এই কি মার্কিন সাম্রাজ্যের পতন ধ্বনি ?
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৮:২৩:৪৪ রাত
ক্ষমতার শেষপ্রান্তে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নানা দেশের অপমান-অবজ্ঞার স্বীকার হচ্ছেন। দীর্ঘ দিনের কৌশলগত মিত্র এরদোগান ব্যর্থ ক্যু ের পর ওবামাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুতিনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। ওবামার নানা চেষ্টাও এরদোগানের মন গলাতে পারেনি। কিছুদিন আগে এরদোগানের মন গলাতে আংকারা ছুটে যান যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট, কিন্তু তাকে যথাযথ কূটনৈতিক মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
কয়েক দিন আগে চীনে অনুষ্ঠিত জি-২০শীর্ষ সম্মেলনে অন্যান্য দেশের প্রেসিডেন্টের মত ওবামাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা না দিয়ে অপমান করেছেন চীন সরকার। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিমান থেকে নামার জন্য রোলিং স্টেয়ারকেইজ পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়নি। উগ্র চিনা জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির স্বীকার হন মার্কিন কূটনীতিকরা, এক নারী মার্কিন কর্মকর্তা প্রতিবাদ জানালে চিনা নিরাপত্তা কর্মকর্তা চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘এটাই চীন। এটা আমাদের দেশ। এটা আমাদের বিমানবন্দর'।
ওবামাকে পতিতার সন্তান বলে 'গালি' দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তে।
এই কি মার্কিন সাম্রাজ্যের পতন ধ্বনি ?
তবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্ব যতটা স্থিতিশীল, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা আর করো পক্ষে সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের আমদানি কমায়নি, এখনো যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশী।প্রযুক্তির জ্ঞান ও ব্যবহার সারা বিশ্বে পৌঁছে দেওয়ার মত উদার মন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কেউ দেখাতে পারেনি। চায়নারা নকল করতে অব্যস্ত, এমনি তারা উগ্র জাতীয়বাদে অন্য দেশের অনেক প্রযুক্তি পন্য নিষিদ্ধ করেছে।
চীনা উগ্র জাতীয়বাদী দৃষ্টভঙ্গি বিশ্বকে তেমন কিছু দিতে পারবে না। ১৫০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন তাঁর নিজের চরকায় তেল দিতে ব্যস্ত থাকবে, ভারতের মত কাইষ্টা দেশের নেতৃত্ব কেউ মেনে নিবে না, বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশের কাছ থেকে বেহায়ার মত সব চেয়ে নিচ্ছে, বিনিময়ে কিছু দিতে চায় না।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ অনেকটা উদারপন্থি ছিল যা চিন বা ভারতের কাছ থেকে একেবারেই অাসা করা যায় না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন