গুরুজী অনেক ক্ষমতাবান

লিখেছেন লিখেছেন হরিপদ ১৬ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৩৩:১১ সকাল



গুরুজী সাধারণত কথা বলেন না। তিনি ধ্যানের জগতে থাকেন এবং মানব কল্যানে ধ্যান করেন। তিনি আধ্যাত্যিকতার চরম পর্বে আছেন,তাই মানুষ তার কাছ থেকে আশির্বাদ নিতে আসে। আস্তানায় নারী-পুরষে ভেদাভেদ নেই। তিনি মহা জগতে ভ্রমন করেন তাই উনার নিজের ব্যাপারে খেয়াল থাকেনা। সকল কিছুকে বিসর্জন দিয়েই উনি সাধনার শীর্ষে। তার কারনে মানুষের ব্যপক কল্যান হচ্ছে।

তার ভক্তকূল অনেক। ভারতে নাগা বাবা বা গুরুজীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ,কিন্তু এদের মধ্যে অল্প জনই শিখরে পেছতে পেরেছেন। তিনি মানুষকে সৎ হবার পরামর্শ দেন। অনেকে মনোকামনা পুরনে তার কাছে আসে্ । এই ব্লগের একজন অতি পরিচিত ব্লগারও মেয়েও তার সাথে যোগাযোগ রাখেন। যখনি তিনি বিদেশ থেকে ভারতে ফিরেন তখনই গুরুর সাথে দেখা করেন এবং আশির্বাদ গ্রহন করেন।

ব্লগারটি নানান নিক নিয়ে লিখে থাকেন। সর্বশেষ নাম গ্রামের পথে পথে,মেকানিক,পাতা বাহার...। তিনি এই গুরুজীর নানান বানী প্রচার করে তার মহান দিকগুলি তুলে ধরেন। তবে এই ব্লগারটি বিতর্কিত লেখাই বেশী লেখে,যদিও এটা গুরুজীর দর্শন নয়।

গুরুজীর বিশেষভাবে আশির্বাদ করে থাকেন, বিশেষকরে নারীদের। তিনি তাদেরকে কোলে তুলে নেন এবং মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। কখনও কখনও বুকের সাথে মিলিয়ে নিজের উত্তাপ শিষ্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। এটি তার কাছে যৌনতা নয়,কারন তার এই অনুভূতি সম্ভবত নেই, আর থাকলেও সেটি শাস্ত্রে নিষিদ্ধ নয়। তাছাড়া যৌনতাকে শরীর পূজা বলা হয়। এটিও একটি রিপূ ক্রীড়া,যার সমর্থন শাস্ত্রে রয়েছে। তবে অধিকাংশ বাবারা এটার চর্চা করেন না। তারা শরীরের উপর নানা রকম অত্যাচার করে ধৈর্য প্রবল করেন। সাধনার এটা শর্ত।

গুরুজী নিরামিষ খান,তবে দিনে একবার। এই মহান গুরুজীর বানী হল-সদা সত্য বল,সৎ পথে চল। কঠোরভাবে সাধনা কর, সফলতা আসবে। তখন বস্ত্র বিসর্জনেও আনন্দ আছে।

আমি আমার পুত্রকে সাথে নিয়ে তার আশির্বাদ নিতে গিয়েছিলাম। তিনি সাধারনত কথা বলেন না। কিন্তু আমার পুত্রের সাথে বেশ রসিকতা করলেন। তার হাতের পিস্তলটি নিয়ে তার সাথে গুলি গুলি খেললেন। বেশ মজা হল। সবার জন্যে গুরুজীর আশির্বাদ রইল। ভাল থাকুন

বিষয়: বিবিধ

২০১৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

254829
১৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ব্লগার সাহেবাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। Happy
254842
১৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : এই ব্লগের একজন অতি পরিচিত ব্লগার মেয়েও তার সাথে যোগাযোগ রাখেন। যখনি তিনি বিদেশ থেকে ভারতে ফিরেন তখনই গুরুর সাথে দেখা করেন এবং আশির্বাদ গ্রহন করেন।
আর্শিবাদের সাথে আর কি কি গ্রহণ করে থাকেন?
254847
১৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:০২
আবু জান্নাত লিখেছেন : ন্যাংটা বাবা, উলঙ্গ বাবা, ভিতরে কি আছে তো দেখাই যাচ্ছে, উনি আবার কি আশির্বাদ করবে ? তাছাড়া উনি কোন ধর্মের অনুসারী ? কোন সভ্য ধর্মেতো জনসম্মুখে উলঙ্গ হওয়ার বিধান নেই। যত্ত সব ফালতু...
(কখনও কখনও বুকের সাথে মিলিয়ে নিজের উত্তাপ শিষ্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। এটি তার কাছে যৌনতা নয়,কারন তার এই অনুভূতি সম্ভবত নেই, আর থাকলেও সেটি শাস্ত্রে নিষিদ্ধ নয়। তাছাড়া যৌনতাকে শরীর পূজা বলা হয়)
উলঙ্গ হয়ে বুকের সাথে মিলিয়ে আশির্বাদ করা কোন ধর্মগ্রন্থে আছে বলে মনে করি না, এটা নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা। কোন সত্য ধর্ম এমন নির্লজ্জতা শিক্ষা দিতে পারে না। শাস্ত্রে নিষিদ্ধ নয় বলে আপনি আপনার ধর্মকে অপমান করলেন, আপনাদের মত মূর্খদের কারণে এসব নোংরামী সমাজে স্থান পায়। পিতা ছেলে একসাথে বস্ত্র বিসর্জনকারী গরুর কাছে গেলেন, তো লজ্জা পেলেন না ? লজ্জা থাকলেই তো পেতেন তাই না!
254849
১৬ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:০৬
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পিলাচ পিলাচ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File