সমাজতন্ত্রেরও কিছু উপকার আছে – আল্লামা সাঈদী
লিখেছেন লিখেছেন ইবনেআদম ০৩ জুন, ২০১৪, ০৮:২১:২২ রাত
কিছুদিন আগে আল্লামা সাঈদী সাহেবের একটি ওয়াজ শুনেছিলাম। উক্ত ওয়াজে আল্লামা সাঈদী সাহেব সমাজতন্ত্রের অনেক গুলো কুফল বর্ণনা করছিলেন। কুফলগুলো বর্ণনার পর একটি উদাহরণের মাধ্যমে তিনি সমাজতন্ত্রের ৩টি সুফল বা উপকারীতার কথাও বললেন। তাঁর বক্তব্যের সারাংশ নিচে উল্লেখ করা হলো।
সমাজতন্ত্রীরা বলে বেড়ায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে দেশের অনেক উপকার হয়। আমিও বলি হা অবশ্যই কিছু উপকার হয়, কোন ব্যক্তি যদি অনবরত মহিষের দই খায়, তা হলে তার জীবনে মহিষের দই ৩টি উপকারীতা বয়ে আনবে। যদিও এমন উপকারীতা কোন ব্যক্তি ভুলেও কামনা করবেন না। উপকারীতা ৩টি হলো
প্রথম উপকারঃ ঘরে চোর ঢুকবেনা –
মহিষের দই অত্যন্ত ঠান্ডা, অনবরত মহিষের দই খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। প্রবল ঠান্ডা তাকে আক্রমণ করে, শুরু হয় হাঁসি-কাশি, ক্রমান্বয়ে হয়ে যায় হাঁপানি। এতে করে রুগী দিন রাত হাঁসি-কাশি দিতে থাকে। যদি কখনো মধ্যরাত্রিতেও তার বাড়িতে চোর আসে এবং রুগির কাশির শব্দ শুনে তখন চোর বেটা মনে করবে গৃহস্থ্য এখনো জাগ্রত আছে। অতএব চোর তার ঘরে ঢুকার চেষ্টা করবে না।
দ্বিতীয় উপকারঃ কুকুর কামড়াবে না-
যেহেতু ঠান্ডায় কাশতে কাশতে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে, রুগী হয়ে যায় জীর্ণ-শীর্ণ, এতে করে রুগী স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলা করতে পারে না। তখন সে একটি লাঠির সাহায্যে চলা-ফেরা করে। হাতে লাঠি দেখে কুকুর ভয়ে তার পাশেই আসে না বরং লাঠি দেখেই কুকুর পালায়।অতএব তাকে কুকুর কামড়ায় না।
তৃতীয় উপকারঃ পুত্র শোক হবে না-
কাশি এবং হাঁপানির কারণে রুগী দিন দিন দূর্বল হয়ে এক সময় শষ্যাশায়ী হয়ে যায়। তাই রুগী বিয়ে শাদী করতে চায় না বা বিয়ে করে না, যখন বিয়েই করবে না তখন তো ছেলে সন্তানও জন্মাবে না, অতএব তার পুত্র শোক ও হবে না।
উদাহরণ দিয়ে আল্লামা সাঈদী উপস্থিত জনতাকে বললেন, কোন দেশে যদি সমাজতন্ত্র কায়েম বা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে সেই দেশের অবস্থা হবে মাত্রারিক্ত মহিষের দই খাওয়া সেই ব্যক্তির মত, উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও মহিষের দই তার জীবনে কোন প্রকার উপকার বয়ে আনেনি বরং অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার দিকে তাকালেই আমাদের চোখে সেই চিত্র ভেসে উঠে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জব্বর বলেছেন উনি।
এবার গনতন্ত্র নিয়ে বলুন।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন