জুম্মার নামাজে সরব উপস্থিতি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে উদাসীন কেন????
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২০ জুন, ২০১৪, ১২:৩৯:১৪ দুপুর
আমরা কি জানিনা, নাকি জানতে চাইনা! বুঝিনা নাকি বুঝতে চাইনা! জুম্মাবার আসলে এই ভাবনাগুলো মনে ঘুরপাক খেতে থাকে। কাওকে যদি বলি, আপনি নিয়মিত জুম্মার নামাজ পড়েন কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন না কেন? জবাবে বলে, আরে ভাই, সারাজীবনতো নামাজ পড়ি নাই, তাই এখন জুম্মার নামাজ দিয়ে অভ্যাস করতেছি। বলি, অভ্যাস করার জন্য জুম্মার পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও আপনাকে পড়তে হবে, কোন জিনিস একেবারে প্রেক্টিস না করে কেমন করে তাতে অভ্যস্ত হবেন!
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কি বলে দিয়েছেন, জুম্মার নামাজের গুরুত্ব বেশি, তাই তা পড়লেই চলবে, পাচ ওয়াক্ত নামাজ তোমার জন্য অপশনাল???? নামাজ তরক করার ব্যাপারে আল্লাহ পাক যে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কোরআন মাজিদের বিভিন্ন আয়াতে, তা কি শুধু জুম্মার নামাজ কে কেন্দ্র করে অথবা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে বাদ দিয়ে??? যদি তাই না হয়ে থাকে, তবে কেন জুম্মার নামাজ খুব ঘটা করে পড়ে বাকী নামাজে আশ্চর্যজনকভাবে উদাসীন থাকা।
আসুন ভাই, নামাজ যখন পড়বেন, তবে অর্ধেক কিংবা কিয়দংশ কেন, সবটুকুই পড়ি। ফরজ বিধান সবক'টার গুরুত্ব একই, সুতরাং সব ফরজ বিধান একি রকম গুরুত্ব দিয়ে আদায় করার চেষ্টায় আজি নেমে পড়ি। আপনার সাহায্যার্থে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পাশেই রয়েছেন।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৮ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জুম্মার নামাজে যেভাবে খুব সেজে গুজে মসজিদে আসে ( ভাল ও শরিয়ত সন্মত পোশাক পড়তে বলাই আছে ) সেটা দেখে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে - নামাজ পড়তে আসাই উদ্দেশ্য , না কি নিজের পোশাক হেয়ার স্টাইল গাড়ি এসব দেখানোর জন্য এসেছে ?
যারা জুম্মার নামাজ পড়তে আসে তাদের ৯০% পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই পড়ে না, মসজিদে এসে পড়া তো দূরের কথা ।
এরা মনে হয় খৃষ্টান , ইহুদীদের মত ধর্ম পালন করতে চায় । খৃষ্টানরা যেমন রবিবারকে এবং ইহুদীরা যেমন শনিবারকে তাদের ধর্ম পালনের দিন হিসেবে তুলে ধরে , তেমনি এসব ৯০% রা শুধু শুক্রবারকেই ধর্ম পালনের দিন হিসেবে দেখতে চায় ।অথচ ইসলাম ধর্ম জীবনের প্রতি মুহূর্তে পালন করতে হয় ।
আবার এদেরকেই দেখবেন দুই ঈদে খুব লাক্সারী করে ।
বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষই এই মনোভাবের ।
যথার্থই বলেছেন।
আসল কথা হল- এর জন্য আমাদের ঈমামেরাই অনেকাংশ দায়ী। তারা ওয়াজে নামাজের গুরুত্বের চেয়ে জুম্মার তাৎপর্য নিয়ে, কদরের চেয়ে শবে বরাতকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন।
ধন্যবাদ পিলাচ
পুরনো লিখায় মন্তব্য করে আবারো ভালবাসার পরিপূর্ণতা জানান দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন