এক হাতির গল্প
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ১১ আগস্ট, ২০১৬, ০৮:২৯:৪৩ রাত
গত ২৮ জুন বন্যার পানিতে ভেসে ভারতের এক বুনো হাতি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। নিরীহ হাতিটি আপনায় ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়লেও তিনি হিরু হয়ে আলোচিত হচ্ছেন বাংলার মিড়িয়ায়।কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থেকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী ঘুরে ঘুরে হাতিটি দেখছেন গ্রাম বাংলার জীবন প্রকৃতি।উপভোগ করছেন উৎসুক মানুষের ভিড়। আর তার ঘুরে বেড়ানোর আপডেট পাওয়া যাচ্ছে মিডিয়ায়। যেন হাতির রুপ নিয়ে ইবনে বতুতা এসেছেন, ভারত থেকে আসা পানিতে বন্যা কবলিত মানুষের ভোগান্তি দেখতে ।এই দাদার বাড়ি থেকে আসা এই মহান অতিথি হাতি আমাদের মিড়িয়াকে ভুলিয়ে দিয়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ও দিশাহারা মানুষেের ভোগান্তি ও কষ্ট।
৩০ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চেষ্টা করেও হাতিটি উদ্ধা্রে ব্যর্থ হলে আসে ভারতীয় উদ্ধারকারি দল। তারাও ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে। কিন্তু আজ হাতিটিকে অজ্ঞান করেছে চেতনানাশক ব্যবহার করে গ্রামের মানুষ। কিন্তু এখন এত বড়দেহী হাতিকে সরানো যাচ্ছে না এই হল সর্বশেষ আমাদের মিডিয়ার খবর।
এক ভারতীয় হাতি নিয়ে আমাগো মিড়িয়া যে পরিমাণ নিউজ করতেছে ও যতটা চিন্তিত হয়ে পড়েছে তার কিঞ্চিৎ পরিমাণও যদি ভারতীয় সীমান্ত হত্যা নিয়ে নিউজ করত বিএসফ সীমান্তে হত্যার সাহস পেত না।ভারত থেকে আসা হাতি নিয়ে আলোচনা হলেও ভারত থেকে আসা পানিতে রুদ্র আকাশে বাংলায় যে বন্যা বয়ে যাচ্ছে তার অভিযোগ কিন্তু কেউ করছে না। প্রধানমন্ত্রী বরং বন্যার উপকারিতা বর্ননা করেছেন।
ভারতের দিকে সরকার যতটা ঝুকে পড়েছে মিডিয়াও ততটা বলা যায়। বিএনপিও ভারতকে এই বার্তা দিচ্ছে যে, তারাও দাদাদের গোলামি করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত। ভারতের চারপাশের প্রতিবেশীরা যখন ভারতের রাক্ষুসে স্বভাবের প্রতিবাদ করছে, প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমরা সরকারী দল, মিডিয়া, বিরোধীদল সকলে মিলে ভারতের পা চাটতে শুরু করেছি, কেউ ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে, কেউবা ক্ষমতায় ফিরে যেতে। এই জাতি নাকি স্বাধীনতা নিয়ে গর্ব করে! যখন স্বাধীনতা অন্য দেশের পদে পিষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বিষয়: বিবিধ
১১৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন