মুক্তমনা, পূর্বশর্ত ইসলাম কে অবমাননাঃ প্রসংগ অভিজিৎ হত্যা
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০১ মার্চ, ২০১৫, ০৯:১১:১৯ রাত
এ কেমন মুক্তমনারে ভাই! ওদের মুক্ত মন শুধু ইসলাম ধর্মের নবী, কৃষ্টি কালচারের উপর মুহুর্মুহু আঘাত হানাতেই ব্যতিব্যস্ত! বড়ই অদ্ভূত! ইসলামের একজন দায়ী ইলাল্লাহ, ডাক্তার জাকির নায়েক কে নিয়ে মুক্তমনাদের কি নির্মম কৌতুক-
জুকার্নায়েকের (জাকির নায়েক)বড় আশা ছিল তিনি মৃত্যুর পর বেহেস্ত-বাসী হইবেন। তা আশা করবেনই বা না কেন? এতদিন ধরে আল্লাহর পথে জিহাদ করছিলেন, নানা ভাবে বিবর্তনের বিরুদ্ধে গীবত গাইছেন, বিভিন্ন লেকচারে আল্লা আল্লা আর ইসলাম ইসলাম কইরা ফ্যানা তুইলা ফেলাইলেন, কোরআনের মইধ্যে বিজ্ঞান পাইলেন, পৃথিবীর আকার পাইলেন উটের ডিমের লাহান, উনি বেহেস্তবাসী না হইলে হইবো কে?
কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর ঈশ্বর আরেক। কোন এক অজ্ঞাত কারণে ঈশ্বরের শেষ বিচারে জুকার্নায়েকের বেহেস্তে স্থান হইলো না। স্থান হইলো দোজখে। তবে হাজার হলেও তিনি স্বনামখ্যাত জুকার্নায়েক। ঈশ্বর তাকে ডেকে নিয়ে দয়াপরাবশতঃ বললেন, তোমাকে দোজখের বিভিন্ন প্রকৃতি ঘুরাইয়া দেখানো হবে। তোমার যেটা পছন্দ বেছে নেওয়ার তৌফিক দেয়া হইল, জুকার্নায়েকজী!
মন্দের ভাল, কি আর করা। জুকার্নায়েককে প্রথম একটা ঘরে নিয়ে যাওয়া হইল। সেখানে এক পাপিষ্ঠকে উলঙ্গ করে চাবুক কষা হচ্ছে। আর চাবুকের বাড়ি খেয়ে পাপিষ্ঠ ব্যাটা তারস্বরে চ্যাঁচাচ্ছে। জুকার্নায়েক দেখে বললেন, কতক্ষণ এ ব্যাটাকে চাবুক মারা হবে? উত্তর আসলো এক হাজার বছর। এর পর এক ঘণ্টা বিরতি। তারপর আবার … জুকার্নায়েক শুনে বললেন, নাহ এটা আমার জন্য নয়, চলুন অন্য ঘরে যাই।
দ্বিতীয় ঘরে গিয়ে জুকার্নায়েক দেখলেন, সেখানেও এক ব্যক্তিকে ধরে গরম কড়াইয়ে বসিয়ে পোড়ানো হচ্ছে, আর ব্যথার চোটে উহ আহ করছে। জুকার্নায়েক সে ঘর থেকেও বিদায় নিয়ে বললেন, আরো অপশন কী আছে দেখা যাক।
তৃতীয় ঘরে গিয়ে দেখেন এক লোককে উলঙ্গ করে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে, আর এক সুন্দরী তন্বী হাঁটু গেড়ে বসে ভদ্রলোকের ‘উহা’ মুখে নিয়ে মনিকা লিউনস্কির মতন মুখমেহন করে চলেছেন। কিছুক্ষণ টেরা চোখে অবলোকন করে জুকার্নায়েক ভাবলেন, এটা তো মন্দ নয়। নিজেকে চেনবাধা ভদ্রলোকের জায়গায় কল্পনা করে আমোদিত ভাব নিয়ে ঈশ্বরকে বললেন, এই দোজখই আমার পছন্দের।
ঈশ্বর ঘুরে সুন্দরী তন্বীর দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমার কাজ শেষ। এখন থেকে জুকার্নায়েক পরবর্তী এক হাজার বছর ধরে এই সার্ভিস দেবেন।
সহ্যের তো একটা সীমা থাকে! বারংবার মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে মুক্তমনারা মুসলমানদের সক্ষমতার শেষ দেখতে চায়, এবং শেষ দেখেছেও। হুমায়ুম আজাদের উপর আক্রমণ, অতঃপর মৃত্যু, তসলিমার পরবাসে চরম লাঞ্চনাকর জীবন যাপন, থাবা বাবা ভয়াল থাবায় নিহত, সর্বশেষ ব্লগার অভিজিৎ রায়, নিরাপত্তা বেষ্টনীতেও আশ্চর্জনকভাবে খুন হয়ে যাওয়া! এই শেষ কি মুক্তমনারা দেখতে চাইছেন? না, তারা আরো শেষ দেখতে চান, আরো বিষোদগার করতে চাইবেন ইসলামের, তাতে কিছু লাশ পড়ছে পড়ুক। তবু সবাইকে মুক্তমনা করেই ছাড়বে।
মুক্তমনা, নাস্তিকদের লিখা পড়লে তাজ্জব হতে হয়। ইসলামের বিরুদ্ধে সবাই একাট্টা। আরো তাজ্জব করা বিষয় হল, অন্যান্য ধর্মালম্বী মুক্তমনারা যতটা না ইসলাম বিরোধী কথা বলে, তার থেকে একশ হাত এগিয়ে মুসলমান মুক্তমনারা ইসলাম ধর্মের লক্ষ কোটি দোষ, অনাচার নিয়ে সরব হয় চিন্তা চেতনায়, সভা-সমাবেশ, বক্তৃতা ও লেখনীতে। এবং ধর্মের আগে মানবাধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতার স্লোগান তুলে ইসলাম কর্তিক নিষিদ্ধ কাজগুলোকে হালাল করার অনন্তর প্রচেষ্টা চালায়। যেমনঃ সমকামিতার বৈধতা দান, মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার( অথচ এই কাজ থেকে বিরত থেকে মানুষের মত বেঁচে থাকার কথা বলা হয় না), পতিতাদের সব ধরণের অধিকার প্রদান, কিন্তু এই পেশা করার প্রয়োজন নেই! ব্যক্তিগত যৌন বাসনার অধিকারের নামে পরকীয়া সম্পর্ককে, লিভ টুগেদার, বিবাহপূর্ব লীলাকীর্তনের হালাল করে দেয়া।
আমাকে গতকাল কে কয়েকজন প্রশ্ন করে, ভাই, মুক্তমনারা যে শুধু ইসলামের দোষ ধরে, অথচ সব বিতর্কের জবাব কুরআন হাদীসে স্পষ্ট করে দেয়া আছে যা অন্য ধর্মগ্রন্থগুলোতে বিশদভাবে নেই, তারপরেও ইসলামের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নামা কেন? জবাবে বললাম, “অন্যান ধর্মে ভাল কাজে উৎসাহ প্রদান আর মন্দ কাজে তিরস্কারের কথা আছে, ইসলাম যেভাবে কৃত মন্দ কর্মের ব্যপারে কঠোর শাস্তি আর ভাল কাজের বিনিময়ে সবচাইতে উত্তম পুরুষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্য ধর্মে তেমন দেয়া হয় নি। এখন মানুষ যদি ইসলাম ধর্ম কে পূর্ণাঙ্গভাবে অনুশীলন করে, সামান্য পাপ কাজে ছি ছি পড়ে যাবে, দুনিয়াতেই কিছু শাস্তির প্রয়োগ হবে, মুক্তমনারা মানুষকে বলদ জ্ঞান করে সকল নাজায়েজ কাজগুলো হালাল করে অবাধে করে বেড়াতে পারবে না, সে জন্যই যতো দোষ ইসলামের, নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর। যতো ইসলামের উপর অপপ্রচার চালাতে পারবে ততই তাদের পাপাচারগুলো হালাল হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে, তাদের ভাবনায় এক সময় মানুষ ধর্মীয় গন্ডির বাহিরে চলে আসবে, তখন তাদের সুদিন! অত্যন্ত অস্বাভাবিক, কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হতে দেখেও মানুষ তা সাভাবিক ভাবেই নিবে।
এইবার আসি অভিজিৎ রায়ের কথায়, তিনি যা করেছেন, লিখেছেন, তা কি রীতিমত বাড়াবাড়ি নয়? আমি অন্ধ সমালোচনা করব না। অভিজিতের বেশ কিছু লেখা পড়েছি। আমার কাছে যা মনে হয়েছে, তা হল, সব ধর্ম বিশ্বাস কেই তিনি নেগলেট করেছেন, শুধু ইসলাম কে নয়। তার মতে বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভর করে জীবন পরিচালনা করা নিতান্তই বোকামী। তিনি আবার ডারউইন মতবাদে একনিষ্ঠ বিশ্বাসী। কিন্তু পাঠক, আমার লিখার শিরোনামে উল্লেখ করেছি, মুক্তমনা হওয়ার পূর্বশর্ত ইসলাম কে কঠাক্ষ করা, তিনিও সর্বসাকূল্যে বিভিন্ন লিখায় তারই প্রমাণ দিয়েছেন। অন্যান্য ধর্মের সমালোচনা যতসামান্যই করেছেচন, তবে সবচাইতে নিকৃষ্ট, বর্বর, জঘন্য, নৃশংস ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলাম কে, ইসলামের অনুসারীদের কে। পাঠক চলুন দেখি ইসলাম নিয়ে ভাবনার বহিঃপ্রকাশ-
“মুসলিম ফান্ডামেন্টালিজম এবং সন্ত্রাসবাদের উত্থান যদিসমস্যা হয়ে থাকে, তবে সমস্যার মূল কারণ হলো, ফান্ডামেন্টালস অফ ইসলাম”।
“জলাতঙ্কের জীবাণু দেহের ভিতরে ঢুকলে যেমন মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোও মানুষের চিন্তা চেতনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, তৈরি হয় ভাইরাস আক্রান্ত মননের। এই মস্তিস্ক-সংক্রমণের মূল উৎস ধর্ম তথা ধর্মীয় জিহাদি শিক্ষা”।
“কিছু মুমিন যে কোরান নামক মহাগ্রন্থ ছাড়া সবকিছুকেই বাতিল করে দেয় – এই মনোভাবও সেই সংকীর্ণ মনোভাব থেকেই উৎসারিত”।
“ইসলামি সন্ত্রাসবাদের উৎস মূলত ইসলামেই নিহিত। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ একটা সমস্যা, কিন্তু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কারণে কোরআনে ‘যেখানেই অবিশ্বাসীদের পাওয়া যাক তাদের হত্যা’ করার আয়াত, ‘তাদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হবার’ আয়াত, বিধর্মীদের উপর ‘জিজিয়া কর আরোপ করার’ আয়াত, ‘গর্দানে আঘাত করার’ আয়াত পয়দা হয়নি। ধর্মগ্রন্থগুলোতে নারীদের অবরুদ্ধ রাখার, উত্তরাধিকার কিংবা সাক্ষীসাবুদের ক্ষেত্রে বঞ্চিত করার, শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করার, কিংবা যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সহবাসের আয়াত, অথবা ব্যভিচারী নারীদের পাথর ছুঁড়ে হত্যার নির্দেশ মার্কিনরা করে যায়নি”।
“ইসলামে সমকামিতাকে হারাম বলে ঢালাওভাবে প্রচার করা হয়, কিন্তু উর্দু এবং ফার্সি ভাষায় লেখা রচনা খুললেই সমকামিতার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। সমকামিতার উল্লেখ রয়েছে ইতিহাসের বহু মুসলিম কবিদের রচনাতেই। যেমন- আমীর খসরু, জিয়াউদ্দিন বারানি, জামশেদ রাজগিরি, মুত্রিবি, হাকিকাত-আল-ফুকারা, মুহম্মদ আকরাম, সিরাজ আব্দুল হাই, দরগাহ কুয়ালি খান, মীর তাকি, ইফতি নাসিম প্রমুখ”।
“আমরা সমকামীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার এবং সামাজিক এবং রাজনৈতিক অধিকার পাওয়ার কথা বলছি।বিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের যৌনপ্রবৃত্তি জৈবিকভাবে অঙ্কুরিত, এবং সেটা তৈরি হয় অনেক ছোটবেলা থেকেই। এই সুন্দর পৃথিবীতে যে যার মত অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে সেটাই প্রত্যাশা হওয়া উচিৎ”।
“আমার মনে কেন যেন সন্দেহটা ক্রমশঃ ফুলে ফেঁপে উঠছে — ইসলামের সাথেই বোধ হয় ‘সহি ইসলামের’ কোন সম্পর্ক নেই”।
“মুসলিম দেশে গার্ল উপভোগ, কিংবা যুদ্ধের সময় তাদের যুদ্ধবন্দিনী ধর্ষণ, মালে গনিমত হিসাবে বিধর্মীদের স্ত্রী-কন্যাদের দখল সব কিছুই কিছুর ‘সহি ইসলামে বৈধ”।
অভিজিতের লিখা পড়ে মনে হয়েছে সত্যি, মুক্তমনা হতে হলে ইসলামের সমালোচনা করার অভ্যেস করতে হবে, যুক্তির পর যুক্তি খাড়া করে ইসলামের অবমাননা করতেই হবে। তবে তিনি কিন্তু হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মেরও সমালচোনায় বারটা বাজিয়েছেন। তবে সব কথার শেষ কথা, ইসলাম ধর্মের ন্যায় নিকৃষ্ট ধর্ম আর হয় না!
অভিজিৎ কে বা কারা খুন করেছে তা পুলিশ এখনো জানতে পারে নি। যদিও অনেক আগে থেকে কে বা কারা মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছিল। খুন কি হুমকী দাতারাই করেছে, না অন্য কেও হুমকীর সুযোগ নিয়েছে, তা সুষ্ঠু তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে, কিন্তু সে সম্ভাবনা কম। তাই প্রথাগতভাবেই দোষী হোক অথবা না, কোন ইসলামিক দলের কর্মীই বলীর পাঠা হবে, তা হলফ করেই বলা যায়। আমার বিস্ময় জাগে, বই মেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশ, র্যা ব, সাদা পোষাকধারীদের উপস্থিতি অন্য যেকোন বারের চেয়ে অনেক বেশি ছিল, তবু কেমন করে সন্ধ্যা রাতে এমন নৃশংশ খুন হয়! খুন করে খুনি যাবে কোন দিক দিয়ে? উত্তরে শাহবাগ থানা, পশ্চিমে নিউমার্কেট থানা, দক্ষিণে সম্ভব না, আর থাকে পূর্ব দিক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বই মেলার পরিসর উদ্যানে হওয়াতে সেখানেও নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে, তাহলে কেমন করে খুনিরা এতো সহজে পার পেয়ে গেল? সুষ্ঠু তদন্ত হলে কৌতূহল মেটাতে পারব, না হলে কৌতূহলী মন কে বলব, শান্ত হও, সব কৌতূহল মেটানো যায় না।
কিছুদিন আগে ব্লগারদের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে ‘আর্টিকেল১৯’ নামক সংগঠন দিন ব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে, আমিও সে কর্মশালায় যোগদান করি। ব্লগাররা তাদের দুঃখ দূর্দশার কথা শেয়ার করে। সেদিন দেখলাম, মুক্তমনারা যতো সাহসীপনা দেখাক না কেন, মৃত্যু ভয় সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায়। কখন কোন জঙ্গী জীবন নাশ করে দেয় সেই চিন্তায় ঘুম আসে না। তবু ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গাত্মক লিখাও বন্ধ হয় না। এক ব্লগারঃ “বাংলাদেশে ব্লগিংইয়ের বয়স মাত্র ১০/১২ বছর, দশ বছরের একটা শিশু শিশুব সুলভ কতইনা ভুল করে, তাই বলে কি আমরা তাদের মেরে ফেলি? ব্লগিংইয়ে যেহেতু আমাদের বয়স শিশুদের মতই, আমাদের এক আধটু ভুল কি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যায় না!” রাজিব, মহিউদ্দীন, অভিজিৎদের শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ যদি শিশুসুলভ ভুল হয়, তাহলে অভিজিৎদের মত আরো আরো লাশ যদি পড়ে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
পরিশেষ বলব, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে, ইসলাম ধর্মের প্রাণ পুরুষদের উপর অনাকাংক্ষিত কালিমা লেপন করে মুক্তমনা হতে চাইলে তৎপরবর্তী পরিণতির বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে উত্যক্ত করা আর গঠনমূলক সমালোচনা করা এক কথা নয়। আপনি আপনার মুক্ত মন নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করলে আমার বিশ্বাস, কেউ আপনার প্রতি বিরাগভাজন হবে না।
বিষয়: বিবিধ
৩১৪৩ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
জাযাকাল্লাহ খাইর
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর, তাদের স্বভাব আজাইরা তর্ক করা, হাজারো খুড়া যুক্তি দেখাবে, যার সংখ্যাই অনেক বেশি।
দেখাবে।
সুতরাং যে বুঝতে চায়, তাকে বুঝানো যায়। বুঝেও না বুঝার ভান করে তর্কের জন্য তর্ক যারা করে তাদের সাথে কথা বলতে যাওয়া পন্ডশ্রম।
হতাশ হবেন না। জানতে থাকুন, পড়তে থাকুন, এক সময় আপনিই দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে পারবেন। এখন আপনি পারছেন না, নিশ্চয় অন্যো কেউ না কেউ জবাব ঠিকি দিচ্ছে।
আর হা, অনেক দিন পর কমেন্ট করলেন। ভাল লাগল। কেমন ছিলেন আর এখন কেমন আছেন জানাবেন।
আপনার সাথে শেষের কথায় আমিও একমত। দুই চারটা নাস্তিক কিঙ্গা কথিত মুক্তমনা কে মেরে নাস্তিকতার বিস্তার খুব একটা ঠেকানো যাবে বলে মনে করি না। যদি তাই হয়, তাহলে তসলিমা, হুমায়ন আজাদ, থাবা বাবা, মহিউদ্দীনের পরিণতির পরেও দেশ ব্যাপী নাস্তিকতার এতো বিস্তার লাভ করত না।
কিছু দিন হয়ত ভয়ে ভয়ে ইসলাম বিরোধী লিখা লিখবে না, পরে আবার যেই সেই।
ধন্যবাদ সুন্দর, গুছানো মন্তব্যের জন্যো।
আপনার একটা কমেন্ট খুবি ভাল লেগেছে, "ধর্ম না থাকলে মানুষ আর মানুষ থাকে না"।
আমার লিখায় এই প্রথম কমেন্ট করলেন। অভিনন্দন আপনাকে।
সমস্যাটা এই খানেই! হিন্দুদের মন্দিরে, খৃষ্টান্দের গীর্জাতে আকাম হলে দোষ শুধু ব্যক্তির হয়। আর মুসলমান কর্তিক কিছু হলে পুরো দোষ ধর্মের উপর এসে পড়ে।
নাস্তিক রা যে তথ্য প্রমাণ হাজির করে না তা নয়, প্রচুর তথ্য হাজির করে কিন্তু সমাধানের জন্যো নয় বরং ইসলামের অবমাননা করার নিমিত্তে।
এই ব্লগেও কয়েকজন আছে, নাম মেনশন করছি না, চোখ কান খোলা রাখলে নিজেই বুঝতে পারবেন।
যদি সম্ভব হয় তাহলে সামনে এই রিলেটেড আরো কিছু লিখা পোস্ট করার চেষ্টা করব, আল্লাহ তাওফীক দিন।
সামান্য হলেও আপনাকে জানাতে পেরে বেশ ভাল লাগছে।
আপনার অনেকগুলো লিখা জমে আছে, পড়ার সময় হয় না, ব্লগেও মাঝে মাঝে দু চার মিনিটের জন্যো আসি। তবে কথা দিলাম, সময় করে সবগুলো লিখাই পড়ব।
অভিজিত্ রায়কে কখনোই মুক্তমনাতো বলাই যাবেনা ,উপরন্তু তাকে বদ্ধমনা বলা যাবে তার লক্ষ্যবস্তু সর্বদাই ছিল 'ইসলাম'।তাদের মত মুক্তমনা হতে হলে ইসলামকেই লক্ষ্যবস্তু করতে হবে ।লেখক একপর্যায়ে বলেছেন ,অভিজিত্ রায় একজন নাস্তিক ছিলেন ,তার লক্ষ্যবস্তু সর্বধর্ম ।লেখক আমরা এতদিন এটাই ভেবে এসেছি যে তিনি নাস্তিক ,কিন্তু সদালাপ কর্তৃক যখন তার মুখোশ উন্মোচন হল তখনই জানতে পারলাম উনি ছিলেন আজ্ঞেয়বাদী ।
ZOOM
তিনি কখনোই খৃষ্টান কিংবা বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করে যাননি পাছে যদি ভাত মরে যায় ?
শুধুমাত্র ইসলামকে লক্ষ্যবস্তু করে ইসলামের নবীকে ধর্ষনকারী ,শিশুকামী ,যুদ্ধবাজ ইত্যাদি বলে অবমাননা কারী একজন ইসলাম ফোবিককে বিজ্ঞানমনষ্কা বলে দাবী করা আর বিজ্ঞানের গায়ে কুঠারাঘাত করা এক ।অভিজিত্ রায় যে সারাটা জীবন অপবিজ্ঞান চর্চা করে গেছে সে প্রমাণ সদালাপের ,আস্তিকতা-নাস্তিকতা বিভাগ রেখেছে ।খুনের রহস্য ফাঁস না হওয়ার আগেই অভিজিত্ এর মুরিদরা ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন তারা ইসলাম ,ইসলামের নবীর আরো তীব্র সমালোচনা করবে !সরকারের উচিত্ এসব বিষয়ে নজর দেয়া ।আরো উচিত্ অভিজিত্ হত্যাযজ্ঞের মোড়কে ফারাবী নামক ব্লগারকে বলির পাঠা না বানানো ,আমরা আর জজমিয়া নামক নাটক দেখতে চাইনা।যাইহোক অভিজিত্ রায়কে হত্যা করা কখনোই কোরআন হাদীস পরিপন্থি হয়নি ।লেখকের উচিত্ এই হত্যার তীব্র সমালোচনা করা ,পাশাপাশি অভিজিত্ এর লেখাগুলোর ও তীব্র সমালোচনা করা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন