শ্লীলতাহানী এবং কিছু তিক্ত কথা

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১২ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:১৫:৪৮ সন্ধ্যা

গত কয়েক দিন ধরে একটা খবর টপ অপ দা কান্ট্রি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলে বেড়াতে এসে এক ছেলে ও দুই মেয়ে ছাত্রদের দ্বারা শ্লীলতাহানীর স্বীকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ রক্ষার্থে ছাত্রদের দাবী, মেয়ে ছেলেগুলো অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল, তাই প্রতিবাদ করায় তারা উলটা প্রতিক্রিয়া দেখালে ছাত্ররা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাস কে পবিত্র রাখতেই তাদের উপর চড়াও হয়। অন্যদিকে ভিক্টিমের দাবী, চাচা ভাতিজী মিলে বেড়াতে আসলে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদের উপর পৈশাচিক আক্রমণ করে, একজন মেয়ের জামা ছিড়ে ফেলে।তারপরের ঘটনা প্রতিক্রিয়া আপ্নারা জানেন, পকৃত ঘটনা কি? দোষী কারা সুষ্ঠু তদন্ত হলে জানা যাবে, নয়ত আরো নতুন নতুন ঘটনার ব্যপকতায় হারিয়ে যাবে আসল সত্যটি।

প্রতিনিয়ত চতুর পার্শে নানা অসামাজিক কর্মকান্ড চলে, আমরা অন্ধ নই, সবি দেখি, প্রতিবাদ করিনা। প্রতিবাদ করার জন্য যে ক্ষমতা লাগে, তা আমাদের হাতে থাকেনা বা নেই বলেই এড়িয়ে যাই। সমস্যাটা রাষ্টিয়, সামাজিক, তাই সামাজিক ভাবে তার সমাধান হবে, ব্যক্তিগত ভাবে সম্ভব নয়। গত চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিন দুপুরে সন্ধায় আলো আধারিতে যুবক যুবতীদের লীলা কীর্তন দেখেই চলেছি, বাধা দেইনি, দিতে পারিনি। অন্যায় দেখে একজন মুমিনের প্রথম কাজ হাত তথা শক্তি দ্বারা বাধা দেওয়া, এই ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই তাই বাধা দেওয়া হয়না। দুই নাম্বার কাজ মুখ দ্বারা বাধা দেওয়া, সে ক্ষমতাও আমাদের নেই, তাই প্রতিবাদ করা হয়না, সর্বশেষ কাজ অন্তর দ্বারা ঘৃণা করা, তাই করে যাচ্ছি, যা দূর্বল ইমানের পরিচায়ক।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত অনৈতিক কাজ রোধে একশন নেয়ার দায়িত্ব বিশ্ববদ্যালয় প্রশাসনের। তাদের নিয়ম আছে, আছে জনবল। তারা একশনে নামবে। আপনি ছাত্র, পড়তে এসেছেন, পড়তে থাকুন, কে দায়িত্ব দিয়েছে আপনাকে অন্যায় দূর করতে এসে মেয়ে ছেলের গায়ে হাত তুলতে? শহিদুল্লাহ হলে উচ্ছেদ অভিযান চালালে কি কার্জন হল, টী এস সি, চারুকলা, আমতলা, বটতলা, কলাভবন, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, মলচত্বর, রোকেয়া হল, সামসুন্নাহার হল গেইট, ফুলার রোড, মুহসিন হল মাঠ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে চিপা চাপায় অজশ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রী অথবা বহিরাগত যুবকযুবতীদের ঢলাঢলিতে অপবিত্র ক্যাম্পাস পবিত্র হয়ে যাবে? চারজন ছাত্রের পক্ষে কি সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী ও রমনা উদ্যানে অবাধে অবৈধ মেলামেশা আর ভাসমান পতিদাদের দৌড়াত্ম ঠেকাতে? যদি না, তবে অনেক ছাত্র মিলে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আসুন, ছাত্রের দায়িত্ব শুধু পড়াশোনা নয়, সমাজ থেকে অন্যায় দুরীভূত করা ও। বের হোন, যারা ক্যাম্পাস কে অপবিত্র করছে, তাদের আচ্ছামত ধোলাই দেই।

কিন্তু বাস্তবতা কি বলে? আসলেই কি ছাত্ররা ক্যাম্পাস পবিত্র করার মিশনে নামে? গত চার বছরের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয় । যখন যারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অসামাজিক কার্যকলয়াপে রোধে অভিযান চালিয়েছে, নোঙরামি বন্ধ করতে গিয়ে নিজেরাই নোংরামিতে জড়িয়ে পড়েছে। প্রেমিকযুগল কে ধরে ছেলেটাকে চড় থাপ্পর মেরে আধ্মরা করে মেয়েটির শ্লীলতাহানীর প্রতিযোগিতায় নেমেছে, যদিও বয় ফ্রেন্ডের হাতে আগেই ঘেষাঘেষিতে শ্লীলতার কিছু অবশিষ্ট নেই। তারপর মোবাইল মানিব্যাগ, টাকা পয়সা উচ্ছেদ অভিযানে গাইয়েব হয়েছে। এটা সবাই জানে, একি লোক প্রতিদিন একি জায়গা আসবেনা, নতুন নতুন লোক আসে, একবার একজনে মার খেয়ে হয়ত সেই জায়গাতে আর আসবেনা, কিন্তু নতুন লোক ঠিকি এসে বসবে। একদিন যদি কার্জন হলে মার খায়, পরের দিন দিন মলচত্বরে এসে বসবে। কারণ যৌনতা যার নেশা এবং পেশা, দু চারটা চড় থাপ্পর কি আর তাকে দমিয়ে রাখতে পারে? উচ্ছেদ অভিযানকারীরা রক্ষক হয়ে নরম গরম বেশরম মেয়েদের দেখে ভক্ষক বনে যায়। প্রেমিক বেচারা মার খায়, আবার তার সাম্নেই প্রেমিকের উপর কালো কালো হাতের দলাই মলাই দেখেও কাপুরুষের ভূমিকায় থাকায় প্রেমিকাও হারায়।

এইবার আসি দর্শনার্থীদের কথায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখার আগ্রহ সবারি কম বেশি হয়। আমারও হয়েছিলদ ভর্তি হওয়ার আগে, ছবিতে দেখে বলতাম, ইস একবার যদি অপরাজেও বাংলার পাদদেশে বসতে পারতাম, আল্লাহ ইচ্ছে কবুল করেছেন। তাছাড়া পাশে বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরী, তিন নেতার মাজার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যেখানে ৭ই মার্চের ভাষণ দেয়া হয়, রমনা উদ্যান অবস্থিত হওয়াতে এই এলাকাতে দর্শনার্থীদের চাপ একটু বেশি থাকে। কেও দর্শন করতে আসে, আবার কেও দর্শনের নামে বেলেল্লাপনা করতে, যারা ভুলে যায়, এটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোটানিকাল গার্ডেন, বলদা গার্ডেন অথবা রাতের চন্দ্রিমা উদ্যান নয়, এটা আদব শেখার জায়গা, বেয়াদবীর জায়গা নয়। যদিও পরিবেশটা অয়াশালীন কার্যকলাপের জন্য এক শ্রেণীর লোকের কাছে উর্বর স্থানে পরিনত হয়েছে। কে বহিরাগত আর কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী আলো আধারিতে বুঝা মুশকিল হয়ে পড়ে, তাই বহিরাগতদের পাশাপাশি এখান কার ছাত্র ছাত্রীদেরকেও নিজেদের সহপাঠিদের হাতে উত্তম মধ্যম খেতে হয়, লজ্জা!।

দর্শন করবেন, করেন, সবার জন্যই এই ক্যাম্পাস উন্মুক্ত। ঢলাঢলি কেন করা? বয়ফ্রেন্ড সারা অংগে লেহন করলেও ইজ্জত যায়না, শ্লীলতাহানী হয়না, বিয়ের আগেই যার কোন অধিকার নেই প্রেমীকার শরীরে টাস করা, লেহনতো দূরের কথা। অথচ ছাত্ররা উড়না ধরে টান মারলে, একটু জামা ছিড়ে ফেললে শ্লীলতাহানী, সম্ভ্রমহানী হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরবে ভাল কথা, ছেলেদের হলে কেন? ওটাতো থাকার জায়গা। অনেক ছেলে মেয়ে যখন এই বয়সে বিয়ে করে সন্তানের বাবা মা, তখন তাদেরই বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেরা যৌবন জোয়ারে শরীর টাডাইয়ে থাকে বলে অস্থির দিবা নিদ্রা যাপন করে, যাদের গার্ল ফ্রেন্ড আছে, তারাতো তাকে দিয়ে জ্বালা মিটীয়ে নেয়, আর যাদের নেই তারা দাঁতে দাঁত চেপে কঠিন অন্বেষণ করে। কিন্তু কতক্ষণ? ক্যাম্পাসে বের হলেই ডানে বামে অর্থাৎ পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ঘেষাঘেষিতে ব্যাস্ত কপোত কপোতিদের উদ্যাম আদিমতা দেখে ধৈর্যের বাধ যে ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়।

সইতে না পেরে ঝাপিড়ে পড়ে, মেরে ছিড়ে কেড়ে তবেই ক্ষান্ত হয়। কিন্তু তারা যা করছে এটাও অন্যায়। অন্যায়টা কেন করে আমরা একবারো তা ক্ষতিয়ে দেখি? শুধু দেখি ছাত্রের হাতে নারীর শ্লীলতাহানী! আমি তাদের কাজের বৈধতা দিচ্ছিনা, কারণ তারা যা করছে অন্যায়। অন্যায় দিয়ে অন্যায় দূরীভূত করা যায়না। অন্যায় পন্থায় অনেক উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে, অন্যায় কমেনি বরং আরো বিস্তার লাভ করেছে। মুষ্টীমেয় কজন ছাত্র দ্বারাই অভিযান পরিচালিত হয়, সঙ্ঘ বদ্ধভাবে নয় অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তিপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনবল দ্বারাও নয়। কোন অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেন না, তারাই ভাল জানেন। আর কিছু অতি উতসাহী ছাত্র ছাত্রী পাওয়ারলেস অবস্থান থেকে অথবা দলীয় পাওয়ার নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নায়ক থেকে হয়ে যায় খল নায়ক।

মনে প্রাণে আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমস্ত অন্যায় অসামাজিক কাজ কর্ম, ছেলেমেয়েদের অবৈধভাবে অন্তরংভাবে মেলামেশা দূর হবে, তার জন্য প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া, প্রক্টরিয়াল বডিকে আনবায়াজড হয়ে কাজ করা, অপকর্মে লিপ্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া। ১০-১২ জন ছাত্রের পক্ষে হয়ত একটা অংশে অন্যায় মোকাবিলা সম্ভব, পুরো ক্যাম্পাসে সম্ভব নয়। অনেক ছাত্র মিলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কেবল সম্ভব। তবে অনেক বড় বাধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়, কারণ ক্যাম্পাসটা একটা গোষ্ঠী মগের মুল্লুকে পরিণত করে রেখেছে। আর অভিযানকারীদের রক্ষক হয়ে ভক্ষক বনে যাওয়ার প্রবণোতা মন থেকে একেবারেই দূর করতে হবে। দর্শনার্থীদের নোংরা ইচ্ছে পরিহার করা সবার আগে জরুরী। অসামাজিক কাজে ধরে পড়ে ধোলাই খেয়ে যে সম্মান খোয়া যায়, মানববন্ধন, মিছিল মিটীং আর আর হলুদ মিডীয়ার কল্যাণে সারা দেশ কে জানালে সে সম্মান ফিরে আসবেনা। সো সতর্ক হোন।

বিষয়: বিবিধ

১৯৯৩ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

283657
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসছালাম......... শ্রদ্ধেয় গাজী সালাউদ্দিন ভাইয়া। আপনার লিখার মান এবং চিন্তা মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করে। লিখার জগতে আপনার সৃজনশীল উপস্থিতি সবসময়ই কাম্য। জাজাকাল্লাহু খাইর।
১৩ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৭
227040
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম।
শ্রদ্ধেয় সন্ধ্যা আপু আপনি কিন্তু আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিলেন!!!!! মানহীন লিখাকে মানের সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন, মান ধরে রাখতে পারব কি? ইন শাআল্লাহ চেষ্টা করে হৃদয় স্পর্শ করা উপহার দিয়ে যেতে, তার জন্যো ভাইয়া আপুদের দোয়া পাশে থাকা চাই।
সৃজনশীল জগতে আমার উপস্থিতি আল্লাহ চাহেত থাকবে, যদি আপনার ও সঙ্গ দিয়ে যান, নচেত একদিন কালের গর্ভে হারিয়ে যাব।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
283659
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়ার অপরাধের ছাত্রিদের বহিস্কার করা হয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেউ কি আর বিশ্বাস করে?
আল মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডাকাতদের গ্রাম বলে ছিলেন। সেই নিয়ে মিছিল এর ডাক দিয়েও আগের রাতে হল থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার কারনে হয়নি মিছিল টি।
১৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
227042
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এই বিশ্ববিদ্যালয় খারাপ বলে শুধু বদনাম করে কোন কল্যাণ বয়ে আনবেনা। বরং ডাকাতদের মাঝে ঢুকে আমাদের অবস্থান ধীরে ধীরে সুসংহত করতে হবে। অর্থাত ভর্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতার দৌড়ে আমাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। দেশের সেরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে নাস্তিক ডাকাতদলের হাতে তুলে দিতে পারিনা!
ধন্যোবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
283661
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৪
রিদওয়ান বিন ফয়েজ লিখেছেন : আপনার এই হক কথা গুলো অনেকের নিকটই তিতা লাগবে! আমার ও এই তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। চবি তে ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত, এই তিক্ত অভিজ্ঞতা পার করে এসেছি।
ধন্যবাদ, ভালো লাগা রেখে গেলাম।
১৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৬
227043
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জেনে অনেক খুশি হলাম আমাদের অভিজ্ঞতা একি সূত্রে গাঁথা। আপনার চবিতে আমি গিয়েচগিলাম এবং চান্স ও পেয়েছিলাম, কিন্তু ঢা বিতে হয়ে যাওয়ার কারণে আর যাইনি, অবশ্য দেশের বাড়ি কুমিল্লা হওয়াতে তা আমার সেকেন্ড চয়েজ ছিল।
আমাদের এখান কার মত এতো বেশি নোংরামী সেখানে চোখে পড়েনি, হয়ত আপ্নারা ভাল অবস্থান আছে বলেই।
আপ্নাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাললাগা আপন করে নিলাম।
283672
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
ফেরারী মন লিখেছেন : যতদিন জয় বাংলা থাকবে ততদিন এসব নোংরামি থাকবে কিছুই করার নেই।
১৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
227044
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : হুম ফেরারী ভাই, একদম ঠিক বলেছেন। অবশ্য এতো জোর দিয়ে বলতে পেরেছেন, আপনার সাক্ষাত অভিজ্ঞতা আছে বলেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। বেশ কিছু ছিলেন না! কিন্তু কেন? নামের স্বার্থকতা বজায়ে রাখার জন্য কি মাঝে মাঝে পালিয়ে বেড়ান?
ভাল থাকবেন আর ভালও রাখবেন।
১৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৪
227046
ফেরারী মন লিখেছেন : Big Grin Big Grin Big Grin Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone
283708
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৫
আফরা লিখেছেন : অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট ।জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ।
১৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১০
227045
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জেনে ভাল লাগল লিখাটি আপনার কাছে গুরুত্ব পেয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্বটাও বাড়িয়ে দিলেন।
ধন্যোবাদ আফরা।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
283713
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩০
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : এই বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন বিচি আছে। বিশ্ববিদ্যালইয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে অযোগ্য, অথর্ব, চামচা, চাতুকার,নির্লজ্জ,মেরুদণ্ডহীন প্রাণীটি বিশ্ববিদ্যালইয়ের ভিসি। এই রকম মানের একজন যদি বিচি( কাঁঠালের বিচি না কিন্তু)হয়, তবে এইসব ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি । অনেক ধন্যবাদ
১৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৬
227047
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জী লজিক্যাল ভাই আপনার কথায় লজিক আছে।
তাকে দেয়া আপনার উপাধীগুলো তার সঙ্গে খুব মানিয়েছে। যতদিন এই ননীর পুতুল থাকবে, ততদিন নোংরামী চলবে।
আপনার ভাললাগাই আমার ভাল থাকা।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৫২
227209
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : হুম !গাজী ভাই। তারে আনডা থেরাপি দেওয়া খুব মনচায় । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । একটু অসুস্, দোয়া করবেন । আর আল্লাহতায়ালা আপনাকে এই রকম ভালো ভালো লেখা পোষ্ট করার তাওফিক দিন।আপনি ও ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আমিন।
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৫৪
227210
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : হুম !গাজী ভাই। তারে আনডা থেরাপি দেওয়া খুব মনচায় । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আমি একটু অসুস্থ , দোয়া করবেন। আর আল্লাহতায়ালা আপনাকে এই রকম ভালো ভালো লেখা পোষ্ট করার তাওফিক দিন।আপনি ও ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আমিন।
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
227523
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আন্ডা থেরাপী দিলে তার কিছু হবে বলে মনে হয়না, যেভাবে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকে!
কাতু কুতু থেরাপি দিতে হবে।
আপ্নাকেও অনেক ধন্যোবাদ লজিক ভাই। আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া রইল।
আপনার দোয়া পাশে থাকলে ভাল লিখা পোস্ট করা কঠিন হলেও অসম্ভব হবেনা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
283762
১৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৫৮
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ঘটনাসমূহের পেছনের কারনের চুলচেরা বিশ্লেষণ সহ দেয়া পোস্ট এর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এভাবে সবাইকে প্রতিবাদসহ প্রতিরোধে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তবে অাসল কথা হলো, যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্মভীরু নামাজী কালামীদের বের করে দেয়া হয় প্রশাসনেরই সহযোগিতায়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে, এখানে এখন শয়তানেরই রাজত্ব চলছে। তাই শয়তান তাড়ানোর ওষধ (ইসলামী শিক্ষার প্রবর্তন) ছাড়া এই রোগ সারানোর দ্বিতীয় কোন পন্থা আমার নজরে আসছে না।
১৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
227048
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপ্নাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ। সত্যি সবাইকে প্রতিবাদে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
যথার্থই বলেছেন এখানে এখন শয়তানের রাজত্ব চলছে।
আর এটাতো অবশ্যই ইসলামী শিক্ষার প্রবর্তন ছাড়া এই রোগ সারানোর দ্বিতীয় কোন পন্থা আমারো নজরে পড়েনা, সাময়ীকের জন্যো অন্য কোন পন্থা কাজে দিলেও স্থায়ী পরিবর্তন আসবেনা।
অনেক ধন্যোবাদ ইবনে হাসেম ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
283803
১৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫০
হতভাগা লিখেছেন : বাস্তবতা হল :

বাংলাদেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার ক্যাম্পাস হল ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশার তীর্থস্থান ।
এসব অবৈধ মেলামেশার ফলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ হবেই ।

কথিত চাচা-ভাতিজিকে যারা অসামাজিক কাজে দায়ী করে মারধোর করেছে , ক্যাম্পাস তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্রতা রক্ষার নাম করে - ঢাবি কি আসলে এখন আর সেই পুত-পবিত্র জায়গা আছে বা এখানে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ হয়ই না ?

চাচা-ভাতিজির উদ্দেশ্যও ভাল ছিল না , ভাল ছিল না ছাত্রগুলোরও ।

কারণ , ঢাবি চাচা শুধু তার ভাতিজিকে নিয়ে বেড়াতে আসার জায়গা নয় । আর মারধোর করে মেয়েটির পোশাক ছেঁড়ায় শুধু যে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য করা হয়েছে তাও নয় ।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থার্ট ফার্স্ট , ভ্যালেন্টাইন্স ডে সহ বিভিন্ন দিবসে জুটিতে জুটিতে কি হয় তা কি ছাত্ররা ও চাচা-ভাতিজিরা জানে না ?

বনে সিংহ ও হায়েনার শিকার নিয়ে কাড়াকাড়ি এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পানি-ভাত মার্কা ব্যাপার।
১৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
227049
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার সবগুলো কথায় একবাক্যে ঐক্যমত পোষণ করছি কারণ আপনার কথাগুলো আমার লিখারি বর্ধিত রুপ, যা লিখার সৌন্দয্য অনেক গুন বাড়িয়েছে।
আপনার মন্তব্য সবসময়ই উচিত কথার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে আজো তার ব্যতিক্রম নয়।
অনেক ধন্যোবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
284007
১৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪০
সত্যের ডাক লিখেছেন : অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট ।জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ।
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:২৯
227516
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার কাছে লিখাটির গুরুত্ব পেয়েছে জেনে খুব ভাল লাগল।
জাজাকাল্লাহু খাইর। ভাল থাকুন ভাল রাখুন সত্যের ডাক।
১০
284015
১৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৯
udash kobi লিখেছেন : ভালো লাগলো
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৩০
227517
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : শোনে প্রীত হইলাম।
ভাল থাকুন ভাল রাখুন।
১১
284105
১৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:০০
এবেলা ওবেলা লিখেছেন : আপনি যেভাবে লেখাটি প্রকাশ করলেন -- কি বলব ভাবছি--- চালিয়ে যান সমাজ পরিবর্তনের জন্য আপনার এই লেখনি শক্তি---
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৪
227519
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার ভাল লাগা বুঝে নিতে সক্ষম হলাম। আপনার দোয়া এবং ভালবাসা, সঙ্গ দেয়া আমাকে আমার লেখনি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে আশা করি।
ভাললাগায়ভরা সুন্দর মন্তব্যের জন্য স্পেইশাল ধন্যবাদ এবেলা ওবেলা কাল বেলা।
১২
288022
২৫ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৩
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : খুব সুন্দর লিখা ,পড়ে ভালো লাগলো
২১ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৩
304157
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মূল্যায়নের জন্যো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File