উঠতি বয়স, আত্মহননের উর্বর সময়!
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:৩৩:৪৭ সকাল
'দুই বোন, উঠতি বয়স, বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে মাস্তি ফান আড্ডা গান, এই নিয়ে তাদের জীবন। মায়ের বারণ, তবুও বারে গমন, দু'জনই ড্রাগ এডিক্টেড! এই নিয়ে মায়ের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। হাজার চেষ্টা করেও পারলেন না ফেরাতে। বারে মাতাল হয়ে ছোটবোন এক বন্ধুকে শরীর বিলিয়ে দেয়। বড় বোন অন্য একজনের সাথে অনিরাপদ শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পর দু'জনই প্রেগনেন্ট হয়ে পড়লে উক্ত বন্ধুর কাছে যায় কিন্তু ইতিবাচক কোন সাড়া পায়না, সে বরং কেটে পড়ে। লজ্জা হতাশা ক্ষোভ আর অপমানে ছোট বোন গাড়ির নিচে নিজেকে বলিদান করে, বড় বোন সাগরে ঝাপ দিয়ে ডেউয়ের সাথে মিশে যায়'।
গল্পটি ইংলিশ মুভি 'ECSTASY' থেকে নেয়া। ছেলেমেয়ে যখন বড় হয়, বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। কারণ উঠতি বয়সটা আত্মঘাতী কর্মকান্ডের জন্য অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। তাই যেসব তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতি বারে যায়, মদের আড্ডায় আসর জমায়, বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবাধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়, বাবা মায়ের বারণ শাসনের তোয়াক্কা করেনা, উশৃংখল জীবন যাপন করে, তারাই বেশি আত্মহননের পথ বেঁচে নেয়, কেউ বেঁচে থাকে লড়াই করে কিন্তু মুখ থেকে চিরতরে হাসি মুছে যায়, কেউবা উপভোগ করেই কাটিয়ে দিতে চায়( যাদের দেখে আমাদের ইর্ষা হয়, সেই লাইফ টাকে এনজয় করছে, আমরা পারছিনা যদিও তার দু:খ যাতনা আমাদের চোখে পড়েনা) আর কেউবা নিজেকে নি:শেষ করে দেয়।
অবশেষে ড্রাগ এডিক্টেড ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে বলব, অনেক হয়েছে এইবার ফিরে আসুন, নয়ত আজকের আনন্দটাই কাল আপনার অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 'সময় গেলে সাধন হবেনা' ।
----সালাউদ্দিন
বিষয়: বিবিধ
১৩৯০ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পুরা যৌবনটাই কাটাই খেল তামাশায়, শেষ বেলায় এসে সিজদার পর সিজদা দিয়ে কপাল কালো করে ফেলি! কিন্তু কেন? এই কাজতো আমার যৌবনে করার কথা ছিল যাতে বৃদ্ধ বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে অচল দেহে অল্প আমলে বেশি সওয়াব পাওয়া যেতে পারে।
ধন্যবাদ পনি, অনেক সুন্দর গুরুত্বপূর্ন বার্তা সহকারে মতব্যটি করার জন্য।
এবং এসব থেকে পরিত্রানের উপায় কি বাতলে দিলে আরো পরিপূরণ হতো।
এখনো অনেক গুছানো ও সুন্দর হয়েছে। লিখতে থাকুন
হা লিখতে থাকব, যদি আল্লাহ সহায় থাকেন এবং আপনাদের সংগ পাই।
ছোটবেলা থেকেই সন্তা্নকে ইসলামী মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। বাসায় ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেল বন্ধ করতে হবে। সন্তানকে সারাদিন কোনো না কোনো সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে (হতে পারে বই পড়া, লেখা, ছবি আঁকা ইত্যাদি) আটকে রাখতে হবে। মোবাইলের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। তাহলেই আপনার সন্তান সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে আশা করা যায়।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। (সূরা আন-নূর, আয়াত-৩০)
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা আন-নূর, আয়াত-৩১)
যেদিন আমরা এই তিনটি আয়াতের যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন ও অনুসরণ করতে পারবো, সেদনি এই সমাজে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, ধর্ষন ইত্যাদি আর থাকবে না।
ভাই
|| জবাব নেই || খুব
সুন্দর বিশ্লেষন
ভালো লাগলো আপনাকে
ধন্যবাদ
||
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন