স্মৃতিবেদনাতুর
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:৪৫:১০ সকাল
আমি একটু বেশিই নস্টালজিক। সেকালের কথা মনে করে হাসি, কাঁদি কখনো বা ভয়ে আঁতকে উঠি। আমার স্মৃতিচারণ ব্লগে প্রকাশ করার আদৌ প্রয়োজন হয়ত নেই। অতীত স্মৃতি নিয়ে বলতে, লিখতে, খোশ গল্প করতে বেশ লাগে, তারই অংশ হিসেবে লিখাটি পোস্ট করা।
শয়তানের বিটলামীঃ
বাইরে চাদেঁর আলো, উঠ বাবু, প্যান্টের জিপারটা খুল, চোখ বন্ধ করে আরামচে হিশু দাও! শীতের রাত, পিঠের নিচে ভেজা ভেজা লাগছে! আবার কি উৎকট গন্ধ! একি সর্বনাশ, পেশাব বাহিরে না করে খাটেই করে দিলাম! সকাল হলে মায়ের হাতে ‘হারপা’ গাছের ডাল দিয়ে উত্তম. মধ্যম খেয়ে চোখের পানি নাকের পানিতে বুক ভাসিয়ে কাইন্দা কাইনা কইতাম, কিরে শয়তান , আমার লগে এইরম করলি কেন, তোর কাঁচা ধানে কবে মই দিছি! বদ শয়তান দাঁত কেলাইয়া কইত, বাই, টাটা, আগামী কইল্ল আবার দেখা অইব!!!!
বিয়েঃ
ছোট্টবেলায় কত মেয়েকে যে বিয়ে করেছি, চাচাতো বোন, খালাতো বোন, মামাতো কাকে না বিয়ে করেছি, তখন লাগেনি ব্যাংক ব্যালেন্স, টাকা কড়ি, কিংবা কাবিনের টাকা, চাইলেই বিয়ে করতে পারতাম,কিন্তু আফসোসের বিষয় একে একে সবাই আমায় ছেড়ে যায়, বিচ্ছেদের অনলে জ্বলে ছাই। আজ মন বাইরম বাইরম করে বিয়ে লাগি, বয়স যায় তবু সাহসে হাঁটু কাঁপে। বিয়ে করতে কত কি লাগে! আহ ল্যাংটা বিয়ে কতইনা ভাল ছিল!
লাজুক ছেলেটিঃ
মামাতো বোন। বয়স ৬/৭ হবে, আমারো ৬/৭ বছর। আমাদের এক সাথে পাইলেই পাশাপাশি বসিয়ে বড়রা বলত, তোরা দুইজন বউ-জামাই, দূরে দূরে থাকিস কেন? একসাথে থাকবি, ঘুমাবি। লজ্জায় দুইজন দুই দিকে দিতাম দৌঁড়। আমাদের ঘরে এক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একদিন অনেক মেহমান আসে। রাতে ঘুমানো নিয়ে বিপাকে পড়ি, আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, একজন তার পাশে ঘুমাতে বলে, আমি কিছুতেই রাজি হইনি, অন্য জায়গায় ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না, মাঝ রাতে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার গায়ের উপর সুন্দর করে হাত রেখে মেয়েটি ঘুমিয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ উঠে পড়ি আর সারারাত জেগে কাটাই।
চোরের টার্গেটে আমিঃ
বয়স ৫/৬ হবে। রাতে মায়ের সাথে ঘুমিয়ে আছি, হিশুর বেগ পাওয়াতে মাকে ডেকে তুলি, হঠাৎ দেই চিৎকার, আমার এক পা নিচের দিকে চলে যায়, মা বাতি জ্বালালেন, সিধ কেটে রেখেছে, তাতেই আমার পা ঢুকে গেছে। ঘরে চোর। নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে অসহায় পেয়ারা গাছটির উপর, সমস্ত চামড়া তুলে নিয়েছে! বাড়িতে এক লোকের মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। বেশ কিছুদিন ধরে পাগলামী করছে। পরের দিন সেই পাগল জানান দেয় আমাদের ঘরে সিধ কেটে ঢুকেছে আমাকে মেরে ফেলার জন্য, পরিকল্পনা ছিল বস্তায় ভরে গলা টিপে পুকুরে ফেলে দিবে। অন্ধকারে আমাকে না পেয়ে শখের পেয়ারা গাছের উপর সমস্ত রাগ ঝেরে নেয়। নিঃসন্দেহে সেদিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমায় রক্ষা করেছেন। এবং জীবনের প্রতিটা বিপদ আপদে তিনিই রক্ষা করবেন। তাই আর কারো উপর নয় বরং সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা করি।
দস্যিপনাঃ
(আমার ছোটবেলার অনেক গুলোর নামের মধ্যে এইটা একটা)। সম্পর্কে কাকা, আদর করে এইভাবেই আমাকে ডাকত, সাথেই সাথেই তার মাকে উদ্দেশ্য করে, তোর মায়েরে......... গালি দিতাম, মজার ব্যাপার হল, তিনি রাগ করতেন না, আমি গালি দিতাম, তিনিও বারবার বাবা চালু, ডেকে ডেকে ক্ষেপিয়ে তুলত! পাশের বাড়ির এক দাদা, খুব আদর করতেন, রাস্তার পাশ দিয়ে যেতে দেখলেই, জামা টেনে ধরে হাতে একটা বাশেঁর কঞ্চি নিয়ে দিতাম বেদম মাইর। আদরের উত্তম প্রতিদান! খিল খিল করে হেসে গালে চুমু দিয়ে দস্যিপনাকে আরো উসকে দিতেন।
দুই টুনা টুনি, সমবয়সী চাচাতো বোন আর আমি,বিশাল খড়ের স্তুপের পাশে দাঁড়িয়ে, সে বলে, আমি খড় ধরি, তুই আগুন দেয়, দিলাম আগুন, ধাউ ধাউ জ্বলে উঠে, মক্তবে গিয়ে লুকিয়ে পড়ি, তারপর আগুন আগুন আগুন, চিৎকার। বদনা বালতি জগ নিয়ে সবাই আগুন নিভাতে থাকে। ততক্ষণে আমাদের খড়ের স্তুপ অর্ধেক শেষ! বিপদ একটা শেষ আরেকটা শুরু। রোকেয়া-সালাউদ্দিন কোথায়? অনেক খোঁজাখুঁজির পর মকতবে আবিষ্কার করে। আমার সেই সব দস্যিপনা, আজ ভাগিনা ভাগনীদের আনন্দের খোরাক জোগায়, মা উৎসাহী হয়ে একদল শ্রোতা পেয়ে বর্ণনা করতে থাকেন আমার ছোটবেলার কীর্তি কাহিনী। অবাক বিস্ময়ে প্রশ্ন করে, আমাদের সেই দুষ্ট মামাটা আজ এতো শান্ত হল কেন? যে সব ভাগিনা ভাগনী খুব ছোট, তারাতো, আমাকে দেখলেই হাত তালি দিয়ে ছোট্টবেলার কীর্তি কাহিনী ঘোষণা দিতে থাকে।
নিষ্ঠুর স্বপ্নঃ
সে আমায় পরম মমতায় জড়িয়ে ধরে, আমিও ধরতে যাব, ধাম করে কি যেন পড়ার আওয়াজ হল, আহ, ব্যাথা! নিজেকে আবিস্কার করি খাটের নিচে!!!!! একদিন মামার বাড়িতে স্বপ্ন আমায় এইভাবেই বেইজ্জতি করল। সে থেকে আর কখনো খাটের কিনারায় ঘুমাই না।
কুলসুমের বিয়েঃ
কুলসুম, ক্লাসমেইট, ক্লাস ফোরে থাকতে যার বিয়ে হয়। এক বছর পর বাচ্ছার মা,একজন দুইজন তিনজন……… এতো অল্প বয়সে বিয়ে, স্বামী সংসার,বাচ্ছা কাচ্ছার দেখাশোনা, ঘর কন্যার কাজ সবি সামাল দিচ্ছে ভালভাবেই। বিস্ময় জাগে কিন্তু কিভাবে!!!!! কেন তার বাবা এতো অল্প বয়সে বিয়ে দিলেন, কেনইবা তাকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করলেন। কুলসুমের বাবা গরীব ছিল, তাতে কি হয়েছে, আরো অনেকের বাবাইতো গরীব, তারা কি মেয়ে কে এতো অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েছে, দেইনি, তাহলে তার ক্ষেত্রে এমন হল কেন? এই প্রশ্নগুলো মনে ঘুরপাক খেতো, যতদিন ঐ প্রতিষ্ঠানে থেকেছি পড়েছি। এখনও মাঝে মাঝে মনে পড়ে!
আমার কলিজা, ছোট্ট বোনঃ
সকালে ছোট বোন কে উঠানে পাটিতে শোয়ায়ে রোদ পোহাচ্ছিলাম। চুমু দিতে দিতে গাল দুটো লাল করে দেই, সেও নরম তুলতুলে হাতে নখ দিয়ে আমার মুখে খামছে দিত। কিছু সময় পর একটা কাজে ঘরে যাই, এসে দেখি পাটি আছে, বোন নেই। শুরু হয়ে গেল পাগলের মত দৌঁড় ঝাপ। একবার মা, একবার অন্য বোনদের কাছে, সবাই মিট মিট করে হাসছিল, কেও বলেনা, বোন কোথায়। বোন কে দেখতে না পেয়ে এতো কষ্ট হচ্ছিল যে, আওয়াজ করে কান্না জুড়ে দিলাম। কান্না থামছেইনা, বরং তীব্র থেকে তীব্রতর হতে দেখে একজন এসে হাতে বোন কে ধরিয়ে দিয়ে বলে, "ধর, বোন কে কলিজার ভিতরে ঢুকিয়ে রাখ" ।
সেই ছোট্ট বোনটি আজ অনেক বড়। আমাদের দুজনের মাঝে খুন সুটি লেগেই থাকত। আমার সাথে যখন পেরে উঠতনা, কামড়ে দিত অথবা বাবার কাছে বিচার দিত। মাঝে মাঝে বাবার হাতে ব্যাপক মার খেতাম। খুনসুটি কিন্তু থেমে থাকতনা। এইভাবেই চলতে চলতে একদিন বোনটির বিয়ে হয়ে গেল। আমার হাত থেকেও নিষ্কৃতি পেয়ে গেল। তবে এখনও তাকে দেখলে হাত দুটো সুর সুর করে মারার জন্য, তাইতো আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসলেই তার বরের সামনেই মেরে বসি, আর তার বরের অবর্তমানে চলে হরদম কিলাকিলি। মা খুব বিব্রত আমার আচরণে, আক্ষেপ করে বলেন, "বড় হলি, বয়স হল, কান্ডজ্ঞান হলনা, তার বরের সামনে তার গায়ে হাত তুলিস কেমন করে"। দরকার নেই আমার কান্ডজ্ঞান, খুনসুটি চলবেই।
কি কমু কিচ্ছা দুনিয়া আইয়্যে খিচ্ছাঃ
রাতে ঘুমানোর আগে বোনদের খুব পীড়াপীড়ি করতাম কিচ্ছা শোনাতে( ভূত প্রেতের গল্প), তখন আপুরা বলত, “কি কমু কিচ্ছা, দুনিয়া আইয়্যে খিচ্ছা”, এক দেশে ছিল এক রাজা, রাজার নাই ঠ্যাং, টুডং টুডং”। গল্প শোনার আগ্রহটা আরো বাড়িয়ে দিত। এমন এমন সব ভয়ানক কিচ্ছা কাহিনী বলত, ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে আপুদের জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়তাম। এইভাবে প্রতিদিন চলত আপুদের গল্প বলা আর আমাদের পিঠাপিঠি দুভাইয়ের গল্প শোনা। আজো রাতের বেলা সেইসব মজার স্মৃতিগুলো বেশ মনে পড়ে। আবার যদি ফিরে আসত কিচ্ছা শোনার আগ্রহ আর ভয়ে ভরা রজনীগুলো!!!!
আমি ফিরে যাবো সেকালে, গায়ে কাদা মেখে খেলব ফুটবল, পুকুরে ধরব মাছ, গাছের উপর থেকে পানিতে পড়ব ঝাপিয়ে, ডুব সাতার খেলে করব চোখ লাল, খেলব চড়ুই বাতি, শীতের সকালে খেজুর গাছের তলায় দাঁড়িয়ে হা করে খাব টপ টপ করে পরা সুমিষ্টি রস, সকাল সন্ধ্যা শোনব বকা, বোনদের সাথে হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে করব আড়ি। পারবে কি কেউ আমায় ফিরিয়ে দিতে সেই সোনালী শিশুবেলা? আমি ফিরে পেতে চাই.........
বিষয়: বিবিধ
৩২৮৫ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কখনো এই বিষয় নিইয়ে হয়ত লিখার কথা ভাবেন নি তাই লিখেন নি। আমি অনুরোধ করব, লিখে ফেলুন, অপেক্ষায় রইলাম।
মায়ের বকুনি, "আর জ্বালা ভাল লাগে না, বুইড়া বেডা ঘরে পেশাব করে দেয়, লজ্জা শরম নাই"। ভাইরে কি কইতাম, লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাইতাম। মনে মনে কইতাম, "মা, তোমরা আমারে মাইরালাও, তবু এতো লজ্জা দিওনা!
ভাই লজিকাল, চুপিসারে একটা কথা কন দেই, এখনো কি বিছানায় মাঝে মাঝে দুষ্টু শয়তানটা আসে আর চাঁদের আলো দেখায়?
খুবই ভালোলাগলো। ভালোলাগা রেখে গেলাম তাই।
দেশের জন্য আহত মনটা আজকে আপনার লেখায় কিছুটা ভিন্ন আনন্দ পেলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
অতীত বর্তমান ও আগামীতে জড়িয়ে থাকে, তার সাথে আমার লিখাটি বোনাস।
সত্যি শোকাহত হৃদয়গুলো হতাশা নিয়ে বসে থাকলে আমাদের পথচলা যেকোন সময় থেমে যেতে পারে, অথচ তা কখনো থামা উচিত নয়, তাই মাঝে মাঝে রস কসহীন অবস্থায় রসের ব্যবস্থা করা খুব প্রয়োজন। আমি ক্ষুদ্র মানুষ, এই লিখাটি আপনার ভাললাগার হবে আগে জানলে আরো গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করতাম।
ফেলে আসা অতীতে টুকরো টুকরো মধুর স্মৃতি গুলোকে এতো নান্দনিক সাবলীলতায় উপস্হাপন করলেন!মুগ্ধতা আর মুগ্ধতাই ছড়ালো!
এক পলকেই নিয়ে গেলেন অনেক অনেক দূরে ফেলে ছেড়ে আসা সময় কে!
এইখানেই লেখকের স্বার্থকতা! আমি এটাই চেয়েছিলাম, আমার স্মৃতিকাতরায় সবাই নিজ নিজ স্মৃতি নিয়ে কাতর হবে, ক্ষণিকের জন্যও হলেও কোণের আনন্দের দেখা মিলবে। আপনাদের কমেন্ট দেখে বলতেই হচ্ছে আমার উদ্দেশ্য সফল।
চোখ নামান, মনোযোগ দিয়ে খাতায় উত্তর লিখুন, দুষ্ট বাঁদর কোথাকার।
আপনাদের ভাল লাগায় আমার ভাল থাকা। আপনাকেও ধন্যবাদ।
পাঠক যখন আন্তরিকতা আর দরদ মিশিয়ে কোন লেখকের লিখা পাঠ করে, এটা শোনার পর পাঠকের যে কি ভাল লাগে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন, আর সে আন্তরকতা যদি গুরুজনদের কাছ থেকে তবে যে কথাই নেই।
হা,ছোট পরিসরে অধিক কিছু বুঝিয়ে দেয়ার মত লিখা পাঠকের বিরক্তির কারণ হয় না। তবে এটাও ঠিক সবাই অল্প কথায় অধিক বুঝানোর সামর্থ রাখে না। এই লিখাটায় আমি অনেক কিছু বাদ দিয়েছি, পারতাম পার্ট করে লিখতে, লিখিনি কারণ আমার একটা ধারাবাহিক লিখা চলছে যার এক পর্ব পোস্ট করেছি, এমতস্থায় অন্য লিখা পর্ব করে লিখা থেকে বিরত রইলাম ।
খুব করতাম । উড়ানোর চেয়ে বোকাট্টা ঘুড়ি ধরতে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতাম । দৌড়াতে দৌড়াতে কোন কোন সময় নির্জন জাগয়াতে চলে যেতাম বা কোন বাড়ি বা গ্যারেজের উপরে উঠে যেতাম। ধরতে পারলে মনে হত বুঝি বিশ্ব জয় করে ফেলেছি । আবার হাতের কাছে পেয়েও হাতছাড়া হওয়াতে মনে হয়েছে যে আমি আসলে একটা হতভাগা।
আর একটা করতাম , খেলার মাঠের কোনায় বড়ই গাছ ছিল । খেলার আগে ও পরে চলতো গাছ থেকে ঠিল মেরে বা দড়ি ঝুলিয়ে বড়ই খাওয়া । কাড়াকাড়ি পড়ে যেত বড়ই পড়লে ।
হাতের কাছে পেয়েও হাতছাড়া হয়ে যাওয়া, ছোটবেলার সেই ব্যার্থতার কারণটাই কি আমার ভাইটিকে আজো হতভাগা করে রেখেছে?
আমাদের বড়ই গাছ আছে, পেরে খাওয়ার চাইতে খাদকদের ঢিল থেকে রক্ষা করাতেই বেশি ব্যস্ত ছিলাম।
শীতের খুব সকালে নামাজ পড়ে দল বেধে বের হয়ে পড়তাম, খড়ের নাড়ায় আগুন দিয়ে শরীর উষ্ণ করতাম। তাল গাছ থেকে পড়া পাকা তাল কুড়াতাম। শবে বরাতে এই ঐ পাড়া গ্রুপিং করে মারামারি লেগে যেতাম। তারপর নানান ধরণের খেলাধুলায় মজে থাকতাম।
আরো থাকলে বলবেন আমার আর মনে পড়ছে না।
মন কে ফিরে যেতে দিন, বাধা দিবেন না। শিকর কে ভুলে যাওয়া শুভ লক্ষণ নয়।
আর প্লিজ কাঁদবেন না! কাঁদার কোন কারণ থাকলে ব্লগ আসবেন, শেয়ার করবেন, দেখবেন সব দুঃখ মুছে গেছে।
ভাইয়া আপনি অনেক ত্যাদর ছিলেন তো ।
এত বিয়ে করার পর এখন ও কি বিয়ের শখ আছে ভাইয়া ?
আমার ছোট মামা ও আপনার মত বড় হয়ে ও বিছানায় পেশাব করে আমার নানুকে ডাকত আমার নানু পরিস্কার করত আর রেগে বলত হিশু করে ডাকছ কেন আগে ডাকতে পারনি ।
শেষটা আমার সাথে মিল আছে আমি এখনো একটু সময় পেলেই মামনিকে বলি একটা গল্প বলত মামনি ।
সব কিছু মিলিয়ে অনেক ভাল লাগল ভাইয়া ।
একি এতো বিশাল জ্ঞানগর্ভ কথা! বাচ্ছা মেয়েটি পারে কেমন করে! না অনেক বড় হয়েছে, বাচ্ছাটি আর নেই।
এতো রোমান্স বিলানোর পরেও কোন অজানা কারণে আমার আমি এখনো গ্রীন, ইনশা আল্লাহ হয়ে থাকব এভার গ্রীন। ভুলে গেছেন, আপনি টাকা দিলেই আমি বিয়ে করতে নেমে পড়ব! বিয়ের হাউশ কখনো মিটবার নয়রে আফরা!
যাক লজিকাল ভাইয়া এবং আপনার ছোট মামাসহ কিছু লোক আমার মত হতভাগ্যদের দলে আছে, তবে আর চিন্তা কিসের! যত ইচ্ছে হিশু দেব, কাথা বালিশ ধোয়া এবং রোদে শুকিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত লোকবল সরবরাহ করার দাবী জানাচ্ছি।
একজনের সাথে অন্যজনের কন কিছু মিলে গেলে সম্পর্ক মজবুত হয়। আগের বারের মত রাগ করলে কিন্তু ঘুষি মেরে না ক ফাটিয়ে দেব।
বোনের কাছ থেকে ভাল'র স্বীকৃতি পাওয়াটা খুব জরুরী। পেয়ে গেলাম।
আপনার স্মৃতি এত উজ্জল। উচ্ছল,চল ছল ছল ছল!!
তবে বিয়াটা জলদি করেন। সব স্মৃতি মুছে যাইতে দেরি হবেনা!!
না না না, একটু শোনান, আশার বাণী, অশান্ত মন ক্ষণিকের জন্যও যদি শান্ত হয়য় তাতে লাভ বৈ ক্ষতিতো নেই।
ঐ!!! ডর দেখান! আমি কি দরাই সখী ভিখারী রাঘবে? মোটেও না।
ভালো লাগলো। আপনার মতো আমিও একবার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলাম।
এখনও কি এইরকম বদামাইশি করেন? আপনার ওই মাটির লাঠি দিয়ে যদি পারতাম একটা আঘাত করে হাতের মারতে উদ্যত হাতের চুলকানী কমাতে পারতাম।
ধন্যবাদ রে কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
সময় নিয়ে ভালো করে পড়ব বলে আগে পড়িনি! আজ পড়লাম আমিও নস্টালজিক হয়ে গেলাম! তবে আপনার স্মৃতিশক্তি ভালো বলতেই হবে, ৫-৬-৭ বছরের স্মৃতিও ভালো মনে রেখেছেন!
কুলসুমের জন্য মায়া হলো! আর আপনার ছোটবোনের সাথে যতপারেন খুনসুটি করুন কিন্তু দুলাভাইয়ের সামনে উনাকে পূর্ন শ্রদ্ধা করতে ভুলে যাবেন না কিন্তু!
শুকরিয়া অতীত স্মৃতিচারন মূলক সোনালী পোস্টটির জন্য!
জাযাকাল্লাহ খাইর!
নস্টালজিক হয়ে গেলে ভালই লাগে, ভাললাগাতে পেরেছি বলে তৃপ্তি পাচ্ছি।
স্মৃতিশক্তি ভাল!!!!! ছোটবেলার কথা কম বেশ সবারি মনে থাকে, আমিও একটু রাখতে পেরেছি। পোস্টের মূল অংশটি অনেক বড়, পাঠক পড়তে বিরক্তি বোধ করবেন বিধায় ছোট পরিসরে দিয়েছি, তাও দুইএকজন বলেছে, দুই পর্বে দিলে ভাল হতো।
হা, আমি এখনো খুব করি। কিন্তু হাত সুর সুর করে বিধায় তাঁর স্বামীর সামনেও মেরে বসি, এতোদিনে নিশ্চয় বুঝে নিয়েছে, আমাদের মধ্যে যা হচ্ছে তা খুনসুটি ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনার পরামর্শ স্বানন্দে গ্রহণ করে নিলাম।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ, আমার লিখাটি কষ্ট করে পড়ে আমার শ্রম স্বার্থক করার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন