যৌন জিহাদ একটি অপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়!
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৫ মার্চ, ২০১৫, ১০:৫৬:৫৪ রাত
এই লিখাটি লিখতে শুরু করি ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য, কিন্তু দীর্ঘ হওয়ায় ব্লগেও দিতে মনঃস্থির করি। ফেসবুকে যেমন তেমন লিখলেই হল, ব্লগে গুনগত মান রক্ষা করা চাই। সে দৃষ্টিকোণ থেকে লিখাটি হয়ত ব্লগে আসার যোগ্যতা রাখে না। ভাল না লাগলে আওয়াজ দিবেন, ......হজম করার জন্য এই বান্দা হাজির। পোস্টে দেয়া ছবিটি অশ্লীল হওয়া সত্ত্বেও এই রিলেটেড বিধায় পোস্ট করেছি, সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ইমানদারদের ইমান দূর্বল করে ইসলামের ভিত ভেঙ্গে দেয়ার মোক্ষম হাতিয়ার। আসলে যৌন শব্দটির সাথে জিহাদ কোনভাবেই যায় না। সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী, বিপরীত বৈশিষ্টের দুটি শব্দ একসাথে বসতে পারে না। দুজন মেয়ে বৃটেন থেকে বের হয়ে আসে আই এসে যোগ দিয়ে যোদ্ধাদের যৌন স্বাদ মিটিয়ে ময়দানী লড়াইয়ে সক্রিয় রাখতে। মিডিয়ায়র অপপ্রচার এমনি।
আসলে কি তাই? প্রশ্ন থেকে যায়, দুইটা মেয়ে সবার মনোরঞ্জন করতে গেছে না কি আলাদা আলাদা দুজন জিহাদীকে বিয়ে করে মাঠে সক্রিয় রাখতে গেছে? যদি আলাদা দুজন কে বিয়ে করতে যায় তাহলে কি সমস্যা? আর যদি সবাইকে যৌন স্বাদ আস্বাদন করাতে যায়, তাহলে সেসব লোকেরা জিহাদী হয় কেমন করে? জিহাদের দাবীর মধ্যে কোথাও কি বলা আছে যুদ্ধের ময়দানে নারী সম্ভোগে শক্তিমত্তা বৃদ্ধি করতে হবে? অথচ জিহাদ করার চেতনা তার মধ্যেই জাগ্রত হবে যে সমস্ত অন্যায় অপকর্ম থেকে শরীর মন কে বিরত রাখতে পেরেছে।
যদি কোন যোদ্ধা বিবাহবহির্ভূতভাবে কোন নারীর সাথে দৈহিক মেলামেশা করে, তাহলে সে বারবণিতার খদ্দর! কোনাভবেই জিহাদীর সংজ্ঞায় পড়ে না। আর যদি কোন মেয়ে সেখানে গিয়েও থাকে জিহাদীদের শারীরিক শান্তি দিতে, তাহলে এটাও বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। পুরুষ মাত্রই নারীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে, জিহাদীরাও পুরুষ, তাদেরও নারীর মায়ার জালে বন্দী হওয়া অস্বাভিক নয় বরং অনেক বেশি, কেননা তাদের স্ত্রীর সঙ্গ থেকে দীর্ঘদিন অনেক দূরে থাকতে হয়। তাদের পদস্খলন ঘটানোর অংশ হিসেবে বারবণিতাদের জেহাদের ময়দানে প্রেরণ, তা সহজে বোধগম্য।
গায়ে একটা বোরখা পরিয়ে জিহাদের ময়দানে পাঠালেই বারবণিতা পর্দানশীন হয়ে যায় না। সিরিয়া, ইরাক, মিশর, যেখানেই আন্দোলন তীব্র হয়েছে সেখানেই যৌন জিহাদ সুর তুলে আন্দোলন কে বিতর্কিত করা হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। ইসলামের অগ্রযাত্রাকে যখন কোনভাবেই রুখা যায় না, তখন বিরোধীরা শেষ অশ্র হিসেবে মুসলমানদের চরিত্রের উপর আঘাত হানে।
হজরত আয়েশা কে নিয়ে মিথ্যা রটনা, পালক পূত্রের বউয়ের সাথে রাসূলের কথিত, মিথ্যা বানোয়াট ভাললাগার কাহিনী, বাংলাদেশে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাইদী সহ ইসলামী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মালয়েশিয়ার আনোয়ার ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগসহ কত ভাবেই না মুসলমানদের কালিমা লেপনের চেষ্টা হয়েছে। অথচ সত্য একদিন তার সমহীমায় উদ্ভাসিত হবেই যেমন করে হজরত ইউসুফ (আ) এর উপর জুলেখার মিথ্যা অভিযোগ, যা পরে নিঃসন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তেমনি করে যৌন জিহাদের অসারতাও একদিন সবার কাছে পরিষ্কার হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, ব্যভিচার ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তা জানা সত্ত্বেও পতিতালয়ে শুধু অন্যান্য ধর্মালম্বীরাই যায় না, মুসলমানরাও যায়। সংখ্যাটা অন্যদের চেয়ে নেহায়েত কম নয়। তেমনি জিহাদের ময়দানে শুধু ইমানী শক্তিতে বলীয়ান ব্যক্তিরাই থাকে না, বরং দুর্বল ইমানদার, দুর্জনেরাও থাকে। তাদের মাধ্যমে ময়দানে যৌনতা ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব নয়। তাই বলে তাকে যৌন জিহাদ বলে অপপ্রচার চালানো নিঃসন্দেহে আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করার কূট কৌশল। এইসব খবর আমরা পাই বিবিসি, সিএনএন, এপি পভৃতি থেকে যা কখনোই মুসলমানদের পক্ষে অথবা বিপক্ষে বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশ করে না।
অতএব, চোখ কান খোলা রাখা একজন মুমিনের জন্য বিরোধীদের দ্বারা ‘যৌন জিহাদ অপপ্রচারে’ বিভ্রান্ত হওয়া কোনভাবেই সমীচীন নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৯৪৪ বার পঠিত, ৫৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যেভাবে ইসলাম ফোবিয়া সৃষ্টি হয়েছে সেই সময়ে মানুষ হত্যা অপহরন করে মুক্তিপন আদায় করে "খিলাফত প্রতিষ্ট" যুদ্ধের কোন প্রয়োজন ছিল?
এই অংশে আপনি বর্তমান শব্দ ব্যবহার করেছেন আবার সেই শব্দটিও ব্যবহার করেছেন, এখানে সেই বলতে কখনকার কথা বলছেন আপনি বুজতে পারছি না।
আর যদি আই এসের কথা বলেন, তাহলে আগে ক্লিয়ার হতে হবে এর স্রষ্টা কারা? এখনো পর্যন্ত আই এসের বিষয়টি ধোয়াশাপূর্ণ। এটা কি সত্যকার অর্থেই খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছে নাকি ইসলামের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির জন্য তৃতীয় কেউ নামিয়েছে, তা নিয়ে হাজারো বিতর্ক রয়েছে।
আর হা, আপনি হঠাত কোথা থেকে উদয় হলেন? অনেক যুগ হল আপনার কমেন্ট পাইনা!
সুতরাং বেশি বেশি সমালোচনায় লাভের লাভ কিছু হবে না, বরং অন্যান্য ধর্মের লোকেরা ঝগড়া বাধিয়ে দূর থেকে হাসাহাসি করে, আর বলে দেখ, নিজেরা নিজেরাই কেমন কোস্তাকুস্তি করছে, আমাদের মাঠে নামার দরকার কি। নিজেরা নিজেরা লড়াই করেই আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করবে।
প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু স্রদ্ধেয় ভাইয়া। ইসলাম নিয়ে অনাচার সৃষ্টিকারীদের এটি একটি অপকৌশল ও অপপ্রচার। যুদ্ধের ময়দানে ইসলাম বহির্ভূতভাবে নারী সম্ভোগকারীরা যৌন জ্বিহাদ বলে যে প্রপাকাণ্ডা চালাচ্ছে তার আসল উদ্দেশ্য হল প্রকৃত ইসলামকে কালিমালিপ্ত করা বৈ আর কিছুই নয়। সুন্দর লিখাটির জন্য বারাকাল্লাহু ফিক।
হয়ত লিখাটি সুন্দর, আরো বেশি সুন্দর হয়ে উঠে যখন আপনাদের মুখ থেকে সুন্দর শব্দটি বের হয়। কম সুন্দর হোক অথবা বেশি সুন্দর, এইভাবেই সব সময় পাশে থেকে প্রেরণা দেবেন, সাহস দেবেন, তাতে কাঁপা কাঁপা হাত সচল হবে, লিখবে অবিরত।
আর হা, সালামের উত্তর মুখে নিয়ে নেই সব সময়, তাই লিখে উত্তর জানাই না বলে মন খারাপ করে রাখবেন না।
আমেরিকান সেনা বাহিনীতে নারী সৈন্যদের হেনস্তা ও সমকামিতার কথা প্রায়ঃশই খবরে আসে ।
এই জন্য জিহাদীদের নিয়ে এমন কিছু রটনা করলে, প্রপাগান্ডা চালালে চারদিকে ছি ছি রব পড়ে যায় কেননা ইসলাম বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে হারাম করেছে, তা যেকোন পরিস্থিতি হোক না কেন, এমন কি যুদ্ধের ময়দানেও নয়।
এই জন্যো কাফির মুশরিকরা যোদ্ধাদের ব্যাপারে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য এইসব জিগির তুলে থাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আর মানুষ কে জাগাতে গিয়ে নিজে ঘুমাতে পারেন তো?
প্লিজ চেক করে নিন।
পনির কমেন্ট সবার শেষে থাকবে এটা অন্তত মানা যায় না। দেরি করে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে কারণ দর্শাতে হবে।
বলেন, কোন জিনিস আপনাকে আমার প্রতি বিমুখ করে রেখেছে?
হলে, তার হৃদ্ধয় বলে দিবে।
আফরার এই মন্তব্যে 'আমর পরিচিত একটা মেয়ে গিয়েছে সিরিয়া সে টো গিয়েছে তার স্বামীর কাছে ।তার স্বামী আগেই ওখানে গিয়েছে তাই ।' আমিতো কিছু বেঠিক দেখছি না!
হলে, তার হৃদ্ধয় বলে দিবে। এখানে আমার ব্যাখ্যা করা হয়নি। এবার শুনুন। ঘটনা কি?
নিউ মেক্সিকোতে আমেরিকার ওয়াচ সেন্টার রয়েছে। যার computer screen এতোটা বিশালা ,যে কোন ইমেইল ,ব্লগারের অবস্থান,IP address, coordinates ওদের screen ভেসে উঠে। অন্য দেশের সরকারের ল এবং এনফোর্সম্যানকে সাথে সাথ জানাতে পারে। তাই লেখা রয়ে সয়ে বলা উচিৎ। এটাই আমার বলার অভিপ্রায় ছিল।
স্বপন২ লিখেছেন : @আফরা আপু, এটা এভাবে বলা ঠিক না। আপনি জানেন এবং চিনেন। সঠিক ইসলাম
হলে, তার হৃদ্ধয় বলে দিবে। এখানে আমার ব্যাখ্যা করা হয়নি। এবার শুনুন। ঘটনা কি?
নিউ মেক্সিকোতে আমেরিকার ওয়াচ সেন্টার রয়েছে। যার computer screen এতোটা বিশালা ,যে কোন ইমেইল ,ব্লগারের অবস্থান,IP address, coordinates ওদের screen ভেসে উঠে। অন্য দেশের সরকারের ল এবং এনফোর্সম্যানকে সাথে সাথ জানাতে পারে। তাই লেখা রয়ে সয়ে বলা উচিৎ। এটাই আমার বলার অভিপ্রায় ছিল।
আমাদের বা অন্যদের এক্তা প্রবণতা হয়ে গেছে যে, আমরা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির কর্মকান্ড দিয়ে ইসলাম কে মূল্যায়ন করি, অথচ আমাদের মূলনীতি অর্থাৎ কোরআনে কি বলা আছে তা দেখি না। অথচ খারাপ হতেই আপ্রে মানবিক দোষ ত্রুটির কারণে।
আমার লিখায় আপনি সম্ভবত এই প্রথম কমেন্ট করেছেন, আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
পাশে থেকে প্রেরণা যোগাবেন এই কামনা করছি।
আমরা যেখানেই যা ঘটুক না কেন, শুধুমাত্র কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী বিচার করব। তথাকথিত মিডিয়া দিয়ে নয়
যথার্থই বলেছেন।
হলে, তার হৃদ্ধয় বলে দিবে। এখানে আমার ব্যাখ্যা করা হয়নি। এবার শুনুন। ঘটনা কি?
নিউ মেক্সিকোতে আমেরিকার ওয়াচ সেন্টার রয়েছে। যার computer screen এতোটা বিশালা ,যে কোন ইমেইল ,ব্লগারের অবস্থান,IP address, coordinates ওদের screen ভেসে উঠে। অন্য দেশের সরকারের ল এবং এনফোর্সম্যানকে সাথে সাথ জানাতে পারে। তাই লেখা রয়ে সয়ে বলা উচিৎ। এটাই আমার বলার অভিপ্রায় ছিল।
জাযাকাল্লাহ খাইরান।
যথার্থই বলেছেন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন