স্মৃতির ভেলায় ভেসে বেড়াই ( পর্ব-৬)

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:২২:০০ সকাল



আবু গারিব, গুয়ান্তানামো বে, ট্যাডমোর কারাগার, গিতারামা কারাগার, লা সান্তে, কান সি নম্বর ২২ কারাগার, লুজিয়ানা পেনিটেনশিয়ারি, দিয়াররাকিবসহ পৃথিবীর বিখ্যাত যত কারাগার সম্পর্কে জেনেছি, এও জেনেছি কারাগার পৃথিবীর সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গা।মদ খোর গাজাখোর টপটেরর, সমকামী, যৌন নির্যাতনকারীদের দৌড়াত্ব! তবে মনে হয়না, পৃথিবীর কোন কারাগারে ঢাকা কারাগারের মত এতোটা জঘন্যভাবে ঘেষাঘেষি করে থাকতে হয়। বারান্দায় দরজার কানা কাঞ্চিতে তিল ধারনের ঠাই নেই, লোকে লোকারন্য। আমার শোয়ার ব্যবস্থা হল বারান্দায় সপ্তাহে ১৫০০টাকার বিনিময়ে। বিড়ির ধোয়ায় চোখ জ্বালা করছিল। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত দেহটাকে বিছানায় এলিয়ে দেই, নিয়ম দশটায় ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তারপর আমার পাশেই দুই সমকামীর লীলাখেলা শুরু, ও আল্লাহ আরো কত কি দেখতে হবে, কে জানে!!!!

ফজরের সময়ে টয়লেটে অজুখানায় বিশাল সিরিয়াল।টয়লেট আছে দরজা নেই, অজুখানা আছে পানি নেই, কেও কেও এমন আয়েশি হালতে টয়লেট ব্যবহার করে আসে, দ্বিতীয় কারও যাওয়ার উপায় ছিলনা। বন্যাকবলিত দেশ বাংলাদেশ, পানির অভাব মনে করিয়ে দিবে মোশাররফের কারবালার পান্তরে একফোটা পানির জন্য হাহাকারের সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্য। বিশেষ প্রয়োজনে গোসল করার কথাতো ভাবাই যেতোনা। সিরিয়াল মেইন্টেইন করে যদি পানি থাকত তা দিয়ে অজু, নয়ত তায়াম্মুম ছিল একমাত্র ভরসা। নামাজ শেষে সবাইকে ফাইল করে বসিয়ে কারারক্ষীরা এসে গুনে যেত।

জলপরীর সাথে সাক্ষাত কারাগারেই প্রথম। দিতীয়বার হূমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লীতে। জল্পরী মেয়ে হয়, কিন্তু কারাগারের জলপরী ছেলে। যার কাজ ওয়ার্ডের সবার জন্য রান্না ঘর থেকে খাবার নিয়ে আসা। প্লেট বাটি মগ, কম্বল ইত্যাদি সংরক্ষণ করা ও সবাইকে একটা করে সরবরাহ করা। কোন কারণে তাকে জলপরী বলা হয় আমার কাছে বোধগম্য নয়। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, জলপরীরা বিয়ে সংসার করে। অবাক হচ্ছেন , সেখানে আবার মেয়ে আসল কোথা থেকে! মহিলা পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা বিল্ডিং, কেও কার ছায়াও দেখতে পায়না। আসলে জলপরীরা মেয়ে নয় ছেলদেরকেই বিয়ে করে। খুব অদ্ভূত তাইনা। হা এটাই সত্য! ছেলেটি বউয়ের মতই সকল সেবাযত্ন রান্না বান্না অতঃপর শারীরিক সম্পর্ক করে থাকে। কারাকর্তিপক্ষ এইসব নোংরামির কথা ভাল করেই জানে, তাদের নীরবতা সম্মতিরই লক্ষণ।

পরের দিন গোসল করতে গিয়ে পানির জন্য কাড়াকাড়ি দেখে পিছু হটতে বাধ্য হই। হাউজে পানি দেয়ার দুই তিন মিনিটের মধ্যে শেষ, পরে শুধু বালতি বোল জগের টূন টান আওয়াজ শোনা যায়। পাশেই খোলা টয়লেট। প্রয়োজন যখন যেতেই হবে। এক পা সামনে আগাইতো তিন পা পিছনে যাই, দূর্গন্ধে টেকা বড় দায়। সেখান থেকেও ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসি। ওয়ার্ডে আসলে ডাক পড়ে আমার লোকজন আমাকে দেখতে এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই ভাই। উনারা কি বলে বুঝিনা না, আমি কি বলি উনারাও বুঝেন না, শুধু পাখির কিচিরমিরিরে কান জ্বালাপালা, তবু সিস্টেমে কথা বলা যায়, প্রথমে সে সিস্টেম আমার জানা ছিলনা, উনাদের ও ছিলনা, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাপকহারে গ্রেপ্তার আমাদের কেই দিয়ে শুরু হয়, অভিজ্ঞহতার যথেষ্ঠ ঘাটতি ছিল। এখন কাওকে দেখতে গেলে ভালভাবেই কথা বলতে পারি।সেদিন বলতে পারিনি।

তারা আমার জন্য কিছু শুকনা খাবার আর জামা কাপড় কিনে দিলেন, যা আমার কাছে আসে সন্ধায়। তাও সংসারের কর্তার হাত ধরে। কিছু দেয় আর কিছু নিজেরা রেখে দেয়। বললাম, এই লুঙ্গিটা আমার জন্য বাহির থেকে পাঠাইছে তাইনা, সরাসরি অস্বীকার। না! সংসারে নতুন এসেছিস বলে গিপ্ট করলাম। ওলে ওলে ওলে গিপ্টওয়ালা, খেতে পায়না, হুডামি ঠিকি আছে! তাও আমার জিনিস দিয়ে আমাকেই এ্যাপায়ন! রাতে বেলা নতুন স্যান্ডেল, আর আমার ছোট জামাটা হাওয়া। হাসব নাকি কাদঁব! স্যান্ডেল, বিস্কিট, চানাটচুর নিলি, সবি মেনে নিচ্ছি, তা তোদের কাজে লাগবে, আমার ছোট জিনিস টা কি কাজে লাগবে! যা কিনা একজনেরটা অন্যোজন ব্যাবহার করা যায়না। আজব বটে! রুচী কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! কর্তাকে বলি, এইভাবে চুরি হতে থাকলে যে বস্রহীন থাকতে হবে আমাজনের লোকদের মত! বলে, কিছু করার নাই, খেয়াল রাখিস তাহলে চুরি হবেনা।

পরের দিন ১৫০০ টাকার জন্য তাগিদ দেয়। কিভাবে দেব, দেখতে আসা লোকদের সাথে ভাল করে কথাই বলতে পারিনি। ডেডলাইন দেয়, আগামী কালকের মধ্যেই টাকা পরিশোধ করতে হবে, ভাবখানা এমন আমাকে টাকা ধার দিয়েছে। নয়ত ফাইলে নামিয়ে দিবে অরথাত মাঝখানে ঢলাঢলি করেই ঘুমাতে হবে। সমকামীদের একজন( সারাগায়ে ব্লেড চুরি দিয়ে হাজারো কাটা দাগ) আমাকে কুপ্রাস্তাব দেয়, যদি রাজি থাকি ১৫০০টাকা মউকুপ করে দিবে। কেমন লাগে বলেন!!!! ছোটলোকের বাচ্ছা বলে কি! বললাম, মানুষ চিনে কথা বলবেন, আপনাদের টাকার দরকার টাকা পেয়ে যাবেন, যদি না পারি দিতে ফাইলেই ঘুমাব, তবু এই ধরনের নোংরা প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে আসবেন না। উল্লেখ্য যে, গাঞ্জার আসরে তুলনামূলকভাবে আমি ছিলাম দেখতে শোনতে সুন্দর নরম শরীর, তাই কুনজরটা আমার উপরেই বেশি পড়ে।

একে একে চারদিন চলে গেল। সকাল সন্ধ্যা হুমকীর উপরেই রাখত। দিনের বেলা ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে সবার সাথে দেখা হলে কষ্টের কথা বলতাম,তাদেরো কিছু করার ছিলনা, স্বান্তনা দেয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকত।গোসল করতে পারতাম্না, খেতাম কম টয়লেটে যেতে হবে বলে, পানি খেতাম কম পেশাবের বেগ হবে বলে। কিন্তু কতদিন এমন করে থাকা যায়! চারদিনের মাথায় নাকে মুখে গামছা বেধে পা রাখার অযোগ্য খোলা টয়লেটে প্রকৃতির কর্ম সম্পন্ন করলাম।চারদিন পরে গোসল ও করতে সমর্থ হইলাম।

চতুর্থ দিন রাতে সংসারের কর্তা ভীষণ ক্ষেপে যায়। “ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িস বলে গায়ে হাত তুললাম না, কিন্তু আর সহ্য করবনা, আজ থেকে সংসারে খাওয়া দাওয়া বন্ধ, ফাইলে ঘুমাবি” ।অনেক করে বললাম, টাকাটা দিয়েই দেব, , তবু সংসারে রাখেন। না কিছুতেই রাজি নয়। সংসারের একজন কর্তাকে বলে কয়ে আমাকে খাওয়াইতে বসাল, ভাতের লোকমা মুখে তুলব,তখনি, “ লজ্জা করেনা তোর! টাকা দিতে পারিস না, ঠিকি খেতে পারিস! মনে মনে বললাম, হে আল্লাহ, কষ্ট দিবা যখন সহ্য করার ক্ষমতা দাওনা কেন! কি খাব ভাত, টপ টপ করে পানি পড়ছে প্লেটের উপর। গলায় ভাত যেন পাথরের মত মনে হচ্ছিল। এতো লজ্জা অপমান কেমন করে সহ্য করি, বেহায়া হয়ে জন্ম নিলে হয়ত সয়ে যেতো। খাওয়ার সময় কারও বকা সত্য হজম অযোগ্য। খাওয়ার পর শুইতে দিবেনা, সাফ সাফ জানিয়ে দিল। ফাইলেও নামিয়ে দিল।

না, এইবারো পারলাম না। ঠেলাঠেলি করে শোয়ার জায়গা করা আদোউ সম্ভব হলনা।দুনিয়ার যত খারাপ লোকদের সাথে শোয়া নিয়ে আমার মত দূর্বল্প্রায় ছেলেটির অসহায় ঠেলাগুতা খেয়ে হেনস্থা হওয়ার দৃশ্য দেখে অনেকেই চোখের পানি আটকে রাখতে পারেন নি। অনেক অনুনয় বিনয় করে আরেকটা রাত সুযোগ দিতে বললে রাজী হয়। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাক বান্দার সহ্য সীমা বুঝেন। সকাল বেলা খবর আসে আমাদের কাশিমপুর কারাগারে চালান করবে আজ। জানতাম না কাশিমপুর সম্পর্কে, তবু বুক থেকে অনেক বড় বোঝা যেন নেমে পড়ল। অন্তত দুনিয়ার এই নরক থেকে মুক্তি মিলবে।

মাত্র চারটা দিন, অথচ মনে হল কয়েক যুগ ধরে পড়ে আছি। এক মুরুব্বী সান্ত্বনা দেয়, “ঢাকা কারাগার কে আমাদের পান্তা ভাত মনে করতে হবে”। বললাম, বললাম, করতে কি আর অসুবিধা, কিন্তু সত্যি তা যদি পান্তা না হয়ে উত্তপ্ত গরম ভাত হয়, পান্তা মনে করে খেলে গলা পুড়ে আগ্নেয়গীরির লাভায় পরিণত হবে। আমার মত নাকানী চুবানী খাওয়া লোকদের সান্ত্বনার বাণী বড়োই তেতো লাগে। তবু সান্ত্বনাই যখন কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘবের একমাত্র উপায় হয় তবে সান্ত্বনাই শুনে যাই।

আগামী পর্বে থাকবে কাশিমপুর রওয়ানা হওয়ার সময় জেল গেইটে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর দুর্লভ সাক্ষাত, সান্ত্বনার বাণী, কাশিমপুর গমন, জেল গেইটে অভাবনীয় ভদ্রোচিত ব্যববার, যেন কনের বাড়িতে বর পক্ষের আগমন এই নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা। সঙ্গেই থাকবেন আশা করি।

বিষয়: বিবিধ

২৭১৬ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260696
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : লেখাটা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১০
204447
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মুমিনের বৈশিষ্ট্য এই যে, একজনের ব্যাথা অন্যজন কে দারুণভাবে ব্যাথিত করবে। ধন্যবাদ ভাই, আমার লিখায় নিয়মিত কমেন্টের আবারো ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন সবসময়
260701
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই দেশের অপরাধ কমাতে হলে আগে কারাগারগুলির কর্তপক্ষকে কারাগারে ঢুকাতে হবে। প্রায় ২২ বছর আগে আরেক জনের অভিজ্ঞতা তার মুখে শুনেছিলাম। এখনও তার কোন পরিবর্তন হয়নি।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
204459
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ঠিক বলেছেন, তাদের ঢূকিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে কত ধানে কত চাল! আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
260725
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
রিদওয়ান বিন ফয়েজ লিখেছেন : মহান আল্লাহ তার বান্দাদের কখনো কখনো বিপদের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন । আমার নিকট আত্মীয়দের মাঝে এখনো দুজন কারাগারে আছেন। তাদের জন্য দোয়া করবেন। ইসলামি আন্দোলন আসলে এমনই । খারাপ লাগল আপনার কথা শুনে । আপনার পড়া পড়ে ওদুজনের কথা খুব মনে পড়ছে । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪০
204536
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। অবশ্যই তাদের জন্য প্রাণভরে দোয়া করব। অনেকেই ভিতরের অবস্থা বলতে চায়না, এড়িয়ে যায়, স্বজনরা শোনে কষ্ট পাবেন বলে। আমি পারলাম না শেয়ার না করে থাকতে।
260731
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কারগারের দুঃখ দুর্দশার কথা জানতাম। আপনার টা পড়ে আরো খারাপ লাগল। রিজিক এবং তাকদীরের ফায়সালা এমন ছিল বলেই কপালে ঘটেছে।

দুবাইয়ের জেল খানাকে দুবাই সরকার নাম দিয়েছে সংশোধন কেন্দ্র হিসেবে। তারা চরম অপরাধীর সাথেও খারাপ ব্যবহার করেনা। খেলাধুলা সহ লাইব্রেরীর ব্যবস্থা আছে। কোরআন শিক্ষার সুযোগ আছে, চরিত্র গঠনরে সুযোগ রাখা আছে। যার ভাল চরিত্রের পরিচয় দেয় তাদের সাজা কমানো হয়। যারা কোরআনের শেষ পারা মুখস্ত করতে পারে তাকে বড় ধরনের ক্ষমা দেখায়। তিন পারা মুখস্থ করতে পারলে দীর্ঘ মেয়াদের সাজাও মওকুপ করা হয়।

জেল খানার সুনাম করছিনা, আপনার দুরাবস্থার কথা মনে গেল তাই এই ঘটনাটি তুলে আনলাম। জেল এবং রিমান্ড জীবনের সব কথা লজ্জা ভুলে লিখতে থাকুন, অনেকের উপকারে আসবে। যারা বাহিরে আছে তারা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা করতে শিখবে। অনেক ধন্যবাদ
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫১
204542
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আসলেই জেলখানা এমনি হওয়া উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে ছোট অপরাধে গ্রেপ্তার হয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসে সমাজের ত্রাস বড় সন্ত্রাস হয়ে। ইস! যদি দুবায়ের মত বাংলাদেশের কারাগারগুলো সত্যিকার অর্থেই সংশোধন কেন্দ হিসেবে ব্যবহৃত হত কতইনা ভাল হত। আলহামদুলিল্লাহ আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
260733
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : আফসোস আর সমবেদনা আপনার জন্য। সাথে সাথে দোয়া করি এই কষ্টের বিনিময়ে আল্লাহ আপনাদেরকে আখিরাতের কঠিন কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়ে চির সুখের স্থান জান্নাতের পথটাকে সহজ করে দিক, আমিন।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
204545
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমি অনেক খুশি হয়েছি আপনি আমার জন্য দোয়া করেছেন বলে। আমিও আপনার জন্য দোয়া করছি আল্লাহ আযেন আপনাকে সর্বস্থায় সুস্থ সবল রাখুন, আমিন।
260742
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪৩
কাহাফ লিখেছেন : লেখাটা পড়ে নিজের অজান্তেই কখন যে ফেলে আসা ভয়ংকার এক অতীতে চলে গেছি.......। আমি তো শুনেছিলাম ময়মনসিংহের চেয়ে অনেক ভালো ঢাকা কারাগার,এখন......। আল্লাহ সবাই কে হেযত করুন।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৭
204546
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : না, ঢাকা কারাগারের মত এতো খারাপ আর হয়না। অনেক বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছি জেল কারাগারগুলোতে অনেক ভালভাবেই থাকা যায়, এতোটা পৈশাচিকতা নেই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।
260745
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৮
204547
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাদের ভাল লাগাই আমার লিখায় প্রেরণা। অনেক ধন্যবাদ দুষ্ট!!!!!
260747
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
আফরা লিখেছেন : সকল অবস্থায় আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ক্ষমা চাওয়া ও বেশী বেশী শুকরিয়া করা উচিত ।আমরা জানি না কখন কোন অবস্থায় কোন পথে আমাদের উপর বিপদ আসবে ।

অনেক কষ্ট অনেক যন্ত্রনা পেরিয়ে এসেছেন । আল্লাহ আপনার ভাল করুন দুনিয়া ও আখিরাতে ।আমীন ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
204548
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ব্লগে এসেছি যেন আপনার দোয়া নেয়ার জন্য। সবসময় লিখা পড়েন কমেন্ট করেন, যা আমাকে সবসময় বাড়তি প্রেরণা দেয়। আল্লাহ আপনার ভাল করুন, দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবি দান করুন। আমিন।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
205146
বাজলবী লিখেছেন : অামিন
260787
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : জেল জীবনে সবটুকু কথা অকপটে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। মুমিনের জেলখানার আসল চেহারা আজ দেখলাম। কতটুকু নির্মম আর অর্থব হলে এমন জেলখানার দৃশ্য হতে পারে একটি মুসলিম দেশে। ছি। হাসিনাসহ সব নেতারা যদি এমন জায়গায় থাকতে পারতো।

ধন্যবাদ। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীকে এত কঠিন বাস্তবতা পার হতে দেখে খুব কষ্ট লাগল। আল্লাহ আপনার মত সব কযেদী ভাইকে সহ্য করার তৌফিক দান করুন।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১৫
204709
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাদের এতো সুন্দর সুন্দর কল্যান কামনা কমেন্টগুলো পড়তে পড়তে দুঃখ কষ্ট কোথায় যেন মিলিয়ে গেছে!
আপ্নাকেও অনেক ধন্যবাদ আপনার অতি মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার লিখা পড়েছেন বলে।
১০
260814
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে! তারচেয়েও কষ্ট লাগছে মানবেতর জীবনের ঘটনা জেনে! আল্লাহ হিফাজত করুন! Praying
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৪
204713
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কেমন করে বিশ্বাস করবেন, সেখানে না যেতে পারে কোন সাংবাদিক, না কোন মানবাধিকার কর্মী, যারা ঘটনার আসল চিত্র চুলে আনবে। যতকিছু হয়, সব চারদেয়ালে আবদ্ধ থাকে, লজ্জায় সবাই বলতেও পারেনা, ভিতরের বীভতসতা। আমিতো ঠোট স্বভাবের লোক, তাই বলেই ফেললাম! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৫১
204882
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : কিছু মনে করবেন না আপনাকে কি কারনে যেতে হয়েছিলো ওখানে?Broken Heart
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৩
205181
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বাংলাদেশে যে দল বা গোষ্ঠীটি সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, আমি তাদেরি একজন, এটাই কারণ!!!! মোদ্দা কথা হল, ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী। ধন্যবাদ আপনাকে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২০
205332
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে তার দ্বীনের পথে ইস্তেকামাত দান করুন! Praying
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০৫
205417
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমিন, আল্লাহ আপ্নাকেও সদা সর্বদা দ্বীনের উপর অটল অবিচল রাখুন।
১১
260852
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
বুড়া মিয়া লিখেছেন : কঠিন অভিজ্ঞতার কথা আরও জানলাম, পরের পর্বের অপেক্ষায়
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২৫
204714
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : শীঘ্রই সেই অপেক্ষার অবসান হবে আল্লাহ চাহেত। বুড়া মিয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১২
260882
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : বুঝেছি, সীমাহীন কষ্ট সহ্য করেছেন, এর বিনিময় আল্লাহ আপনার গুনাহগুলো মাফ করে দিক। কত আল্লাহর বান্দা যে এখনো ঐ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে, আল্লাহ তাদের সহায় হোক, তাদের উপর রহম করুক, সইবার ধৈর্য দিক, নিরাপরাধীদের স্বাভাবিক জিবনে ফিরিয়ে দিক এটাই কামনা।
আসলে কারাগারের সাইন বোর্ডটি (রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ) একটি মিথ্যা, ধোকাবাজী, প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৭
205183
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আসলেই আপনাদের কমেন্ট পড়ে আমার সব দু"খ কষ্টো ভুলে যাচ্ছি।
১৩
260973
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৬
শেখের পোলা লিখেছেন : সঙ্গেতো আছি কিন্তু যা শোনালেন তাতেতো কলিজার পানা শুকিয়ে গেল৷ কোননদিন দেখিনি শুনেই কাঁপন লাগছে৷
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৯
205185
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আল্লাহ ভরসা, সবার এমন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়না, আমি দূর্ভাগাদের কাতারে পড়ে গেলাম, তার জন্যই। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
১৪
261013
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫২
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : পুরোটা পড়ার সময় পাইনি, তবে সুন্দর হয়েছে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩০
205186
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যা পড়েছিস, তাই আমার আনন্দ। অনেক ধন্যবাদ তোকে।
১৫
261193
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
কালো পাগড়ী লিখেছেন : আসলে মুমিনের জন্য পুরো দুনিয়াটাই একটা কারাগার।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
205189
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সত্যি বলেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১৬
261294
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২০
বাজলবী লিখেছেন : অাপনার নির্মম লেখা অামার অন্তঃকরণে মর্ম হলো।অাল্লাহ তাঅালা অাপনাকে তার যাচাইতে বাচাই করে প্রিয় বান্দাদের কাতারে সামিল করুক। অামিন।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৮
205193
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার দোয়া যেন কবুল হয় আমিন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭
261812
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৪
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আপনার লেখা থেকে বন্দীদের এমন মানবেতর জীবন সম্পর্কে জেনে সত্যি খারাপ লাগছে। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
১৮
262472
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৭
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : আগামী পর্বের অপেক্ষায় আছি

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File