মৃত্যুদন্ড চরম মানবতাবিরোধী অপরাধ
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ১০ মে, ২০১৬, ১০:৩৪:৪৯ রাত
যে মানবজাতি প্রয়োজনে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে না, তাদের রচিত আইনে সুস্থ সবল কোন মানুষকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেওয়া ও কার্যকর করা চরম মানবতাবিরোধী অপরাধ যা বলা যায় ঠান্ডা মাথায় খুন। আসল জল্লাত বিচারক। এই অপরাধবোধ থেকেই বিশ্বের অনেক দেশে আজ সাজা হিসাবে মৃত্যুদন্ড রহিত করা হয়েছে। বিশ্বের সর্বত্রই মৃত্যুদন্ডবিরোধী স্লোগান বেশ জনপ্রিয়।
মানবরচিত বিধানে মৃত্যুদন্ডের বিধানের ছড়াছড়ি। কিন্তু ইসলামে সুষ্পষ্টভাবে মাত্র দুইটি ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ডের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে বিবাহিত জেনাকারী বা জেনাকারিণী ছাড়া হত্যার ক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে রক্তপণের বিধান রাখা হয়েছে। জেনার শাস্তির ক্ষেত্রে অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে হত্যার বিধান নেই। ইসলামে জেনার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা বেশ কঠিন।মূলত হত্যা আল্লাহর কাছে বড় কঠিন সিদ্ধান্ত। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যে অন্যায়ভাবে একজন মানুষকে হত্যা করল সে যেন পুরা মানবজাতিকে হত্যা করল।রাসুল(সঃ) কাছে একজেনাকারিণী মহিলা এসে নিজের জন্য শাস্তি দাবি করলে তাকে বারবার ফিরিয়ে দিয়ে তওবা করতে বলেছিলেন, কিন্তু মহিলাটি শাস্তি পেতে মরিয়া হওয়ায় সন্তান জন্মদান ও দুইবছর লালন-পালনের পর তার শাস্তি কার্যকর করা হয়। রাসূল(সঃ) তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পর উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ চরম পাশবিকতার পরিচয়। কারো মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পর মৃতব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত যদি যে অপরাধীও হয়ে থেকে। আমরা সবাই প্রতিনিয়িত অপরাধ করছি, যদি আমাদেরও বিচার হয় আমাদের অনেকের অনুরূপ শাস্তি হতে পারত।
আমার মনে হয় আওয়ামী লীগও ক্ষমতা ছাড়ার আগে মৃত্যুদন্ড রহিত করবে। বিডিয়ার হত্যাকান্ড, ৫ মের হত্যাকান্ড, প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, লুটপাটের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে ফাঁসির রশি মনে হয় তাদেরকেও ছাড়বে না।যে ট্রাইব্যুনালে বিরোধীমতের নেতাদের ফাঁসির রায় হচ্ছে সেই ট্রাইবুন্যালেই হয়ত আজকের নায়কদের একই পরিনিতি হবে। ইতিহাসে এই ট্রাইবুন্যাল শুধু বিতর্কিতই থাকবে না হয়ত কসাইখানা হিসাবে স্থান পাবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন