হিজাব করার কারণে ভেঙ্গে গেল বিয়ে!
লিখেছেন লিখেছেন মুজাহিদ হোসাইন সজিব ০৭ জুন, ২০১৪, ১১:০৬:৫৪ সকাল
নাবিহা আপু - কুয়েট থেকে পাশ করেছেন। যে ছেলের সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছে, সেও কুয়েট থেকেই পাশ করা। প্রথমে ছেলের মা ও ছোট বোন বাসায় এসেছিলেন আপুকে দেখতে। সব কিছু পছন্দ হওয়াতে কোন এক রেস্টুরেন্টে ছেলেকে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়। কথানুযায়ী মাগরিবের পর চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের কাছে একটি রেস্টুরেন্টে দু'পক্ষ হাজির হয়েছেন। যেহেতু দেখা সাক্ষাত এবার বাসার বাইরে হচ্ছে তাই নাবিহা আপু ছিলেন আজ হিজাব পরিহিতা। তাঁকে নিয়ে পাত্রের বোন একেবারে কর্নারের একটি টেবিলে বসেছেন শুধু পাত্রকে দেখানোর জন্য।
ছেলের কাছে আগেই সংবাদ দেয়া হয়েছিল, মেয়ে পর্দা করে। কিন্তু পর্দা মানে সে বুঝেছিল ঘোমটা দেয়া, শালিন কাপড় পড়া । পাত্রি যে এভাবে সব কিছু ঢেকে হিজাব পড়ে আসবে তা তার ধারনাতে ছিল না। তাই পাত্রের এখন ক্ষোভের আর
কোন সীমা পরিসীমা নেই। রেস্টুরেন্টের শত শত মানুষের সামনে বাবা মার সাথে ঝগড়া শুরু করে দিলেন এই তথাকথিত ভদ্রলোক । সামান্য সৌজন্যতা দেখানোরও প্রয়োজন মনে করলেন না। সাফ জানিয়ে দিলেন, হিজাব পড়া কোন মেয়েকে তিনি বিয়ে করবেন না। সুতরাং তাকে দেখারও কোন প্রয়োজন নেই। বাবা মাকে এক বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে রেখে একাই গট গট করে হেটে চলে গেলেন।
পরিবারের অন্য সদস্যরা অতটা দ্বীনদার না হওয়াতে এই হিজাব পড়া নিয়ে বাসার ভেতরে এবং ভার্সিটি লাইফ ও বন্ধু মহলে সব সময়ই প্রতিকুলতার শিকার হতে হয়েছে এই বোনটিকে। পাত্র পছন্দের ব্যাপারে দ্বীনদারীর তুলনায় অর্থ সম্পদ ও শিক্ষা দিক্ষাকে যখন পরিবার প্রাধান্য দিচ্ছিল, তখনই আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাধ ও সাধ্যকে সবসময় একই নৌকাতে ওঠানো সম্ভব হয়না। তাই শেষ পর্যন্ত পাত্র নির্বাচনের ব্যাপারে নিজ ইচ্ছার মূল্য পরিবার না দিলেও নিজ আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা না হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। একারনেই উক্ত প্রস্তাবটির ব্যাপারে তাঁর মা যখন একটু ছাড় দিতে চাচ্ছিলেন, নাবিহা আপুর সাফ জবাব ছিল, " এত গুলো বছর এই হিজাবের জন্য হাজারো অপমান সহ্য করেছি। বহু কথা শুনেছি। আলহামদুলিল্লাহ আজ আমি মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত। হিজাব করার কারনে যদি আমার সারা জীবনও বিয়ে না হয়, আমি তাঁর পরোয়া করি না। আমার পক্ষে হিজাব ছাড়া সম্ভব নয়। "
এই দুনিয়াতে এরকম মুসলিম বোনেরা আছেন বলেই, আকাশ থেকে এখনও বৃষ্টি নামে, জমিতে ফসল ফলে। এক আল্লাহই এদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাআলা নাবিহা আপুকে ধৈর্য ধারনের সৌভাগ্য দিন। কোরআনে আল্লাহর যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ঠিক সেরকম কাউকে তাঁর জন্য মিলিয়ে দিন। "দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষেরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীগণ সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষগণ সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে।" -
সুরা নূর, আয়াত ২৭
--------সংগৃহীত.............।
বিষয়: বিবিধ
২০৯৩ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দাস-দাসীদের বিবাহ প্রদান সম্পর্কে আল্লাহ্ সুবহানাতায়ালা ইরশাদ করেন :
‘তোমাদের মধ্যে যারা আয়্যিম (যে পুরুষের স্ত্রী নেই অথবা যে নারীর স্বামী নেই কিংবা বিপত্মীক অথবা বিধবা) তাদের বিবাহ সম্পাদন করো এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্থ হলে আল্লাহ্ সুবহানাতায়ালা নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাব মুক্ত করে দিবেন। আল্লাহ তো প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সূরা আন-নূর : ৩২)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও দাসীদের কে বিয়ে করতে উৎসাহ দিয়েছেন। আবু মুসা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যার একটি ক্রীত দাসি আছে আর সে তাকে শিক্ষাদীক্ষা দান করে, তার সাথে সদয় ব্যবহার করে, অত:পর তাকে মুক্ত করে বিবাহ করে সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে। [সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ২৫৮৪; ইংরেজি অনুবাদ: ভলি. ৩, বুক ৪৬, নম্বর ৭২০
সূত্র
চালিয়ে যান, ছুপারা সবসময় ইসলামের বিরুদ্ধেই লিখবে। কারন তাদের কাজই তো এটা !!!
সূরা মুমিনূন,
৫। এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
৬, তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
সূরা ৩৩:৫০- "হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন......
সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭: আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন এবং বললেন: আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০: ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল। মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।
আর দ্বিতীয় কথা হল,
ইসলামে দাসীর সাথে যৌনমিলন ‘জায়েয করা হয়েছে’ – বিষয়টা এমন নয়। বরং দাসী প্রথা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
ইসলামপূর্ব যুগ থেকে দাস-দাসী প্রথা চলে আসছে। ইসলামপূর্ব যুগে দাস-দাসীতে রূপান্তর হওয়ার কারণ ছিল কয়েকটি।
১. যুদ্ধে পরাস্ত হওয়া/ যুদ্ধবন্দী হওয়া
২. ঋণ আদায়ে ব্যর্থতা
৩. জোরপূর্বক বল প্রয়োগে যে কাউকে দাস বানানো
এবং যারা একবার দাস-দাসী হত, তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম দাস-দাসী থাকত। আরেকটি বিষয় হলো, যুদ্ধবন্দীদের মুক্তিপণের ব্যবস্থা ছিল না। হয় হত্যা নয় দাস বানানো হত।
ইসলাম এসে প্রথমে দাস-দাসী হওয়ার কারণ সীমিত করে কেবল একটিতে এনেছে। তা হলো, যুদ্ধবন্দী। আবার যুদ্ধবন্দীদের জন্য মুক্তিপণের ব্যবস্থাও করেছে। বদর যুদ্ধের অনেক যুদ্ধবন্দী মুসলিম শিশুদের শিক্ষা দিয়ে মুক্তি পেয়েছিলেন।
আর দাস যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম দাস না থাকে সেজন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
১. দাস মুক্তিতে উৎসাহ প্রদান
২. বিভিন্ন কাজের কাফফারা হিসেবে দাসমুক্তি নির্ধারণ। যেমন, জিহার (স্ত্রীকে মা বা কোনো মাহরামের সাথে উপমা দেয়া), কসম ইত্যাদি।
৩. দাসীর সন্তান মুনিবের হলে সে মুক্ত
তাছাড়া এরপরও যারা দাস ছিল, তাদের সাথে আপন ভাই-বোনের মত ব্যবহার করা হয়েছে। এর নজীর ভুরিভুরি। এই মুহূর্তে বিশেষভাবে আবু যর গিফারী রা. এর কথা মনে পড়ছে। তিনি একই কাপড়ের দুটি অংশের এক অংশ নিজে পরিধান করতেন, অপর অংশ তাঁর দাসকে পরিধান করাতেন। বুঝা যেত না কে দাস আর কে মুনীব।
এছাড়া রাসূল স. এঁর সেই হাদীস তো আছেই:
“এরা তোমাদের ভাই, এদেরকে আল্লাহ তোমাদের অধিনস্ত করেছেন। কাজেই তোমরা যা খাও তা থেকে তাদের খাওয়াও। আর যা পরো, তা থেকে তাদের পরাও।”
যার ফলাফল হয়েছে এই:
১. ইসলামে বড় বড় অনেক স্কলার দাস পরিবার থেকে এসেছেন। অথচ আলোকিত করেছেন পুরো বিশ্বকে
২. দাস-দাসী প্রথা ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে
আরেকটা বিষয়: দাসীদের সাথে স্ত্রীর মতো সম্মানসূচক ব্যবহার করা হয়েছে। একই দাসীর সাথে একই সময়ে একাধিক ব্যক্তি মিলিত হননি। বিক্রিত হলে নতুন ব্যক্তির সাথে মিলিত হতে তিন ঋতু অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাতে দাসীর সন্তানের বংশ পরিচয় রক্ষিত হয়েছে। ধর্ষণের ন্যায় অবিচার করা হয়নি।
সারকথা, ইসলাম দাসপ্রথা প্রচলন করেনি বা জায়েয করেনি। বরং, প্রচলিত বা পূর্বযুগের মানুষ কর্তৃক বৈধকর্তৃক দাসপ্রথাকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
জবর প্রমান বটেই! তাহলে সূরা ২৩:৫-৬, সুরা সূরা ৩৩:৫০ নিশ্চয় ফালতু, এসব এমনি এমনি সর্বকালের জন্য কোরানে খোদাই করা হয়েছে?
২। ইসলামে দাসীর সাথে যৌনমিলন ‘জায়েয করা হয়েছে’ – বিষয়টা এমন নয়। বরং দাসী প্রথা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
আপমার মুখ কয়টি? এক মুখে বলবেন দাসীর সাথে যৌনতা জায়েজ, আবার বলবেন দাসী প্রথা বিলুপ্ত করা হয়েছে! মাইনকা চিপায় পরলে যা হয় আর কি।
৩। এছাড়া রাসূল স. এঁর সেই হাদীস তো আছেই,এরা তোমাদের ভাই, এদেরকে আল্লাহ তোমাদের অধিনস্ত করেছেন। কাজেই তোমরা যা খাও তা থেকে তাদের খাওয়াও। আর যা পরো, তা থেকে তাদের পরাও।
তা হলে উন্নত খানাপিনা আর পোশাক দিয়ে এখনো দাসীদের সাথে মৌজফূর্ত্তি চলবে? আর হাঁ, রাসুলের অসংখ্য সহিহ হাদীস নামায় কোন রাখঢাক না করেই খোলামেলা ভাবেই নারী গনিমত ধর্ষন এবং দাসীদের সাথে বেসুমার যৌনতা জায়েজ করা হয়েছে।
৪। দাস-দাসী প্রথা ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে
কি সুবোধ বালকের মত কথা! আপনার কথা শুনে মনে হছ্ছে- ইসলামের ম্যাজিক কোরানের গুনে দাসপ্রথা হাওয়ায় মিসে গেছে। আর কোরানে সর্বকালের জন্য খোদাই করা দাসীদের সাথে ফুর্ত্তি-ফার্ত্তির সূরা গুলো আপনারা এখনো সুর করে পাঠ করেন। আজিব কান্ড, বাহঃ বা।
৫। সারকথা, ইসলাম দাসপ্রথা প্রচলন করেনি বা জায়েয করেনি। বরং, প্রচলিত বা পূর্বযুগের মানুষ কর্তৃক বৈধকর্তৃক দাসপ্রথাকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
হাঁ, একমত- ইসলাম দাসপ্রথা প্রচলন করেনি বা জায়েয করেনি। তবে দাসপ্রথার ১৬ আনা মজা লুটেছে ইসলামের নবী এবং তার সাঙ্গপাঙ্গারা। দাসবানিজ্য, দাসীর সাথে যৌনতা, যুদ্ধবন্ধি/কড়ায়ত্ব নারী গনিমত ধর্ষন, বিলিবন্টন....... থেকে শুরু করে এমন হেন কাজ নেই যা তারা করেন্নি। শুধু তাই না, সর্বকালের জন্য তার বৈধতাও দিয়ে গেছেন এই ইসলামী পাপীষ্টের দল।।
আপমানবিক ক্রীতদাস প্রথা দুর করা তো দুরের কথা বরং ইসলাম ধর্মের আল কোরান নেক্কার জনক ভাবে দাসপ্রথাকে আজীবনের জন্য বৈধতা দিয়েছে। ইসলামের ফুৎকারে দাসপ্রথা বিপুপ্ত হয় নি।
পংকিল সমাজের দাস প্রথার বিরুদ্ধে ৪ বছর যুদ্ধ করে আব্রাহাম লিংকন ক্রীতদাস প্রথা চির বিলুপ্ত, নিষিদ্ধ এবং বেআইনী করেছেন। এতে ৬০ লক্ষ মানুষ কে জীবন দিতে হয়েছে।
বৃষ্টির কারন মুলত ভৌগলিক জলবায়ু, আল্লা শত চেষ্টা করলেও তাতে কোন পরিবর্তন আনতে পারবেন্না। আফ্রিকার উত্তর সাহারা অঞ্চলে বৃষ্টির অভাবে শষ্য উৎপন্ন হয় না, অথচ আসামের চেরাপুঞ্জিতে অতি বৃষ্টির কার করানে ফসল নষ্ট হয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো
কুয়েট থেকে পাশ করা নাবিহা আপুর জন্য কোন কুয়েটের না , কুয়েতের পাত্র দেখা হোক ।
সেই পাত্রপক্ষের ঠিকানাটা দিতে পারলে ভাল হতো। সবাই কে সাবধান করা যেত। আর চট্টগ্রামের মনে হয়। মওকামত পাইলে একটু সাইজ ও করা যেত।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জবর প্রমান বটেই! তাহলে সূরা ২৩:৫-৬, সুরা সূরা ৩৩:৫০ নিশ্চয় ফালতু, এসব এমনি এমনি সর্বকালের জন্য কোরানে খোদাই করা হয়েছে?
২। ইসলামে দাসীর সাথে যৌনমিলন ‘জায়েয করা হয়েছে’ – বিষয়টা এমন নয়। বরং দাসী প্রথা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
আপমার মুখ কয়টি? এক মুখে বলবেন দাসীর সাথে যৌনতা জায়েজ, আবার বলবেন দাসী প্রথা বিলুপ্ত করা হয়েছে! মাইনকা চিপায় পরলে যা হয় আর কি।
৩। এছাড়া রাসূল স. এঁর সেই হাদীস তো আছেই,এরা তোমাদের ভাই, এদেরকে আল্লাহ তোমাদের অধিনস্ত করেছেন। কাজেই তোমরা যা খাও তা থেকে তাদের খাওয়াও। আর যা পরো, তা থেকে তাদের পরাও।
তা হলে উন্নত খানাপিনা আর পোশাক দিয়ে এখনো দাসীদের সাথে মৌজফূর্ত্তি চলবে? আর হাঁ, রাসুলের অসংখ্য সহিহ হাদীস নামায় কোন রাখঢাক না করেই খোলামেলা ভাবেই নারী গনিমত ধর্ষন এবং দাসীদের সাথে বেসুমার যৌনতা জায়েজ করা হয়েছে।
৪। দাস-দাসী প্রথা ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে
কি সুবোধ বালকের মত কথা! আপনার কথা শুনে মনে হছ্ছে- ইসলামের ম্যাজিক কোরানের গুনে দাসপ্রথা হাওয়ায় মিসে গেছে। আর কোরানে সর্বকালের জন্য খোদাই করা দাসীদের সাথে ফুর্ত্তি-ফার্ত্তির সূরা গুলো আপনারা এখনো সুর করে পাঠ করেন। আজিব কান্ড, বাহঃ বা।
৫। সারকথা, ইসলাম দাসপ্রথা প্রচলন করেনি বা জায়েয করেনি। বরং, প্রচলিত বা পূর্বযুগের মানুষ কর্তৃক বৈধকর্তৃক দাসপ্রথাকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
হাঁ, একমত- ইসলাম দাসপ্রথা প্রচলন করেনি বা জায়েয করেনি। তবে দাসপ্রথার ১৬ আনা মজা লুটেছে ইসলামের নবী এবং তার সাঙ্গপাঙ্গারা। দাসবানিজ্য, দাসীর সাথে যৌনতা, যুদ্ধবন্ধি/কড়ায়ত্ব নারী গনিমত ধর্ষন, বিলিবন্টন....... থেকে শুরু করে এমন হেন কাজ নেই যা তারা করেন্নি। শুধু তাই না, সর্বকালের জন্য তার বৈধতাও দিয়ে গেছেন এই ইসলামী পাপীষ্টের দল।।
আপমানবিক ক্রীতদাস প্রথা দুর করা তো দুরের কথা বরং ইসলাম ধর্মের আল কোরান নেক্কার জনক ভাবে দাসপ্রথাকে আজীবনের জন্য বৈধতা দিয়েছে। ইসলামের ফুৎকারে দাসপ্রথা বিপুপ্ত হু নি জনাব।
পংকিল সমাজের দাস প্রথার বিরুদ্ধে ৪ বছর যুদ্ধ করে আব্রাহাম লিংকন ক্রীতদাস প্রথা চির বিলুপ্ত, নিষিদ্ধ এবং বেআইনী করেছেন। এতে ৬০ লক্ষ মানুষ কে জীবন দিতে হয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন