ডঃ মুনতাসির মামুনের হেজাবি এখন হেআওয়ামী!

লিখেছেন লিখেছেন ইয়াফি ০১ মে, ২০১৬, ০৩:০০:২৬ দুপুর



ঢাকা বিশ্ববিদ্ব্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ডঃ মুনতাসির উদ্দিন মামুন নাকি বেশ দ্রুত লিখতে পারেন আবার নতুন শব্দও বানাতে পারেন। তার একটি নতুন বানানো শব্দ হচ্ছে 'হেজাবি' মানে হেফাজত-জামায়াত-বিএনপি। এটি মুলতঃ শাহবাগ আন্দোলনের নাস্তিকদের ইসলাম-অবমাননার বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের দেশ-কাঁপানো আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার সরকার যখন টলটলায়মান, তখন তাদের পোষ্য গবেষক ডঃ মুনতাসির হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি কে এক সুতোয় গেঁথে কটাক্ষ করতে তার এই অনবদ্য সৃষ্টি! ডঃ মুনতাসিরের আরেকটি পরিচয় উল্লেখ না করলে নয়। তিনি একজন বিশিষ্ট গবেষক ও ইতিহাসবিদের সাথে একজন বিশিষ্ট দলকানা আওয়ামী বুদ্ধিজীবি। যার মধ্যে পড়াশুনা থাকলেও ন্যায়বোধ নেই। ডঃ মুনতাসিরের মত দলকানারা দাবী করে হেফাজতের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের আন্দোলন, জামায়াতকে বাঁচানোর আন্দোলন। এটি মূলতঃ জামায়াতের প্রক্সি আন্দোলন! কিন্তু হেফাজত বরাবরই বলে আসছে তারা অরাজনৈতিক সংগঠন। কাউকে ক্ষমতা থেকে সরানো বা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য তারা নয়। তাদের আন্দোলন নাস্তিকদের ইসলাম-অবমাননার বিরুদ্ধে। আন্দোলন চলাকালে দৈনিক কালের কন্ঠকে দেওয়া সাক্ষাতকারে হেফাজতের আমির আল্লামা আহমদ শফী বলেই দিয়েছেন “আপনারা হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বদলে বুকে গুলি করে আমাকে মেরে ফেলুন। এই ভিত্তিহীন অভিযোগ শুনে ধৈর্য ধরে রাখতে পারি না। কষ্টে বুকটা ফেটে যায়”। আল্লামা শফী আরো বলেন তাদের কওমি চিন্তার আলেমসমাজ জামায়াত গোমরাহের দল মনে করে। জামায়াত ও মওদুদীর ইসলামবিরোধী সব তথ্য তারা ভাল করে জানেন! বাস্তবেও তাই। যাহোক, কওমী ধারার আলেমদের জামায়াত ও মওদূদী বিরোধিতা গুটি কয়েক উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবেনা। এ বিরোধিতা যেন কিংবদন্তির রূপ নেয়। কিন্তু ডঃ মুনতাসিরের মত গবেষকরা তা মানতে নারাজ। ডঃ মুনতাসিরের গবেষণার ফল এখন কি হতে পারে যদি হেফাজতের প্রধান কার্যালয় ও বাংলাদেশের সর্বৃবহত কওমী মাদ্রাসা চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম এ তার সরকারের মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করে অনুষ্ঠান করা হয়? কিংবা যখন তাদের সমমনা চরমোনাইয়ের পীরের ওয়াজ মাহফিলে তার সরকারের মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করা হয়?

হেফাজতের নেতৃবৃন্দরা বলছেন এর মাধ্যমে তারা সরকারের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চান। তাদের সাথে কারো শত্রুতা নেই। হেফাজতের আমির আল্লামা আহমদ শফী আন্দোলনের পর এক মাহফিলেও(চট্টগ্রামের শানে রেসালত ও নারায়ণগঞ্জের অনুষ্ঠানে স্কাইপ বক্তৃতা) বলেছেন আওয়ামীলীগ উনাদের বন্ধু। তারা তাদের সাহায্য করে। কেন উনারা বিরোধিতা করবেন। এখন হেফাজত একাধিক ইস্যুতে শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসা করছে। সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে সংগঠনটির আমীর আল্লামা আহমদ শফিও নির্বিঘ্নে হেলিকপ্টারযোগে ছুটছেন কওমী মাদ্রাসার প্রোগ্রামে জেলা থেকে জেলায়। এক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা বাহিনীও সহযোগিতা করছে। দৃশ্যপটের এমন উল্টো গতিপথ অনুসরণ দেখে কোন কোন উতসাহী মিডিয়া লিখছে আল্লামা শফি, চরমোনাইর পীর বদলে যাচ্ছেন কিংবা তাঁরা মহাজোটে ঠাঁই নিচ্ছেন! এবার গবেষক ডঃ মুনতাসির হয়তো নুতন শব্দ বানাবেননা! কিন্তু তার আবিস্কৃত ‘হেজাবি’ শব্দটির অটো-রূপান্তর এখন ‘হেআওয়ামী’ মানে হেফাজত-আওয়ামীলীগ।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

367672
০১ মে ২০১৬ বিকাল ০৫:২৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : এই সয়তানরা এত শক্তি পায় কি করে জানেন..? মোনাফেকদের শত্রু নেই বা থাকেনা ত্বাগুতের সাথে তাদের সম্পর্ক চিরদিন একই থাকে। অথচ আল্লাহ বলেন আমি প্রত্যেক জাতির কাছে নবী রাসুল প্রেরন করেছি তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করেন এবং ত্বাগুতকে বর্জণ করেন। আল্ কুরআন। কওমি চিন্তার আলেমসমাজ জামায়াত গোমরাহের দল মনে করে। এটা ওদের মনের কথা নয় এটা ত্বাগুতকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলে। আমি কওমি মাদ্রাসায় পড়েই এই কুয়েতে এসেছি ৩৪ বছর আগে এবং এখানে এসে চার বছর ৮সেমিষ্টার ইসলামিক ষ্টাডিস কোর্স করেছি এবং প্রতি মাসে লাখ টাকার উপরে বেতন পাই। আনাস বিন আহমেদ শফির মত একটি বিল্ডিং এখনো করতে পারিনাই। সফি হুজুরের ছেলে আনাস কতটাকা বেতনের চাকরী করেন.? লিমা তা'কুলুনা মালা তাফ'আলুন। কওমি চিন্তার আলেমসমাজ জামায়াত গোমরাহের দল মনে করে। কারন জামায়াত ত্বাগুতকে খুশী করার জন্য কাজ করেনা। আপনাকে ধন্যবাদ
373601
৩০ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:০১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : একটি এলান
Click this link

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File