প্রগতিবাদীদের কতিপয় প্রগতিশীল শিরক ও কুসষ্কার
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:০৮:৫৫ রাত
ভষ্কর্যের নামে মুর্তি নির্মাণ
আধুনিক প্রগতিবাদীরা ভাষ্কর্যের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় নারী-পুরুষের উলংগ মূর্তি নির্মাণ করে। এই সব উলংগ মুর্তিগুলোর প্রতি তারা ভক্তি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে থাকে।নাস্তিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উপাস্য হল এই সব মূর্তি। তাদের ধারণা এই সব মূর্তি প্রতিষ্টা করতে পারলে তাদের ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবে। তারা মনে করে এই মূর্তিগুলো তাদের নানা ধরণের অনুপ্রেরণা ও শক্তি যোগান দেয়। মূর্তিগুলোই তাদের আদর্শের প্রতীক। আসলে জড় এই মূর্তিগুলো কিছু করার ক্ষমতা রাখে না । প্রগতিবাদীরা মূলত মুশরিকদের থেকে এই কুসষ্কার ধার করে সুচতুরভাবে সমাজে প্রচলন করে। আর এই শিরকী আমলকে তারা প্রগতিশীল ধারণা হিসাবে চালিয়ে দিতে দেয়। অথচ, যখন সমাজে চরম অধঃপতন নেমে আসত তখন মানুষ মূর্তি পূজা শুরু করত। যুগে যুগে নবী রাসুলরা মানবজাতিকে থেকে মূর্তিপূজা থেকে ফিরিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার উপসনা করার জন্য আগমন করেছিলেন। নাস্তিকরা আকিদায় মুশরিক। তারা নিজেরা অন্য ব্যক্তির মূর্তির পূজা করে, আর নিজেরা মূর্তি হতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা
প্রগতিবাদীদের ধারণা বছরের প্রথম দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রা করলে সারা বছর ভাল যাবে। আগের বছরের পাপ-অপরাধ মুছে যাবে। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে কোন যাত্রা কোন কল্যাণ আনতে পারে না। এই যাত্রা যেমন অবৈজ্ঞানিক তেমন ইসলামের চেতনা বিরুধী। ইসলামে মনে করা হয় কল্যাণ কেবল আল্লাহ তায়ালা থেকে আসে। নাস্তিক প্রগতিবাদীরা বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায় ও সনাতন ধর্মীদের থেকে এই মূর্তিময় মঙ্গল শোভাযাত্রা গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শিরকী আকিদা ও কর্ম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এক মিনিট নিরবতা পালন
এক মিনিট নিরবতা পালনের নামে সবাই এক মিনিট বেকুব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আধুনিক সমাজের প্রগতিশীল কুসষ্কার। এর ফলে নিরবতাপন্থীরা মনে করে, এর ফলে মৃত ব্যক্তির আত্না শান্তি লাভ করে। যার বৈজ্ঞানিক অবৈজ্ঞানিক কোন ধরনের প্রমাণ নেই। কথিত বিজ্ঞানবাদী নাস্তিকরা মানব আত্নার অস্তিত্ব স্বীকার করে না। এটি কথিত বিজ্ঞানবাদীদের নব সৃষ্ট তাদের আকিদাবিরুধী কুসষ্কার। স্ববিরুধী এই হাস্যকর আমল নাস্তিক ও সংশয়বাদীদের কাছে বেশ প্রিয়। ইসলামের সাথে এর দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। বরং অনেক আলেম এই কুসষ্কারকে শিরকের নামান্তর হিসাবে বর্ণনা করেন।
শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দেওয়া
কথিত প্রগতিশীল সম্প্রদায় বিশেষ দিনে শহীন মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে মৃতব্যক্তির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে থাকে। মনে করা হয় বেদীতে ফুল দিলে মৃতব্যক্তির আত্না শান্তি পাবে। যার কোন ভিত্তি নেই। । তাই এটি বহুল প্রচলিত আধুনিক কুসষ্কার। এটি শিরকের সম পর্যায়ের মনে করেন অনেক আলেম। ইসলামে মৃত ব্যক্তির জন্য কেবল দুয়া ও দান-সাদাকা করার কথা বলা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন