চাচা আপন পরান বাচা

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ২৪ জুন, ২০১৬, ০৯:২৮:১৫ রাত



ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্তে বৃটিশদের বৃটিশী আরো কমবে।ইইউতে থাকার ফলে বিশ্বরাজনীতিতে যে প্রভাব যুক্তরাজ্য করতে পারত তা আরো হ্রাস পাবে। এই বৃটিশদের দেখে এখন মনে হয় না তারা আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছে। এদের ভুখন্ডেও বিভক্তির সুর স্পষ্ট। স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা লাভের দাবি আরো জোরদার হবে। বৃটেনের জনগণ কেন ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল? একটাই কারণ অর্থনীতি। অর্থনীতি বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত বিশ্বদরবারে তাদের প্রভাব কমাবে। এটা বাস্তবতা।ভোগবাদীতার এই যুগে "চাচা আপন প্রাণ বাচা" এই সাক্ষ্যই দিল বৃটিশরা। আগামী দিনে আরো কিছু প্রভাবশালী ইউ সদস্যা ইউ ের সদস্যপদ ছাড়তে পারে। সব জায়গায় অর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মূল কারণ হবে। ইইউ জোটের ফলে বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাববিস্তার করত পারলেও তাদের অর্থনীতির সুফল পেয়েছে ছোট ও দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলো।

অর্থনৈতিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রেও একটা টান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্বমোড়লিপনার জন্য সাধারণ জনগনের ট্যাক্সের হার দিন দিন বাড়ছে।এতে সাধারণ জনগনের মনে ক্ষোপ দেখা দিয়েছে।তাছাড়া ধনী-গরিবের ব্যবধানের ক্রমবর্ধমান ধারা এই ক্ষোপের আগুনে ঘি ঢেলে দিচ্ছে । যদিও বিশাল অর্থনীতির এই দেশে এখনো বেশ শক্তিশালী।

আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যতটা উৎসাহী ছিল, আইএস ের ব্যাপারে বলা চলে তত উদার। এর কারণ কোন দেশ আর ব্যয়বহুল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সংগী হতে রাজি নয়।সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আফগান যুদ্ধ ও ইরাক যুদ্ধ কোন সুফল আনয়ন করেনি।নেটো হামলায় গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়া মুলত জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের দামামা এখন আর শুনা যায় না।নানা দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের উসকানি দিলেও তারা আত্তসম্মান রেখে যুদ্ধ থেকে দুরে থাকতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ আর চাইছে না তাদের শ্রমের অর্থ দিয়ে বিশ্বনিরাপত্তার নামে বোমা মারা হউক। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বে নানা আত্তঘাতী জঙ্গি হামলা ও শরনার্থী স্রোত তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে।তারা বুঝতে পেরেছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ তাদের জন্য সুখকর হবে না। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রম্পের নানা মন্তব্য অদূর ভবিষ্যতে তাদের নানা নিরাপত্তাজনিত ও অর্থনৈতিক সংকটের ছায়া দেখা যাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পতনের জন্য আরো ৫০ বছর সময় লাগতে পারে, এই সময়ে বিশ্বের প্রায় সকল অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ অর্থনৈতিকভাবে সবল হয়ে উঠবে।আধুনিক সব প্রযুক্তি ও শিল্পের বিকাশ ঘটবে সব দেশে। নানা শিল্পের যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্য থাকবে না। আর অর্থ ছাড়া মোড়লিপনা করা যায় না।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373036
২৪ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভালো বিশ্লেষণ,ধন্যবাদ। ই.ইউ এর খবর হয়ে যাবে সামনে আরও বেশী
373037
২৪ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫৬
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম! যুক্তরাজ্যের সিংহাসন কেড়ে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ঠ্র দীর্ঘদিন পৃথিবী শাসন করেছে আর এরপরে যুক্তরাষ্ঠ্রের জায়গায় ইজরাঈল নেতৃত্বে আসবে।
373043
২৪ জুন ২০১৬ রাত ১০:৫৫
আফরা লিখেছেন : সংখ্যাগুরু মূর্খ জনগনের সিন্ধান্ত কখনো ভাল রেজাল্ট বয়ে আনবে না ।
২৪ জুন ২০১৬ রাত ১১:২২
309716
আব্দুল্লাহ আল রাহাত লিখেছেন : তাই হবে, মূলত ভোগবাদে আসক্ত জনগন ইউতে বৃটেনের দেওয়া অনুদান বাচাতে এই সিদ্ধান্ত নিল। যদিও বেশীভাগ জ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আরো অধিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশংকা করছে। কিন্তু গনতন্ত্রের সুত্রে বৃটিশরা ধরা খেল।
373048
২৪ জুন ২০১৬ রাত ১১:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর বিশ্লেষনটির জন্য। বৃটেন বা ইউকে ইইউর থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পিছনে কিন্তু উগ্র জাতিয়তাবাদিদের প্রভাব আছে।
373051
২৫ জুন ২০১৬ রাত ০৩:৩৩
শেখের পোলা লিখেছেন : সত্যই অর্থই মড়লীপনার জিয়নকাঠি। চাকাতো ঘোরার জন্যই গোল হয়।ধন্যবাদ৷
373054
২৫ জুন ২০১৬ রাত ০৪:০৩
পললব লিখেছেন : মূল নায়ক ইউকিপের প্রেসিডেন্ট কিন্তু এবার ভোটে পাশ করতে পারেনি।
373062
২৫ জুন ২০১৬ সকাল ০৯:২৮
হতভাগা লিখেছেন : ইরাক-আফগানিস্তানসহ সারা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের এলাইড ফোর্স যে ভালই লেজে গোবরে করে ফেলেছে সেটা বোঝা গেছে ডোনাল্ড রামসফেল্ডের বাংলাদেশে আগমনের ঘটনায় । হলিউডি মুভি ফারেনহাইট ৯১১ এও দেখা গেছে কিভাবে তারা সৈন্য সংগ্রহ করতো ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File