লম্পট শিক্ষক VS নির্দোষ ছাত্রী!!!

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৯:২৪:০৪ সকাল



রক্ষক নিজেই যদি ভক্ষক হয়, তবে আস্থা কিসে! শিক্ষক বাবা তুল্য। বাবা মা শিক্ষকের উপর ভরসা করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছেলে মেয়েকে তাদের কাছে পাঠান শিক্ষা গ্রহণের জন্য, বাবা মায়েরা গোয়েন্দাগিরি করেন না, শিক্ষক আদৌ তার ছেলে অথবা মেয়েটাকে পড়ান নাকি অন্য কিছু করেন, এই বিশ্বাসে যে তারা ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকতূল্য। পাঠদান আর আদর্শ মানুষ গড়াই তাদের কাজ। কিন্তু অভিভাবক তূল্য শিক্ষক নিজেই যদি ছাত্র অথবা ছাত্রীকে ভোগের সামগ্রী বানিয়ে নেন, তবে আপনারা ধিক্কার জানাবেন, জারপরনাই হতবাক হবেন। শিক্ষক হয়ে এতো জঘন্য কাজ কেমমে করে যে কিনা বাবা অথবা মায়ের তুল্য !!!! আমিও আহত হই, কষ্ট পাই, ছেলেবেলায় আমাদের এক শিক্ষক ছাত্রীর সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত অবস্থায় ধরা পড়ে, বড় ভাইদের সাথে এক হয়ে আন্দোলন করে ঐ শিক্ষক কে প্রতিষ্ঠান ছাড়তে বাধ্য করি।

এইরকম ঘটনা হরহামেশাই পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই। ঢাকার ভিকারুন্নেসা নূন স্কুলের পরিমলের কথা সবাই জানি। আজো জেলে পচে মরছে।কিন্তু মেয়েটা দিব্যি তার স্বাভাবিক পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে, মেয়েটা এতো ছোট নয় যে, পরিমল জয়ধর জোরপূর্বক তাকে ভক্ষণ করেছে। সন্দেহ নেই মেয়েটাও পরিমলের কাজে জোগান দিয়েছে। তবু শাস্তি একা পরিমলকেই পেতে হচ্ছে, কারণ সে শিক্ষক, আর মেয়েটা নাবালিকা!!! প্রায় শোনা যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তিক ছাত্রীর যৌন নিপীরণের স্বীকার হওয়ার কথা। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি এক শিক্ষক ছাত্রীর হাত ধরেছে, নোংরামি করতে চেয়েছে, কিন্তু ছাত্রীর কৌশলের কাছে পরাস্ত হয়েছে, দুদিন আগে ক্লাস শেষ করে কলা ভবনের সামনে দিয়ে আসার সময় দেখি যৌন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সভাসমাবেশ হচ্ছে, এবং তারাই সমাবেশ করছে যারা যারা জোরপূর্বক নয় বরং ওপেন কামলীলায় বিশ্বাসী, ভূতের মুখে রাম রাম আর কি! শোনলাম ছাত্রীটি নাকি রাতে দেখা করতে যায় স্যারের সাথে। কিন্তু এই ঘটনায় আমার বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া ছিল অবাক করার মত, সবার একি প্রশ্ন, স্যারের সাথে রাতে কেন? বললাম, অভিভাবক তূল্য, যেতেই পারে রাত আর দিন কি! হেসে উঠল, “শিক্ষকতো নপুংসক নয়!”। কেও বলে, স্যারকে ফাসানো ছিল মেয়েটির উদ্দেশ্য। হতে পারে আবার নাও হতে পারে। ঘটনার সত্যতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই সংবাদের উপর কমেন্ট খুব ভাল লেগেছে, আপ্নারাও পড়ুন-

Click this link

এইসব ঘটোনা ঘটা মাত্রই নারীবাদীরা রাস্তায় নেমে পড়ে, আমরা সবাই ছি ছি করি। শিক্ষকের উপযুক্ত, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করি। কিন্তু কখনো কি ভাবি মেয়েটারওতো দোষ থাকতে পারে, বিনা বাতাসে নদীর পানি নড়েনা।নারী অবলা বলে দায়মুক্তির যৌক্তিকতা কি! লিখার শুরুতে আমার ছেলেবেলার এক শিক্ষকের কথা উল্লেখ করি, যিনি নিয়মিত ছাত্রীর সাথে কামঅলীলায় মত্ত থাকতেন, যাতে ছাত্রীর স্বতস্পূর্ত অংশগ্রহণ ছিল প্রমাণিত হয়েছে, এমনকি জোরপূর্বক নয়, স্বাভাবিক কামরত অবস্থায় ধরা পড়েছে। অথচ শুধু স্যারকেই দেশান্তরী হতে হল, মেয়েটা সেই আগের মতই পড়াশোনা চালিয়ে গেল। কি অদ্ভূত বিচার! ভিকারুন্নেসার পরিমল কি একাই দোষী, মেয়েটার কোন দোষ ছিলনা? অবশ্যই ছিল। ধরা পড়লে অথবা বনিবনা না হলে বলে ধর্ষণ, ধরা না পড়লে সব ঠিক আছে, যৌথ উন্মাদনা চলতেই থাকে।

কিছুদিন আগের একটি খবর, 'কামলীলার ভিডিও বাজারে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রেমিকাকে দুবছর ধরে ধর্ষণ'। এটা হয়ত পাগলেও বিশাস করবেনা, আর আমিতো নই! দুজনে মিলে মহানন্দে যৌনুন্মাদনায় মেতে উঠবে, স্মৃতিতে ধরে রাখতে ক্যামেরায় ধারণ করবে তখন ধর্ষণ হয়না, যখনি ছেলে বেকে বসে বিয়ে করবেনা বলে, তখন বলা হয় জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে, অথচ স্বইচ্ছাই করেছে! আমাকে কেও ভুল বুঝবেন না, মনে করবেন না আমি বলছি ধর্ষণ হয়না। ধর্ষণ অবশ্যই হয়, কিন্তু আপত্তি সেখানেই যখন স্বেচ্ছায় মিলিত হওয়া সব ঘটনাকেই ধর্ষণ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়! ইদানিং মেয়েরা প্রতিনিয়ত ছেলদের ব্রেইন ওয়াশের স্বীকার হচ্ছে। পটিয়ে পাটিয়ে বিবাহবহির্ভূত অবৈধ মেলামেশা করে সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে, অথবা হুমকী দিয়ে ফ্যামেলির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে নিচ্ছে। তবে কি মেয়েদের দোষ নেই? কারণ তারাতো ব্রেইনওয়াশ হচ্ছে, নিজেরা সজ্ঞানে করছেনা! এই যুগের মেয়েরা এতো সচেতন এতো চালাক, ব্রেইনওয়াশ বলে অপরাধ ঢাকার কোন সুযোগ আছে কি? ব্রেইনওয়াশের নামে নিজের সবচেয়ে বড় সম্পদ সতীত্ব বিলিয়ে দেয়া!!!! তবে বলতেই হয়, এখনকার মেয়েরা চালাক, নিজেদের ইজ্জত আব্রুর ব্যাপারে সচেতন কথাটা ধোপে টেক্টেছেনা, বরং বোকাই! যথার্থই বলা হয় ‘অতি চালাকে গলায় দরি’।

এখন আসি, জাতির বিবেক শিক্ষকদের কথায়।যারা ছাত্র ছাত্রীর কাছে বাবার মতই। তারা যদি ছাত্র ছাত্রীর সাথেই ফস্টি নষ্টি করে, তবে বাবা মায়েরা যাবে কার কাছে!!!! এমন কুলাংগারদের মন থেকে ঘৃণা করি। ওরা শিক্ষক সমাজের কলংক!অবৈধভাবে ছাত্রীর সাথে নোংরামি করা আর নিজের মেয়ের সাথে করার মাঝে পার্থক্য কোথায়! তবে কোন শিক্ষক যদি ছাত্রীকে পছন্দ করে তার বাবা মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, অথবা কোন ছাত্রী তার শিক্ষক কে পছন্দ করে বিয়ে করে তবে এহেন কাজকে স্বাগত জানাই। তবু অসভ্যতা করা হলনা।

নাবালিকা ছাড়া প্রাপ্ত বয়স্কদের শিক্ষক দ্বারা যৌন হয়রানীর ব্যাপারটি আমার কাছে সবসময় বিশাসযোগ্য মনে হয়না। কিছু সত্য ঘটনা অবশ্যই ঘটে যেমন ছাত্রীকে ভাল লাগল, একান্তভাবে পেতে, মাতালামি উঠলে মানুষিক বিকারগ্রস্ত হয়ে কিছু করে বসে, বিচিত্র কিছু নয়। তবে শিক্ষকের সাথে মাখামাখি, অশালীন ভঙ্গী করবে, ক্লাসটাইম এবং একাডেমিক প্রয়োজন ব্যাতিত শিক্ষকের সাথে যখন তখন উঠাবসা করবে, আর শিক্ষক পজেটিভ মনে করে হাত ধরলেই জাত যাবে, এর কি মানে! উরু পর্যন্ত দেখিয়ে লালসা লাগাবে, ছুইতে গেলেই দোষ!লুইচ্ছা বলে গালে থাপ্পর মারবে, অথচ উরু পর্যন্ত দেখানোটা লুইচ্ছামি নয়!!!! খুব বেশি শোনা যায়না, রক্ষণশীল/পর্দানশীল কোন মেয়ে শিক্ষক দ্বারা যৌন হয়রানী অথবা নির্যাতনের স্বীকার হয়, বরং তারাই বেশি হয়, যারা গায়ে কাপড় রাখতে পারেনা, ক্ষণে ক্ষণে খসে পড়ে, লুকাতে নয় বডী ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা দেখানোতেই বেশি তৃপ্ত, তারাই শিক্ষকের লালসার স্বীকার হয় বেশি। শিক্ষক সেতো মানুষ, পাথরে গড়া মূর্তী নয়, ছাত্রীর অশালীনভঙ্গী তাকে ক্ষুধার্ত করবেনা, হোক না সে বাবার তূল্য।তার মানে কিন্তু আমি শিক্ষকের কাজকে বৈধতা দিচ্ছিনা। বলতে চাচ্ছি দোষটা কি শিক্ষকের একারই?

আরো কত কথা শোনা যায়, মেয়েদের হাসি, অশালীন ভঙ্গী, নীরবে নিবৃতে স্যারের সাথে দেখা সাক্ষাত নাকি খাতায় নাম্বার বাড়াতে দারুণ কার্যকর, সত্যতা আমার জানা নেই, ওরা জানে আর ওদের খোদাতায়ালা।অবশ্যই সেসব মেয়েরাই এই কাজ করবে যাদের কাছে ইজ্জতের দাম খুব সামান্যই। যাই হোক, শিক্ষক ছাত্রীর যৌন ক্যালেঙ্কারিতে শুধু শিক্ষক্ কে দোষী করার আগে তলিয়ে দেখা উচিত মেয়েটা দোষী নয়ত? যদি হা, তাহলে শাস্তিটাও সমান হওয়া জরুরী।

ব্যাক্তিদোষে সবাইকে দোষী করা বাঞ্চনীয় নয়, কিন্তু তাই করা হয়। একজন শিক্ষক খারাপ কাজ করলে সব শিক্ষক্কেই তার লজ্জা মাথায় নিতে হয়। বাবা মায়েরা দ্বিধাদিন্দে পড়ে যায়, সবাইতো শিক্ষক, সবাই একি নায়ের মাঝি, আগের হাল যেমনে গেছে পরের হাল তেমন করেই যাবে, কাকে বিশ্বাস করব। সবাই পরিমল নয়, তবে পেশাতো একি! শিক্ষকের কাছে মেয়ে নিরাপদ নয়, এই আশংকাই সবার মনে, অথচ একবারের জন্যও ভেবে দেখেছে অথবা চেয়ে দেখেছে তার মেয়েটা কি ড্রেস পড়ে, কেমন পোশাক পড়ে স্কুল/কলেজে/বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে! মেয়ের পোশাক অশালীন নয়ত? মেয়ের কথাবার্তা, চলবলন পুরুষের মনে কাপন ধরিয়ে দেয়ার মত নয়ত? যদি তাই হয়, তবে মেয়ের ব্যাপারে সচেতন হোন। ঠিকঠাক করে শালীন পোশাকে পাঠান। তারপর যদি কিছু হয় তবে দোষটা না হয় শিক্ষক কেই দিলেন।

পোষাকের কথা বললে বলা হয় আমরা প্রগ্রেসিভ হতে পারিনি, ছোটমনের মানুষ, সেকেলে, নারী বিদ্বেষী ইত্যাদি! কে কেমন পোশাক পড়বে তা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, পোশাক যৌনতা বা ধর্ষণের সহায়ক নয়। ধর্ষণের দোহাই দিয়ে যারযার রুচি অনুযায়ী পোশাক নিষিদ্ধ করে সবাইকে আল খাল্লা জোব্বা পড়ানোই মৌলবাদীদের ষরযন্ত্র! বলে, পোশাক কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হল, কিছু মানুষ মানুসিকভাবে বিকারগ্রস্ত, কামপিয়াসী, যোউনউন্মাদ! তারাই যৌনহয়রানী, ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। আমিও তাদের সাথে একমত। বিকারগ্রস্ত, কাম্পিয়াসীরাই ঘটায় এমন ঘটনা, কিন্তু বিকারগ্রস্ততা, কাম্প্রবণতার সৃষ্টি কোথা থেকে, এর ব্যপকতা কোথা থেকে, যেসব উতস থেকে বিকারগ্রস্ততার সৃষ্টি, তার মধ্যে পোশাক অন্যতম নয় কি??? আপনি স্বীকার করেন অথবা না, আমি বিশ্বাস করি, অর্ধনগ্ন অথবা নগ্ন প্রায় পোশাকই বিকারগ্রস্ততার অন্যতম একটি কারণ। আপনি স্বীকার করবেন না, আমি জানি, কারণ স্বীকার করলেই শালীন পোশাকের দিকে তাকিয়ে চক্ষু খুধা মেটাবেন কেমন করে! ওপেন কামলীলায় মত্ত হবেন কেমন করে, কারণ লুকিয়ে করা আপনার বৈশিষ্ট্য না। আর হা, এক হাতে তালি বাজেনা!!!!!!!!!!! তাই বাবা মায়দের উচিত নয় কি মেয়েকে শালীন পোশাকে, ভদ্র মার্জিতভাবে চলার উপদেশ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো?

আচ্ছা আপ্নারা কি বলতে পারেন, রাস্তায় সম্পূর্ণরুপে হিজাব পড়া এবং উগ্র আধুনিক পোশাক পরিহিতা দুজন মেয়েকে দেখলে একিরকম অনুভূতি হয় নাকি ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি হয়, কমেন্টে জানাবেন। এখন আমি বলে নেই। না, কখনই একি রকম অনুভূতি হয়না। স্বভাবতই হিজাব্ধারী মেয়েটাকে দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে, এমন মেয়েকে নিয়ে বিয়ের স্বপ্ন দেখে, প্রেম করার স্বাদ জাগে, কিন্তু কামপিপাসা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেনা। আর ভয়তো আছেই, টিজ করার আগে ভেবে নেয়, মুখ শরীর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা, টিজ যে করব, মেয়ে না হয়ে যদি মা খালা অথবা দাদী নানী টাইপের কেও হয়, তাহলে কি মান সম্মান থাকবে! চল সালাম দিয়ে সম্মান জানাই, এরা সম্মান পাওয়ার যোগ্যই। অন্যদিকে উগ্র পোশাকধারীকে দেখা মাত্রই গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়, হাই, হেলো, আরো কিছু শব্দ…………ব্যাবহার করে যা লিখার যোগ্য নয়। কামনা বাসনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, যদি পারত তবে রাস্তায় খাবলে খুবলে খেয়ে ফেলত। তখন নূনতম সম্মান মেয়েটার জন্যো থাকেনা, তখন মাথাজুড়ে যৌনতাই ভর করে থাকে। হয় মেয়েটাকে একান্তভাবে পাওয়ার সুযোগ খুজবে, সম্ভব না হলে বেহস্যালয়ে গমন করবে, নয়ত অন্য কোন মেয়ের উপর জ্বাল মেটাবে। আর যারা বলে মেয়েদের বাজে পোশাকে আমাদের জিব্বায় লালসার জ্বল আসেনা, আমি বলব, আপনাদের পৌরষত্ব আছে কিনা ভাবার বিষয়। তবে নিজেকে সনযত করা আর কামনা না জাগা এক কথা নয়। যারা বলে, আমার কামনা হয়, বাসনা জাগে, কিন্তু আল্লাহকে ভয় করে নিজের কামনাকে সংযত করি, তাদের আমি স্যালুট জানাই। আর যারা বলে মেয়েদের খোলামেলা অবস্থায় দেখলেও আমাদের যৌনপিপাসা পেয়ে বসেনা, তাদের বলব, হয়ত মিথ্যা বলছে, সাধু সাজার চেষ্টা করছে, নয়ত পৌরষত্ব নেই! আপনি আল্লামা শফীকে তেতুল হুজুর বলে গালি দেন, কিন্তু কথা সত্য, মেয়েরা তেতুলের মতই, জিব্বায় জ্বল আসবেই!

স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব মেয়েরা অথবা শিক্ষিরা খোলামেলা পোশাকে আসে, তাদের সম্পর্কে ছাত্ররা কি ধারণা পোষণ করে অথবা কোন দৃষ্টিতে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে জানার সুযোগ হচ্ছে। ম্যাডাম ক্লাস নেন, যদি গায়ের জামা অথবা শাড়ি পড়া শালীন না হয়, সেদিন আমার বন্ধু ক্লাস মেইটদের কানা ঘুষা মন্তব্য একেকটা এতো বিশ্রী যে, ম্যাডাম যদি শোনেন, আর নূনতম লজ্জাবোধ থাকে, ছাত্রের শিক্ষক বলে জেনে থাকে, তবে আর কখনই বাজে পোশাকে ক্লাস করাবেন না। আমার ভাবতে অবাক লাগে, তারা কি চিন্তা করেনা, ‘আমি যদি ক্লাসে বাজে পোশাকে যাই, ছাত্ররা আমার লেকচার নয়, আমার শরীরের দিকে মনোযোগ দিবে, শিক্ষক নয়, অন্যভাবে কামনা করবে? আর ক্লাসের মেয়েদের বেলাতেও একি কথা। যে দুচারজন বোরখাওয়ালী আছে, তাদের ব্যাপারে কোন বন্ধু অথবা কালস্মেইটদের খারাপ মন্তব্য করতে দেখিনা, বরং অন্যোদের নিয়ে মন্তব্য লিখার যোগ্য নয়। আর শিক্ষক রক্তের সম্পর্কের কেও নয় যে, খারাপ পোশাকে ছাত্রীকে দেখলে মনে কুপ্রবৃত্তির জন্ম নেবেনা, ক্লাসে সবার সামনে কি আর ভাল করে পোশাকের সৌবন্দর্য দেখা যায়, তাইত ক্লাস শেষে রুমে ডেকে নিয়ে যাবে। তারপর কথাচ্ছলে হাত ধরবে……… কেও উপভোগ করবে, আর কেওবা প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসবে। স্যারের বিরুদ্ধে নালিশ করবে।ইত্যাদি ইত্যাদি। শিক্ষক দ্বারা নারীর সম্ভ্রমহানী! নারী নির্যাতন কেস হবে, বরখাস্ত করা হবে অথবা না। আর মেয়েটা দুধে ধোয়া তুলসী পাতা!!!!

আর কথা না বাড়াই। এটাই বলব সর্বশেষে, এক হাতে তালি বাজেনা!!!!!!!!!

বিষয়: বিবিধ

৩০৮০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

268884
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২৫
সুশীল লিখেছেন : Rolling Eyes Rolling Eyes Rolling Eyes
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪০
212616
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মজা লন আমার লগে!!!!! নামে সুশীল আর কামে কুশীল!!!!
268922
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যেীক্তিক কথা!!
সমস্যা হচ্ছে আমাদের একটি প্রজন্ম এখন জিবনের গভিরতা কে বুঝতে চায়না। মনে করে জিবন হচ্ছে স্রেফ আনন্দ করা।
269395
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:০৬
সাদাচোখে লিখেছেন : চমৎকার লজিক্যাল লিখা। কিছু বিষয় একের অধিকবার একটু গুরিয়ে ফিরিয়ে আসায় - লিখাটি লম্বা বেশী হয়েছে আর আমার কনসেনট্রেশান নষ্ট করে দিচ্ছিল। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File