জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা কতটুকু কার্যকরি হবে?
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ০২ আগস্ট, ২০১৬, ০৮:২৪:৪৫ রাত
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যখন মাদ্রাসা বা ইসলামপন্থিরা মিছিল-সমাবেশ করছে তা কিছুটা হলেও হাস্যরসের সৃষ্টি করে। জঙ্গিদের সাথে আপাতত এক জায়গায় বাদে সব জায়গায় মিল রয়েছে তাদের যেমন, জঙ্গিরাও নাময পড়ে, রোজা রাখে, মদ খায় না, চুরি বাটপারি করে না, প্রেম করে না, ইভটিজিং করে না, চাঁদাবাজি করে না।তাই জঙ্গিদেরকে আগাগোড়া খারাপ বললে, তাদের ভাল কাজ ও আমল দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদ ও সচেতনা সৃষ্টিকে অপপ্রচার হিসাবে দেখিয়ে অন্যকে বিভ্রান্ত করতে পারে। কারণ এই ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত যে, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার থেমে নেই।
তাছাড়া জঙ্গিবাদ ও জঙ্গি শব্দটা সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক গালিতে পরিনত হয়েছে। যেমন ইনু প্রতিনিয়ত খালেদা জিয়াকে জঙ্গিনেত্রী বলেন, ইনুর কাছে জঙ্গি মানেই ইসলাম প্রিয় জনগণ। বিশ্বের কোথাও জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলা হলে হাসান মাহমুদ ভিনগ্রহীর মত আবির্ভাব হয়ে বলে ফেলেন, এই হামলায় বিএনপি-জামাত জড়িত।
জঙ্গিবাদ ও জঙ্গি সম্পর্কে শুধু গলা ফেটে স্লোগান দিলে কাজ হবে না, তাদের ভাল দিক আর মন্দ দিক স্পষ্ট করে তুলে ধরতে হবে তরুণ প্রজন্মের সামনে।কেন তাদের দীক্ষা গ্রহণ করবে না? তাদের হত্যার নেশা ইসলাম সমর্থন কেন করে না? তা যথার্থভাবে তুলে ধরতে হবে। বিশেষ করে ইস্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান প্রদান যেমন করতে হবে, ইসলাম প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে উদার ইসলামিষ্টদের ইসলামের মডেল হিসাবে তুলে ধরতে হবে, এটি দীর্ঘ সুদুরপ্রসারী প্রক্রিয়া। জঙ্গিবাদের নামে তরুণ প্রজন্মকে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা হলে যে লাউ সেই কদু হয়ে থাকবে।
জঙ্গিবাদ এক বিশেষ ধরণের সন্ত্রাসবাদ যা প্রচলিত বস্তুবাদী, ব্যক্তি বা রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদের সাথে মিল নেই। বল প্রয়োগ করে এদের নির্মূল করা যায় না। ইসলাম প্রতিষ্টা ও জিহাদের নামে চলা এই সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় উদার ও সহি আকিদার ইসলামিষ্টদেরকে কাজে লাগিয়ে তাদের এই নিরীহ মানুষ হত্যা ও আতংক সৃষ্ট করা যে কুরান সুন্নাহ ভিত্তিক জিহাদ নয় তা তাদের মন মগজে ঢুকাতে হবে।
পরিতাপের বিষয় হল, সরকার তড়িগড়ি করে পীচ টিভির মত অধিক গ্রহনযোগ্য ও সন্ত্রাস বিরুধী টিভি চ্যানেল বন্দ করে দেওয়ার ফলে জঙ্গিবাদ আরো প্রসার লাভ করবে। তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিরা আরো সহজে বিভ্রান্ত করতে পারবে।জঙ্গিবাদকে সামনে এনে ইসলামের শিক্ষাকে নির্মূলে এই চক্রান্ত জংগিবাদ বা জঙ্গি নির্মূলে সহায়ক হবে না। এই দেশের ইসলাম প্রিয় জনগণ সরকার ও সরকারের পালিত কিছু আলেম ইসলামের যে ব্যাখ্যা দেন তা সঠিক ব্যাখ্যা মনে করে না। শামিম আফজাল মদিনা সনদ পর্যন্ত গিয়ে আর আগায় না, তার মতে ইসলামি স্টেট আর মুসলিম স্টেট বলতে কিছু নেই। ফরিদ উদ্দিন মাসুউদের কাছে শেখ হাসিনার শাসন খেলাফতি শাসনের মত।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বুঝতে হবে কেন তারা সুন্দর জিবন, সুন্দর ভবিষ্যৎ, ক্যারিয়া ছুড়ে পেলে দিয়ে। কলমের বদলে আস্ত্র হাতে নিচ্ছে?
শুধু কী ব্রেইন ওয়াশের কারণে?
কেন পারতেছে তাদের কে ব্রেইন ওয়াশ করতে তা ধরে সমাধান করতে হবে।
হটাৎ বেড়ে উঠা ইসলাম বিরুদ্ধচারী দলের কারণে তা আনেক কানি দ্য়ি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন