গনতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মেনে নিতে স্যাকুলাররা বাধ্য নয় কি?

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ১২ নভেম্বর, ২০১৬, ০৭:৫১:৫৪ সন্ধ্যা



একটি নিখুঁত নির্বাচনের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। এমন এক গনতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেন যা যুগ যুগ ধরে স্যাকুলারদের হাতে তৈরি। কিন্তু সমাজের স্যকুলাররা এই নির্বাচনের ফল মানতে নারাজ, সারাবিশ্বে গনতন্ত্রের সবক দেওয়া স্যাকুলারদের কাছে গনতন্ত্র এখন তিতা লাগছে কেন? ট্রাম্পকে কিভাবে অভিশংসন করা যায় তাও ভাবা হচ্ছে। ট্রাম্পের বিজয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ভাংচুর, গুলাগুলি হচ্ছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সর্বত্র।

যারা জনমতের ভিত্তিতে সরকারের নীতি নির্ধারণের কথা বলে তারাই আজকে জনগণের মতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, এই স্ববিরোধিতার উত্তর কি? ট্রাম্পের কাছে তাদের কিছু বিশেষ দাবি থাকতে পারত, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত পদক্ষেপের ফলে কারো ক্ষতি হলে তা নিরসনের জন্য আন্দোলন হতে পারে, সম্ভাব্য উদ্বেগ-উৎকন্টা নিরসনের জন্য আন্দোলন প্রতিবাদ হতে পারে । কিন্তু তাকে প্রসিডেন্ট না মানা কি জনমত ও গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে নয়? ডেমোক্রেটরা যদি ট্রাম্পকে না মানেন, তাহলে হিলারিকে কেন রিপাবলিকানরা মানবে?

যেই গনতন্ত্র রপ্তানি করার জন্য পশ্চিমা স্যাকুলাররা মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিষ্ঠিত নানা সরকারকে নির্দয়ভাবে উৎখাত করেছে, গনতন্ত্র তো আসেই নাই বরং ,এই সব এলাকায় অশান্তির দাবানল থামানোর কোন পন্তাই এখন কাজ করছে না। লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এখন বলা হচ্ছে গদ্দাফি, সাদ্দাম হোসেন থাকলে ভাল হত। এই বলে পশ্চিমারা দায় এড়াতে চায়।

এই স্যাকুলার পশ্চিমা সরকারগুলো মিসরে গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুরসি সরকারকে অদৃশ্য হাতের স্পর্শে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, আর প্রকাশ্যে তা অস্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যের জনগণকে প্রতারিত করেছে । এর ফলে মিসর সমাজ চরমভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, সিসি ক্যুকে সফল করার জন্য মিশরীয় জনগণের উপর গনহত্যা চালায় এবং এখনো হত্যা, গুম, নির্যাতন, আদালতের মাধ্যমে ফাঁসির দন্ড অব্যাহত রেখেছে। সেই সিসির সাথে পশ্চিমা মূকোশধারি স্যাকুলার সরকারগুলোর চলতে কোন সমস্যা হয় না।

সর্বশেষ মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ তুরষ্কের অভিসংবাদিত প্রেসিডেন্ট এরদোগান সরকারকে উৎখাত করতে ব্যর্থ ক্যু চালায়। কিন্তু এইবার মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। আসলে স্যাকুলাররা গনতন্ত্রের নাম করে মুসলিম বিশ্বে ইসলামি সরকার বা পশ্চিমার বিরোধী সরকারকে উৎখাত করে পশ্চিমাদের তাঁবেদার পুতুল সরকার বসাতে চায়। মানবাধিকার, গনতন্ত্র এদের কাছে আসল বিষয় নয়, এগুলো হল রাজনৈতিক হাতিয়ার। মানবাধিকার যদি মুখ্য হত তাহলে, আকাশ থেকে ড্রোন থেকে বোমা মেরে নিরীহ মানুষ হত্যা করত না।

এই সব চিন্তা করলে মনে হয়, মুসলিম বিশ্বের উচিত ট্রাম্পকে স্বাগত জানানো। ট্রাম্প যা করবেন প্রকাশ্যে করার সম্ভবনা বেশী। স্যাকুলার মুনাফিকদের চেয়ে ডানপন্থী কাফের অনেক ভাল। কাফেরদের সাথে খেলা সহজ, কিন্তু মুনাফিকরা চরম মিথ্যাবাদি, এদের মোকাবেলা করা কঠিন।

বিষয়: বিবিধ

৯১৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

379668
১২ নভেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:৩২
স্বপন২ লিখেছেন : ভালো লাগলো
379688
১৩ নভেম্বর ২০১৬ রাত ০৯:০৪
হতভাগা লিখেছেন : ট্রাম্প এখনও গদিনসীন হয় নাই । বসা মাত্রই এইসব ইঁদুর গর্তে ঢুকে যাবে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File