সরকারের গণভিত্তি না থাকায় এই ধরণের হত্যাকাণ্ডের বন্ধ হচ্ছে না

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ০৬ জুন, ২০১৬, ০৩:০৫:৩৩ দুপুর



এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে খুন করা হল, যথারীতি দায় চাপানো হল জংগীদের উপর।যদিও সিসিটিভি ফূটেজে হত্যাকান্ডের ধরণ দেখে পেশাদার খুন মনে হয়, গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করতাম চাপাতির খুপে খুন হলে এটা জঙ্গিদের কাজ, কিন্তু পুলিশ, মিডিয়া যথারীতি দায় জঙ্গিদের উপর, এতে ঘটনার সঠিক তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। মূলত এই পদ্ধতিতে খুনী গ্রেপ্তারের সহজ দায় এড়ানো যায়, আর বেশী চাপে পড়লে দুইএকটা দাড়ি-টুপি ওয়ালা যুবক আটক করলে মামলা উদ্ধার হয়ে গেল। কিন্তু কেন ঘন ঘন এই সব আচমকা হত্যার স্বীকার হতে হচ্ছে নাগরিকদের? কেনইবা খুনীরা এত বেপরোয়া? কেন দেশে জঙ্গি হামলা ক্রমশ বাড়ছে? এইসবে প্রশের জবাব নিয়ে কোন ভাবনা নেই। জঙ্গিদের নামে ইসলামের নাম ভাংগিয়ে ব্যক্তি বা রাজনৈতিক কোন স্বার্থ হাসিল হচ্ছে কিনা তা ভেবে দেখার সময় কারো নেই।

ইউপি নির্বাচনে ১১৪ জন নিহত হল, এতে রাষ্ট্র ও সরকারযন্ত্রকে কোন চিন্তিত মনে হয় না। সিইসির মূখে তবু হাসি যেন আশঙ্কার চেয়ে কম মারা গেল! বরং এই সব হত্যাযজ্ঞকে স্বাভাবিক দেখছে সরকার, কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকার এর বিকল্প নষ্ট হয়ে গেছে, গণতন্ত্রের মানসকন্যা এখন উন্নয়ন কন্যা হয়ে গেছেন। গনতন্ত্র সরকারের কাছে তিতা হয়ে গেছে।তামাম দুনিয়া দেখছে সরকার কেমন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এমন দূর্বল সরকার এই দেশে আগে ছিল না। সরকারকে কথায় শক্তিশালী মনে হলেও চেহারা অন্য কথা বলে। দেশের প্রশাসনের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারকে টিকিয়ে রাখার বিনিময়ে প্রশাসনকে বেপরোয়া সব অধিকার দেওয়া হয়েছে। এখন সরকার চাইলেও প্রশাসনকে দমকাইতে পারেন না। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী লীগের কোন নিয়ন্ত্রন নেই।এরা হত্যা-গুম যাহাই করুক, এদের শাস্তি দেওয়ার সাহস রাষ্ট্রযন্ত্রের নেই।

গনভিত্তিহীন এই ধরনের দুর্বল সরকার থাকলে দেশে অস্তিরতার চাপা ভাব থাকবে, অন্য দেশ নাক গলাবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিবেশী ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর উপর ভারতের বিমাতাসুলভ আচরণ নতুন নয়।গণভিত্তিহীন সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য নামমাত্র শুল্কের বিনিময়ে ভারত ট্রানজিট পেয়ে গেছে। কিন্তু আমরা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যাহ এখনো পাইনি।ভারত আমাদের হয়ে অন্যদেশকে উপদেশ দেয়, যেন বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য! নিরাপত্তার দোহায় দিয়ে আমেরিকা বাংলাদেশে অস্ত্র আনার অনুমতি চেয়েছে, কোনটি দেশের জন্য ভাল লক্ষণ নয়। চীন বিনা টেন্ডারে বাংলাদেশের বড় বড় উন্নয়ন প্রজেক্টগুলো নিয়ে নিচ্ছে সরকারের দুর্বলতাকে ব্যবহার করে।

আমাদের দেশের এই আওয়ামী সরকারের টানা দুই মিয়াদে ভিন্নমত দমন করতে গিয়ে জঙ্গিবাদের কম চাষাবাদ হয়নি। বলতে গেলে জাঙ্গিবাদ প্রাথমিক স্তর অতিক্রম করে ফেলেছে। দ্বিতীয় স্তরে আসবে আত্তঘাতি ও ঘাড়িবোমা হামলা, চুডান্ত পর্বে আসবে আমেরিকান ড্রোন। ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিকের প্ররোচনায় সরকার ইসলামপ্রিয় জনতাকে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিতে চায়। কারণ সরকার পশ্চিমা সমর্থন পেতে জঙ্গিবাদের কার্ড ব্যবহার করে আসছে, তার জন্য কিছু জঙ্গি হামলা সরকার নিজেদের স্বার্থে ভাল চোখে দেখছে। তাই সাম্প্রতিক জঙ্গিহামলার প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের তাদের সৎইচ্ছার প্রমাণ নেই। আর এতে জঙ্গিরা বা জঙ্গিবাদের নামে নাগরিক হত্যা থামছে না।

বিষয়: বিবিধ

১০২২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

371175
০৬ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:২৬
হতভাগা লিখেছেন : কোন ঘটনার সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্ত না হবার কারণে , বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য এবং সর্বোপরি তদন্ত করার আগেই দোষী চিন্হিত করে ফেলা - এসব কারণে অপরাধীদের মধ্যে এই ম্যাসেজ চলে যায় যে , অপরাধ করে যাও তোমাদেরকে কেউ ধরতে পারবে/আসবে না ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File