স্কার্টে স্টাইলিশ
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ৩০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:০০:৩২ সন্ধ্যা
ভাললাগাই কি শেষ কথা? যদি তাই হয়, তবে স্টাইলিশ হব। ছেড়া প্যান্ট, খোলা জিপার, জাঙ্গিয়া, খালি গা, গায়ে উল্কি এঁকে কোয়ার্টার পড়েই সর্বত্র বিচরণ করব। অন্যের চোখ লোভাতুর করতে যা কিছু দরকার সবি করব। তাতে কার বাবার কি!!! ভাললাগেতো ফূর্তি কর, দুনিয়াটা মস্ত বড়!
একটি জাতীয় দৈনিকের সাপ্তাহিক সংখ্যা ‘নকশা’ পড়া সবসময় এড়িয়ে যাই, ইমানের জোয়ারে ভাটা পড়ার আশংকায়। সেদিন চোখ আটকে যায়, ‘স্কার্টে স্টাইলিশ’ লেখাটিতে। তারপর পড়তে থাকি স্টাইল বুঝতে। স্কার্ট+টপ! টপ জামা যদিও শালীন পোষাক নয়, তবু আগে তা পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত লম্বা হত। আর এখন উপরে ডানা কাটা, নিচে হাটু পর্যন্ত! পোষাকি সংস্কৃতির এতো অধঃপতন! এইসব পড়েই সর্ব সাধারন্যে অবাধ বিচরণ।
এখন আসি, স্কার্ট আর টপ জামা পরার প্রয়োজনীয়তা কি, ডিজাইনারদের মুখ থেকে শোনা যাক-
-“টপটি এক রঙ্গা হলেই ভাল দেখাবে…… ভিন্ন রঙয়ের হলেও মন্দ লাগবেনা”।
-“স্কার্ট ও টপ দুইটাই নকশাদার হলে জবরজং দেখাবে, এক রঙ ও একটু জমাকালো হলে ভাল দেখাবে”।
-“মিনি স্কার্টের সঙ্গে স্লিভলেস বা ছোট হাতার টপ মানাবে”।
লক্ষ করুন, সবার কথায় ভাললাগার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে, অন্যকে আকর্ষণ করাই এইসব স্কার্টের উদ্দেশ্য।“পোষাক মানুষ কে সুন্দর করে’ স্বল্পবসনাদের কাছে যার মানে হল, নিত্য নতুন ডিজাইন, স্টাইলের পোষাক পরে দেহ সৌন্দর্য পুংখানো পুংখরুপে ফুটিয়ে তোলা, যা থাকবে ভাললাগায় ভরপুর। ভাললাগে বলেই শাড়ির উপর ব্লাউজ, মাথায় স্কার্ফ গায়ে টি শার্ট পরনে থ্রী কোয়ার্টার, ছেলে মেয়ের সাজে আর মেয়ে ছেলের সাজে, লুঙ্গির উপর আন্ডারওয়ার, আর বিকিনি পড়ে দাপিয়ে বেড়ানোতে আভিজাত্যের চাপ খুঁজে পায়। আভিজাত্য কতইনা সস্তা!!!! আবার অন্যদের কাছে পোষাকের সুন্দর মানে হল, পোষাকের আড়ালে দেহকে গোপন রেখে কুদৃষ্টি কামনার বস্তু হওয়া থেকে বেঁচে থাকা, যা মানুষের পকৃত সৌন্দর্যের পরিচায়ক। পশুর শরীর ঢাকা থাকেনা, মানুষের মাঝেও যারা পোষাক দ্বারা শরীর আবৃত করেনা, তারা পশু তুল্য নয় কি? পশুর সুন্দর খোলা থাকাতেই অন্যো দিকে মানুষের সুন্দর ঢেকে রাখাতেই।
ভাললাগাই শেষ কথা নয়। আমার ভাললাগা আল্লাহর বিধান ও রাসুল (সঃ) এর দেখানো পন্থা অনুসারে হচ্ছে কি না? যদি না, তবে এই ভাললাগা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ ও তার রাসুলের ভালবাসায় জীবন কে রাঙ্গিয়ে তুলাই শুরু ও শেষ কথা।
ওহে প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আসুন, আল্লাহ ও তার রাসুলের জন্যো কাওকে অথবা কোন কিছুকে ( ইসলামী সংস্কৃতি) ভালবাসি এবং আল্লাহ ও তার রাসুলের জন্য কাওকে অথবা কোন কিছুকে (বিজাতীয় সংস্কৃতিকে) ঘৃণা করি। তবেইতো আপনার জন্য অপেক্ষা করছে সীমাহীন ভাললাগায় পরিপূর্ণ সর্বোত্তম স্থান জান্নাত। বৃহত্তর স্বার্থের ( জান্নাত) জন্যে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে ( দুনিয়ায় ক্ষণিকের ভাললাগা) ত্যাগ করি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৪ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লহু খাইর।
আপনার মন্তব্য অনেক ভাল লেগেছে।
জাজাকাল্লহু খাইর।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক (আমিন) ধন্যবাদ
কোরআনের আয়াত সমেত আপনার মন্তব্যটি বেশ ভাল লেগেছে। ভাল থাকুন দোয়া রইল।
সুন্দর আহ্বানের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আমাদের লিখনীতে আল্লাহ সেই ধার ও ক্ষমতা দিন এ প্রার্থনা।
আমিন। সুন্দর মন্তব্যের অসংখ্য ধন্যবাদ।
উতসাহ ভরা মন্তব্যটির জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
আপনার হৃদয় জুড়ে আমি হতে পেরে ভীষোণ ভাল লাগছে।
আজ এসব দেখে জাতি আতঙকিত হবার কথা থাকলে বড়ই নিরব। কারণ, যে সব নেতা নেত্রী মন্ত্রী দেখলে মুসলমান না অমুলমান, তা না জেেন বুঝার উপায় নেই, তাদের দেখে কিইবা আশা করা যায়? ধন্যবাদ।
কিছুই আশা করার নেই, তবে আমাদের নিজেদের কাছে অনেক কিছুই আশা করার আছে, আমরাই পরিবর্তন আনব ইনশা আল্লাহ।
আপনার মন্তব্য সবসময় ভাল লাগে, আজ একটু বেশি ভাল লাগ্ল।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন