হাসিনা ডক্ট্রিনের কিছু নমুনা
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ২৮ জুন, ২০১৬, ০৯:১২:৫৮ রাত
হাসিনা ডক্ট্রিন-১ ঃ সাহসী চৌকস সৎ তকমা পাওয়া বাবুল আক্তার হয়ত বুঝতে পেরেছিলেন, স্ত্রী মিতু হত্যার মধ্যে দিয়ে পূর্বাকার সতীদাহ প্রথার আদলে তাকেও পুড়তে হবে হিংসা-ষড়যন্ত্রের আগুনে। আর তাই এমন কাঁদা কেঁদেছিলেন, মা-মরলেও কাঁদত কিনা সন্দেহ! সাম্প্রতিক সময়ে স্ত্রী হত্যার ব্যাপারে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার হয়েছেন। আর প্রস্তাব পেলেন, হয় চাকরী ছাড়, নতুবা জেলে যাও। স্ত্রী হত্যায় তাকে সম্পৃক্ত করে পুলিশি কথা চাউর সবখানে। বেশ বুঝা গেল, হাসিনার প্রশাসনে খোদ পুলিশেরও বিচার পাওয়ার অধিকার নেই! সবি হাসিনার মাস্টারমাইন্ডদের আঙ্গুলি হেলনে চলে। বিচারালয় ও প্রশাসন এই আঙ্গুলি হেলনের জাস্ট ফলোয়ার! হাসিনা নানা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এমনই এক রাষ্ট্রকাঠামো কায়েম করেছেন যেখানে দুষ্টের লালন, শিষ্টের দমন করা হয়। দূর্নীতি, অসধাচরণ কিংবা খুন-খারাবিই ঠিকে থাকার মাধ্যম। বাবুল আক্তার একটু ভিন্নরুপে ঠিকে থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারলেন না। আগামীতে তার জন্য ভয়েংকর কিছু অপেক্ষা করছে এটা সহজে অনুমেয়।
হাসিনা ডক্ট্রিন -২ঃ তনু এক হিজাবী মেয়ে। ফেসবুকে তনুকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেইনি এমন ফেসবুক স্যালিব্রেটি পাওয়া দুস্কর। তুমুল প্রতিবাদ হওয়া স্বর্থেও তনুর পিতা-মাথার অভিযোগ তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে নদির পানি অনেক গড়িয়েছে। কিন্তু কোন কিনারা হয়নি। রিপোর্ট বলে তনু ধর্ষণের স্বীকার হয়নি, এটা ইন্টারকোর্স ছিল, আরো নানা তথ্য, বলতে গেলে তনুর পিতা-মাথার বিচার পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। যা পেতে পারে পাছায় দুটো পুলিশি লাথি।এক এক সময় পুলিশ এক একটা ধামা বের করে দিয়ে চাপা দেয় এক একটা অভিযোগ, বিচারপ্রার্থীর সন্দেহ। পর্দার আড়ালে হুমকি-ধমকি ত আছেই। এই হত্যা সরকারের নানা অপরাধ ঢাকার জন্য সংঘটিত হয়েছে, হত্যা পরিকল্পিত। সুতরাং বিচারও পরিকল্পিত। মাঝে মধ্যে এই ধরণের হত্যা যেন হাসিনার ঠিকে থাকার জন্য বলিদান!
হাসিনা ডক্ট্রিন-৩ঃ শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের হিন্দুপ্রীতি নতুন নয়। তবে এই প্রীতি হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য এমন নয়। মূলত আওয়ামী তোষণের জন্য হিন্দুদের প্রতি এত ভালবাসা। আওয়ামী আমলেই সংখ্যালুঘু হামলা বেশী হয়। আর এই নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে। বর্তমানে হাসিনা সরকার হিন্দূ তোষণ-লালন-পালন এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট এই দেশে হিন্দুরা চালকের আসনে চলে এসেছে। প্রশাসনের উচ্চ ও প্রভাবশালী পদে হিন্দুদের সংখ্যা বেশী। কারণ হাসিনা মুসলমানের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। হাসিনার ভারতপ্রীতি এমন এক কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে, শেখ হাসিনারও একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন যার নাম মোদি! বাংলাদেশের জনগনকে চলতে হয় হাসিনা ডক্ট্রিনে, আর হাসিনা চলেন মোদি ডক্টিনে। মোদি ফরমূলায় ভারত নামমাত্র শুল্কে ভারত পেয়ে গেল স্থল ও নৌ-ট্রনজিট। তিস্তার মুলা এখনো ঝুলছে। সীমান্তে হত্যা হচ্ছে, বিজিবি হাসিমূখে লাশ বুঝে নিচ্ছে। বাংলাদেশের মত ৯২ ভাগ মুসলিমের দেশে মসজিদ বানাতে বাধা দেয় হিন্দুরা! তাহলে বুঝছেন দেশ এখন কোন স্টেপে এসে পৌছেছে। হাসিনা ২০৪১ সালের আগে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়। হাসিনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে চায়। বিলিন করতে চায় বাংলাদেশ নামাক মুসলিম রাষ্ট্রের পরিচয়। শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থে সব কিছু করতে প্রস্তুত।তাই র এর প্রেসক্রিশনে, এখন দেশ চলছে, দেশে হত্যা, গুম, সাঁড়াশি অভিযান হচ্ছে। পাকিস্থান যখন আত্তরক্ষার্থে তাদের পারমানবিক বোমাগুলোকে ভারতের দিকে তাক করে রেখেছে, তখন আমরা সীমান্ত থেকে নিশ্চিন্তে লাশ গ্রহণ করছি। আর দেশের অভ্যন্তরীন সব কিছু চলছে মোদি ডক্ট্রিনে।
বিষয়: বিবিধ
১৪০১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2016/06/29/342240#.V3MlwtJ96M8
নাকি যাহারা ধন,মান,ঐচ্ছিক ক্ষমতা বা প্রতিষ্ঠা চাহিয়াছে- তাহাদের বাসনা যখন শক্তির অল্প তা বা সমাজের ভয়ের দ্বারা সংযত থাকে নাই, তখন তাহারা নামে চোর,ডাকাত,সুবিধাবাদী না হইলেও- চরিত্র ধর্মে তা হইয়াছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন