তাবিজ! তাবিজ!! তাবিজ!!!

লিখেছেন লিখেছেন মুজাহিদ হোসাইন সজিব ০৪ মে, ২০১৪, ০২:৩৬:০৯ দুপুর

অনেকদিন আগে "তাবিজ ব্যবহার একটি শিরক" বলে পোষ্ট করেছিলাম। যেহেতু আমাদের দেশে তাবিজ ব্যবহারকারী অনেক তাই এর পক্ষে অনেকে বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়েছেন। আমি তাদের বলেছিলাম, তাবিজ ব্যবহার করা হালাল এমন কোন কোরআনের আয়াত বা সহিহ হাদিস দেখাতে। কিন্তু কেউ দেখাতে পারেনি।

তাবিজ ব্যবহার যে একটি শিরক তার কিছু হাদিস আজ সবাইকে দেখাচ্ছিঃ

হাদিস ১: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“যে ব্যক্তি মাদুলি বা তাবিজ ঝুলাল, সে শিরক করল” (মুসনাদে আহমাদ)।

হাদিস ২: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “কোনো উটের গলায় যদি মালা বা বালা জাতীয় কিছু থাকে, তাহলে তা কেটে ফেলতে হবে”(বুখারী)।

হাদিস ৩: রাসুল (সঃ) বলেন,“যে ব্যক্তি তার দাড়িতে গিঁঠ দিল (পেঁচিয়ে রাখল) অথবা সূতার মালা পরিধান করল অথবা পশুর মল বা হাড্ডি দিয়ে ইস্তেনজা করল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জিম্মাদারী থেকে মুক্ত” (আহমাদ)।

হাদিস ৪: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,“ঝাড়-ফুঁক এবং মাদুলি ও তেওয়ালা ব্যবহার করা শিরক” (আবু দাউদ)।

অন্য হাদীসে তিনি আরো বলেন,“যে ব্যক্তি মাদুলি ব্যবহার করবে, আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন না” (ইবনে হিব্বান)।

হাদীসে ‘তেওয়ালা’ বলতে এমন বস্তুকে বুঝানো হয়েছে, যা স্বামীকে স্ত্রীর নিকটে অধিকতর প্রিয় করে বলে ধারণা করা হয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।

আর ‘তামীমাহ’ বা ‘তামায়েম’ বলতে এমন জিনিসকে বুঝানো হয়েছে, যা সাধারণতঃ বাচ্চাদের গলায় হিংসা, বদ নজর ইত্যাদি প্রতিরোধের জন্য ঝুলানো হয়। এটি নিছক শিরক।

কেননা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে না।

আমরা সবাই জানি আল্লাহ রব্বুল আলামিন শিরক এর গুনাহ মাফ করবেন না। তাবিজ ব্যবহার শিরক এটা আমার মন গড়া কথা নয়। আমি আপনাদের সহিহ হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বুঝিয়েছি। আপনি এতদিন তাবিজ সম্পর্কে না জেনে ব্যবহার করে থাকলে আজ থেকে তওবা করে নিজেক সংশোদন করুন।

আর তারপরও যদি আপনি রাসুল (সঃ) এর সহিহ হাদিস না মেনে আপনার নিজের যুক্তি দিয়ে আপনার হুজুর বা পীরের দেওয়া তাবিজ ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আপসোস করা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।

ষ্ট্যাটাসটি শেয়ার/কপি করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।

লেখাটি সংগৃহীত:

বিষয়: বিবিধ

১৬৪৩ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

217259
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
পরবাসী লিখেছেন : من علق تميمة فقد اشرك
যে ব্যক্তি তা'বীয ঝুলালো সে শিরক করল (বুখারী,মুসলিম)

এত স্পষ্ট বর্ননার পরও যারা তা'বীয ঝুলায় বা এর পক্ষে মত দেয় তাদের অন্তর বক্রতায় পরিপূর্ন।
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
165495
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : সহমত
217263
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : সেইজন্যই আমি তাবিজ ব্যবহার করি না। আল্লাহর উপর ভরসা করে পথ চলি সেই কারণে জীবনে কোথাও বিপদে পড়ি নাই।
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
165496
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : আল্লাহ সবসময় আপনাকে সকল মুসিবত হতে রক্ষা করুন।
217282
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
এহসান সাবরী লিখেছেন : এসকল বিদ'আত দূর হওয়া আশু প্রয়োজন।
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
165497
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : সহমত।
217291
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
ইমরান ভাই লিখেছেন : তাবিজ ঝুলানো শির্ক দ্বীতিয় কোন কথা নাই।
০৪ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
165499
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : সহমত
217305
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১০
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : ভাই শোনেন, আলেমদের ভেতরই ৭৩ কাতার হবে এটা জানেন তো! কেন যে আল্লাহর রাসূল(সা) একথা বলেছেন তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাই। মুসলমানদের মধ্যেই যে কত ফিরকা! ইভেন জেনে বুঝেই অনেকে ভ্রষ্টতার পথে অবিচল থাকে। তাই আপনি যখন তাদের সঠিক পথ দেখাবেন তাদের সহ্য হবেনা। তারা নানান বাহানাবাজি করবেই! এসবে কান দিয়েন না। আপনি আপনার কাজ করে যান।
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৩
165537
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : সহমত
217342
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
লাল সবুজ লিখেছেন : আমাদের দেশের কিছু আলেম তাবিজ বৈধ বলে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা কি এ হাদিস পড়ে না?
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
165564
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : জানিনা পড়ে কিনা, তারা যদি সবার মাঝে এগুলো বলে তাহলে তাদের তাবিজ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
217343
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১২
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : নিঃসন্দেহে ভালো লিখা এবং পরামর্শ। ধন্যবাদ আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। আমিন
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
165566
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন।
217346
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১৯
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের এসব শিরক হতে রক্ষা করুন। আমিন।

আরেকটি বিষয়ঃ অনেক আলেম(??) নামের ব্যক্তি বিভিন্ন অবৈধ ও হারাম কায়দা কৌশল করে জিনকে বশ করে বিভিন্ন ভাবে মানুষের ক্ষতি করে, জিনের কল্যাণে নিজেদের কেরামতি জাহির করে। এরা জিনকে ব্যবহার করে ধর্মব্যবসা করে যা সুস্পষ্ট হারাম। এসব ব্যক্তির উপর নির্ভর করা সুস্পষ্টরূপে শিরক।
০৪ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
165567
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : ধন্যবাদ, ভাইয়া মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
217560
০৫ মে ২০১৪ রাত ০১:৪২
মাটিরলাঠি লিখেছেন : ব্লগার@হঠাৎ এসে যাবে মউত ভাইয়ের নীচের পোষ্টটি দেখে আসুন তাবিজ ও তামীমাহ প্রসঙ্গেঃ

দেখেন! দেখেন! হুজুররা কেমনে হাদীসের ভুল অর্থ করে!-২য় পর্ব
০৫ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩৭
165770
মুজাহিদ হোসাইন সজিব লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File