প্রাচ্যের ইউরোপে এক যুবকের পথচলা -----
লিখেছেন লিখেছেন পরিচিত ০৭ মে, ২০১৪, ১১:৫৭:১১ রাত
বরপ ঢাকা শিতের এক সকালে যুবকের মাঝে যে খেলা খেলল তা খেলতে গিয়ে আজানা এক পরিবেশে নিজেকে আবিস্কারের নেশা এবং রুটি রুজীর অন্য চরিত্র দেখার ভাগ্য কে নিয়ে খেলার নেশায় ইউরোপের এক ট্রেন স্টেশনে আগমন তার জীবনের কর্মের চিরাচরিত নিয়ম কে দূরে সরিয়ে।ট্রেন স্টেশনে এসে যুবকের মাথায় এই টুকু খেলে ছিল রাতের এই স্টেশনে কার কাছে কিছু না জানতে চেয়ে প্রাচ্যের রাজধানী অভীমুখি হও তাহলে খুঁজে পাওয়া যাবে হয়ত নিজ ভাষাভাষী কাউকে।রাতের আধারে তাই নিজের কাছে থাকা ডলারের কিছু স্টেশনের ভিতর কপি শপের আধো আধো ইংরাজী বলা লোকটির সহয়তায় রাজধানী মুখি একটা টিকিট কিনে ভোরের প্রথম ট্রেনের অপেক্ষায় যুবক।সকালের প্রথম ট্রেন যখন রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রে তখন অফিস মুখি মানুষ গুলির দৌড়ঝাপের ব্যস্ততায় কাউকে বলার সুযোগ হল না যুবক যা খুঁজছে সেটা জানার।সকালের এই আলো আঁধারের এই বরফ ঢাকা শহরে কাউকে খুঁজে বের করতে হবে এই নেশায় পথে নেমে পড়ে বুকের ভিতর শিতের তীব্রতায় জড়ানো পা দুইটি আর যখন চলছিল না তখন যুবক আসলে ভেংঙ্গে পড়েছিল সে কি ভুল করছে এই ভেবে ।এখন আর পিছে ফেরার উপায় নাই যে পথ থেকে বিদায় জানিয়েছে তাই নিজেকে ঠিকিয়ে রাখতে হবে সেই জোরে পথের এই গলির হাঁটা এর মাঝে চোখের নজের আসা একটা সাইন বোর্ড "ইন্ডিয়ান স্টোর"।মূহর্তের মাঝে যুবকের মাথায় খেলেছিল একটা কিছু খুঁজে পাওয়ার ।সকালের কর্মব্যস্তার এক আগুন্তকের দরজা ঠেলে ভিতরে ডুকতে ধেকে ভদ্রলোক একটু বিব্রত বুঝা গেল তারপরো শরীরের বর্ণের কারণে ভেবেছিল নিজ দেশের তাই প্রথম শব্দ কেহা চাই ? যুবকের হিন্দি ছবী দেখা থেকে ঝটপঠ তার নিজ ভাষাভাষীর কাউকে খুঁঝছে সেটা বলে দিল । এর মাঝে একটা ফোন কলের জন্য ভদ্রলোক উত্তর না দিয়ে ইশারায় আরেক জন কে এক কাপ কফি দিয়ে টেলিফোনে ব্যস্ত থাকল।এই ফাঁকে কপি খেয়ে শেষ না করতে যুবকের সামনে ভদ্রলোকের জানতে চাওয়া এই শহরে যুবক কাউকে চিনে কিনা? যুবকের না শব্দ শুনে সে শুধু এই টুকু বলেছিল এই অচেনা শহরে চেনা জানা কাউকে না চিনে আসা ঠিক হয় নাই। ভদ্রলোকের কথাটি সেই সময় যুবকের মাঝে কনো প্রশ্ন না জাগালেও জীবন চলার বাকি দিন গুলি ভদ্রলোকের এই উক্তিটি বলার রহস্য যুবক উপলব্দি করেছিল।
ভদ্রলোক যুবকের রাতের ক্লান্তির চাপ দেখে বলল যাও দোকানের ভিতর শাওয়ার রুম আছে ওখানে গিয়ে ফ্রেশ হও দেখি আমি কি করতে পারি । অবশেষে ভদ্রলোক যুবক কে ম্যগডলানেসে এক বাংঙ্গালী ক্লীনআপের কাজ করায় ওখানে গিয়ে খুঁজে দেখার পরামর্শ দিলেন এবং রাস্তায় নেমে ম্যগডনালসে যাওয়ার রাস্তা টি বলে দিলেন। যুবক এতক্ষণে প্রাণ ফিরে ফেল এই ভেবে আমার ভাষাভাষা কাউকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে।মূহর্তে ভুলে গেল বরফ ঢাকা সকালে তার মনের মাঝে কান্না পাওয়ার সেই কষ্টের কথা---
অবশেষে ম্যগডনালেসে ভিতরে লাইনে দাড়িয়ে তার খুঁজে পাওয়া মানুষ টির কথা জানতে অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে নজরে এল যুবকের বর্ণের কিছু মেয়ে ম্যগডনালসের পোশাকে খাবার বিতরণ কাজে ব্যস্ত ।যুবক মনে মনে মহা খুশি এরা ইন্ডিয়ান ভেবে এর কারণ সকালে এক ইন্ডিয়ানের দেখা মিলার জন্য। আর সেই আনন্দে ডেক্সের সামনে আসা মাত্র "আপ ইন্ডিয়ান হায়?" এই শব্দের মাধ্যমে। মূহর্তে মেয়েটি থতমত খেয়েও "নেহি" বলে ইংরাজীতে বলল যুবক কি খেতে চায়? আবারও যুবক হিন্দি তে বলল সে যাকে খুঁজছে তার কথা । পিছনে লম্বা লাইন দেখে মেয়েটি হিন্দিতে বলল "আপ ওধার যাও মে বাদ মেয়ে বাত করেগা"।যুবুক তড়িত বুঝেছিল মেয়েটির সমস্যার কথা তাই তড়িত মেয়েটির বিব্রত অবস্তা দূর করার জন্য ঝটপট কিছু ডলার সামনে রেখে বলল কিছু খাবার দিতে আর কোন টেবিলে বসে অপেক্ষা করব বলে দিতে। মেয়েটি টেবিল দেখিয়ে দিয়ে বলল ওখানে ওপেক্ষা কর। প্রায় এক ঘন্টা পরে যুবকের সামনে মেয়েটি হাজির। এবার হিন্দিতে বলল এবার যুবক কি চায় সেটা বলার জন্য।আর জানিয়ে দিল সে ইন্ডিয়ান না দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম এর নাগরীক তাদের দেশেও হিন্দিতে কথা বলে। যুবক টি যাকে খুঁজছে তাকে সে চেনে তবে তাকে এখন পাওয়া যাবে না রাতে ছাড়া কারন রাতের ক্লিন আপ ঠিমের সাথে আসে সে- যুবক তখন মেয়েটি কে বলল সেই শহরে কাউকে চিনে না যেভাবে হোক তার সাথে একটা যোগাযোগের ব্যবস্তা করে দিতে। মেয়েটি অল্পতেই অফিস রুমে গিয়ে যুবক যাকে খুঁজছে তার টেলিফোন নাম্বার এনে যুবকের সামনে ভদ্রলোক কে ফোন করে যুবকের আগমণের কথা জানাল কথা শেষে মেয়েটি বলল যুবক কে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে ভদ্রলোক হাতের কাজ শেষে এখানে আসবে।
অবশেষে ভদ্রলোক আসলেন যুবকের সাথে পূর্ব সাক্ষাত বা পরিচয় না থাকার কারণে সেই মেয়েটির মাধ্যমে যুবক কে খুঁজে পেতে হল। ভদ্রলোক প্রথম জানতে চাওয়া সে কার কাছে এসেছে? যুবুক এই শহরে কাউকে চেনে না বলার সাথে সাথে ভদ্রলোকের দ্বীতিয় প্রশ্ন বাংলাদেশের কোন এলাকায় যুবকের বাড়ি? যুবক একটি অন্ঞ্চলের নাম বলার সাথে সাথে সে যে ভদ্রলোকের এলাকার না তার চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল।তাই ঝটপঠ ভদ্রলোক জানতে চাইল তুমি ওমুক কে চিনেন কিনা? যুবক না বলল । ভদ্রলোক এবার আর কনো কথা না বাড়িয়ে বললেন আস আমার সাথে এবার উনি ম্যগডনালসের কাছেই আরেকটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরনটের বাহিরে যুবক কে দাঁড় করিয়ে রেখে আরেক জন ভদ্রলোক কে নিয়ে যুবকের সামনে এনে বলল একে চিন কিনা? ভদ্রলোকের প্রথম প্রশ্ন উনার বিভাগের কোন অন্ঞ্চলের বাসিন্দা তুমি? যুবকের উত্তর বলার আগেই প্রথম ভদ্রলোকের কাজ আছে বলে যুবকের কাছ থেকে চলে গেল। যুবক কে যে ভদ্রলোকের কাছে রেখে গেল সে বলল রেস্টুরেন্টে অনেক ভিড় এদিক ওদিক ঘুরা ঘুরি কর আমার কাজ শেষ হবে রাতের ১১ টার দিকে তখন কথা হবে। অচেনা এই শহরে নিজেকে ঠাঁই করিয়ে নেওয়ার জন্য যুবক তার কথা গুলি শুনানোর জন্য পথে নেমে রাত ১১ টার ঘড়ির কাঠার অপেক্ষায় অপেক্ষায় পথে নেমে পরল---------
(আজ এই পর্যন্ত আরেকদিন যুবকের বাকী গল্প শুনাবো-- যদি কেউ পড়ে থাকেন উপরের লেখাটুকু ছটো খাটো টাইপিং ভূল গুলি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা রাখছি।)
বিষয়: বিবিধ
১২৮৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপনার উপস্তিতি পোষ্টে এসে কিছু বলার জন্য----
মন্তব্য করতে লগইন করুন