তাহের পুত্রের বিয়ে ও বাসর এবং হাজারো কয়েদীর জন্য একটি মানবিক প্রর্থনা ।

লিখেছেন লিখেছেন দারোগা সাহেব ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ০১:০১:১০ দুপুর

লক্ষীপুর কারাগারে তাহের পুত্র বিপ্লবের বিবাহ ও বাসর এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি ।

এ ঘটনা যেমন রঙ্গ রসের সৃষ্টি করেছে আবার ক্ষমতার দাপটকেও দেশবাসীর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ।

বিষয়টা হয়ত এতটা আলোচিত হতনা যদি ঘটনার নায়ক লক্ষীপুরের গডফাদার খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্ত আবু তাহের পুত্র বিপ্লব না হতেন ।

সত্য বলতে এই বিবাহ একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এখানে মন্দ কিছু হয়নি বরং ভবিষ্যতের জন্য ঘটনাটি একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে ।

বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে হাজার হাজার কয়েদীর অবস্থান ।

এসব কয়েদীর অনেকেই আছে যাবজ্জীবন অথবা দীর্ঘমেয়াদে কারাদন্ড প্রাপ্ত । যারা বাহিরের জগত থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন । এই বিচ্ছিন্নতা হেতু এসব কয়েদী তাদের জৈবিক চাহিদা পূরণের বৈধ পথ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । এই বঞ্চনা তাদেরকে ঠেলে দিচ্ছে একটি ভয়ংকর পাপ ও মারাত্মক সাস্থ্য ঝুঁকির দিকে ।

যদিও কারাগারে অবিবাহিত ও বিবাহিত কয়েদীরা বঞ্চিত হচ্ছে বিবাহ এবং তাদের স্ত্রীদের সান্নিধ্য থেকে কিন্তু তাই বলে তাদের জৈবিক চাহিদা কিন্তু তাদেরকে ছেড়ে যায়নি । বরং দীর্ঘ দিন জৈবিক চাহিদা পূরণের বৈধ পথ না থাকায় এসব কয়েদী এই চাহিদা পূরণে এক প্রকার বাধ্য হয়ে সমকামিতার মত একটি জঘণ্য পথকে বেছে নিচ্ছে । ফলে কারাগারগুলো সংশোধনাগার না হয়ে উল্টো পাপাচারের আখড়ায় রুপান্তরিত হয়েছে ।

কারাগারে সিনিয়র কয়েদীদের শিকার হচ্ছে মূলত নবাগত কয়েদীরা বিশেষ করে যারা অল্প বয়স্ক । কারাগারে চলমান সমকামিতা সম্পর্কে জেল সুপার থেকে শুরু করে কারারক্ষী পর্যন্ত সবাই অবগত কিন্তু বিষয়টি সমাধানের যেন কেউ নেই ।

এ অনৈতিক কর্ম ও পাপাচার থেকে উত্তোরণে প্রতি মাসে বা সপ্তাহে বন্দীদের জন্য নির্দিষ্ট এক বা একাধিক দিন কারাভ্যন্তরে নির্ধারিত কক্ষে তাদের স্ত্রীদের সাথে একান্তে কিছু সময় কাটানোর ব্যবস্থা করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে ।

এতে করে যেমন কারান্তরীণ পুরুষ অথবা মহিলা কয়েদী তার জৈবিক চাহিদা বৈধভাবে পূরণ করতে পারবে ঠিক তেমনিভাবে কারাগারের বাহিরে অবস্থানরত তার স্ত্রী/স্বামীও পরকিয়ার মত পাপাচার/ সামাজিক অনাচার থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে সক্ষম হবে ।

তাই কেবল তাহের পুত্রদের জন্য সুযোগটি অবারিত না করে কারাগারে অবস্থানরত সকল বিবাহিত ও অবিবাহিত কয়েদীর জন্য এ সুযোগের দ্বার খুলে দেয়াটা এখন মানবিকতার দাবী ।

বিষয়: বিবিধ

১০৯০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

250411
০৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:২৬
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : একমত
250421
০৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:১২
বেআক্কেল লিখেছেন : I Don't Want To See I Don't Want To See I Don't Want To See I Don't Want To See Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Not Listening Not Listening Not Listening Not Listening ^Happy^ ^Happy^ ^Happy^ ^Happy^ Thinking? Thinking? Thinking? Thinking? At Wits' End At Wits' End At Wits' End At Wits' End Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming Applause Applause Applause Applause Surprised Surprised Surprised Surprised ;Winking ;Winking ;Winking ;Winking
250424
০৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২০

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 9368

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> আমি মেঘ হবো লিখেছেন : আপনার পরামর্শগুলো যৌক্তিক। কাজে লাগালে উপকৃত হওয়া যাবে
250432
০৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
হতভাগা লিখেছেন : তাদের সাথে তাদের Spouse দেরকেও জেলে ঢোকানো হোক । না হলে সেক্সের আড়ালে তারা অন্য ধরনের ব্যবসা শুরু করে দেবে কারাগারে এবং কারাগারের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে ।

খোদ বাইরের উন্নত দেশগুলোতেও এরকম দাবী আসে না যেটা দারোগা সাহেব এদের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে করছেন ।
তারা একটা নির্দিষ্ট সময়ে কথা বলতে পারেন , তাও আবার কাচের আড়ালে হ্যান্ড সেটের মাধ্যমে ।

ইনকেশসাস ডিজিজকে একঘরে করে রাখাই ভাল । কাউকে তার কাছে আসা যাওয়া করতে দেওয়া উচিত না । না হলে তা সমাজে ভয়ংকর ভাবে ছড়িয়ে যাবে ।
250504
০৩ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৯
শেখের পোলা লিখেছেন : এর পরের দাবী হয়ত হবে জেলখানা উঠিয়ে দেওয়া হোক৷ কিংবা তাদের, চোর ডাকাত খুনী, ধর্ষক কয়েদীদের মাঝে মাঝে ছুটির ব্যবস্থা করা হোক, যাতে তারা পেশা ভুলে না যায়, কি বলেন?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File