ধর্ষণ, ন্যায়বিচার ও কুরআনের শিক্ষা

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৭ মার্চ, ২০১৫, ০৬:৫৬:০৯ সন্ধ্যা



উন্মত্ত হয়ে ধর্ষণ করে কামনা-বাসনা পূরণ করাই যেখানে মূল লক্ষ্য হয়, সেখানে শিকার যুবতী হলেই কি আর বৃদ্ধা কিংবা শিশু হলেই কি। সব ক'টাতে স্বাদ একই! বানানো গল্প নয়, একটি বাস্তব ঘটনা দিয়ে শুরু করি, ঘটনাটি ঘটে আমার পাশের গ্রামে।

“বাজার করে সন্ধার পর আসার পথে আমি এবং আমার যুবতী মেয়ে একটি নির্জন জায়গায় আসলে আচমকা চার/পাঁচ জন যুবক আমাদের পথ আটকে দাঁড়ায়। মেয়েকে টেনে হেঁচড়ে অন্ধকার স্থানের দিকে নিয়ে যায়। এমন নির্জন জায়গা, চিৎকার দিলেও কেউ শুনবেনা। তবু চিৎকার দিতে যাবো, তার আগেই একজন আমার মুখ চেপে ধরে। অন্যরা টেনে টুনে মেয়ের জামা কাপড় খুলে আমার সামনেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। চলতে থাকে পালাক্রমে ধর্ষণ।

তারা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয় না। এক পর্যায়ে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আমাকেও পালাক্রমে ধর্ষণ করে কোমর ভেঙ্গে দেয়। আমার বয়স ৬৫। তারা সবাই আমার ছেলের বয়সী। তাদের উন্মত্ত লালসার কাছে বয়স বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নি! সে বীভৎস রাতের কথা মনে হলে ঘেন্নায় বমি আসে”! -এক হতভাগী ধর্ষিতার মা

গ্রাম্য সালিসে বৃদ্ধা মহিলাটি মা-মেয়ের এক সাথে ধর্ষিত হওয়ার বিবরণ এভাবেই বর্ণনা করে। পাঠক আমরা দেখলাম যুবতীর সাথে বৃদ্ধাকেও যৌন লালসার শিকার হতে। বাকী রইল শিশু। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় হরেক রকমের ধর্ষণের খবর, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম জোরপূর্বক শিশু ধর্ষণ।



কিন্তু কেন ধর্ষণের এই ব্যাপকতা, যার ভয়াল থাবা থেকে শিশু ও বৃদ্ধারাও মুক্তি পাচ্ছে না? এই নিয়ে বিস্তর লেখালেখি আছে, আছে যুক্তি তর্ক। তবু পুরনো কাসুন্দি নিয়ে ঘাটতে বসলাম এই জন্য যে, তারা বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য প্রচার করেই যাচ্ছে এবং ভাল-মন্দের মাঝে দোদুল্যমান মানুষগুলো তাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত নিজদের পদস্খলন ঘটাচ্ছে। পাশবিক ধর্ষণ ও 'স্বেচ্ছায় ধর্ষণ' জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। তাই এ বিষয় নিয়ে কিছু লিখতে বসি। এর থেকে আসতে পারে নতুন চিন্তা অথবা নতুন

কোন সমাধান। এই লিখা দ্বারা একজন মানুষও যদি পংকিলতাপূর্ণ গত জীবন থেকে সঠিক পন্থায় নতুন জীবনে ফিরে আসে, তাহলে প্রভুর দরবারে জবাবদিহি অনেকাংশে সহজ হবে। নয়ত একজন মানুষকে চোখের সামনে বিপথে চলতে দেখার পরেও সময়োচিত পদক্ষেপ না নেওয়ার কারনে কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি হতেই হবে।

একপক্ষ বলে, ‘স্বল্প বসনা, নারীর পুরুষের মত করে চালচলন ধর্ষণের মুখ্য কারণ। আরেক দল বলে, পোশাক নয়, বিকৃত মানসিকতাই ধর্ষণের কারণ’। আমি বলব, দুটোই ধর্ষণ সংঘটিত হওয়ার কারণ তবে আলাদাভাবে পোশাক কিংবা বিকৃত মানুসিকতাই মুখ্য কারণ নয়। দুটোর সমষ্টিগত কার্যকারণের ফল হল ব্যাপক ধর্ষণ।

যারা বলে বিকৃত মানুসিকতাই ধর্ষণের কারণ, তাদের বলব, এই বিকৃত মানুসিকতা কিভাবে ধর্ষকের উপর বিস্তার করল? যেসব কারণে ধর্ষকের মন বিকৃত হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল মেয়েদের খোলামেলা পোশাক পরিধান ও পুরুষালী স্টাইলে চালচলন। ধরুন, একজন পুরুষ, যুবক বা পৌঢ় বয়স্ক গাড়ির সীটে বসে আছে। স্বল্প বসনা একজন মেয়ে এসেই দপ করে পুরুষটির পাশে বসে পড়ে। মেয়েটির শরীর বারবার পুরুষটির গা ছুঁয়ে যাচ্ছে। অথবা ভীড় থাকায় লোকটি দাঁড়িয়ে আছে আর মেয়েদের (উল্লেখ্য, সঠিক নিয়মে পর্দা করা মেয়েরা যেহেতু পুরুষ-মহিলার ঠেসাঠেসিতে পূর্ণ বাহন বা স্থান এড়িয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে, তাই তারা এখানে ধর্তব্য নয়) আসা যাওয়ায় বারবার শরীর ঘষা খাচ্ছে, তাতে করে লোকটির ভিতর কি কোন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে না? অবশ্যই হবে, যদি না হয় তাহলে অবশ্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত!

একজন সুস্থ পুরুষ একথা বলতে পারি না, “মেয়েদের মা বোনের মত দেখি, তাদের নিয়ে মনে কখনো খারাপ চিন্তা আসে না”। কেননা যদি সবাইকে মা বোনের মত দেখতে পারতাম তাহলে পর্দার আয়াত নাজিল হতো না। চোখ সংযত ও যৌনাঙ্গ হেফাজত করার কঠোরতা আরোপ করা হতো না। চৌদ্দজন ব্যতিরেকে বাকি সব মেয়েকে বিয়ে করা হালাল হতো না। যদি কেউ বলে মেয়েদের শরীর আমাকে আকর্ষণ করে, কিন্তু বিবাহবহির্ভূতভাবে দৈহিক মিলন বৈধ নয় বিধায় এইসব থেকে বিরত থাকি”। তাহলে আমি তার সাথে সহমত। নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ সহজাত। তাছাড়া সব মা-বোন হলে বিয়ে করব কাকে? গাড়িতে বসে থাকা লোকটির মাঝে প্রতিক্রিয়া হওয়া অসম্ভব নয়। মেয়ে শরীরের উষ্ণতা পেয়েও কিছু করতে গেলে মার খাওয়ার সম্ভবনা থাকায় বিরত থাকবে, অবশ্য আজকাল গাড়িতেও হয়, ভারতে ও বাংলাদেশে চলন্ত গাড়িতে ঘটে যাওয়া বেশ ক'টি ধর্ষণ, অতঃপর হত্যা ট্রাজেডির কথা সবাই জানি।

এতোকিছুর পরও গাড়ির লোকটি অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে কালো হাতের থাবা মারে নি, তার দিল পরিচ্ছন্ন ছিল? হয়ত পরিচ্ছন্ন স্থান নিয়মিত পরিষ্কার না করলে অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তেমনি গাড়ির লোকটির পরিচ্ছন্ন মন পরিচ্ছন্ন থাকবেনা যদি প্রায় মেয়েদের পরিহিত যৌন উত্তেজক বাহারি পোশাকে চোখ লোভাতুর হয়ে উঠে, নারী শরীরের স্পর্শে হাত উসখুস করে, দেহ-মন চাহিদা পুরণে ব্যগ্র হয়ে উঠে। হয়ত গাড়িতে কিছু করবে না, দাঁতে দাঁত চেপে কামনার তাড়না হজম করবে, কিন্তু তাড়ণার নিদারুণ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে? পাবে না, 'চিপা-চাপায়', 'আন্দোয়ার-বান্দোয়ারে', আগানে-বাগানে সুযোগ পাওয়া মাত্রই অন্য কোন মেয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। কারো সাথে 'এ্যাফেয়ার' থাকলে বিয়ের আগেই দৈহিক মিলনকে ত্বরান্বিত করবে নানান প্রলোভোন দেখিয়ে। বিবাহিত হলে ঘরের বউকে তেতো লাগবে ও অন্যগামী হবে। যুবতী না পেলে 'বেদিশা' হয়ে শিশু-বৃদ্ধাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।

অতএব বিকৃত মন মানুসিকতা আপনা-আপনি তৈরি হয় না। উত্তেজক পোশাক বিকৃত মানুসিকতা তৈরির অন্যতম উপাদান যা ব্যক্তিকে ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ করে। আবার ব্যতিক্রমও দেখা যায়। অনেক মেয়ে আছে পোশাকে খুব উশৃংখল, কিন্তু যৌন হয়রানী বা ধর্ষণ দূরে থাক, একটা ছেলেও তার গায়ে স্পর্শ করার সাহস পায় না। অবশ্য তা দ্বারা প্রমাণ হয় না, পোশাক ধর্ষনে ভূমিকা রাখে না। দেখা যাবে মেয়েটা প্রভাবশালী কারো কন্যা। নিজে প্রভাবশালী অথবা খুব এগ্রেসিভ টাইপের, তাই হয়ত লোভাতুর হাতগুলো থমকে যায়। তার দেহের রূপ চক্ষু দ্বারা আস্বাদন করে শান্ত হয়ে যায় না অশান্ত দেহ মনগুলো। তার জায়গা অন্য কোন মেয়ে লালসার শিকার হয়।

বিকৃত মানুসিকতা তৈরি করে উত্তেজক পোশাক। আর সেসব পোশাক পড়তে, স্বল্পবসনা হয়ে চলতে, পোশাকের আড়ালে নয় বরং বাজে বাজ খুলে শরীরীয় সৌন্দর্য বেশি বেশি প্রদর্শন করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে মিডিয়া তথা টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, সুন্দরী প্রতিযোগিতা, বাংলাদেশে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার, দেশি বিদেশি বিভিন্ন সিরিয়াল, কথিত নারীবাদীদের নারী স্বাধীকার আন্দোলন ইত্যাদি। পাঠক, লেখার প্রয়োজনে আমি দেখেছি লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন সিরিয়াল, মিস ইউনিভার্স, মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা, বাংলাদেশী মেয়ে নায়লা নায়িম ক্যামেরার সামনে স্বল্পবসনা নগ্ন প্রায় হয়ে পোজ দেয়া, দেখেছি বিকিনি পড়ে বাংলাদেশী মেয়েদের মডেল হওয়ার অদম্য ইচ্ছা। এতসব কিছু দেখে সাধারণ মেয়েরা কেন, ধর্মপরায়ণ মেয়েদেরও স্বল্প বসনা হতে মন উসখুস করা অস্বাভাবিক নয়।

পাঠক সুন্দরী প্রতিযোগীরা যত স্বল্প বসনা হোক না কেন, হয়ত নিরাপদ দুরত্বে থাকায় ধর্ষণের শিকার হবে না, কিন্তু তাদের দেখে লক্ষ কোটি সাধারণ মেয়ে তাদেরই মত করে পোশাক পরিধান করে চলায় টালমাটাল পুরুষের দল ঝোপ বুঝে কোপ ঠিকই মারবে।

শোনলাম পোশাক ও বিকৃত মানুসিকতার কথা। পুরুষের করণীয় কী? নারীর স্বল্প বসনা দেখে যাবে, সুযোগ পেয়ে কাজ সেরে দুধে ধোয়া তুলসি পাতা অথবা অপরাধ করেও ধরা ছোঁয়ার উর্ধ্বে চলে যাবে? ধরা ছোয়ার বাহিরে যেতে পারে বিভিন্ন ক্ষমতাবলে, কিন্তু দুধে ধোয়া তুলসী পাতা নয় কখনো। নারীদের উলঙ্গপনায় পুরুষের যৌনাঙ্গ হেফাজত খুব চ্যালেংজিং কিন্তু অসম্ভব নয়। উলটা পাল্টা পোশাক পরিহিতারা আমার-আপনারই বোন ,মা। আমরা আমাদের মা বোন, বা নিকটাত্মীয় নারীদের শালিন পোশাকে অভ্যস্ত করতে পারলে ধর্ষনের ভয়াবহতা নিশ্চয় কমবে। সৃষ্টিকর্তা বলেননি মেয়েরা উলঙ্গ হয়ে চললেই তোমাদের জন্য ধর্ষণ হালাল। একজন মেয়ে উলঙ্গ হয়ে কোন পুরুষকে দৈহিক মিলনে আহবান করলে উক্ত পুরুষ কামভাব দমন করতে না পেরে আহবানে সাড়া দিলে সৃষ্টিকর্তা যেনা ব্যাভিচারের শাস্তি তাকে দিবেনই। ধর্ষকের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য।

একটা ঘটনা, সম্ভবত আল্লাহর রাসূলের যুগে, পড়েছি নবম দশম শ্রেণীতে থাকাকালীন, ‘একজন পুরুষ এক নারীর সাথে মিলিতে হওয়ার জন্য দুই উরুর মাঝেখানে বসে। এমন সময় মেয়েটি বলে উঠে, হে যুবক আল্লাহকে ভয় কর! সাথে সাথে যুবকটি সেখান থেকে উঠে চলে যায় এবং তাওবা করে’। সুতরাং সদা আল্লাহর ভয় মনে জাগরুক রেখে যাবতীয় পাপাচার থেকে দূরে থাকতে হবে পাপাচারে মিশে যাবার সুযোগ বা বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও।

এতো সৃষ্টিকর্তা কর্তিক শাস্তির কথা। বাংলদেশে ধর্ষকের শাস্তি কী? কার কাছে চাইবেন আর কে বা করবে বিচার? দেশে ন্যায়বিচার পাবেন? বিচারে পক্ষপাত দুষ্ট রায় বেশি দৃশ্যমান। ধর্ষণের শিকার, কলঙ্কিনী উপাধী, লাঞ্চনার জীবন, বিচার চাওয়ার অপরাধে পুনরায় ধর্ষকের নিকট থেকে হুমকী-ধমকী, এসবই হতভাগীর প্রাপ্তি। দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, আখেরাতেও জুটবে লাঞ্ছনা যদি না হতভাগী আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলে। হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল (স) বলেছেন, দোজখের দু'প্রকার লোককে দুনিয়ায় দেখিনি। এক প্রকার হচ্ছে, যাদের কাছে গরুর লেজের মত লম্বা লাঠি রয়েছে এবং তা দ্বারা লোকদেরকে মারে। ২য় প্রকার হচ্ছে, সেই সকল স্ত্রী লোক, যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ...... তারা না বেহেশতে যাবে আর না বেহেশতের ঘ্রাণ পর্যন্ত পাবে। (মুসলিম)

তাহলে ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা যখন একেবারেই ক্ষীণ, সমাধান নিজেদেরকেই করতে হবে। ব্যবস্থাগ্রহণ ধর্ষণের পরে নয়, আগেই করবে। মিডিয়া ও নারীবাদীরা স্বল্প পোশাক পড়তে উৎসাহিত করে অথচ ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না। সুতরাং তাদের কথায় গায়ে পরিহিত পোশাক খুলে ফেলুন, পড়ুন সে পোশাক, যা সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য পছন্দ করেছেন, শুধু তাই নয়, তাতে রেখেছেন সুরক্ষার ব্যবস্থাও।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছি। ক্লাসেরই কয়েকটা ছেলে মেয়েদেরকে অশ্লীল কিছু একটা বলার জন্য এ ওকে ঠেলছে। তাদের মধ্য থেকে একজন (যার মুখে অশ্লীল কথা ছাড়া ভাল কথা খুব কম শোনা যায়) বলছে, “সব মেয়েকে যা ইচ্ছে বল, কিন্তু বোরকাপরা ওই মেয়েটাকে (মেয়েটা একটি আদর্শকে লালন করে, ছেলেদের সাথে অবাধ মেলামেশা করে না) কিছু বলতে যাস না, সে মাইন্ড করবে”। এভাবেই বোরকা অথবা ঢিলেঢালা পোশাক পরিহিতারা কুজনের অশুভ দৃষ্টি এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ থেকে নিজেদেরকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রক্ষা করতে পারে। কখনো কখনো বোরকা পরিহিতারাও ধর্ষণের শিকার হয়, তবে তা ব্যতিক্রম দু'একটি ঘটনা। ঢিলে ঢালা, গোল, লম্বা হাতা জামা পড়ুন, তার উপর বোরখা, হিজাব নেকাবের সাথে বাড়তি একটি উড়না, যা শরীরের অঙ্গ সমূহকে প্রকাশ করে না। অতীব প্রয়োজন ছাড়া পুরুষ সংগ ত্যাগ করুন, কোমলতার পরিবর্তে পুরুষের সঙ্গে কথা বলুন কিছুটা রুক্ষ ভাষায়, তবে তা যেন অসন্তুষ্টির কারণ না হয়। আশা করা যায় আপনি সুরক্ষা পাবেন।

ধর্ষণ সমাজে মহামারীতে রুপ নিয়েছে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাব, শরীর-মন অশ্লীলতার দিকে ধাবিত হয় এমন উপকরণসমূহের সহজলভ্যতা, অপরাধীর দায়মুক্তি, অভিভাবকদের উদাসীনতা ইত্যাদি ধর্ষণের কারণ। মোদ্দাকথা- ধর্ষণের হাজারো কারণ নির্ণয় করা যাবে, হাজারো সমাধান বের হবে, নিত্য-নতুন আইন তৈরি হবে, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, তথাপি ধর্ষণের হার কমবেনা। মূল জিনিসে না গিয়ে মহামারীর প্রতিষেধক দুনিয়াব্যাপী খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। ঘুরে ফিরে অবশেষে আপনাকে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনাময় মহাগ্রন্থ আল কোরআনের কাছে যেতে হবে। সেখানেই মিলবে সত্যিকার সমাধান। অতএব আজি, এখনই নেমে পড়ুন, প্রকৃত সমাধান সন্ধানে।

বিষয়: বিবিধ

২০০৫ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309524
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২১
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : Undoubtedly it's a nice blog post. Jazhak Allah for sharing this with us. Happy
১৭ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০৯
250486
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : প্রেরণাদায়ক মন্তব্য দান এবং প্রপ্তহম মন্তব্যট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

বিশেষ ধন্যবাদও নেবেন।

জাযাকাল্লাহু খাইর।
309528
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
সোহেল মোল্লা লিখেছেন : মাইনাস
১৭ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:১০
250487
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমার লিখা কি মোল্লা সাহেবের মনে ধরে নি? কি করলে, কিভাবে লিখলে মনে ধরবে, একটু বাতলে দেন না মোল্লা ভাই!
309547
১৭ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৩৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অত্যন্ত চমৎকার এবং সত্য বিষয়। বর্ণনার স্টাইলও দারুন।

একজন সুস্থ পুরুষ, একথা বলতে পারি না, “মেয়েদের মা বোনের মত দেখি, তাদের নিয়ে মনে খারাপ চিন্তা আসে না”।

একটি সহী হাদীসে দেখেছিলাম-এক যুবক রসূল(সাঃ)এর কাঝে বলেছিল মেয়েদের কাঝাকাছি গেলে তার বিমেষ কোনো অনুভূতি হয়না,তিনি(সাঃ)বলেছিলেন -হয় তুমি মিথ্যা বলছ,নয়ত তুমি নপুংসক। আল্লাহ উভয়ের মাঝে আকর্ষণ তৈরী করেছেন। আর বলেছেন উভয়কে পর্দা করতে। তাদের সতর বলে দিয়েছেন। উভয়কে লজ্জাস্খান এবং চোখের হেফাজত করতে বলা হয়েছে। এটার পরও ধর্ষন হতে পারে কিন্তু সেটা সীমিত আকারে। এসব দিক ঠিক থাকলে শুধুমাত্র বিকারগ্রস্তদের দ্বারা ধর্ষন ঘটবে। কিন্তু নারীরা খোলামেলা থাকলে যাদের মনে সুপ্ত বিকারগ্রস্ততা রয়েছে,সেটা অতি মাত্রায় বেড়ে যাবে এবং তাদের অনেকে সুযোগ পেলে ঝাপিয়ে পড়বে।
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:০৯
250554
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ্‌! আপনার মন্তব্য আমার অনেক ভাল লেগেছে।

মন্তব্যটি শুরু করেছেন আমাকে আমার পরিশ্রমের স্বীকৃতি, প্রেরণা, উৎসাহ দিয়ে। সত্যি আপনাদের প্রেরণা আর উৎসাহ একদিন আমার পক্ষ থেকে গঠনমূলক লিখে উপহার দিতে সহায়তা করবে।

আপনার মনতব্যটি আমার লিখায় পূর্ণতা দিয়েছে। আমার যা অব্যক্ত ছিল আপনি মন্তব্য করে তা পূর্ণ করেছেন।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাই স্লেভ! না না না না, এটা কি নাম? আপনি স্লেভ হতে যাবেন কেন? মানি না, নতুন নাম চাই!!!!!
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:১৪
250567
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি স্লেভ অব আল্লাহ...এখন ঠিক আছে ? Happy Happy
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
250579
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ঠিক হবে না! খুব ঠিক হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
309549
১৭ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৪৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার যুক্তিযুক্ত পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:১০
250555
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : প্রেরণাসমেত সংক্ষিপ্ত অথচ সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও যে ধন্যবাদ ভাই সবুজ।
309581
১৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:০৪
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ঘেন্নায় বমি আসে”! -ধর্ষিতার মা


অনেক বাস্তববাদী লেখা এবং অনেক লম্বা লেখা! লেখাটির. প্রসাব বেদনা লেখক মাত্রই বুঝতে সক্ষম!

লেখাটির শিরোনামটা ভিন্ন হলে পঠকদের চাহিদা বাড়ত বলে মনে হয়।
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:২০
250557
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ভাইরে একটা শিরোনাম দিতে আমাকে অনেকক্ষণ ভাবতে হয়য়, তবুও একটা ভাল শিরোনাম দাঁড় করাতে পারি না, এটা আমার মারাত্মক অক্ষমতা। আমিও জানি, বুঝি শিরোনাম সুন্দর ভাল লিখাও কদর পায় না, কেননা শিরোনাম দেখেই মানুষ উতসাহ পায় ভিতরের লিখা পড়বার।

এমনিতো চাই, আপ্নারা আসবেন, এই অধমদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেবেন, গঠনমূলক সমালোচনায় মুখর হবেন, যখন ভাল লাগে উৎসাহ প্রেরণা দিয়ে লিখার হাত কে সচল রাখতে সহায়তা করবেন।

আমি শিরোনাম পরিবর্তন করেছি, কেমন হয়েছে জানালে খুশি হব।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সঙ্গেই থাকবেন এই কামনা।
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:২০
250578
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : শিরোনাম ভালোই হলো, ধন্যবাদ!
309588
১৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:৫৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

একমাত্র আল্লাহর ভয় এবং ইসলামী নৈতিকতাই সমাজ থেকে এই মহামারী দূর করতে পারবে!

চমৎকার, বিশ্লেষন মূলক পোস্টের জন্য শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহু খাইর! Good Luck
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:৩১
250558
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম বোন। সালাম আমি মুখে নিয়ে নেই, যদি কমেন্টে সালামের উত্তর না দিয়ে থাকি, মনে ব্যথা পাবেন না।

আপনার উপস্থিতি আমার জন্যো বিশেষ কিছু। হা একদম ঠিক বলেছেন, আমি আল্লাহর ভয় শব্দ দুটি উল্লেখ করিনি সম্ভবত, হয়ত মনের ভুলে, কিন্তু ইনটেন শন ছিল শতভাগ, লিখার ফোকাসতো এটাই। আপনি উল্লেখ করে এই গ্যাপটুকু পূর্ণ করেছেন। শোকরিয়া।

প্রেরণা প্রেরণা প্রেরণা, হা এই প্রেরনাগুলো আমার কাছে কতটা দামী বলে বুঝাতে পারব না। কৃতজ্ঞতায় মন ভরিয়ে দেয়। লিখার জগতে অন্তত এই ব্লগে ক্ষুদ্র মানুষটির সঙ্গেই থাকবেন, এইটুকু প্রত্যাশা।
309600
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৬:২৮
শেখের পোলা লিখেছেন : প্রয়োজনীয় উপদেশ, সঠিক বক্তব্য৷ কিন্তু ঘণ্টা বাঁধার লোকের অভাব৷ হয়ত এ দেশে এমন সময় সামনে আসছে যখন এ সব বলার সাহসও কেউ পাবেনা৷ কোরআনতো অনেক পরে৷ প্রথমে চাই ইবলীশমুক্ত দেশ৷ তার পর কোরআনি চরিত্র যদিবা আনা যায়৷ ধন্যবাদ৷
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৭:০৬
250559
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার জন্য দ্বিতীয়বারের মত প্রতিমন্তব্য কম্পোজ করতে হল, কেন নেট খারাপের কারনে প্রথম মন্তব্যটি হারিয়ে যায়।

সহমত জ্ঞাপনের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ঠি বলছেন ঘন্টা বাঁধার লোকের অভাব।

আসেব কি? এসেই গেছে। এখন বলা যায় নাকি!

যথার্থই বলেছেন, ইবলিশ মুক্ত করা জরুরী। কিন্তু ইবলিশ মুক্ত করার শক্ত সাহস কোরআন থেকেই নিতে হবে, নয়ত ইবলিশ মুক্ত হবে অথচ যে জন্য ইবলিশ মুক্ত করা হল সেই কাজই আঞ্জাম দেয়া হবে না।
309662
১৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৪১
আল সাঈদ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৮ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:১২
250622
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাদের ভাললাগা আমার কাছে অনেক দামী। তাই ভাললাগা অব্যাহত রাখুন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
309666
১৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : সত্যিকারের উপদেশ গ্রহনের মন মানষিকতার আজ বড় অভাব। শিক্ষা ও সংস্কৃতি দুটোই আজ বাতিলের দখলে। মানুষ আজ মিড়িয়া নির্ভর, কোনআন হাদিস বিমূখ। শান্তি কোথায় পাবে?
একমাত্র ইসলামই দিতে পারে সত্যর সন্ধান ও আলোর দিশা।
ঘুরে ফিরে অবশেষে আপনাকে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনাময় মহাগ্রন্থ আল কোরআনের কাছে যেতে হবে।

সত্যি এটাই সত্যি। জাযাকাল্লাহ খাইর।
১৮ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:১৯
250623
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : "সত্যিকারের উপদেশ গ্রহনের মন মানষিকতার আজ বড় অভাব"। হা ঠিক বলেছেন। এর মাঝেই ধীরে ধীরে কিছু লোকের মন মানুসিকতা উন্নত হবে এবং ক্রমেই সংখ্যাটা বড় হব। আমরা আশাবাদীদের দলে, হতাশাগ্রস্তদের দলে নই।

যারা ইসলাম কে জেনেছে, বুঝেছে, তারাই ইসলামের প্রকৃত স্বাদ পেয়েছে, পেয়েছে মুক্তির সন্ধান। যারা বুঝে না, তারা বঞ্চিত হয়েছে দুনিয়ায় এবং আখেরাতেও হবে।

প্রকৃত সত্যকে উপলব্দি করে সুন্দর গুছানো মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১০
309680
১৮ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:২২
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আপনার পোষ্ট টি খুব সুন্দর ।কয়েক বার পড়ার পর কমেন্ট করতে কি রকম যেন লাগছিল শুধু মাত্র হেডিং এর কারনে । আবার খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া ।অনেক অনেক জাজাকিল্লাহ সাকা ভাইয়া ।

সমস্যার সমাধান দিতে পারে আল কোরআন ।

আল্লাহ আমাদের বেশী বেশী কোরআন পড়ার ,বুঝার ও মেনে চলার তৌফিক দান করুন । আমীন ।

ধন্যবাদ সাকা ভাইয়া ।
১৮ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৪
250673
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জেনে খুব খুব খুশি হলাম। পনি আমার লিখা কয়েকবার পড়েছে, এই কথা শোনার পর আমার চাইতে বেশি খুশি আর কে হবে।

সরি পনি!!!!! আমি শিরোনাম নির্ধারণ নিয়ে খুব ঝামেলায় পড়ে যাই। আমিও চাইনি এমন শিরোনাম দিতে। সত্যি এটা আমার অক্ষমতা একটা ভাল শিরোনাম দিতে না পারা। আবারো সরি!

জাযাকাল্লাহু খাইর পনি।


আল্লাহ আমাদের বেশী বেশী কোরআন পড়ার ,বুঝার ও মেনে চলার তৌফিক দান করুন । আমীন ।
ছুম্মা আমিন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ পনি।
১১
309685
১৮ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১০
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু স্রদ্ধেয় ভাইয়া। ধর্মীয় অনুশাসন, অনুভূতি ও অনুশীলন ব্যতিরেকে অনৈতিক যে কোন কার্যকলাপ সমাজ থেকে সমূলে উচ্ছেদ করা অসম্ভব।
অত্যন্ত প্রজ্ঞা ও অসাধারণ যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ লিখাটি উপস্থাপনের জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
১৮ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৮
250676
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার উপস্থিতি সবার পরে দেখতে হবে এটা আমি আশা করি নি!!!! কোথায় থাকেন? আপনাদের পরামর্শ, উৎসাহ, গঠনমূলক সমালোচনা আমার লিখাকে পূর্ণতা দান করে। আপনাদের ভাললাগাকে সঙ্গী করার জন্যই আবার ব্লগে নিয়মিত হলাম। আশা করি সে সংগ পেয়েই যাবো।

আপনার মন্তব্য আমার জন্য সব সময় প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। আজও তাই।

জাযাকাল্লাহু খাইর বোন।
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:০৪
250947
সন্ধাতারা লিখেছেন : শুনে খুবই কৃতার্থ হলাম। তবে বোনের অনুপস্থিতি বা দেরী হলে বুঝে নিতে হবে ব্লগে উপস্থিত হওয়ার ফুরসৎ নেই একান্ত সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও।

আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া ও শুভকামনা থাকলো।
Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
১২
309735
১৮ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৩৯
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

জাযাকাল্লাহ..
আপনার নামটি যাঁরা পছন্দ করেছেন তাঁদের জন্যও দোয়া করি, নামটি যেন সার্থক হয় Praying Praying
১৮ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৫৬
250735
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

এতোদিন আপনি কোথায় ছিলেন? আমাদের সাথে কি অভিমান করেছেন? যাক যেখানেই থাকেন, শত ব্যস্ততার মাঝেও মাঝে মাঝে এসে সাক্ষাত দিয়ে যাবেন। খুশি হব।

জাযাকাল্লাহু খাইর।

আমার নামটি আমার খুব পছন্দ করেন। একদিন বাড়ি গিয়ে বলি, "মা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা সবাই আমাকে সাকা বলে ডাকে, আমারও শোনতে ভাল লাগে"। মা তখন মন খারাপ করেছিলেন, সালাউদ্দিন আইউবীর নামে নাম রেখেছি ভাল লাগে, কোথায় একটা বাজে নাম ভাল লেগে গেলো?

বুঝলাম আমার এই সালাউদ্দিন নামে ডেকে খুশি হন। আমার সাংগঠনিক ভাইয়েরাও সালাউদ্দিন বলেই ডাকেন, আমারও শোনতে ভাল লাগে।

আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুন।
১৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:২০
250871
আবু সাইফ লিখেছেন : ব্যস্ততা এত বেড়েছে যে, সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তবে কয়েকদিন থেকে আকস্মিকভাবে কিছুক্ষণ আবসর পাওয়া যাচ্ছে- আর সেই ফাঁকে ব্লগে একটু ঢুঁ-মারা- এ যেন নাড়ীর টান.।

আবারো আপনার মায়ের জন্য সালাম ও দোয়া- আল্লাহতায়ালা তাঁর আকাঙ্খা পূর্ণ করুন!!
১৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:১৮
250873
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমিন।

আল্লাহ আপনাকে সব সময় সুস্থ রাখুন।
১৩
309894
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৪২
আবু জারীর লিখেছেন : যত গুলো কারণ উল্লেখ করেছে সব গুলোই যৌক্তিক। এখন প্রতিরোধ ছাড়া কোন বিকল্প নাই।

আগে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে কিছুটা হলেও বিচার পাওয়া যেত কিন্তু একশ্রেণীর সুশীল ফতোয়ার জুজু তুলে সে পথও রুদ্ধ করে দিয়েছে।

সময় এসেছে আগে ঐ সুশীলদেরই প্রতিরোধ করতে হবে।

শারীরিক বেশ্যাদের চেয়ে বুদ্ধি বেশ্যারা সমাজের জন্য আরো বেশী ক্ষতিকর।
ধন্যবাদ।
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৫১
250963
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সু মানে ভাল, অথচ এই সুশীল এখন বাংলাদেশের সবচাইতে বিরক্তিকর, ঘৃণিত নাম।

ওরা ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত, কিভাবে যে করব প্রতিরোধ, বুঝে আসে না। তবে এও জানি অসম্ভব নয়।

শারীরিক বেশ্যাদের চেয়ে বুদ্ধি বেশ্যারা সমাজের জন্য আরো বেশী ক্ষতিকর।

যথার্থই বলেছেন।

আমার মত আনকোড়া ব্লগারের লিখায় আপ্নারা কমেন্ট করলে অনেক আনন্দ পাই। ধন্যবাদ এই ভাইটিকে আনন্দ দানের জন্য।
১৪
309941
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:৩০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাল লাগলো, আপনার সাথে আমিও একমত। এই বিষয়ের উপর আমিও লিখার চেষ্টা করেছিলাম...http://www.todaybd.net/blog/blogdetail/detail/10481/4341216/57851#.VQsxOBaoWSw
২০ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৮
251086
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : একাত্মতা পোষণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার লিখাটি আমি পড়ে নিয়েছি, আপনি হয়ত আমার কমেন্ট পেয়ে থাকেবন।
আপনাকে অনেক ধ্যবাদ।
১৫
309942
২০ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:৩১
১৬
310048
২০ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:৩১
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : মাসাল্লাহ , আল্লাহ আপনার লিখনিকে আরো শানিত করুন । অসম্ভব ভালো লেগেছে।
২০ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৯
251087
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : প্রেরনাদায়ক মন্তব্যের জন্য শোকরিয়া।

আমার জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ যেন কবুল করেন।

ভাললাগা অব্যাহত রাখুন পাশে থেকে।
১৭
319762
১৩ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৪৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : মাশাআল্লাহ - পড়লাম। আপনার নামের যথার্থতা আছে। আপনার পোষ্টটা ফেবুর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম। দোয়া করি এবং দোয়া করবেন।
১৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫১
260917
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ্‌ জেনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি আপনি আমার লেখাটি পড়েছেন এবং আরো খুশি হয়েছি , কৃতজ্ঞও বটে আমার লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছেন।

আপনার জন্যও অনেক অনেক দোয়া রইল ইবনে আহমাদ ভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File