সে টান কে যে উপেক্ষা করতে পারে সেই নিজেকে ধোঁকা থেকে নিরাপদ রাখতে পারে।
আমিন।
আপনার সাথেই সুর মিলিয়ে বলছি, আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সাহায্য করুন।
ছুম্মা আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন