''গরিবের ঘরে জন্ম'' ___________ পারভেজ রুমি''
লিখেছেন লিখেছেন ইচ্ছা পূরণ ০১ মে, ২০১৪, ০৮:২২:৪৩ রাত
''নিজে কে খুব অসহায় মনে হয়,কারো কাছে গিয়ে মনের দুঃখটা যে প্রকাশ করবো সেই জায়গাটাও নেই। কেন না গরিবের ঘরে জন্ম.........!!!
''গল্পের সূএপাত'' রশিদ মিয়া ,বয়স ৩০ ছুই ছুই,বিবাহিত ২ ছেলে মেয়ে সহ সংসারে তারা ৪জন।অভাবের সংসার......
অনেক কষ্টে রশিদ মিয়া মানুষ হয়েছে,কিন্তু নিজের আর্দশ কে কখনো ছোট করেনি সেই।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল বেশ। কিন্তু কোন চাকুরি করেতে পারেনি,কেন না চাকুরির জন্য যেখানে গিয়েছে,সে খানে ঘুস চাই,নইলে বলে চাকুরি হবে না.....।
শেষ পর্যন্ত অসহায় হয়ে জীবন যুদ্ধে নেমে পড়ে,বেচে নেই ,নিজ হাতে কর্মসংস্হন। রিক্সা চালান আর
যখন যে টা পাই সেটা করে,কারো কথা তে না করে না,শত কষ্টের মাঝে রশিদ মিয়া বউ ছেলে মেয়ের মুখে কষ্টের ছায়া পড়তে দেইনি। নিজে কষ্ট পাই,কিন্তু সেই কষ্ট তার পরিবারের কাউ কে বুঝতে দেয় না সেই ,রশিদ মিয়া সারা দিন কাজ করে যে টুকু টাকা পয়সা পাই,ও গুলো দিয়ে তার সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয় তাকে।
রশিদ মিয়া যে কারো কাছে গিয়ে নিজের কষ্টর কথা বলবে,সেই টা ও খুঁজে পাই না সে।রশিদ মিয়া সব সময় এই কথা ভাবে,আমি যদি কারো কাছে আমার কষ্টের কথা গুলো বলি,হয়তো সে ওগুলো নিয়ে উপহাশ করবে,তখন তো আমার কষ্ট গুলো বাড়বে।তার চেয়ে নিজে কষ্ট নিজের কাছে থাকা ভাল.......শুধু এই চিন্তা করে রশিদ মিয়া।
কিছু দিন পর হঠাৎ রশিদ মিয়ার বউটা মারা যায়,রশিদ মিয়া আরো ভেঙ্গে পড়ে।
কেউ এসে রশিদ মিয়া কে একটু শান্তনা দিবে সেই মানুষটাও নেই,রশিদ মিয়ার জীবনে,কয়এক দিন পর রশিদ মিয়া নিজের ছেলে মেয়ের দিকে তাকিয়ে ,একটু শক্ত হলো.......।
রশিদ মিয়া ছেলে মেয়ের দিকে থাকিয়ে আর বিয়ে করেনি। রশিদ মিয়ার জীবন টা এই ভাবে চলতে থাকলো,রশিদ মিয়ার মনে শুধু একটা চাওয়া আছে,তার ছেলে মেয়ে বড় হয়ে যদি তাকে একটু সুখ দেয়। রশিদ মিয়ার জীবন টা আর বদলালো না,রশিদ মিয়া যেমন ছিলো ঠিক তেমন রইয়ে গেল।
রশিদ মিয়ার মতো আরো হাজারো রশিদ মিয়া,গরিবের ঘরে জন্ম নিয়ে জীবন যুদ্ধে ,মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য প্রতিনিয়তো সংগ্রাম করে চলেছে।
রশিদ মিয়া কে কেউ কখনো বুঝতে চাইনি,শুধু মাএ গরিবের ঘরে জন্ম বলে।
(বি:দ্র আমরা চাই না কেউ আমাদের পাশে ,রশিদ মিয়ার মতো কেউ বেঁচে থাক,প্রতিবেশি হিসাবে এই রকম অসহায় রশিদ মিয়ার পাশে দাড়ানো আমাদের দ্বায়িত্ব।
০১-০৫-২০১৪ ইং
বিষয়: বিবিধ
১৮৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন