কলংকিত হচ্ছে শিক্ষকতার মত মহৎ পেশা

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ১৭ মে, ২০১৬, ০৮:১৫:৪০ রাত

নারায়ণগঞ্জে একজন স্কুল প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে যেভাবে উঠবশ করানো হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। শিক্ষকতার মত মহৎ কোন পেশার জন্য তা সত্যিই অপমানজনক।শিক্ষকমাত্রই এর জন্য অপমানবোধ করবেন। শিক্ষক তিনি যেই স্তরেরই হউন না কেন , সম্মান ও মর্যাদায় অলিখিতভাবে সবাই সমতুল্য।

স্কুল শিক্ষকদের কেউ এড়িয়ে যেতে পারেন না। জাতির সকলে তাদের থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। যিনি এই উঠবশের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি নারায়নগঞ্জের গড়ফাদার পরিবারের বিনা ভোটে নির্বাচিত সাংসদ সেলিম ওসমান। একজন আইনপ্রনেতার এহেন বিবেকবিবর্জিত কান্ড প্রমাণ বহন করছে আমাদের সমাজের পচন মাথায়ও শুরু হয়েছে।তিনি ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারি এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি।

একজন আইনপ্রণেতা যখন আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে জনদরদী হয়ে উঠেন, তখন এটাকে চিহ্নিত করতে হবে সমাজের মজ্জাগত এক সংক্রমণ ব্যাধি হিসাবে। ইসলামে এই ধরণের কোন শাস্তির বিধান নেই, যেখানে শাস্তির উদ্দেশ্য কাউকে অপমান করা, হেয় করা। ইসলামে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে একমাত্র ব্যক্তি বা সমাজের সংশোধন উদ্দেশ্য ।

নানা উস্কানি, অস্তিরতা ও বিচারহীনতার কারণে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা এমনি দিন দিন বেড়ে চলছে, তার মধ্যে ৯০ ভাগ মুসলিমের এই দেশে ইসলাম বিদ্বেষী একটা শ্রেণী নানাভাবে ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে কটাক্ষ করছে ও কুৎসা রটাচ্ছে। এতদিন ইসলাম বিদ্বেষ কিছু ব্লগে কতিপয় নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু অতি উৎসাহী শিক্ষক ইসলাম ও রাসূল(সঃ) সম্পর্কে কটাক্ষ করছেন ও কুৎসা রটাচ্ছে্ন, যা উদ্বেগের বিষয়।

ইসলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল(সঃ)প্রতি মুসলিম জনতার ভালবাসাকে তারা চ্যালেঞ্জ করছেন। এমন কুলাংগারদের শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে দিয়ে ময়দানে আসা দরকার। কাপূরুষ এই সকল শিক্ষকরা যখন জনরোসে পড়ছে, আবার ঘটনা অস্বীকার করে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে।কতিপয় নামধারী এই ধরণের কিছু শিক্ষকের কারণে নানা ভাবে শিক্ষকতার মত মহৎ পেশা সাধারণ মানুষের কাছে কলংকিত হচ্ছে।শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সংষ্কৃতি লোপ পাচ্ছে।

এতো দিন শিক্ষকদের মাঝে নারী কেলেংকারী্র সাথে জড়িত কিছু কুলাংগার পাওয়া গেলেও এখন ইসলামের বিধি-বিধান ও রাসূল(সঃ) নিয়ে কটুক্তিকারী একটা শ্রেণী দেখা যাচ্ছে।এদের সংখ্যা নিতান্তই কম,কিন্তু বিদ্বেষের আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশ জুড়ে। ইসলাম বিদ্বেষী এই মহল মন চাইলে নানা অযুহাতে ইসলামের ফরজ পর্দার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। দাঁড়ি-টূপি নিয়ে কটুক্তি করতেও দ্বিধা করছে না। আর সরকার শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের কটুক্তিকারীদের নিয়ে বেশী ব্যস্ত হয়েছে পড়েছে। যেখানে আল্লাহ,তার রাসূল(সঃ) ও ইসলাম সমালোচনার উর্ধ্বে থাকার কথা, যেখানে একজন ব্যক্তিকে সমালোচনার উর্ধ্বে তুলে পূজনীয় করে তুলা হচ্ছে। নিশ্চয় এটি এই জাতির জন্য ভাল কোন লক্ষণ নয়।

বিষয়: বিবিধ

১০৭৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

369431
১৭ মে ২০১৬ রাত ০৮:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : সহমত। এর প্রতিকার চাই।
369438
১৭ মে ২০১৬ রাত ০৮:৫৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. We have to raise our voice to this bad intentions for solving these problems.
369449
১৭ মে ২০১৬ রাত ১০:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এর আগেও তো অনেক শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপমান করা হয়েছে। কিন্তু তখন কিছু হয়নি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File