বঙ্গবন্ধু ও ইয়াবা!

লিখেছেন লিখেছেন ইয়াফি ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ০৭:৩৮:২৫ সন্ধ্যা

শিরোনামে অনেকে অবাক হচ্ছেন বুঝি! না বঙ্গবন্ধুর সাথে ইয়াবার কোন ধরণের সংশ্লিষ্ট থাকার প্রশ্নই উঠেনা। আসলে এখানে বর্তমান বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের কোন এক অঞ্চলে ইয়াবার দাপটের কথা বলা হচ্ছে। আগে বঙ্গবন্ধুর নানা স্বপ্নের কথা, উঁনার সোনার বাংলার কথা, উঁনি জাতির পিতা, জাতির জনক, জাতির আব্বা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হওয়ার কথা বলা হতো। পূর্বে কদাচিত উঁনি বাঙ্গালী নবী বলে দাবী করা হতোনা। হতে পারে তাঁর দলের বর্তমান দাপট দেখে ধান্ধাবাজ অনুসারীরা শীর্ষ ক্ষমতাশালীকে কর্মক্ষমতা(Performance) দেখাচ্ছেন কিংবা বঙ্গবন্ধুর কোন উত্তরসূরী তাঁকে বাংলাদেশের বুকে এমন মর্যাদায় আসীন করবেন যাতে তাঁর দল অনাগত কাল ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে। তাহলে বাংলাদেশের উলামা সমাজের কি হল? আজ পর্যন্ত তাঁদের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না। উল্টো তাঁরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে শিরক-বেদাতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে! বঙ্গবন্ধু এমন দাপট দেখাচ্ছেন উলামারা ইমানহারা নীল হয়ে গেলেন! হতে পারে এর অন্যতা হলে উলামারা জেল-জরিমানার শিকার হবেন, নিজ দেশের নাগরিকত্ব হারাবেন কিংবা তাঁদের জানও কবজ হতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান শ্বাপদ-সংকুল পরিস্হিতিতে জান বাঁচাতে কি করণীয় তা উলামাদের সিদ্ধান্ত দেয়া দরকার। ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকার সেদেশের সকল বিদ্যালয়ে যোগব্যায়ামে সূর্যপূজাসহ বন্দে মাতরম গাওয়া বাধ্যতামূলক করলে সেদেশের উলামারা এর বিরুদ্ধে গেলেন এবং মুসলমানরা(নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে) কতটুক গ্রহণ করতে পারে তার মতামত দেন।

বাংলাদেশের বিশেষ এক এলাকায় উলামারা মাদকদ্রব্য ইয়াবাকে হারাম(ইসলাম-নিষিদ্ধ) বলতে পারছেননা! কারণ সমাজে নেতৃত্বদানকারী জনপ্রতিধি ও প্রতাপশালী ব্যক্তিরা প্রায় সবাই ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িত। উলামারা ইয়াবার বিরুদ্ধে গেলে সমাজে টিকে থাকা তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। মাদ্রাসার আয়-রোজগার কমে যাবে! বরং ইয়াবা গুরু জেলে গেলে তার আশু মুক্তি কামনায় মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্হা করতে হয়। উলামাদের এমন গা-সওয়া দেখে সাধারণ মানুষরা ইয়াবা-ব্যবসাকে সন্দেহের চোখে দেখতে নারাজ। ইয়াবা চালানে তারা নানা অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করতে গিয়ে মহিলারা তাদের সম্ভ্রম হারাচ্ছে, পুরুষদের ইয়াবা প্রসব করে দেখাতে হচ্ছে, ইতিমধ্যে দুই-চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে অভিনব পদ্ধতির প্বার্শ-প্রতিক্রিয়ায়। সবচাইতে মর্মান্তিক ঘটনা এই যে, ইয়াবা চালানের জন্য তারা পবিত্র কোরআন শরীফের মাঝখানে গোল করে কেটে নিয়েছিল! এরপরেও উলামারা চুপ থাকতে পারেন!!!

বিষয়: বিবিধ

১০৪১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

376852
২৭ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
আসমানি লিখেছেন : কে বলেছে ওলামারা চুপ আছেন?
ওনারা অ-নে-ক ব্যস্ত ছিলেন পিসটিভি বন্ধ করার জন্য।
এখন একটু রেস্টে আছেন।
খুব শীগ্রই ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এ সংক্রান্ত ফতোয়া নিয়ে অবতরণ করবেন।
অপেক্ষা করুন।
অপেক্ষার ফল বড়ই মিঠা।
376859
২৭ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:০০
376865
২৮ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৬:২১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : উলামারা ইয়াবার বিরুদ্ধে গেলে সমাজে টিকে থাকা তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। মাদ্রাসার আয়-রোজগার কমে যাবে! ভালো অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
376874
২৮ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৯:৫১
হতভাগা লিখেছেন :

378549
১০ অক্টোবর ২০১৬ রাত ১০:৪৩

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File