নীড়ের অপ্রতিরোধ্য টানে ক’টা দিন নীড়ের সাথে

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৪ মার্চ, ২০১৫, ০১:৪০:৫৯ রাত





আইরিন, তার বয়স প্রায় ১২। । আমার ভাগ্নী। ঘরে পা রেখেই তার প্রিয়দর্শনে আনন্দে বুকটা ভরে উঠে। কি সুন্দর করে মাথায় হিজাব, গায়ে ঢিলে ঢালা জামা, বুকে বড় উড়না পরে আমার সামনে এসেছে। মাথায় হাত রেখে প্রাণভরে দোয়া করে দেই। ভাললাগার আরো কারণ, নামাজের সময় হওয়া মাত্রই ওজু করে ঝটপট আওয়াল অয়াক্তেই ছোট্ট দেহটা আল্লাহর সামনে রুকু সেজদায় নত অবনত হয়। সত্যি এই দৃশ্য দেখা, চাওয়ার চাইতে যেন অনেক বেশি পাওয়া। ফজরের সময় যখন অজগরের ন্যায় গড়িমসি করতে করতে নামাজে যাই তখন ভাগিনীর ডাকাডাকিতে ঘোড়ার মত না দৌড়িয়ে উপায় নেই। হোক না, ছোট বোনের পরে তাকে দিয়েই শুরু নিকত্মায়ীদের মাঝে পর্দার ব্যাপক অনুশীলন।

খাওয়ার সময় বুক টা হা হা করে। সব কিছু একটু একটু করে আমার জন্য ফ্রীজে রেখে দিতেই হবে। যদিও বিলম্ব করে বাড়ি যাওয়াতে কখনো পঁচে যায় তবুও। মা আর ছোট বোন মিলে বানিয়ে রাখা পাঁচ সাত রকমের আমের আচার, মুরুব্বা, বড়ই এর আচার খেতে খেতে আমার দাঁত টক টক। তার উপর মায়ের রেখে দেওয়া আপেল, আঙ্গুর, কলা, মাল্টা, বাঙ্গী, তরমুজ ইত্যাদি খেয়েই পেট বালিশ করে হাঁপাতে হাঁপাতে ঢাকায় ফিরলাম। পাঁচ বোন আর দুভাই মিলে আমাদের বাড়ি যেন মিলন মেলা। ভাগিনা ভাগিনীদের দল কিচির মিচির শব্দে বাড়ি মাতিয়ে তুলে।(বোন পাঁচজন, সবার বিয়ে হওয়াতে মাশাআল্লাহ ভাগিনা ভাগিনী ১০জন)। এমন আনন্দ ঘন পরিবেশে থাকার সুযোগ পাই মাত্র তিন দিন। "আমি ফোন করতে না পারলেও প্রতিদিন একবার করে ফোনে মা বলে ডাক দিবা, তোমারে নিয়ে টেনশনের শেষ নেই। এখন আর ভাল মন্দ দেখে না, যারে পায় তারেই ধরে নিয়ে যায়। তোমার গলার আওয়াজ শোনতে পেলে মায়ের কলিজা শান্ত হয়"।–অসুস্থ মা। আলহামদুলিল্লাহ্‌ মায়ের অস্থির মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি দান করতে পেরেছি। কিন্তু আসার পর আবারো মায়ের টেনশন মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে।

কেন?

বাবা মা বিনিদ্রা রাত্রি যাপন করবে? মধ্যরাতে গভীর ঘুমে আছন্ন ছোট বোনটি দুঃস্বপ্নে ভাইকে গ্রেপ্তার হতে দেখে ঘুম ভেঙ্গে থর থর করে কাঁপবে? কেন ফোন রিসিভ করেই তার উৎকণ্ঠিত কন্ঠ শোনতে হবে? কেন নিকট্মায়ীয়রা আমাদের সম্ভাব্য পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হওয়া, এনকাওন্টারে মারা যাওয়া কিংবা কারো হত্যায় বলীর পাঠা হওয়া নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকবে? সত্যি, আমি হাজার কষ্ট নিপীড়ন সহ্য করতে পারি, কিন্তু প্রিয়জনের ভীত বিহ্বল মুখগুলোর দিকে তাকালে খুব দূর্বল হয়ে পড়ি। বাধ দিয়ে চেপে রাখা অশান্ত মন আরো বেশি অশান্ত হয়ে পড়ে। চাওয়াতো বেশি নয়, একটু নিরাপদে থাকা, নিজে নাইবা থাকলাম নিরাপদ, পরিবার পরিজন কে একটু নিরাপদ রাখা। এই চাওয়াটুকু কি খুব বেশি?



আগে কখনো বিচ্ছু বাহিনীর সাথে এতো দুষ্টমি, আনন্দ ভাগাভাগি এবং অন্তরঙ্গভাবে মেশা হয়ে উঠেনি। মীম(৪), কেমন খিলখিলিয়ে হাসে, হাসির আওয়াজে হৃদয়ে ঝংকার তুলে, যদি বলি, “মীম, তুমি এতো সুন্দর করে হাস কেমনে”, শুনে হাসির মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

৮মাসের আরাফাত, দুষ্ট মিষ্টিতে ভরে আছে মুখ খানি, আমার মুহুর্মুহু হাজারো চুম্বনের সাক্ষী হয়ে থাকবে তার তুল তুলে নরম গাল দুটি। কোলের পরে চুপ করে বুকের সাথে মাথা ঠেকিয়ে যেন ভদ্দর বাবুটি। কিছুক্ষণ পরেই আচমকা হাত পা ছুঁড়ে পুরা শরীর দুলিয়ে মুখে দুর্বোধ্য কিসব শব্দ করে রীতিমত ঝড় তুলে।

সিয়াম(৪), সামনের দাঁত দুটি ফাঁকা, দাঁতের ফাক গলে তাজমহল দেখতে পাওয়া যায়। তাই টাকা খরচ করে আগ্রায় যাবার কি দরকার, তাকে দেখলেই তাজমহল দেখার স্বাদ মিটে যাবে। কথা বলার আগেই হাতের ব্যবহার, চলে তুফানের মত। চাওয়া মাত্রই পাওয়া চাই, নয়ত এটা ওটা ভেঙ্গে সব ধ্বংস্তুপে পনিণত করা সময়ের ব্যপার।

হৃদয়(৪), নাম জিজ্ঞেস করলেই সোজাসাপ্টা উত্তর “আব্দুর রহমান বাংলা ভাই”। আমার ছোটবেলার স্বভাব পেয়েছে, না, আমার থেকে অনেক বেশি। মুখ দিয়ে কাঁচা কাঁচা গালি, থামাতে গেলেই বিপদ, গালির মাত্রা বেড়ে যায়, না থামালে নিজেই থেমে যায়। তার কারণে আমার বোনের মান সম্মানে মাঝে মাঝে ব্যপক টান পড়ে। নয়া বিপত্তি, আমার সাথে দস্তাদস্তিতে পেরে না উঠলে থুতু দিয়ে তবেই জয় চিনিয়ে নেয়।

ফাতেমা(৬), সারাক্ষণ সাজগুজু নিয়েই ব্যস্ত। আমি নাম দিয়েছি ঢংগী। বড়রা যখন কথা বলবে, মাঝখানে কথা বলে মুরুব্বীপনা না করলে তার চলেনা।

রিয়া(৬), মাটির মানুষ, মাটির সাথেই চলাচল। মামার সাথে কুলুখ চুলুখ খেলাবে আর হিহিহি হেসেই যাবে। খুব ছোটবেলায় হাতে পায়ে শ্বেত হওয়াতে তাকে নিয়ে সবার টেনশনের শেষ নেই। শ্বেতের দিকে তাকালে খুব মায়া লাগে।

যুথী(৪), আগে বেশ সরব হলেও এখন অনেকটাই নির্জীব। অনেক কষ্ট করে আগে চুমু দিতে না পারলেও এখন দিতে পারি। খুব একটা বাধা দেয় না। সে খুব খুশি, আমাকে বলে, “কাক্কা, আমাকে আব্বু স্কুলে ভর্তি করাইছে গো, জানেন নি? আমি স্কুলে যাইগো”।

বাড়িতে আসলেই বিচ্ছুদের দল ঘিরে ধরবে ল্যাপ্টপ এনেছি কি না, যদি আনি তাহলে কি কি এনেছি। বেশ কবছর বছর ধরে টম & জেরি, টিনটিন, আইচ এইজ, মীনা রাজু, ঠাকুরমার ঝুলি, আলী বাবা চল্লিশ চোর সহ নানা কার্টুন দেখিয়ে বিনোদন দিয়েছি। এখন আর সেসব ল্যাপ্টপে রাখি না তাই তারা খুব হতাশ। ইসলামী কার্টুন বা শিক্ষণীয় যতসামান্য যা আছে তাই ওদের সামনে পরিবেশন করি। প্রথম প্রথম দেখতে না চাইলেও এখন দেখে এবং ভালই বোধ করে। মাঝে মাঝে বলে, মামা, এইগুলো ভাল লাগে না। অন্য কার্টুন দেখান। তখন বলি, “তোমরা কি ভাল মানুষ হয়ে বাবা-মা, তারপর ওই আকাশের মালিক আল্লাহর কাছে ভালবাসা পেতে চাওনা? বলে হা চাই। “ তাহলে এই গুলো দেখ, এখান থেকে শিখতে পারবে কেমন করে ভাল মানুষ হওয়া যায়। আব্বু আম্মুর প্রতি সম্মান দেখানো, বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ করা, ভাল পথে চলতে খারাপ বন্ধুদের ত্যাগ করা আর ভাল বন্ধুত্ব তৈরি করা”। বাস নীরবে আগ্রহভরে দেখে।

কচি বয়সে বাচ্চারা যা দেখে শুনে তাই মনে গেঁথে যায়। ছোট বেলা থেকে গেঁথে যাওয়া বদ্ধমূল ধ্যান ধারণা দূর করতে যাওয়া ভূত তাড়ানোর মতই। তাই বাচ্ছাদের স্কুল, মাদরাসায়া ভর্তি করিয়ে নির্বার হয়ে বসে থাকা নয়। তাদের সুস্থ, পরিশীলিত বিনোদনের ব্যবস্থা করা খুব জরুরী। কোন বিনোদন বন্ধ করাই একমাত্র সমাধান নয় যখন একটা বন্ধ করলে হাজারটা গজিয়ে উঠার সম্ভাবনা শতভাগ। সমাধান বিকল্প কিছু করাতেই। এক হুজুর বলেন, “সুস্বাদু ফল মূল, খাবারে সজ্জিত পেয়ালাতে যদি সামান্য গরুর পেশাব থাকে, তাহলে তা কি খাওয়া সম্ভব? তেমনি নামাজ রোজা, ইমান আখলাকে পরিপূর্ণ একজন মানুষের জন্য ঘরে টিভি থাকা গরুর পেশাব পড়ার মতই...”।

আপনি একজন টিভি নাইবা দেখলেন, নাইবা দেখালেন আপনার বাচ্চাদের বিভিন্ন কার্টুন, নাইবা দেখতে দিলেন বউ জীদের সিরিয়াল দেখতে, তাতে আপনার ঘর সমাধা হল, সমস্যা জর্জরিত সমাজের সমাধান করবে কে? আপনি পারবেন কি ঠেকিয়ে রাখতে অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে বানের তোরের মত সবার ভেসে যাওয়া? মানুষ বিনোদন প্রত্যাশী। শত বাধা ঠেলে যাবেই বিনোদনের সন্ধানে। আপনি বিকল্প কিছু দিন, মানুষ তা খাবে, হোক না পরিমানে অল্প, ইনশাল্লাহ অল্প অল্প করেই একদিন তা বিশালতায় রুপ নেবে।

আল্লাহ সহায় হোন।

বিষয়: বিবিধ

১৮৭২ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

308761
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৩:১৮
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ওায়ারহমাতুল্লাহ!

অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়ার সুযোগ হলো! নীড়ে ফিরে আপনজনদের নিয়ে কাটনো স্মৃতিমধুর সময়গুলোর বিবরন আমাদের মনেও অবারিত আনন্দের ডাক দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!

পরিবারের সবাই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে থেকে বড় হোক, ইসলামী আদর্শে অনুপ্রানীত হোক এই দোআ এবং শুভকামনা রইলো! Good Luck Angel Praying
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৬:০৬
249785
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ওায়ারহমাতুল্লাহ!
সবসময় পড়া সম্ভব হয়ে উঠবে না স্বাভাবিক, মনে রাখাটা জরুরী। তাই রেখেছেন জেনে খুশি হলাম।
নীড়ে ফিরে আপনজনদের নিয়ে কাটনো স্মৃতিমধুর সময়গুলোর বিবরন আমাদের মনেও অবারিত আনন্দের ডাক দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!
তবে যে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস স্বার্থক।

আপনার দোয়া কবুল হোক এবং শুভকামনা আপনার প্রতিও।
308775
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৭:৫০
শেখের পোলা লিখেছেন : বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে অনেকের বর্ণার সথে উপদেশ ভাল লাগল৷
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৫৫
249788
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জেনে খুশি হলাম শেখ ভাই।
308788
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:০৯
হতভাগা লিখেছেন :
পাঁচ বোন আর দুভাই মিলে আমাদের বাড়ি যেন মিলন মেলা। ভাগিনা ভাগিনীদের দল কিচির মিচির শব্দে বাড়ি মাতিয়ে তুলে।(বোন পাঁচজন, সবার বিয়ে হওয়াতে মাশাআল্লাহ ভাগিনা ভাগিনী ১০জন)।


০ আপনার বোন জামাইরা কি সবাই প্রবাসী ?
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:২৬
249794
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : না, হতভাগা ভাই সবাই দেশেই থাকেন। বাহিরে থাকার মত সামর্থ....

এতদূর স্বপ্ন দেখা আমাদের জন্য বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাঁত বাড়ানোর শামিল।
308792
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:২৮
মেঘে ঢাকা আকাশ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,আজ প্রথম আপনার লেখা পড়লাম।হয়তো আমি ব্লগে নতুন তাই।কিন্তু অনেক ভাল লেগেছে ভাইয়া
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:৫০
249795
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম।
জেনে খুব খুশি হলাম।
আমার লিখায় আপনাকে অভিনন্দন। আপনাদের ভাললাগায় আমার লিখা স্বার্থকতা খুঁজে পায়।

লিখতে থাকুন, সঙ্গেই আছি ইনশাল্লাহ সঙ্গেই পাবেন।
308799
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
জোনাকি লিখেছেন : emnitei to picchider vallage tar upor pobitrta shara lekhata te cheye ache.
shob milie khub shundor ek movie dekhlam jeno. Mashallah,lekhoni valo.
May Allah protect all of you brother.

chbi o khub vallaglo.
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
249798
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ্‌।
আমার লিখায় আপনি সম্ভবত আজি প্রথম কমেন্ট করেছেন। ভাললাগায় ভরা কমেন্টটি পড়ে সত্যি দারুণ বোধ করছি।

আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যটি আমার লিখার হাত কে গতিশীল করতে অনেক বেশি সহায়তা করবে নিঃসন্দেহে।

আপনাদের কেও আল্লাহ সদা সর্বদা নিরাপদে শান্তিতে রাখুন।
308830
১৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ
১৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:০৬
249824
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাদের ভাললাগা আমার কাছে অনেক মূল্যবান। আপনার এতো ধন্যবাদ পেয়ে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত!

আপ্নাকেও অসংখ্য ধন্যোবাদ ভাই রিদোয়ান কবির সবুজ।
308878
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৬
আফরা লিখেছেন : পাঁচ বোন ভাইগনা ভাগনি ১০ টা । অনেক বাচ্ছা একসাথে দেখতে আমার খুব ভাল লাগে ।অনেক মজা করছেন ভাইয়া । আসলে পরিবারের সবার সাথে এক সাথে থাকে অনেক আনন্দের ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:০৫
249840
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : চলে আসুন, গরীবের বাড়িতে হাতীর পা! আমার মা বোনেরা অনেক সুন্দর ফুল ফল নানা কারুকাজ করে পিঠা বানাতে পারে, খেয়ে আমাদের ধন্য করবেন।

আর বাচ্ছাদের সান্নিধ্য নিশ্চয় আপনাকে বাড়তি আনন্দ দিবে।

অনেক ধন্যবাদ স্বানন্দে গ্রহণ করলাম।
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:২২
249843
আফরা লিখেছেন : আপনাদের বাড়ি কোথায় ভাইয়া ? আসলে আমার তেমন দেশেই যাওয়া হয় না । ১৫ বছরে একবার গিয়েছি ।আগামি ডিসেম্বরে আসব । ইনশা আল্লাহ ।ঢাকার বাহিরে আমি কোথাও যাইনি এবার ইচ্ছা আছে একটু বেড়াব ।আপনার দাওয়াত মনে থাকবে যদি সময় সুযোগ হয় চেষ্টা করব ।

ভাইয়া আমাকে হাতী বল্লেন কেন ?
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:২৯
249844
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কুমিল্লা।
মনে থাকতেই হবে।
হাতী সবচাইতে বড় প্রাণী, তাই আপনার সম্মানার্থে হাতীর নামটাই আগে চলে আসল। অবশ্য পিঁপড়া, তেলাপোকার কথা বললে কি আপনি খুশি হতেন? যদি হন তাহলে বলার চেষ্টা করব। কি বলব?
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৫
249846
আফরা লিখেছেন : সাকা ভাইয়া আপনাদের এলাকার নাম কু-- মিল্লা হল কেন ? সু - - মিল্লা নয় কেন ? ।

সাকা ভাইয়া আমি অতি নগন্য একজন পাপী- তাপী মানুষ এত বড় সন্মানের যোগ্য আমি নই ।
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৫০
249853
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বাংলা অর্থ ভাল, কল্যাণ। ইংরেজিতে কো অর্থ যৌথভাবে, মিলিত প্রচেষ্টায় কিছু করা। আমরা সবকিছু মিলেমিশে করি বলেই হয়ত কুমিল্লা নাম রাখা হয়েছে।

পনি! পাপ বিহীন কোন মানুষ হয় না, আল্লাহর নবী আর শিশুরা ছাড়া। পাপে তাপে একজন মানুষ খাঁটি মানুষে পরিণত হয়। অতএব নিজেকে যারা পাপী মনে করে তারাই পকৃত পুণ্যের অধিকারী।
308915
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৪০
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু স্রদ্ধেয় ভাইয়া। আপনার সুখ ও শান্তিতে ভরা নীড়ের বর্ণনাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে গেল। সবার বয়স এবং চরিত্রের বর্ণনা সেইসাথে হাস্যজ্জ্বল ছবি মুদ্ধ করার মত। অসাধারান অভিব্যক্তি ও অনুভূতিমাখা কথাগুলো পড়ে দূর অতীতে পাড়ি দিয়েছিলাম। আসলেই নাড়ীর টান, নীড়ের টান, সত্যিকার নিখাদ স্নেহ ভালোবাসাপূর্ণ আপনজনের সান্নিধ্যের অনাবিল আনন্দের সাথে কোন কিছুর তুলনা হয়না।
আপনার জন্য নিরন্তর দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
Rose Rose Rose Rose Rose
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৩৯
249912
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু স্রদ্ধেয় বোন।

আপনার মন্তব্যগুলো সব সময় বাড়তি প্রেরণা দেয় তা নতুন করে বলার দরকার হয় না। আপনার ভাললেগেছে জেনে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি।

আপনার জন্যও রইল শ্রদ্ধা, দোয়া এবং শুভকামনা।
308994
১৫ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৪১
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম! পরিবারের সব জেনে ফেললাম। অনেক আবেগ দিয়ে সবকিছু লিখেছেন। আমি পারিবারিক আবেগ, মায়া,মমতা এসব থেকে একটু দূরত্ব বজায় রেখে চলি কিন্তু কেন জানি আমিও আপনার ভাগ্না-ভাগ্নিগুলোর মায়ায় পরে গেলাম। ওদের জন্য অনেক অনেক দোয়া আর ভালবাসা।
১৫ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:৪০
250032
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পরিবারের সাথে আবেগ অবশ্যই থাকা চাই। শিকর কে ভুলে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। শত ব্যস্ততার মাঝে একটা নির্দিষ্ট সময় তাদের জন্য রাখা চাই এবং উচিতও বটে।

অলক্ষে থেকে আমার ভাগ্নী ভাগিনীরা আপনাকে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করে নিতে পেরেছেন, তাতে আমি সত্যি আনন্দিত। দুইজন নয় তারা অন্তত এখন তিনজন মামা পেল।

আমি জেগে আছি, কষ্ট করে ঘুম ভাংতে যাবেন কেন?

আল্লাহ আপনার দোয়া তাদের নিকট পৌছে দিক।

১০
309250
১৬ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : মাসাল্লাহ! আপনার লেখায় বর্তমান বাস্তব চিএ ফুটে উঠেছে , আর পিচ্ছিদের কথা গুলো অসাধারণ , আমি প্রবাসে প্রায় ১০ ছুঁইছুঁই আপনার মত আমার ভাগ্নি-ভাগিনাদের আদর না করতে পারায় নিজে নিজেই খুবি ব্যথিত হই । ভাগ্নি গুলোর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ,এখন আম্মা বলে ডাকলে কাছে আসেনা শরম পায় । আল্লাহ আপনারদের পরিবারের সবাইকে ইসলামের বিধিবিধান মেনে ইহকালে পরকালে শান্তিতে রাখুন ।আমীন
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
250206
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার জন্য সমবেদনা। সুযোগ পেলেই দেশে এসে তাদের আচ্ছামত সংগ দেবেন। ওরা শরম পাবেই, আপনি পরিবেশ হালকা করে নেবেন আপনার সরল শিশুসুলভ দুষ্টমিপনা দিয়ে, দেখবেন তাহলে লজ্জায় পালিয়ে বেড়াবে না।

আপনাকে আগে কখনো আমার লিখায় কমেন্ট করতে দেখেনি, ভাল জানিও না আপনাকে, তবে কাল লিখা পড়ে বেশ ভাল লেগেছে, বুঝেছি আপনি একজন গুণধর, জাত ব্লগার। আপনাদের মত ব্লগারদের কমেন্ট পেলে মনে খুব উৎসাহ প্রেরণা জাগে।

তবে একটা মনোবেদনাও আছে আমার। আমি গত ১০ মাসে দেখেছি, ভাল মানের লেখকেরা এই ব্লগে খুব কমি কদর পায়, তাদের লিখায় যে পরিমাণ শিক্ষণীয় বিষয়, পাঠক না পড়ার কারণে তাদের শ্রম পন্ডশ্রমে পরিণত হয়, শুধু তাই নয় ব্লগারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সারা না পাবার কারণে তারা ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েন।

এই ব্লগের অদ্ভুত ব্যাপার হল, এখানে আবেগী লিখাগুলো খুব কদর পায়, জানার আগ্রহ খুব ব্লগারের মধ্যে দেখা যায়। মাঝে মাঝে কিসব লিখা স্টীকি পোস্ট করে, যা এমনিতে পড়ার যোগ্যতা রাখে না, কিন্তু কোন অজানা কারণে সেগুলো আবার স্টীকি পোস্ট বা নির্বাচিত পোস্ট হয়ে যায়।

তাহলে আপনি বলেন, ভাল মানের ব্লগাররা কেন এখানে সময় ব্যয় করবেন?
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
250210
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : সত্যিই ধরেছেন বিড়ি ব্লগকে খুব ভালবাসি তবে ব্যস্ততার কারণে নিয়মিতই অনুপস্থিত হয়ত এর জন্যই আপনার ব্লগে কখনো মন্তব্য করা হয়নি । আপনি আমাকে জাত ব্লগার বলেছেন শুনে দেখে একবার হেসেছি আবার ভেবেছিও আপনাদের মাঝে সব সময় থাকতে পেলে আপনারদের বিশ্লেষণ মূলক লেখা গুলো পড়ে সবার সহযোগিতায় ভাল ব্লগার কঠিন কিছু নয় । ভাল ব্লগারের অভাব বিড়ি ব্লগে আছে তবে ভাল ব্লগার শূন্য এখনো হয়নি । মড়ুমামা / মামীরা যদি আরো একটু উদ্দগী হতেন তবে গুণী ব্লগাররা আবারো ফিরে আসতেন । স্টীকি পোস্ট এই বিষয়ে সুন্দর বলেছেন , এছাড়াও ব্লগকে অনেকেই ফেসবুক মনে করে দুই লাইন লেখা হলেও প্রথম পাতায় ঝুলতে থাকে , এতে করে যারা অনেক পরিশ্রম করে লেখা পোষ্ট করেন তাঁদের লেখা গুলো পাঠক লেখকের আড়ালেই রয়ে যায় । ব্লগে আপনাকে নিয়মিত পাবো এই প্রত্যাশায় রইলাম । দয়াকরে নিচের মন্তব্যটি মুছে দিন । অনেক ধন্যবাদ
১১
309258
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : সত্যিই ধরেছেন বিড়ি ব্লগকে খুব ভালবাসি তবে ব্যস্ততার কারণে নিয়মিতই অনুপস্থিত হয়ত আমার ব্লগে বা আপনার ব্লগে কখনো মন্তব্য করা হয়নি । আপনি আমাকে জাত ব্লগার বলেছেন শুনে দেখে একবার হেসেছি আবার ভেবেছিও আপনার মাঝে সব সময় থাকতে পেলে আপনারদের বিশ্লেষণ মূলক লেখা গুলো পড়ে সবার সহযোগিতায় ভাল ব্লগার কঠিন কিছু নয় । ভাল ব্লগারের অভাব বিড়ি ব্লগে আছে তবে ভাল ব্লগার শূন্য এখনো হয়নি । মড়ুমামা / মামীরা যদি আরো একটু উদ্দগী হতেন তবে গুণী ব্লগাররা আবারো ফিরে আসতেন । স্টীকি পোস্ট এই বিষয়ে সুন্দর বলেছেন , এছাড়াও ব্লগকে অনেকেই ফেসবুক মনে করে দুই লাইন লেখা হলেও প্রথম পাতায় ঝুলতে থাকে , এতে করে যারা অনেক পরিশ্রম করে লেখা পোষ্ট করেন তাঁদের লেখা গুলো পাঠক লেখকের আড়ালেই রয়ে যায় । ব্লগে আপনাকে নিয়মিত পাবো এই প্রত্যাশায় রইলাম । অনেক ধন্যবাদ
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
250211
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমি এই প্রথম কোন ব্লগারের সাথে মনের কোণে জমে থাকা অব্যক্ত কিছু কথা শেয়ার করলাম এবং বেশ শেয়ার করে বেশ হালকা বোধ করছি।

মড়ারেটররা পক্ষপাত দোষে দুষ্ট এই কথা বলার অবকাশ রাখে না।

ইনশাআল্লাহ। আমি আছি, ছিলাম এবং থাকব।

দেখুন না আজ প্রথম কথা আপনার সাথে আর আজি কিনা হর হর করে সব বলে দিলাম। আমারও প্রত্যাশা আপনি আমাকে সহ ব্লগের সবাই কে নিয়মিত না পারেন, মাঝে মাঝে সংগ দিয়ে যাবেন।
১২
310174
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৫২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : পিচ্চিদের ঘটনার বর্ণনা পড়ে নিজেকে স্বার্থপর মনে হচ্ছে!!
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:০৬
251170
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ও আল্লাহ! ভাইটা কয় কি! কেন স্বার্থপর মনে হবে? স্বার্থনিজ মনে করে নিন, তাহলে সব দুঃখ ঘুছে যাবে।

অনেক ভাল লাগল, আপনি বাড়িতে। কি দিয়ে মেহমানদারী করি। আপনি মনে হয়য় খাওয়া দাওয়া করেই এসেছেন, তাহলে চা নাস্তা না দিলেও মনে হয়য় চলে, কি বলেন?

২১ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:১৫
251181
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : বাচ্চাদের সাথে খেলতে আমার ভিষণ ভালো লাগে.... প্রবাসে থাকার কারনে বাচ্চাদের খুবই মিস করছি!

মেহমানদারীর খুব দরকার! যে মেহমাদারী দরকার তা দিয়ে যাচ্ছেন আপনি! ব্লগে আপনার উপস্থিতি চা নাস্তা ভাত তরকারির চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:৫১
251213
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : তাহলে আর কি করবেন, সবর করা ছাড়া কণ উপায় নেই। আমি ভেবে ছিলাম আপনারা দুজন এক সাথেই থাকেন, আর সাথে টেমা টুমার দলও থাকে। অবশ্য মিস করতে পারাটাও এক ধরণের সন্তুষ্টির বিষয়, দূরে আছেন বলেইতো বেশি মনে পড়ছে, কাছে থাকলে হয়ত ততটা টান থাকত না।

আপনার শেষের কথাগুলো আমার হৃদয় ছুয়ে গেলো। ব্লগে এতো ভাললাগা থাকে, দুদিন আগেও যা আমার কাছে অজানাই ছিল। আমাদের এই আনন্দ ভাললাগা ভালথাকা, দুষ্টমিপনা মনে করিয়ে দেয় চিঠির যুগের কথা, তখন চিঠি পেয়ে একই জিনিস বারবার পড়তাম, বারবার চুমু খেতাম চিঠিতে, কি যে ভাল লাগত, কি নির্মল আনন্দ সুখানুভূতি ছিল। আমার কাছে ব্লগটাকেও তেমনি মনে হয়য়। আপনি করেন কি না জানিনা, আমি মাঝে মাঝে আমার লিখাতে কমেন্টগুলো পড়ি, প্রিয়জন দের পড়ে শোনাই, সত্যি আমাদের কমেন্ট প্রতি কমেন্ট সারাজীবন ভাল লাগার কারণ হয়ে থাকবে। আমরা কাউকে দেখি না, ওভার ফোনে কারো সাথে কথা হয় না, তবু চিঠির মত কেমন্ন অবিচ্ছেদ্য টান, যা ছিন্ন করা যায় না!

প্লিজ ভালবাসা অব্যাহত রাখবেন।
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:৪৮
251243
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : কর্মজীবন বলে কথা সব সময়একই ভাবে ব্লগে সময় দিতে পারিনা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File