স্মৃতির ভেলায় ভেসে বেড়াইঃ শেষ পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:৩৯:৪৪ সন্ধ্যা
বন্দীদশা থেকে মুক্তির আনন্দের তুলনা হয়না। আনন্দ অশ্রুতে চোখ ছেয়ে যায়। জামিন পেয়ে লাইফটাকে সম্পূর্ন নতুন আঙ্গিকে সাজাবার স্বনে যখন বিভোর, জেলখানায় থানা পুলিশের আগমন আমায় ভরকে দেয়। পুনঃগ্রেপ্তারের আশংকায় বুক কেঁপে উঠে। আলহামদুলিল্লাহ, শোকরিয়া আদায় করে বিসমিল্লাহ বলে ডান পা জেল গেইটের বাহিরে রাখি, বাম পা তখনো ভিতরে, দুইদিক থেকে চার শক্ত হাত আমার বাহু চেপে ধরে, সাথে জামিন পাওয়া আরো দুজনকেও গাড়িতে তুলে নেয়। তাদের দুজনের স্বজনেরা এসে ছাড়িয়ে নেবার তদবির করে, একজনের স্ত্রী আর সঙ্গে আসা চাচাকে সরাসরি বলে দেয়, এই মুহুর্তে যদি ১০ লক্ষ টাকা দিতে পারেন তবেই ছেড়ে দেবে। তাদের অসহায়ত্ব মুখ আমাকে খুব বেশি আহত করে। হায়রে টাকা, মনে হয় গাছে ধরে, পুলিশ চাইবে, স্বজনেরা ছিড়ে ছিড়ে ঝোলা ভরে দেবে! এই দৃশ্যো দেখে আমার আত্মীয় স্বজন কাওকে বলিনি তদবির করতে। অরন্যে রোদন!
২১শে ফেব্রুয়ারী শাহবাগে মহাসমাবেশ, বাংলা একাডেমিতে একুশে বই মেলার কল্যাণে কথিত প্রজন্ম কেওবা বলেন প্রজনন চত্বর লোকে লোকারন্য। হেফাজতের ধাওয়া খেয়ে গণজাগরণ মঞ্চ হাহাকার চত্বরে পরিণত হয়। ২২শে ফেব্রুয়ারী জুম্মার নামাজের পর সারাদেশের মুসল্লীগণ রাস্তায় নেমে নাস্তিক বলাগারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সেদিন কাশিম্পুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার উদ্দেশে্যে রওয়ানা হয় আমাদের গাড়ি। একদিন আগেও যে শাহবাগ ছিল জনসমূদ্র, নতুন প্রজন্মের সম্মানে ব্যস্ততম সড়কটিতে সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়, একদিন পর যেন জনশূন্যো মরুভূমি। ২১ শে ফেব্রুয়ারী মেলার শেষ দিন, শাহবাগ প্রজন্ম প্রজনন পক্রিয়ারো শেষ দিন। সেদিনের পর আর কখনো সেখানে প্রজনন বিস্ফোরণ ঘটেনি। লাকী ইমরান আর বাপ্পাদিত্তদের গলাফাটা চিতকার কারো কর্ণকুহুরে আর প্রবেশ করেনা, ফিরে এসে নিজেদের কানেই প্রতিধ্বনি করে। সে শাহবাগের পাশ দিয়ে নেওয়া হয় আমাদের, থানায় নিয়েই নতুন মামলা ঠুকে দেয়।
অপরাধ কি? জেলের ভিতর থেকে কেমন করে গাড়ি ভেঙ্গেছি? নাকী অলৌকিক ক্ষমতাবলে জেলে থেকেই সারাদেশে তান্ডব চালিয়েছি? উত্তর আসে, সব উপরের নির্দেশে হচ্ছে! লকাপে তখন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাইদী। আলাপ চারিতায় বেশ লাগে। বাকী দুজনের স্বজনরা থানায় আসে, একজনের জন্যো বিশ হাজার টাকা দেওয়া হয়, টাকা খেয়েও আটকে রাখে। সেদিন রাতে ঢাকা শহরে গণহারে লোকজন গ্রেপ্তার করে, রাত এগারোটা, বিশ পঁচিশজন ছেলেকে ছেড়ে দেয় যারা সবাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাইয়ের কর্মী, বাকী সবাইকে আটকে রাখে। তাদের ছেড়ে দেবার কি কারণ তা আজো মনে রহস্যের সৃস্টি করে।
পরদিন আদালতে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। আবারো জেলগেইটে প্রকাশ্যে স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে হাত দিয়ে তল্লাসী করে, লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে। আমদানী সেলে গিয়ে দেখি মাদ্রাসা শিক্ষক ছাত্র আর অল্প বয়সী বেশ কিছু ছেলে, তাদের চোখে মুখে আতংকের চাপ লক্ষণীয়। জেল খাটার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় তাদের সান্ত্বনাদানে নেমে পড়ি। আমার দুঃখগুলো এক পাশে ঠেলে তাদের মুখে হাসি আর ভয় দূর করাতে লেগে পড়ি। আমার হাসি হাসি মুখ, চাঞ্চল্য, দুষ্টমিপনা দেখে অনেকে অবাক বিস্ময়ে প্রশ্নকরে জেল খানাতেও আমি এতো খুশি থাকি কেমন করে! অন্তরঙ্গভাবে মিশে গাবড়ে যাওয়া ছেলেপেলের ভয় ভীতি কিছুটা হলেও কমাতে সক্ষম হই।
দুইদিন পর আবারো কাশিমপুর চালান হয়, অনেকে হাতে ধরে বলে, “ভাই আমার সাথে থাকবেন, আপনি সাথে থাকলে আমাদের হতাশা কম পাবে। সবার অনুরোধ রাখা সম্ভব নয়, তিনটা কারাগারে আমাদের ভাগ করে দেয়া হয়, এইবার আমার এলট্মেন্ট হয় কাশিমপুর কারাগার ১ এ। ঢাকা কারাগারের মতই ওয়ার্ড সিস্টেম। মেঘনা ৫ রুমটি আজো স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। আমাদের দেখভাল করেন গোলাপ ভাই। বিশবছর ধরে বিনা বিচারে জেল খাটছেন। নাম গোলাপ হলেও মুখ কিন্তু স্পেইশাল, কাঁচা কাঁচা বাংলা বুলি শোনে কানে হাত চেপে ধরতে হয়। একদিন বিদ্যুত চলে গেলে কে কারা অন্ধকারে তয়লেট ব্যববহার করে উলটো দিকে ফিরে, গোলাপ তা দেখে মাথায় খুন চড়ে যায়, অনর্গল গালি গালাজ করতে থাকে, মনে হলে আজো লজ্জা পাই! একদিন জিজ্ঞেস করি আপনি মুখ এতো খারাপ করেন কেন? জবাবে বলেন, “ ভাই আমার মত বিনা বিচারে যদি বিশ বছর জেলে থাকতেন, বুঝতেন কত দুঃখে মুখ কাহারপ করি”। আমি যখন পুনঃগ্রেপ্তার হই, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার হল সভাপতি সেক্রেটারীকে মেরে পঙ্গু করে দেয় সোনার ছেলেরা। সেদিন একসঙ্গে ৪০জনের উপরে আমাদের ভাইয়েরা হল থেকে বের হতে বাধ্য হয়। হঠাত এই পরিস্থিতিতে হল শাখার অবস্থা বেসামাল হয়ে পড়ে। সেজন্য পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়ার এক মাস পর্যন্ত আমায় কেও দেখতে আসেনি। আমি যেন সবার করুণার পাত্র হয়ে গেলাম। কেও জিজ্ঞেস করে ভাই আপনাকে কেওদেখতে আসল? বলি, না কেও আসেনি।জামা কাপড় আছে? ভাল মন্দ কিছু কিনে খান? জবাব দিতে পারিনা, আকাশে তাকিয়ে অশ্রু লোকানোর চেষ্টা করি, তারা কি বুঝেনা আমার কেও না আসলে জামা কাপড় আর ভাল মন্দ খাব কেমন করে???? এক ইয়ারমেইট লুঙ্গী এনে দেয়, অন্য একজন গেঞ্জী। অন্য কেও খাবার নিয়ে আসে। একদিন বলেই ফেলি, আর না ভাই, আমি বেশ আছি, আমাকে আর করুণার পাত্র বানাবেন না!!!!
এক মুরুব্বী গ্রেপ্তার হয়ে আসে। অসুস্থ, সোনার ছেলেরা আর পেটুয়া বাহীনী বাবার সমান বয়সী ৭০ বছরের বৃদ্ধ কে মিছিল থেকে ধরে মেরে আধমরা করে দেয়। হাত পা ফুলে কালো ভীবতস আকার ধারণ করে। অসুস্থ রাজনীতির ভেড়াজালে মানবতা আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! অন্য এক বৃদ্ধ খুব মোটা শরীর, চলাচল করতে কষ্ট হয়, বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসে। মানুষের সেবা কেমন করে করতে হয় খুব একটা জানিনা, দুইজন অসুস্থ মানুষ কে পেয়ে নতুন অভিজ্ঞতা+সওয়াবের আশায় দুই মুরুব্বীর সেবায় নেমে পড়ি। একজন প্রায় বলতেন, “ তোমার চাচী আসলে বলি, দুই তিনজন ছেলে আছে, যারা সার্বক্ষণিক আমাদের সেবা করে, তাদের জন্য প্রাণভরে দোয়া করে দেবে”। গোসলের জন্য বাহিরে মাঠের পাশে দুইটা হাউজ, পানি ছাড়ার দুই তিন মিনিটের মধ্যেই পানি শেষ! কেও সম্পূর্ণ গোসল করে আর কেও সাবান মাখা গায়ে গোসল শেষ করে। পানির অভাবে ফরজ গোসল ও করা যেতনা। একদিন একজন চুপি চুপি ড্রামে রাখা অজুর পানি দিয়ে ফরজ গোসল করলে গোলাপ দেখে ফেলে , ফজর নামাজের আগে সবার সামনে আচ্ছামত বকা দেয়! লজ্জায় তার ঘাড় আর সোজা হয়না! তারপর থেকে গোসল ফরজ হলেও তায়াম্মুম করেই নামাজ পড়তাম। কবুল করার মালিক আল্লাহ। এক শিক্ষক গোসল করতেন ৫ লিটার পানি দিয়ে, নিজ চোখে না দেখলে গাজাখুরী গল্পই মনে হত। শুধু তাই তাই নউ, ঐটুকু পানি দিয়ে জামা কাপড় ও ধুইতেন।
আর পারছিনা, এতো অস্থিরতার মধ্যে সবার লোকজন আসতে পারলেও আমার নয় কেন? আগে জেল খাটা এক জেল মেইটের আন্টির নাম্বার ছিল, যাদের বাড়ি গাজীপুর, লোক মাধ্যমে তাদের অনুরোধ করি যদি সম্ভব হয়ত আমায় যেন দেখতে আসে। খবর পেয়ে তারা ছুটে আসেন, আমার দেশের বাড়ি বাবা মায়ের সাথে তাদের কথা সেটাও আমায় জানান, আমায় সান্ত্বনা দেন, সেদিন আপনার চাইতে বেশি আপন মনে হল, আজো ঠিক তেমনি মনে করি, জেল সম্পর্কে অনভিজ্ঞতার কারণে বেশ কিছু ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের, যা দেখে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যায়, পরের ছেলের জন্য মহিলা মানুষ হয়ে কেন এতো কষ্ট করবে! মা বাবাকে সালাম জানিয়ে আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিদায় জানাই।
জেল খানায় দেখা মিলে একটা হাইব্রিড ইসলামী দলের। বনী ইসরাঈলের মত সেকেন্ডে সেকেন্ডে প্রশ্ন করে মানুষ কে বিব্রত করাই যাদের কাজ। যারা রাতারাতী বিশ্বব্যাপী খেলাফত কায়েমের স্বপ্নে আচ্ছন্ন। একদিন পানির ট্যাংকে বসে আছি, পাশে থাকা এক লোক প্রশ্ন করে “গতকাল সাঈদী রায় ঘোষণার পর যারা মারা গেছে তারা কি মুসলমান”? হতভম্ব হয়ে গেলাম এমন আজব মার্কা প্রশ্নে! শহীদ কিনা প্রশ্ন তা নিয়ে নয় সরাসরি মুসল্মানিত্ব নিয়ে প্রশ্ন? কতটা বিরুদ্ধ মনোভাব পোষণ করে অন্যো মুসলমান ভাইয়ের প্রতি! ওদের বিশ্বাস ওরা ছাড়া আর সবাই ইসলাম বিনাশে লিপ্ত, তারা ঘটাবে ইসলামের পুনর্জন্ম! বিকেলে এক মনে হাটঁতেছি, এক লোক কথা বলতে আগ্রহ দেখায়, নাম জিজ্ঞেস করেই ২য় প্রশ্ন, ভাই ডেমক্রেসি বলতে কি বুঝেন? ৩য় প্রশ্ন ডেমক্রেসী আর খেলাফতের মাঝে তফাত কি? ৪র্থ প্রশ্ন, নারী নেতৃত্ব জায়েজ? ৫ম প্রশ্ন, বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠা কি চান না? প্রশ্নবাণে জর্জরিত! বললাম, ভাই এইভাবে হঠাত দেখায় মন মানুষিকতা না বুঝে আজাইরা প্রশ্ন করেন কেন? প্রশ্ন করার এই নেচার কি বনী ইসরাঈল থেকে রপ্ত করেছেন? চুপসে যায়! দাওয়াতের সিস্টেমই ভাল না, তারা করবে খেলাফত প্রতিষ্ঠা! দুই তিনজন দাড়ীয়ে থাকবে, একজন কারো সাথে কথা শুরু করবে, বাকী দুই তিন জন সাধারণ শ্রোতার ভূমিকায় প্রথমজন কে সমর্থন করে যাবে অথচ তারা একি দলের লোক। অতঃপর সবাই মিলে একজন কে ডেমক্রেসী আর খেলাফতের ক্লাস করাবে, এইভাবে সারাদিন আজাইরা ফ্যাচাল করেই যায়। মুখতো নয় যেন এক একটা বাজারের তেলাপোকা, ছাড়পোকা, ইদুর মারা এবং যৌন রোগের ঔষধ বিক্রি করা ক্যাম্বাচার! কত যে পারে বক বক করতে।
আরো কয়েক মাস থেকে অবশেষে জামিন হয়। এইবার আর রিএরেস্ট হইনি। সোজা বাড়ি। গিয়েই কুসংস্কারের কবলে পড়ি, ঘড়ে ঢোকার আগে গায়ে দুধ ঢেলে দেয়, পুকুরে নেমে গোসল করে পবিত্র হয়ে তবেই ঘরে আসি। মা বাবার সাথে কুশল বিনিময় করি, আলো আধারীতে বাবার শুকিয়ে যাওয়া মুখ চোখে ধরা পড়ে, মায়ের চোখের কোনে জল আমার চোখ এড়ায় না, তার চেয়ে বড় কথা আমায় ফিরে পেয়ে বিষন্ন মুখে সুখের আভাস মেলে। গ্রামের অনেকে আমায় দেখতে আসে। যাদের সাথে তেমন কথা হয়নি কখনো, তাদের মধ্যে এক ভাবী এসে মা কে জিজ্ঞেস করে সালাউদ্দিন কোথায়? মা বলে কলের পাড়ে, হাত মুখ ধুয়ে নিচ্ছে, শোনেই দৌড়ে যায় কলের পাড়ে, হাপাতে হাপাতে “ ভাই কেমন আছেন? কখন আসলেন? জেলে কষ্ট হয়নিতো? মারধর করেছে?” হাসব নাকি কাঁদব! এক সাথে এতো প্রশ্নের কেমন করে দেব! জেলে থাকতে ভাবতাম বাড়ি গিয়ে মাকে বলব, “ মা, তোমার জন্য অনেক কেঁদেছি। তোমার কথাই সবচাইতে বেশি মনে পড়েছে, খুব কষ্ট দিলাম তোমায় দূরে থেকে”। কিন্তু কিছুই বলা হয়নি, মা কে নিয়ে লেখা গানটিও শোনাতে পারিনি, জিব্বার জড়তায় সব না বলাই থেকে যায়। কেন এমন হয়!!!! আমাদের মা ছেলের সম্পর্কে অত আদিখ্যেতা নেই বলে হয়ত। তবে মা নিশ্চয়ই অনেক কিছুই বুঝে নিয়েছেন!
Click this link
Click this link
Click this link
Click this link
Click this link
Click this link
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৯ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুশ্চিন্তায় রাখার জন্য খুব খুব সরি! আর হা বিস্তারিত আপনার পোস্টের কমেন্ট বক্সে লিখেছি, নিশ্চয়ই এতোক্ষণে পড়ে থাকবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রথম কমেন্টটি আপনার!
ভাল থাকুন।
আপ্নাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করবেন বলে খুব আশাবাদী।
ভাল থাকুন সবসময়।
ভাল থাকুন।
পড়ে কষ্ট পেলাম খুব। কেন এমন হয় বলুন তো?
আপনার কষ্ট লাগাতে আমার কষ্ট অনেকাংশে কমে গেল।
অনেক অনেক ধন্যোবাদ ফেরারী ভাই। আপনার উপস্থিতি সবসময় ভাল লাগে, আজো ব্যাতিক্রম নয়। ভাল থাকুন।
অত্যাচারিত অবৈধ শাসকদের অত্যাচার এতো বেশি বিস্তৃত যে সত্যি লিখে শেষ করা যাবেনা। তবে লিখে শেষ করতে পারি অথবা না, সমুচিত জবাব তারা একদিন পাবেই, আর তা খুব দূরে নয়। অত্যাচারিতদের হাতেই অত্যাচারীর পতন হবে ইনশাআল্লাহ।
শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিবেন।
আপনাদের উপস্থিতি সবসময় আমাকে আনন্দ দেয়। আমার ভালথাকায় ভাললাগায় আপনাদের, বিশেষ করে আপনার অবদানের বিনিময়ে আল্লাহ নিশ্চয়ই উত্তম প্রতিদান দেবেন।
ভাল থাকুন সবসময় এই দোয়া করছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেবেন।
আমাদের মুসলিমদের অনৈক্য তাদের সুযোগ দিচ্ছে এইভাবে অত্যাচার করার। অনেক পুলিশ বলে যে তারা নাকি স্রেফ পেটের দায়ে এই কাজ করছে। কথাটা বিশ্বাস হয়না। কারন রিযক এর মালিক আল্লাহ। যাদের এতটুক বিশ্বাস নাই তাদেরকে মুসলিম মনে করার কারন নাই।
ওসি এস আই নিয়ে থাকে, তাদের বেতন খুব সামান্য নয় যে আসামীদের কাছে থেকে নিয়ে তিন বেলা অন্ন সংস্থান করবে।
এটা একটা সুযোগ, ধরে জামাত শিবির বললেই সকল জবাবদিহিতা থেকে মুক্ত।
অত্যন্ত তাতপর্য্যপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
ভাল থাকবেন ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
আমার এতো আপনাদের এতো ভালবাসা আমার মন কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠে। হয়ত আপনাদের ভালবাসা আছে বলেই আল্লাহ আপনাদের থেকে আমাকে আলাদা করেন নি। দোয়া করবেন যেন সবসময় পাশাপাশি থাকতে পারি।
আপনার চোখের পানি আল্লাহর কাছে নিশ্চয়ই অনেক প্রিয় বলে গন্য হয়েছে।
আল্লাহ আমাকে আপনাকে সবাইকে যেন উত্তম প্রতিদান দান করেন। আমিন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
এমন স্বৈরাচারী গনতন্ত্রের জন্যেই কী লাখো শহীদের আত্মত্যাগ? ভাবায় বিষয়টা!
ইসলামী আন্দোলনের অপরাধে যাদের কে আজ চরম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে,একদিন পরম সফলতায় তারাই মাথা উচুঁ করে দাড়াবে ইনশা আল্লাহ!
উপস্হাপনার নান্দনিকতায় ইসলামের প্রাথমিক অবস্হাই মনে করিয়ে দেয় যেন!
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান জানাই!!
শহীদদের আত্মত্যাগ কে যারা মর্যাদা না দিয়ে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে, তাদের পরিণতি কখনো ভাল হবেনা, তা হয় এই নশ্বর ধরাতেই নয়ত চূড়ান্ত দিনে। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর পাকড়াও থেকে তারা কখনোই বেঁচে থাকতে পারবেনা।
আর হা, আপনাকে যে ভাবায়, এই ভাবনাটাই আল্লাহর কাছে প্রিয়। কারণ অন্যায় দেখেও সবাই আপনার মত ভাবেনা অথবা মোহরাংকিত অন্তরে ভাবনা আসেনা। সুতরাং শোকরিয়া আদায় করুন আল্লাহর প্রিয়দের একজন আপনি।
ইনশাআল্লাহ নির্যাতিতরা একদিন মাথা উঁচু করে দাড়াবেই।
আমার উপস্থাপনা আপনার ভাল লেগেছে জেনে বেশ অনুভূত হচ্ছে।
আপ্নাকেও জাজাকাল্লাহু খাইর জানাই।
ধন্যোবাদ ভাই শেখ। ভাল থাকুন সবসময় এই কামনা।
হলুদ সাংবাদিকতার আড়ালে সত্য হারিয়ে যাচ্ছে! অনেক শুকরিয়া আপনার সত্য ঘটনাগুলো আমাদের জানতে দেয়ার জন্য। হাসবুনাল্লাহি নিয়মাল ওয়াকিল।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
আমি তাদের বিচার কামনা করিনা, কামনা করি তারা যেন সরল সঠিক পথে ফিরে আসে। যদিও আসার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ, তবু আশাবাদী।
আপ্নিও ভাল থাকুন সদা সর্বদা।
আমি তাদের বিচার কামনা করিনা, কামনা করি তারা যেন সরল সঠিক পথে ফিরে আসে। যদিও আসার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ, তবু আশাবাদী।
আপ্নিও ভাল থাকুন সদা সর্বদা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন