নারীরা, নারী দ্বারা'ই বেশি নির্যাতিত
লিখেছেন লিখেছেন ওবাইদুল্লাহ ওবাইদ ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:০৫:১৬ বিকাল
নারী নির্যাতন সমাজের একটি বহু পুরনো সমস্যা। যা দূরিকরণের লক্ষ্যে কোন সরকারের প্রচেষ্টার কমতি ছিল না। সাথে অনেক সংগঠন বা সংস্থা তো আছেই। বর্তমানে বাংলাদেশে নারীনির্যাতন রোধে কঠোর আইন করা হয়েছে। আজকে সমাজে নারী নির্যাতিনের শিকার হয়েছে বা নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে এ ধরণে কিছু শুনলেই আমরা বুঝি কোন পুরুষ নারী নির্যাতন করেছে বা কোন পুরুষের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে ভিন্ন চিত্র। আমার ধারণা নারীরা নারী দ্বারাই বেশি নির্যাতনে শিকার হয়। কোন এক গুণিজন তো বলেই ফেলেছেন, "একজন নারীবাদী নারীর কাছে আরেকজন নারী অতোটা নিরাপদ নয়, যতোটা নিরাপদ একজন নারী বিদ্বেষী পুরুষের কাছে" একটা নারী তার জীবনের সিংহভাগ অংশ তার শশুরালয়ে কাটায়। দেখুন না, কয়টা মেয়ে তার শশুর বাড়িতে ভালো আছে? হয়তো হাতেগনা কয়েকজন। আর বাকিরা সব হয়তো শাশুরীর নির্যাতনে অতিষ্ট। অথবা ননদের হিংসার আগুনে দগ্ধ হচ্ছে। নতোবা স্বামীর ষ্টিমরোলারে পিষ্ট হচ্ছে। বেচারী মেয়েটি আর কী বা করার থাকে। যেখানে তার সর্বোচ্চ ভালোবাসা আদর সোহাগ পাওয়ার কথা সেখানে যেন এক নরকে বাস! অথচ সেই এক'ই শাশুরীর মেয়ে অন্য আরেকটি বাড়িতে পান থেকে চুন খসলে ফেরেশানির সীমা থাকে না। কিন্তু কেন? মেয়েটি তো তার পিত্রালয় ত্যাগ করে এখানে এসেছে একটি সোনালি জীবনের সূচনা ঘটাতে। সে তার সব বিসর্জন দিয়ে এখানে চাকরানীর মতো খাটতে আসেনি। অথচ সারাদিন খেটেও তাকে শুনতে হচ্ছে, "রানীর মোডে আছে" মূলক বাক্যটি। একজন পুত্রবধু সে আপনার চাকরানী নয়। কারও অধিকার নেই তাকে দিয়ে কাজ কর্ম করানো। ইসলামও এটা বলে না। বাপের ঘর ছেড়ে অন্যত্র সারা জীবনের জন্য চলে যাওয়া অতো সহজ নয়। বিবাহের সময় যে দুফোটা চোখের জল ঝরেছে তা মোটেও দুফোটা ছিল না। ছিল দুটি সমুদ্র। যার কোন কুল কিনারা নেই। এ একটি মেয়ে পরিবারের সব কাম সমাধা করছে। সবার মন রক্ষা করে চলার চেষ্টা করছে। সবাইকে আপন করে নিতে চাচ্ছে। অথচ এক ঘর মানুষ তার মন রক্ষা করে চলতে পারছে না। তাকে আপন করে নিতে চাচ্ছে না। কেন তার কোমলমতি মনটাকে কষ্ট দিচ্ছেন? কেন তার একাকি মনটাকে জালিয়ে পুড়িয়ে আঙ্গার করে দিচ্ছেন? প্লিজ একটু ভাবুন! মেয়েটি তার মা বাবা ভাই বোন ঘর বাড়ি সব বিসর্জন দিয়ে আপনার এখানে এসেছে। মানুষের ভুল থাকতেই পারে। আপনি তাকে আপন করে নিন। আদর সোহাগ দিন। দেখবেন আপনাদের ভয়ে ভয়ে সে যে ভুল গুলো করতো সেগুলোও আর হচ্ছে না। আপনাকেই তো সে মা বলে ডাকছে। আপনি তাকে আপন মেয়ের মতো করে নিন না!
বিষয়: বিবিধ
১৪০০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাস্তায় চাকর এর খেতাব নিয়ে মেয়েরা চাকরী করতে পারলে তখন আর নিজেকে চাকরানী মনে হয় না? এবং বলেও না – এতে সে অন্যন্ত খুশী হয়, নিজেকে যোগ্য বলে জাহির করতে! মূলত যেসব বদমাইশ নারীর কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া নিজেকে বাইরে প্রদর্শন এবং স্বামী ছাড়া অন্যদের সাথে ফষ্টি-নষ্টি করার খুব শখ – তারাই এসব প্রশ্ন উত্থাপন করে, আর কেউ না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন