প্রত্যাবর্তণ

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:২২:৫২ সন্ধ্যা

সালেহীন তার ফেইক আইডি থেকে রেহনুমা নামে এক মেয়েকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। ফ্রোফাইলে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের কিছু ছবি ছাড়া আর বিস্তারিত কিছু দেয়া নেই। রেহনুমা বন্ধু হিসেবে গ্রহণকরে নেয়। প্রথম দিকে হায় হেলো এই পর্যন্তই। সালেহীন আলাপ করতে চাইলেও সে এড়িয়ে যায়। বেশ কিছু দিন পর, পহেলা ফাল্গুনের সকাল বেলায় ফেসবুক লগিন করে দেখতে পায় রেহনুমা শুভেচ্ছা জানিয়েছে। রিপ্লাইতে সেও শুভেচ্ছা জানায়। আলাপচারিতার শুরু-

সালেহীনঃ আমাকে আপনার সম্পর্কে বলুন, যদি আপত্তি না থাকে।

রেহনুমাঃ আপত্তি কেন থাকবে! শোনুন তাহলে। আমি ছোটখাট একটা সরকারী চাকুরী করি, পাশাপাশি জেলা শহরে ডিগ্রি শেষ করে ঢাকার একটি কলেজে বাংলা মাস্টার্স করছি। আর আমি বিবাহিত, দুই সন্তানের জননী। স্বামী প্রবাসে থাকেন। এইতো। আপনার সম্পর্কে বলুন।

সালেহীনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স করছি।

দেশের বাড়ী, বর্তমান ঠিকানাসহ আরো নানা বিষয়ে আলাপ হয়। হঠাত রেহনুমা বলে বসে, “আচ্ছা আমরা যে কথা বলছি, তা কি ঠিক্ হচ্ছে? আমার স্বামী আছে,। তাছাড়া ইসলামে কি জায়েজ আছে এইভাবে কথা বলা?

সালেহীনঃ কিছুক্ষণ চুপ থেকে হুম, জায়েজ নেই।আপ্নার জন্যো আমি বেগানা চলি আল্লাহ হাফেজ।

রেহনুমাঃ এই দাঁড়ান। আমার কথায় কষ্ট নিবেন না। সরি! আপনার সাথে কথা বলতে বেশ লাগছে। অনেক গুছিয়ে কলা করে কথা বলেন। মাঝে মধ্যে আলাপ করতে আপত্তি আছে কি?

সালেহীনঃ ওকে ফাইন, তাই হবে। আজ চলি তবে।

এইভাবে প্রায় কথা হয়। জায়েজ নাজায়েজের বিষয়টি গৌন হতে থাকে। ভাললাগাই প্রাধান্য পায়। দূর্বলতা ক্রমঃশ বাড়তে থাকে।

অন্যো একদিন। সালেহীনঃ কোথায় ছিলেন এতোক্ষণ? প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে?

রেহনুমাঃ আপনিতো মানুষ সুবিধের নয়, আমার সাথে নোংরা কথা বলছেন!

সালেহীনঃ সরি বলেই চুপ……

রেহনুমাঃ হেলো হেলো হেলো। আচ্ছা বাবা ঠিক আছে আমিই সরি! আর মাইন্ড করবনা, যা ইচ্ছে বলবেন।

সালেহীনঃ আমাদের মনে হয় পরস্পরকে তুমি করে সম্বোধন করা দরকার, কেমন দূর দূর লাগছে।

রেহনুমাঃ তবে তাই হোক। আচ্ছা আমার আইডি পাসওয়ার্ডতো স্বামী জানেন। তিনি কি আমাদের কথা বার্তা দেখে ফেলবেন?

সালেহীনের মাথা নষ্ট! বোকা সোকা মেয়েটা বলে কি! এতোদিন পর বলে স্বামী পাসওয়ার্ড জানে! সালেহীন এতোঃমধ্যে জেনেছে, রেহনুমার স্বামী নাকি তার পেছনে গোয়েন্দাগিরী করে। অনেক বকা ঝকা করে আরেক টি নতুন আইডি খুলে দেয়ার কথা বলে সেদি বিদায় নেয়। কিন্তু রাতে ভাবে, নতুন আইডি খুলে ইনবক্সে আইডি পাসওয়ার্ড দিলে যে এটাও স্বামী পেয়ে যাবে। অনেক ভেবে চিন্তে রেহনুমাকে আনফ্রেন্ড করে দেয়।

এক মাস পর রেহ নুমা নামে একটা রেকোয়েস্ট এবং মেসেজ আসে। নতুন আইডি, অফিসের কল্গ কে দিয়ে খুলিয়েছে। ইনবক্সে-

রেহনুমাঃ সেদিন রাগ করে চলে গেলেন, খুব কষ্ট পেয়েছি। অনেক খুজেছি কিন্তু পাইনি। অতঃপর পেলাম আর রিকোয়েস্ট পাঠালাম প্লিজ গ্রহণ করে নিন।

আবার শুরু নতুন উদ্যমে। ইনবক্সে ছবি, মোবাইল নাম্বার বিনিময়। সালেহীনের কলা করে কথা বলা রেহনুমাকে দেওওয়ানা বানিয়ে দেয়। সকাল বিকেল সন্ধ্যা মধ্যরাত গাড়িতে অফিসে কান থেকে মোবাইল সরে না। ধ্যান জ্ঞান এখন সব সালেহীন কে ঘিরে। ভুলে যায় তার স্বামী সন্তান বর্তমান রয়েছে, ভুলে যায় বয়সের ব্যবধান। সালেহীন ও ভুলে অন্যের স্ত্রীর সাথে রসালাপ তার জন্য পাপ। একদিন গভীর রাতে-

সালেহীনঃ ভাবতেই খারাপ লাগে। এতো ভালবাসা যে তোমাকে দিচ্ছি, বিনিময়ে কি পাব? শেষ্পর্যন্ত স্বামীর কাছেই ফিরে যাবে, না মানুষিক না দৈহিক, কোন চাহিদাই আমার পুরণ হবেনা। আর মাত্র ৫দিন, তোমার স্বামী বিদেশ থেকে আসলেই তার কোলে মাথা পেতে বুকে তাকে রেখে জনমের তরে আমায় ভুলে যাবে।

রেহনুমা; এইভাবে বলনা। দিনে একবারো স্বামীর কথা মনে আসেনা। আমিও বুঝে উঠতে পারছিনা কি করব। এই দেহ মন তোমায় দিতে আমিও যে উদ্গ্রীব হয়ে আছি। কিন্তু…… আচ্ছা, শোন, আমিই তোমার চাহিদা পূরণ করব, একদম মন খারাপ করবেনা!

সালেহীনের কানে কথাটি বারবার প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। আবেগের তাড়নায় আর ঘটনার আকস্মিকতায় খুশিতে কান্ডজ্ঞান লোপ পেতে থাকে। এইবার সরাসরি দেখাও করে, ঘন্টার পর ঘন্টা চোখে চোখ রেখে নীরব শ্রোতা হয়ে সালেহীনের সামনে মন্ত্র মুগ্ধের মত বসে থাকে।মায়াভরা চোখে রেহনুমার নির্বাক তাকিয়ে থাকা অন্যরকম ভাললাগায় সালেহীন কে আবিষ্ট করে রাখে। ৫ দিন অতিবাহিত হল, সালেহীন বিকের গভীরে খুব ব্যথা অনুভব করে, ভাবে রেহনুমা আর কারো নয়, একান্তই তার। আজ রাতেই কিনা অন্যো একটা পুরুষ তার প্রেয়সীর সাথে মিলিত, অপদার্থ স্বামী আসার আর সময় পেলনা! ঘুমাতে পারেনা, অস্থির পায়সারী করে, চোখে জ্বালা ধরে আসে, বারবার ঘড়ির দিকে তাকায় সময় যায়না। কম্পিউটার খুলে বসে, নাটক, মুভি কিছুই আজ ভাল লাগেনা। চোখে ভেসে উঠে স্বামীর সাথে রেহনুমার বাধ ভাঙ্গা আনন্দ জোয়ারে ভেসে যাওয়া। দেয়ালে মাথা ঠুকে, বিষাদে বিষিয়ে উঠে শরীর মন। খুব সকালে রেহনুমার ফোন আসে।

রেহনুমাঃ কেমন আছ কি করছ?

সালেহীনঃ হুম ভাল, খুব খুশি? অনেক মজা করলে স্বামীর সাথে? আমাকে একবারো মনে পড়েনি তাইনা?

রেহনুমা; একদম্ম সত্যি নয়। অন্যান্যোবার সে আসলে যেমন প্রথমটায় লজ্জা, তারপর উচ্ছল আনন্দ প্রাণবন্ততায় মেতে উঠতাম, কাল তার ছিটেফোটাও হয়নি। তোমাকে কল্পনা করেই রাত কেটেছে। তার মাঝেই তোমাকে খুজে নিয়েছি। তার ডাকে মোটেও ভালভাবে রেস্পন্স করতে পারিনি।

স্বামীকে আগের মত ভাল লাগেনা রেহনুমার। স্বামীকে ঘুমে রেখে বারান্দায় চুপি চুপি কখনো বাথ্রুমে চাপাস্বরে সালেহীনের সাথে ফোনালাপ চলতেই থাকে। ঘর থেকে বের হলেই যেন মুক্তি। রাস্তায় গাড়িতে অফিসে সারাক্ষণ কথা বলে যায় সালেহীনের সাথে। স্বামী বেচারা ওয়েটিং পেয়ে কঠিন জ্বলনে জ্বলতে থাকে। স্বামী কিছু বুঝেনা তা নয়। আঁচ করতে পেরেছে। কিছু একটা গন্ডগোল পেকেছে। একদিন জিজ্ঞেস করে-

স্বামীঃ তুমি বদলে গেছ, আমাকে আগের মত রেসপন্স করনা, দুষ্টমি করতে গেলে তোমার অনাগ্রহ আমাকে আহত করে। বাচ্ছাদের প্রতিও কারণে অকারণে বাজে ব্যবহার কর। অসুখ করেনিতো বা অন্য কিছু?

রেহনুমাঃ সারাদিন অফিস করি, ক্লান্ত শরীর, তাছাড়া বয়সতো কম হয়নি! বিয়ের প্রথম দিকের দিন রাত্রি আর কি আর সবসময় ফিরে পাওয়া যাবে! এইসবই কারণ, আর কিছুনা।

তারপর গতিবিধি লক্ষ করে, অবঃশেষে ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সব গোমড় জেনে যায়। মাথাতো ঘুরতে থাকে। ভেবে কুল পায়না, তার এমন সহজ সরল বউটার ইনবক্স জুড়ে এইসব কি!!! এতো দূর চলে গেছে! সালেহীন সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নেয়। প্রথমটায় রেহনুমা অস্বীকার করে। সব প্রমাণাদি সামনে উপস্থাপন করলে তবেই স্বীকার করে।

স্বামীঃ আমি তোমাকে ফেসবুক আইডি খুলে দিয়েছি সরল বিশ্বাসে এই জন্য যে, দূরে থাকি, এর মাধ্যমে যেন তোমার টাসে থাকতে পারি। তুমি পারতেনা, আমিই শিখিয়েছি, বিশ্বাস করেছি, জানতাম তুমি খুব সহজ সরল। আমার অবর্তমানে আমার সাথে ছীট করবেনা। আজ আমার সেই লাজুক সলর বউটি আর তুমি নেই। খুব চালাক হয়েছ, চালাক হওয়া দোষের কিছু নয়, কিন্তু যে পরিমাণ চালাক হয়েছে, তাতে ঘুম হারাম করে দিলে! ওকে, সালেহীন সম্পর্কে আমাকে বল, তার সাথে কি কি করেছ?

রেহনুমাঃ সে অনেক ভাল ছেলে। হা এটা ঠিক যে আমার সাথে কথা বলাটা অন্যায় ঘোরতর পাপ হয়েছে। তবু মানুষ হিসেবে সে খারাপ নয়। আমিই তার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ি। একবার চলে যাবার পর আমিই তাকে ফিরিয়ে আনি। দুজনেই জানতাম কাজটা উচিত হচ্ছেনা, কিন্তু আবেগবশত ভুলটা করে বসি। সে পারত তোমার বউকে নষ্ট বানাতে। অফুরন্ত সুযোগ ছিল। খারাপ ভাবে মিলিত তার ডাক উপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলনা। কিন্তু না, সে ডাকেনি। হা এটা ঠিক যে আম্রা অনেকবার দেখা করেছি, একবারের জন্যো আমাকে ছুয়ে দেখেনি। সে চাইলে ছুয়ে দেখা কেন আরো অনেক কিছুই করতে পারত। কিছুই করেনি। কেন করেনি জানো? তোমার কাছে আমাকে পবিত্র রাখার জন্য। আবেগের বশত আমার সাথে মিশেছে, ভুল করেছে কিন্তু আমার সংসার ভাংতে রাজী নয়। সে বিদায় নিয়েছে আমার কাছ থেকে, কি বলে বিদায় নিয়েছে শোন-

“ আমার কারণে যদি তোমার স্বামী তোমার উপর কোন কঠিন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়, আমি খুব ব্যথা পাব। তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নাও, সমস্ত ভুল স্বীকার করে নাও। তোমার কল্যাণের কথা ভেবেই তোমার জীবন থেকে চলে যাচ্ছি, বিদায় বেলায় খারাপ লাগছেনা এই জন্য যে স্বামীর ভালবাসার মর্যাদা রাখতেই আমাকে বিদায় জানাচ্ছ, শ্রদ্ধাভরেই স্মরণ রাখব। আল্লাহ হাফেজ”।

আলহামদুলিল্লাহ, আরো জঘন্য যাওয়ার আগেই আল্লাহর অশেষ কৃপায় তার ভাল মানুষির কারণে তোমার কাছে সম্পূর্ণভাবে ধরা দিলাম। প্লিজ তার কোন ক্ষতি করতে যেওনা। দোষ বেশি আমারি ছিল, শাস্তিটা আমাকে দাও।

চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে স্বামীর মাথা ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করে আর কখনো এমন করবেনা। ভবিষ্যতে এমন কিছু করলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে এই শর্তে রেহনুমা স্বামীর কাছ থেকে ক্ষমা পায়।

রেহনুমা আর সালেহীনের যার যার জায়গায় ফিরে আসায় জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বিষয়: বিবিধ

১৫৫২ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

282734
১০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০২:০৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো।
১০ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
226263
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার ভাললাগায় আমার ভাললাগা ভাল থাকা। ধন্যবাদ আপনাকেও। ভাল থাকুন ভাল রাখুন।
282743
১০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৪২
আফরা লিখেছেন : একটা বাস্তব গল্প । প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে এসব অনাচার তত বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

রেহনুমা আর সালেহীনের যার যার জায়গায় ফিরে আসায় ভাল লাগল ।
১০ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩২
226265
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : একদম ঠিক বলেছেন গল্পটি বাস্তব!
প্রযুক্তি যে আমাদের জন্য আশীর্বাদ, তার সদ্বব্যবহারের দিকে আমাদের মনোযোগী হতেই হবে অনাচার রোধের জন্য।
ভাল থাকুন, ভাল রাখুন আর হা সুন্দর মন্তব্যের জন্যো ধন্যবাদ।
282784
১০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৫৬
কাহাফ লিখেছেন :
প্রযুক্তির অপব্যবহার সমাজে-সংসারে কতটা ভয়াবহ পরিস্হিতি সৃষ্টি করতে পারে তা সুন্দর ভাবে গপে ফুটে উঠেছে! এ থেকে উত্তরণের পথও নান্দনিকতায় বর্ণিত হয়েছে!
অনেক অনেক ধন্যবাদ বাস্তবিক এমন গল্পের জন্য!!! Rose Rose Rose
১০ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
226266
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার মন্তব্যগুলো সবসময় আমাকে বাড়তি প্রেরণা দেয়, যা আমার লিখার হাতকে সচল রাখতে সহায়তা করে।
সঙ্গেই আছেন, যাবেন না কখনো, সঙ্গেই থাকুন এই আকুতি আপনার কাছে।
ভাল থাকুন ভাল রাখুন, সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:৪৮
226378
কাহাফ লিখেছেন :
আবারো ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় গাজী সালাহউদ্দিন ভাই!
আপনাদের থেকে কিছু শেখার আশায় আমি এখানে আছি! কথা দিচ্ছি-সাথে সাথে না চলতে পারলেও আপনাদের পিছু চলার এই প্রচেষ্টা ছালিয়েই যাব ইনশা আল্লাহ!
অনেক ভাল থাকার দোয়া রইলো......।Good Luck Good Luck Good Luck
282797
১০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:২৪
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : উফ্‌ বাঁচালেন!এখন তো চারদিকে শুধু পরকীয়া আর আত্মহত্যার ঘটনা শুনতে হয়।
১০ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৮
226268
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমি নই, আল্লাহ বাঁচিয়েছেন একটা নিশ্চিত ব্যভিচারের হাত থেকে।
হতাষ হবেন না, এ নতুন কিছু নয়, তবে ধরণটা আগের তুলনায় খুবি ভয়ানক। অন্যের দু চারটা মিষ্টি কথায় একজন কে ছেড়ে আরেক জনের কাছে খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে, এটাই খুব বেশি ভাবায়।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন ভাল রাখুন
282853
১০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০৪
ইয়াফি লিখেছেন : চমত্কার! চৈতন্য উদয়ে কাজ করবে।
১০ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৯
226269
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এখানেই লেখকের লিখার স্বার্থকতা। তাই যেন হয় ইয়াফি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন ভাল রাখুন
283290
১১ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫২
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : মানুষের ইচ্ছা শক্তির বিচার হবে পরকালে। এই ইচ্ছা শক্তির একটা স্বাধীনতা দিয়েছেন আমাদের মহান আল্রাহ। প্রবাসীদের জন্য সতর্কবাণী। ধন্যবাদ।
১২ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
226802
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অনেক মাহাত্মপূর্ণ মন্তব্য। প্রবাসীদের জন্য সতর্কবাণী কাজে দিলেই আমার লিখার স্বার্থকতা। জাজাকাল্লাহু খাইর। ভাল থাকুন ভাল রাখুন এই কামনা।
283454
১২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:১৮
সবুজেরসিড়ি লিখেছেন : প্রযুক্তি উদ্ভাবন মানব কল্যানের জন্য তা যদি অপব্যাবহার করা হয় এটার জন্য মানুষই দায়ী থাকবে . . .
১২ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩০
226803
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ঠিক বলেছেন, প্রযুক্তির দ্বারা অন্যায় হয় বলে প্রযুক্তি থেকে দূরে চলে যাওয়া কোন সমাধান নয়।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুনভাল রাখুন।
283613
১২ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪২
হতভাগা লিখেছেন : এই গল্প থেকে প্রবাসী ভাইয়েরা অনেক কিছু শিখতে পারবেন ।
১২ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩১
226805
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : শিখতে পারলেই আমার লিখা স্বার্থকতা খুঁজে পাবে। অনেক ধন্যবাদ হতভাগা ভাই।
ভাল থাকুন ভাল রাখুন।
283965
১৩ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী লিখেছেন : প্রযুক্তির অপব্যবহারে দিন দিন কত খারাপ কিছু ঘটে যাচ্ছে! তবুও ভাল যে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে গেছে নিজ নিজ ভুবনে! কিন্তু সচরাচর ভুল স্বীকার করে কেউ ফিরে না!
১৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০১
227125
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ঠিকি বলেছেন আশার বাণী হচ্ছে কেও কেও ফিরে আসছে। তবে ভুল স্বীকার করে কেও ফিরে না আসলে পরিণতি যে কখনো ভাল হয়না আপু! একুল ওকুল দুই কুল হারিয়ে মহাসমূদ্রে হাবুডুবু খেতে খেতেই জীবন পার হয়।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা।
১০
284006
১৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৯
সত্যের ডাক লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো।
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৬
227520
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপ্নাকেও ধন্যোবাদ।
১১
288028
২৫ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৭
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : খুব সুন্দর লিখা ,পড়ে ভালো লাগলো
২১ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৬
304158
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ভাললাগা অব্যাহত রাখুন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File