পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোদি কতটা অসহায়?
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৬:৫৬:১৯ সন্ধ্যা
পাকিস্তানে হামলা নিয়ে ভারতকে কষতে হচ্ছে জটিল সব সমীকরণ। যা করার নিজ শক্তিতে করতে হবে। পাক-ভারত যুদ্ধে ভারতের পাশে শক্তিশালী কোন দেশই নেই! প্রকৃত অর্থে ভারত এক প্রকার বন্ধুহীন। প্রতিবেশী কোন দেশের সাথে ভাল সম্পর্ক যাচ্ছে না। যুদ্ধের কারণে নিজ দেশে স্বাধীনতাকামীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে এই ভয়ও আছে মোদির। পাকিস্তান ভারতকে টুকরো টুকরো কারার হুমকি দিয়েছে। ভারতকে বিভক্ত করার প্রকল্পে চীন-যুক্তরাষ্ট্র আগুনে ঘী ঢালবে।
এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে বন্ধুত্ব তা কেবল শেখ হাসিনার সাথে , এদেশের ৮০% এর বেশী মানুষ ভারত বিদ্বেষী। সীমান্ত হত্যা সেই বিদ্বেষ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা সহজে প্রকাশ পাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ আরো বেশী। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাশ্মিরীদের পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করছে। শেখ হাসিনার ভারতের পাশে থাকার সমালোচনা করছে। সীমান্ত হত্যার প্রায়শ্চিত্ব একদিন ভারতকে ভোগ করতে হবে। ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দেওয়া ও সীমান্ত হত্যায় প্রতিবাদ না কারায় সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোপ বাড়ছে। সচ্ছ যে কোন নির্বাচনে তার প্রতিফলন ঘটবে।
বিএসএফ প্রতিমাসে গড়ে ১০-১৫ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করছে ঠান্ডা মাথায়। বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার নৈতিকভাবে দূর্বল হওয়ায়, ভারতের রুষানল থেকে বাঁচতে সীমান্ত হত্যা চোখ বুজে মেনে নিচ্ছে শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে যিনি আইলানের জন্য কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন তাঁর পক্ষে সীমান্ত হত্যা মেনে নেওয়া কি করে সম্ভব? অনেকে বলছেন বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় দূর্বল হওয়ায় সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, আর সরকারকে সব অন্যায় সহ্য করতে হচ্ছে। আসলে সেটা না, বাংলাদেশ দূর্বল তা মূল কারণ নয়, মূল কারণ সরকারের ভিত্তি দূর্বল। এই সরকার ভারতের গায়ে হেলান দিয়ে ঠিকে আছে, ভারতের সমর্থন পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। ভারতের ভয়ে বাংলাদেশের জনগণের প্রবল বিরোধিতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা সরকার রামপাল প্রকল্প বাতিল করছে না। রামপালদের পক্ষে সাপাই গাইতেছে। সেই সাথে বিনা শুল্কে স্থল ও নৌ ট্রানজিটও দিয়ে দিয়েছে। অথচ ট্রানজিট ছিল ভারতের সাথে দর কষাকষির সবচেয়ে বড় ট্রাম কার্ড। এই কার্ড ব্যাবহার করে নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় করা যেত।
শেখ হাসিনার ভারতের পাশে থাকা না থাকা মোদির জন্য উভয়ই সমান। সম্ভাব্য যুদ্ধে ভারতের পক্ষে সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার মত সামর্থ বাংলাদেশের নেই। তাছাড়া চীনের মত বড় অর্থনৈতিক অংশীদারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কার্যকর কোন ভুমিকা রাখবে না। ভারতের পক্ষে সমর্থন দেওয়া আফগানিস্তান কি বা করতে পারবে?
চীন পাকিস্তানের পক্ষে জোরালো সমর্থন ঘোষনা করেছে।ভারতের বিরোধিতা স্বার্থেও রাশিয়া পাকিস্তানের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ওআইসি, সৌদি , ইরান ও তুরষ্ক পাকিস্তানের পক্ষে থাকার ঘোষনা দিয়েছে। শ্রীলংকা নীরব ভুমিকায় আছে। যুক্তরাষ্ট্র দ্বিমুখী ভূমিকায়, না ভারত-না পাকিস্তান। ভারতের পক্ষে হাঁচি দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানেরও দরকার আছে। যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ সমঝোতার ভুমিকা পালন করতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন