বিয়ের পাত্রী কেমন হওয়া চাইঃ
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২৩:১১ দুপুর
শুরুতেই হতাশার বাণী শোনাই, আপনি যেমন আপনার ঘরের বউটি তেমনি আসবে। সো, নিজে বামন হয়ে চাঁদকে ছোঁয়ার স্বপ্ন সমাধিস্থ করুন।
কিছুদিন আগে কুমিল্লা থেকে বাসে করে আসার সময় পাশের সীটে আমার চেয়ে কিছু বড় এক যুবকের সাথে পরিচয়, শাহেদ ভাই, ছদ্ম নাম। ব্যাক্তিগত এবং পারিবারিক আলাপ চারিতায় জানতে পারি উনি সামনে বিয়ে করার জন্য তৈরি হচ্ছেন, কিন্তু পাত্রী নির্বাচনে বেশ সমস্যা হচ্ছে। আমি যদিও বিয়ে করিনি, তবু পাত্রী নির্বাচন নিয়ে কিছু পরামর্শ দেয়া ইমানি দায়িত্ব মনে করি। আমাদের কথাবার্তার কিছু অংশ নিচে তুলে ধরলাম।
আমিঃ কেমন পাত্রী খুঁজছেন? অথবা কোন কোন দিক কে সামনে রেখে পাত্রী নির্বাচন করছেন?
শাহেদ ভাইঃ সৎ ভদ্র, গুনবতী ইত্যাদি।
আমিঃ সৎ বলতে কি বুঝাচ্ছেন? ধর্মকর্মপালনকারী পর্দানশীল?
শাহেদ ভাইঃ জী
আমিঃ খুশি হলাম আপনার রুচি দেখে। আল্লাহ আপনার ইচ্ছাকে কবুল করুন।
শাহেদ ভাইঃ আচ্ছা, পরহেজগার, খোদাভীরু কেমন করে চিনব? কিছু মনে নিবেন না, অনেককেই দেখি পর্দা করে কিন্তু ঘুমটার নিচে শয়তান নাচে। দ্বিধাদ্বন্দে ভোগছি।
আমিঃ তা অবশ্য ঠিক। চেনা কষ্টসাধ্য কাজ, তবে অসম্ভব নয়। একমত আপনার সাথে অধিকাংশ মেয়েরাই পর্দা করে নামে মাত্র। তাদের উদ্দেশ্য কি আমার বোধগম্য নয়। কিভাবে চিনবেন তা বলার আগে ইসলামী শরীয়ত যে চারটি বিষয় মেয়ে দেখার সময় দেখতে বলেছেন তা নিয়ে আলোকপাত করি।
সৌন্দর্যঃ
স্বীকার করতেই হবে প্রথম ভাললাগা দেখার মাধ্যমেই হয়। গুন নয়, রুপ সহজেই পুরুষ কে আকৃষ্ট করতে পারে। রুপবতীরাই ভালবাসার ডোরে যে কাওকে আবদ্ধ করতে পারে।তবে রুপ সৌন্দর্য যেহেতু ক্ষনস্থায়ী, তেমনি রুপ দেখে ভাললাগা অনুরাগ খুব ক্ষনস্থায়ী। গ্ল্যামার যতক্ষন ভালবাসা ততক্ষণ, তারপর নাক মুছা টিসুর মতই অপ্রয়োজনীয়।
কেন সৌন্দর্য দেখতে বলেছেন? একটা কথা আছে খাইতে সুন্দর নাকি দেখতে সুন্দর। রান্না যেমনি হোক, সুন্দর পরিবেশনে অর্ধেক খাওয়া হয়। বউয়ের সৌন্দর্য যদি নজর কাড়া না হয়, আফসোস থেকেই যায়, অন্যের বউয়ের সাথে তুলনায় নিজেরটাকে ভূত মনে হয়। পুরুষ আর নারীর মাঝে সৌন্দর্যের ব্যবধান খুব বেশি না হওয়া বাঞ্চনীয়। বউ খুব কালো আর স্বামী খুব ফর্সা হলে বউ ভোগবে হীনমন্যতায় আর স্বামী থাকবে অহংকারের গরিমায়। দুজনেই কালো, অথবা দুজনেই শ্যামলা, অথবা দুজনেই ফর্সা হলে কারোরি হীনমন্যতা এবং অহংকার থাকবেনা। আমাদের সমাজে কালো মেয়েদের বিয়েতে বিরম্বনা প্রকট হলেও কালো মানিক দের কোন সমস্যা থাকেনা।
ধরেন, মনোলোভা মায়াবীনি রুপবতী রুপস্বীনি পেয়ে গেলেন। তাতে কি স্বর্গের চাবি হাতে পেয়ে গেছেন? তবে থামেন। রুপবান কে বিয়ে করলে তাকে সামলাতে পারবেন তো? হাজার পুরুষ তার দিকে টোপ ফেলে রেখেছে, সফল আপনি হয়েছেন, তাই বলে প্রেমপিয়াসী পুরুষদের দল কিন্তু বসে নেই? তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেই, আপনার একটু অসর্তকতা, অথবা তার প্রতি অবহেলা অসধাচারণ তাকে এজমালি তথা জনসম্পত্তিতে প্ররিণত করবে। আর সুন্দরী বউটি যদি দ্বিচারিনী, বহুচারিনী, রাজ হংশী কর্কষ কন্ঠী হয়, তবে রুপ ধুয়ে পানি খেলে জীবন চলবে কি??? মেয়েরা স্বভাবতই সুদর্শন, আসল পুরুষ, ধনবান ছেলেদের স্বামী হিসেবে পেতে চায়, তাই আপনার তুলনায় অন্য কোন সুপুরুষের যদি সাথে গিট বেধে যায়, আপনার কপাল পুড়বে বৈ কি!
যাই হোক, এমন মেয়েকে বিয়ে করুন, আপনার সাথে যার সৌন্দর্যের তুলনা ঊনিশ অথবা বিশ অথবা সমান সমান। নিজে খুব বিশ্রী চেহারা নিয়ে ধনের জোরে মেয়ের বাবাকে কনভিন্স করে সুন্দরীতমাকে বিয়ে করবেন , আল্লাহ না করুক, যদি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়, আপনার ঘরণী হয়েও হাজার জনের চক্ষু শীতল করবে, হৃদয় মন জুড়াবে। তবে যদি রেখে ঢেকে রাখার সামর্থ রাখেন তবে ভিন্ন কথা।
সমতাঃ
বিয়ের ক্ষেত্রে এটাও গুরুত্বপূর্ণ। সহজ কথায়, রাজার মেয়ের সাথে বস্তী ছেলের সাথে বিয়ে হলে সংসার টিকবে? বলবেন, হা টীকেতো, তবে বাস্তবে নয়, সিনেমায়। ধরুন আপনি কোটিপতি, বিয়ে করলেন কুটির ঘরের মেয়েকে। স্ত্রীর কর্তব্য যথযথভাবে পালন করলেন। মনে রাখবেন, প্রেম হয় একক সিদ্ধানে, কিন্তু বিয়ে হয় সামাজিকভাবে। তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করা অনেক জরুরী। আপনি মেনে নিচ্ছেন কুটিরের মেয়েকে, আপনার বাবা, মা আর সবাই মেনে নিচ্ছেতো? কতক্ষণ বাড়ি থাকেন? বউয়ের গরীবিয়ানা নিয়ে যদি সবাই খোচাতে থাকে আপনি টের পাবেন কিছু? আপনার মত ধনবান স্বামীকে আশীর্বাদ মনে করে বউ হয়ত আপনার কাছে সব চেপে যাবে। গরীবিয়ানা লুকাতে যেয়েও অভ্যাসবশত তা প্রকাশ হয়েই পড়বে, চিন্তা করুন, কেমন হীনমন্যতায় পড়তে হবে তাকে।
আপনার শ্বশুর বাড়িতে আপনার আত্মীয় স্বজন বেড়াতে গেলে পড়ি কি মরি হয়ে মেহমানদারী করবে, পারবে কি বড় লোকের মেহমানদারী ঠিক ঠাক মত করতে। তাদের বাড়ির শ্রী দেখে আপনার আত্মীয়ারা নাক ছিটকাবেনা? তাতে আপনি হবেন বিব্রত, আর আদরের বউটি লজ্জা ডুব্বে। অনুরুপভাবে আপ্নিও যদি কুড়ে ঘরে থেকে ধনীর দুলালীকে ঘরে নিয়ে আসেন, আপনার অবস্থাও সঙ্গীন হবে সন্দেহ নেই।
আর মেয়ের বাবার ধন সম্পদ দিয়ে আপনি কি করবেন? যৌতুক নিবেন, তা হলে হারাম খাবেন। যদি না, তবে কি উপটৌকন হিসেবে নেবেন? তাতেও লাভ কি? বসে বসে খেলে রাজার গোলার ধান ও শেষ হয়ে যায়। শ্বশুর বাড়ি থেকে বিশাল সম্পদ আপনাকে অকর্মন্য করে দিবে, বসে খেতে পারলে কষ্ট করবেন কোন দুঃখে, তাই লোভ পেয়ে বসবে।
তাহলে বিয়ে করুন এমন কাওকে যার বাবার সম্পদ আপনাদের সম্পদের তুলনায় অধিক বেশি নয় আবার অধিক কম ও নয়।
বংশঃ
এটাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই নিয়ে বাড়াবাড়ি কাম্য নয়। উচু বংশ আর নিচু বংশের মাঝে জীবন প্রবাহ, কৃষ্টি কালসারে রকম ফের থাকে, অনেক তফাত থাকে। বংশীয় তারতম্যের কারণে দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠতে পারে দূর্বিষহ। তাই বংশ দেখে করুন, না পেলে অন্যো কথা। তবে বংশ না মিললে গালে হাত দিয়ে বসে থাকবেন না। নেমে পড়ুন অন্যো বংশের কাওকে করে ফেলুন। আল্লাহ ভরসা। অন্য বংশের লোকেরাতো অচ্যুত অচ্যুত নয়। ভালবাসা দিয়ে প্রমাণ করুন বংশ কোন সমস্যা নয়, বংশীয় কৌলিন্য প্রথাধারীদের গালে চপেটাঘাত করুন। তবে বিরুদ্ধাচারী হয়ে উঠবেন না। বিয়েতে বংশের গুরুত্ব আছে বলেই ইসলাম দেখতে বলেছেন, কিন্তু অবশ্যপালনীয় করে দেন নি।
পরহেজগারীঃ
এইবার আসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, তা হল পরহেজগারী। প্রথমে বলে নেই, উপরের তিন্টার একটাও যদি না পান, পরহেজগারী পেলেই অন্য তিনটা পাওয়া হয়ে যাবে। সেগুলোর জন্য অভাব বোধ করবেন না। আমাদের একটা কোর্স পড়ায়, ক্রিমিনলজি বিদ্যা; স্কলাররা অপরাধী, অপরাধের কারণ, নির্নয় করতে গিয়ে নানান জনে নানান থিউরি দিয়েছেন, কিন্তু কারো মতামত এককভাবে ঐক্যমত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এক পক্ষ যদি বলেন অপরাধ হয় বাউলজিক্যাল ত্রুটির কারণে। অন্য পক্ষ বলে না, সাইকোলজিক্যাল কারণে মানুষ অপরাধ প্রবণ হয়। আসলে তারা পকৃত কারণ টি খুজেনি। তা হল, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্জন্ত অপরাধ করতে পারেনা, যতক্ষণ তার মাঝে ইমান বা খোদাভীতি, জাহান্নামের ভয় থাকে। প্রশ্ন করতে পারেন, যারা মৌলভী মাওলানা তারাওত খুন খারাপি অপরাধ করে, অথচ তারা তো আল্লাহ কে ভয় করে, তবে কেমন করে অপরাধ করে? আমি বলব, তারা যখন অপরাধ করে ঠিক সে অবস্থায় তারা ইমান হারা হয়ে যায়, খোদাভীতি তাদের থেকে দূরে সরে যায়, তার জন্যই তারা পারে।
কোন নারী যদি আল্লাহভীতু হয়, সে যাবতীয় অপকর্ম থেকে বিরত থাকে, সুশৃংখল জীবন যাপন করে থাকে, সবচেয়ে বড় কথা স্বামীর প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য আল্লাহর দেখানো পথেই পালন করে। পরকীয়ার মত ব্যাধি তার ধারে কাছেও ঘেষতে পারেনা। হোক সে সহায় সম্বলহীন অনাথ, দেখতে কালো বিশ্রী, বংশমর্যাদাহীন, হলপ করে বলতে পারি তাকে পেয়ে আপনার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। তার সৌন্দর্য, গরিবিয়ানা, বংশ সব কিছু ছাপিয়ে আপনার প্রতি তার অগাধ ভক্তি ভালবাসা, দায়িত্ববোধ প্রধান হয়ে উঠবে। প্রফুল্ল চিত্তে বলবেন, যা চেয়েছি, তার চেয়ে বেশিই পেয়েছি।
ইসলাম বিয়েতে পাত্রী নির্বাচনে উপরে উল্লেখিত চার টি বিষয় দেখতে বলেছেন, তন্মধ্যে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন পরহেজগারীতার উপর, যার রয়েছে যথার্থতা, যৌক্তিকতা এবং সুখময় বাস্তবতা।
শাহেদ ভাই প্রশ্ন করেছিলেন পরহেজগারী নারীকে কিভাবে চিনবেন।
আমিঃ বিয়ে করবেন শুনে সবাই নেমে পড়ল পাত্রী দেখতে। মেয়ের খোঁজ মিল্ল, দেখতে পরীর মত, আদব কায়দা আছে, গুনবতী, মাদ্রাসায় পড়ে, পর্দা করে। শোনে পছন্দ হল, বিয়ে করলেন। তাহলে যেমন চেয়েছেন তেমন পেয়ে গেছেন? আমি বলব না। কোন মেয়ে যদি রক্ষনশীল তথা ইসলামী পরিবেশ বা পরিবারে বেড়ে উঠে, তার পরিবার কেমন করে একজন নামে মাত্র মসুলমানের হাতে তাদের মেয়ে কে তুলে দেবেন!!!!!! দিবা স্বপ্ন! তারা এমন কারো কাছেই বিয়ে দেবেন, যে তাদের মেয়েকে ধর্মীয় অনুশাসনে রাখার যোগ্যতা রাখে। আর মাদ্রাসা ছাত্রী শোনে এতো খুশি কেন? তারা কি খুব ভাল? আলীয়া মাদ্রাসার মেয়ে আর স্কুল কলেজের মেয়েদের মাঝে তেমন পার্থক্য নেই কিছু প্রতিষ্ঠিত মহিলা মাদ্রাসা ছাড়া। তবে আশার দিক হল, মাদ্রাসার ছাত্রীরা বিপথগামী হলেও ইসলামী শিক্কায় শিক্ষিত হবার ফলে জীবনের কোন এক সময়ে সঠিক পথে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে এবং আসেও।
এখন কিভাবে চিনবেন? চলুন তাহলে। সরাসরি বিয়ে করতে গেলে পরহেজগারী পাবেন না, অথবা আপনার কাছে দিবেনা, যদি পরহেজগারি বলে গছিয়ে দেয়, বুঝে নেবেন ঝামেলা আছে। তার আগে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। ধীরে ধীরে ধর্ম কর্ম পালন শুরু করেন দেন। ধর্মের পথে আহবানকারী, অনুশীলঙ্কারীদের সাথে উঠবস করেন, সখ্যতা গড়ে তুলুন, তবে উদ্দেশ্য যেন শুধু বিয়ে না হয়। ইসলামের পথে আপনার প্রচেষ্টা পরীক্ষিত হলে দ্বীনি ভাইয়েরা সুপাত্রীর সন্ধান দিবে। মনে রাখবেন, এক পরহেজগার ভাই অন্য পরহেজগার ভাইয়ের অকল্যাণ করবেন না। বিশ্বাস রাখুন, চির আকাংক্ষিত পরহেজাগারী নারীকেই বধু হিসেবে পেয়ে ঘর আলোয় আলকিত করবেন। আল্লাহ আপনার ইচ্ছা কবুল করুন।
শাহেদ ভাইঃ ভাই, আপনি আমার চোখ কান খুলে দিয়েছেন। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব আপনার কথাগুলো পালন করতে।
আমিঃ আপনার প্রতি শুভকামনা। অনেক ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
বিষয়: বিবিধ
২০৩৫ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ গাজী ভাই। জাজাকাল্লাহ।
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ ?
আপনাদের ভাললাগায় আমার ভাললাগা। বিশেষ ধন্যবাদ আপ্নাকেও।
পড়লাম, জাযাকাল্লাহ..
দোয়া করি- আপনার নাম সৌভাগ্যবানদের তালিকায় থাকুক
পোষ্টটা আসলেই ভাল লাগল কিন্তু এই যুগে এই রকম স্ত্রী পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। সবচেয়ে দুঃখ জনক হচ্ছে যারা বংশ এবং দিনদারির দিক দিয়ে ভাল থাকেন তাদের অনেকেই আবার অহংকারে ভুগেন।
হুম, আপ্নাকেও ধন্যবাদ
দেহের সৌন্দর্য্য নয় ইসলামী মুল্যবোধে সৌন্দর্যায়িত সুন্দর একটি মনের মেয়েকেই বিবাহের মাধ্যমে আপন জীবন সংগিনী করা উচিত।
প্রয়োজনীয় একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জান্নাতের বাবা!
অনেক ধন্যবাদ সিরাজী ভাই।
১. আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাওয়া এই বলে যে, আমি সঠিক পাত্র/পাত্রী খুজে পাওয়ার মত বুদ্ধি রাখিনা, সুতরাং হে আমার রব আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য কর যাতে আমার হবু আমার ইহকাল ও পরকালের জন্য উপকারী হয়।
২. কাউকে দেখার পর ইশতিখারা করা, কিংবা অন্তত: মুত্তাকী বুদ্ধিমান কারো সাথে পরামর্শ করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া।
Click this link to know about ইস্তিখারা
ইহা কী? ভিতরে কি ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে?
একটু পড়লেই পারতেন!! সামনের শুভক্ষণে কাজে লাগলেও লাগতে পারে তাই না!
ইহার ভিতরে বিবাহ বিষয়ক আলোচনা হয়েছে ভাইয়া!
মন্তব্য করতে লগইন করুন