রুবেল ধর্ষক, হ্যাপি কি দুধে ধোয়া তুলসী পাতা????
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৮ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৩৭:০৯ রাত
প্রেম করবে, ভালবেসে বিবাহের পূর্বেই স্বানন্দে লোভনীয় সব উজার করে দেবে, সমান সুখ দুজনেই পাবে, যখনি বনিবনা হবে না, বাস মামলা ঠুকে দেবে। তারপর সব দোষ প্রেমিক বেটার! প্রাণের চেয়ে ভালোবাসার মানুষটি মুহুর্তেই হয়ে যায় ধর্ষক!
ডি এন এ টেস্ট এখনো হয়নি, ধর্ষণের আলামত এখনো রুবেলের বিরুদ্ধে যায় নি, তবুও রুবেলকে কারাগে প্রেরণের নির্দেশ! হ্যাপির শরীরে রুবেলের ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যাবে যদি ধর্ষণ করেই থাকে এবং প্রতিরোধক না নিয়ে থাকে কিন্তু রুবেল হ্যাপির দ্বারা ধর্ষিত হলেও তার কোন প্রমাণ বয়ে নিতে পারবেনা! তাই ডি এন এ টেস্ট একমাত্র প্রমাণ হতে পারে রুবেলেই করেছে ধর্ষণ! কি বিচিত্র হাস্যকর, পক্ষপাতদুষ্ট ধর্ষণের প্রমাণ নির্বাচন ব্যাবস্থা!
এক সময় গ্রাম্য সালিশে পুরুষ নারী অবৈধ শারীরিক মেলামেশায় ধরা পড়লে বিচারে নারীকেই বেশি শাস্তি দেয়া হত, পুরুষটিকে সামান্য কিছু শাস্তি দিয়েই ক্ষান্ত থাকত, নারীকে সারাজীবন ব্যাভিচারের অপবাদ মাথায় নিয়ে লানতের জীবন কাটাতে হত, পুরুষটি নতুন বিয়ে করলে সব কলংক মোচন হয়ে যেত।
তারপর রব উঠে, দোষ যদি দুইজনার হয়, নারীর প্রতি একলা বৈষম্য কেন? বিচারে দুজনকেই সমান শাস্তি দিতে হবে। খুব ভাল। কিন্তু শোনতে তিতা হলেও সত্য এটাই, ‘নারীর প্রতি বৈষম্য’, এই বিষয়ে এতোই মনোযোগী সবাই, ‘ধর্ষণ কিংবা শারীরিক মেলামেশায় ধরা পড়লেই সব দোষ পুরুষটির উপর চাপিয়ে দেই। প্রেমিকের প্রলোভনে অথবা নিজেই শরীরের উন্মাদনা থামাতে না পেরে প্রেমিকা শরীর উজার করে দেয়, তা হয়ে যায় পরে ধর্ষণ! কারণ বিয়ে করতে রাজী নয়, এটাই কারণ!
আমার প্রশ্ন, বিয়ে করবে কি করবেনা, এই চিন্তাটা মেলামেশার পরে কেন আসল মাথায়, আগে আসেনি কেন? হয়ত কেও বলবেন, মেয়েটা বোকা বনেছে, বুঝতে পারেনি। তাহলে এমন ওঃ তো হতে পারে, ছেলেটাও আবেগের বশে করেছে।
তাহলে কেন শুধু রুবেল, পরিমলরা শাস্তি ভোগ করবে? কেন হ্যাপি, পরিমল ক্যালেংকারির নায়িকা বহাল তবিয়তে থাকবে?
হয়ত বলবেন, মেয়েদের গায়ে দাগ লাগলে বৈবাহিক ক্ষেত্রে নানান সমস্যা হয়, এই দাগ সারাজীবনেও মুছেনা। এই কথা গরীব ভুক্তভোগী মেয়েদের জন্যো প্রযোজ্য, সবার জন্যো নয়। প্রভারা এতো বড় স্ক্যান্ডাল ঘটিয়েও মালদার পুরুষের নজর কারতে মোটেও সমস্যা হয় নি। বিয়েও হয়েছে খুব ঘটা করেই। হ্যাপিরাও বেশ ভালই থাকবে, পাত্রের অভাব পড়বেনা!
আমি বলছিনা, রুবেল, পরিমল কিংবা রাজিবের বিচার করা যাবেনা, অবশ্যই বিচার করতে হবে এওবং দৃষ্টান্টান্ত স্থাপন করার মত। যাতে আর কখনো এই পথে পা না বাড়ায় কিন্তু হ্যাপি প্রভাদেরও কঠিন বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নয়ত মেয়েরা এটাকে দুর্বলতা ভেবে বিবাহ পূর্ব যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দেয়ার প্রয়াস পাবে। ধরা পরে গেলেই ধর্ষণ বলে চালিয়ে দেবে, অথচ বিবাহ পূর্ব যৌন মিলনে পূর্ণ ইচ্ছাই মেয়েটার ছিল!
বিষয়: বিবিধ
৩১০১ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সো, যার যার অবস্থান থেকে উদাসীন না থেকে মা বোন্দের গতিবিধি আমলে নেওয়ার চেষ্টা করি।
আপনার সাথে একমত।
ধন্যবাদ একাত্মতা পোষণের জন্য।
ধন্যবাদ একাত্মতা পোষণের জন্য।
লিখাটি আগেও একবার পড়েছি, সম্ভবত কমেন্ট ওঃ করেছি।
এই বিষয়ে মন্তব্য করতেও মন চায় না!
এমন সব অদ্ভূত কানুন বিরাজ বংগ দেশে.......!!
যুক্তিময় উপস্হাপনায় স হমত আমিও!!
আপনাকে ধন্যবাদ কাহাফ ভাই।
বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে একটা নারীর ১ টা মিথ্যা কথা একজন পুরুষের হাজারটা সত্য কথার চেয়েও বেশী গ্রহন যোগ্যতা পায় ।
''নারীদের ছলনা ভয়ংকর '' - সূরা ইউসুফ
এক হাতে কখনই তালি বাজে না । এসব মিউচ্যুয়ালে মেয়েরা জয়ী না হলেই চিল্লা ফাল্লা শুরু করে দেয় ।
কোন কাজ বাগাতে যদি কেউ কাউকে ঘুষ দেয় তাহলে কি শুধু ঘুষ গ্রহীতাই দায়ী হয় ? ঘুষ দাতাও নয় কেন ?
উন্নত দেশে হলে এসব ঘটনার কোন বিচার তো দূরের কথা কেউ এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতো না । কারণ এসব জিনিস পারষ্পরিক সমর্থন ছাড়া হয় না ।
বাংলাদেশের মেয়েদের তাদের যোগ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত সন্মান ও সুবিধা দেওয়া হয় । প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষক হতে হলে মেয়েদের লাগে শুধু এস.এস.সি. পাশ আর ছেলেদের লাগে নুন্যতম ডিগ্রী পাশ ।
পৃথিবী সবচেয়ে বেশী নাগরিক সুবিধা পেয়ে থাকে বাংলাদেশের নারীরা । এজন্যই তাদের সাফারিংস কখনও কমে না ।
বাংলাদেশের মেয়েদের তাদের যোগ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত সন্মান ও সুবিধা দেওয়া হয় । প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষক হতে হলে মেয়েদের লাগে শুধু এস
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত হতভাগা ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন